"ইউপি সদস্যের বিরুদ্ধে ধর্ষককে সহযোগীতার অভিযোগ"

রংপুরে ভিকটিমকে তুলে নিয়ে গেলেন ধর্ষন ও

অপহরন মামলার আসামিরাঃপুলিশ সুপারের

হস্তক্ষেপ কামনা


নিজস্ব সংবাদদাতা  

রংপুরের সদ্যপুস্করিনী ইউনিয়নের কাটাবাড়ি মিলবাজার'র হোটেল ব্যবসায়ী বাবলু মিয়ার দশম শ্রেণীর ছাত্রী শ্রাবন্তি (ছদ্মনাম) নামে এক নাবালিকা অপহৃতাকে রংপুর কোতয়ালি থানার সহযোগীতায় গত ৯ই মার্চ ঢাকা থেকে উদ্ধার করে নিয়ে আসা হলেও গত বুধবার বাড়ির সামনে থেকে আবারও স্থানীয় ইউপি সদস্য ও তার লোকজনের ইশারায় ভিকটিমকে অপহরন করে নিয়ে যাওয়ার গুরুত্বর অভিযোগ উঠেছে।এ ঘটনায় রংপুর জেলা পুলিশ সুপারের হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন ভুক্তভোগী পরিবার।



রংপুর কোতয়ালি থানা ও ভিকটিমের পরিবারের

দায়েরকৃত মামলা সুত্রে জানাযায়, গত ৭ মার্চ দিবাগত রাত আনুমানিক ৮টায় রংপুর সদর উপজেলার সদ্যপুস্করিনী ইউনিয়নের ১নং ওয়ার্ডের কাটাবাড়ি এলাকার হোটেল ব্যবসায়ী বাবলু মিয়ার নাবালিকা মেয়ে, খোড়াগাছ উচ্চ বিদ্যালয়ের নবম শ্রেণীর ছাত্রী শ্রাবন্তি(ছদ্মনাম) কে একই এলাকার কফুর উদ্দিনের ছেলে বখাটে

মাসুদ রানা (২২) তার বন্ধু ফয়জার আলীসহ অজ্ঞাতনামা বেশ ক'জনের সহযোগীতায় অপহরন করে ঢাকায় নিয়ে যায়।



 পরে পুলিশের সহযোগীতায় বাবলু মিয়ার নাবালিকা মেয়ে, খোড়াগাছ উচ্চ বিদ্যালয়ের নবম

শ্রেণীর ছাত্রী শ্রাবন্তি(১৪)(ছদ্মনাম) কে ঢাকা থেকে উদ্ধার করে নিয়ে আসা হয়। পরে মেয়েটিকে রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের ওসিসি বিভাগে ভর্তি করা হয়। সেখানে চিকিৎসা শেষে গত ২২ মার্চ রংপুর কোতয়ালি থানায় মেয়ের বাবা বাবলু বাদী হয়ে মাসুদ রানাসহ সহযোগী ৪জনকে বিবাদী করে একে অপরের সহায়তায় অপহরন ও ধর্ষনের অভিযোগে ২০০০ সালের নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইন(সংশোধনী ২০০৩) এর ৭/৯(১)/৩০ পেনাল কোড অনুযায়ী এজাহার দায়ের করেন।

যার মামলা নং-১৪। 





এঘটনায় গত মঙ্গলবার প্রধান আসামী মাসুদের বন্ধু ইটভাটা শ্রমিক ফয়জার আলীকে' গ্রেফতার

করে এসআই তৌহিদুল ইসলাম ও তার সঙ্গীয় ফোর্স।এদিকে ফয়জার আলীকে গ্রেফতারের পরদিন বুধবার ভোরের নামাজের পর বাড়ির বাইরে বাথরুম যাওয়ার প্রাক্কলে মামলার প্রধান আসামীসহ অপর আসামীরা ভিকটিম নাবালিকা মেয়েটিকে আবারও অপহরন করে নিয়ে যায়।


মামলার বাদী বাবলুর অভিযোগ, স্থানীয় মাতব্বর ইউপি সদস্য আনোয়ারুল ইসলামসহ কতিপয় স্বার্থান্বেষী মহলের ইশারায় তার মেয়েকে আবারও তুলে নিয়ে যাওয়া হয়েছে।


অপহৃতার বাবা সাংবাদিকদের জানান, স্থানীয় মাতব্বর ইউপি সদস্য আনোয়ারুল ইসলাম ইতিপূর্বে অপহরনকারীদের পক্ষ নিয়ে ২শ টাকার ননজুডিশিয়াল স্ট্যাম্পে মনগড়া অঙ্গিকারনামা লিখে স্বাক্ষর নেয়ার জন্য আমার কাছে লোক মাধ্যমে পাঠায়। কিন্তু আমি তাতে স্বাক্ষর না দিয়ে ননজুডিশিয়াল স্ট্যাম্প টি আটকে দেই। এতে স্থানীয় মাতব্বর ইউপি সদস্য আনোয়ারুল ইসলামসহ তার পালিত লোকজন আমার ও আমার পরিবারের উপর ক্ষিপ্ত হয়ে উঠে এবং দেখে নেয়ার হুমকী দেন। এরই অংশ হিসেবে আমার নাবালিকা মেয়েকে মাসুদরানা গং অাবারও অপহরন করে নিয়ে যায়।


সরেজমিনে দেখা-গেছে প্রধান আসামী মাসুদ রানা ও তার পরিবারের লোকজন বাড়িঘরে তালা মেরে সবাই পালিয়ে গেছেন। কোথায় পালিয়ে গেছেন আশপাশের লোকজন তা নিশ্চিত বলতে পারেননি।