মিঠাপুকুরে পল্লীচিকিৎসক কর্তৃক বাকপ্রতিবন্দীকে বলাৎকার

মিঠাপুকুর,রংপুর

বাকপ্রতিবন্দী ছেলেটি ছয় বছরের ছোট ভাইয়ের সাথে বাড়ির উত্তরপ্বার্শে পতিত জমিতে খেলছিলো।এমন সময় পাশের বাড়ির পল্লীচিকিৎসক কৌশলে ডেকে নিয়ে যায় ছেলেটিকে।বাড়ির পূর্ব দুয়ারী ঘরে নিয়ে জোড়পূর্বক পরনের থ্রি-কোয়ার্টার প্যান্ট খুলে ইচ্ছার বিরুদ্ধে বলাৎকার( ধর্ষণ) করে শিশুটিকে।বড় ভাইয়ের সাথে এই অবস্থা দেখে কান্নায় চিৎকারে দৌড়ে যায় মায়ের কাছে।কান্নাজনিত কন্ঠে বাক প্রতিবন্দী ছেলেকে দেখে হতাশ মা।এ বিষয়ে ভুক্তভোগীর মা বাদী হয়ে থানায় লিখিত অভিযোগ করেন।

গত সোমবার(২৮শে মার্চ)দুপুরে মিঠাপুকুর উপজেলার ভাংনী ইউনিয়নে স্থানীয় পল্লীচিকিৎসক কর্তৃক বাকপ্রতিবন্দী শিশুকে বলাৎকার করার অভিযোগ উঠেছে।এ ঘটনার পর থেকে চিকিৎসক পলাতক আছেন।

 স্থানীয় পল্লীচিকিৎসক কর্তৃক বাকপ্রতিবন্দী শিশুকে বলাৎকার


সরেজমিনে ও থানার অভিযোগ সূত্রে জানা যায়-খেলাধুলা করার সময় ১০ বছরের বাকপ্রতিবন্দী শিশুকে কৌশলে জোড়পূর্বক ধর্ষন করেন স্থানীয় পল্লীচিকিৎসক আসাদুজ্জামান(৫০)।এ বিষয়ে গত বুধবার(৩০শে মার্চ)সকাল আটটায় স্থানীয় ইউপি সদস্যের সহযোগিতায় শালিশী বেঠক ডাকা হয়।শালিশী বৈঠকে আসাদুজ্জামান হাজির না হয়ে পলাতক থাকেন।স্থানীয় বাসিন্দা আব্দুস সালাম বলেন-বিষয়টি শোনার পর স্থানীয়ভাবে মিমাংসার ব্যবস্থা করা হয়।কিন্তু ডাক্তার উপস্থিত হয়নি।শালিশী বৈঠকে তিনি উপস্থিত না হওয়ায় তিনি এই অপরাধ করছেন বলে দাবী তার।এমন দাবী শুধু আব্দুস সালামের নয়,ফিরুজ মিয়া,শাহাদত হোসেন ও সোহেল রানাসহ প্রায় ৩০জন এলাকাবাসীর।

ভুক্তভোগীর মা জানান-তার বাক প্রতিবন্দী ছেলের চিৎকারের শব্দ শুনে ছোট্ট ছেলে বাড়িতে দৌড়ে গিয়ে খবর দেয়।তিনি এসে দেখেন তার ছেলে কান্নাকাটি করছে।ডাক্তার তাকে নানান ভাবে বুঝিয়ে বিষয়টি ধামাচাপা দেওয়ার চেষ্টা করেন।

স্থানীয় ওয়ার্ড ইউপি সদস্য ইলিয়াস মিয়ার সাথে মুঠোফোনে কথা হলে তিনি জানান-বিষয়টি তিনি জানার পর স্থানীয় এলাকাবাসীসহ শালিশী বৈঠক বসানো হয়।বৈঠকে উপস্থিত না হলে ভুক্তভোগীদের আইনের আশ্রয় নেওয়ার জন্য পরামর্শ দেন।

মিঠাপুকুর থানার অফিসার ইন-চার্জ মোস্তাফিজার রহমান জানান-এ বিষয়ে লিখিত এজাহার পেয়েছেন।তদন্তমূলক ব্যবস্থা গ্রহণ করার আশ্বাস দেন তিনি।