12/24/21

 মিঠাপুকুরে মন্দির থেকে তিন প্রতিমার মাথা কেটে নিয়ে গেছে দুর্বৃত্তরা 


মিঠাপুকুর প্রতিনিধি।। 

রংপুরের মিঠাপুকুরে মন্দির থেকে তিন প্রতিমার মাথা কেটে  নিয়ে যাওয়ার ঘটনা ঘটেছে।ঘটনাস্থল থেকে কয়েকশত গজ দূরে জমি থেকে বিকেলে কেটে নেওয়া প্রতিমার ভাঙ্গা অংশ উদ্ধার করেছে পুলিশ।


খবর পেয়ে এ ঘটনায় মিঠাপুকুর রংপুর-৫ জাতীয় সংসদ সদস্য এইচএন আশিকুর রহমান,উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান জাকির হোসেন সরকার,উপজেলা নির্বাহী অফিসার ফাতেমা-তুজ-জোহরাসহ পুলিশ, ঘটনাস্থল  পরিদর্শন  করেছেন গতকাল বিকেলে।


প্রতিমা গুলো হচ্ছে কালী, শিব ও শীতলী।

৪নং ভাংনী ইউনিয়নের বামন পাড়া গ্রামে এ ঘটনাটি ঘটেছে ।


এলাকাবাসী সূত্রে জানা যায়-বিগত পঞ্চাশ বছর ধরে এই গ্রামে শৈলান চক্রবর্তী পন্ড ঠাকুরের বসবাস।বাংলাদেশ আওয়ামীলীগ মিঠাপুকুর শাখার সদস্য

শৈলান চক্রবর্তী জানান-গতকাল সকাল সাড়ে ৬টার দিকে নিত্য পূজা করার জন্য মন্দিরে প্রবেশ করা মাত্রই দেখতে পান কালী,শিব ও শিতলী প্রতিমার মাথা কেবা কারা কেটে নিয়ে গেছে।


তিনি বলেন-এঘটনা দেখা মাত্রই স্থানীয় চেয়ারম্যান ও থানা পুলিশকে অবগত করা হলে মিঠাপুকুর রংপুর-৫ জাতীয় সংসদ সদস্য এইচএন আশিকুর রহমান,উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান জাকির হোসেন সরকার,উপজেলা নির্বাহী অফিসার ফাতেমা-তুজ-জোহরাসহ পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন  করেছেন গতকাল বিকেলে।


বিপুল চক্রবর্তী, সপ্তমী চক্রবর্তী জানান,এই কালী মন্দিরে তালা দেয়া ছিলনা,তিন প্রতিমার মাথা কেটে নিয়ে গেছে কেবাকারা,আমরা এঘটনায় দোষীদের শাস্তি দাবি করছি। 


স্থানীয়,আওয়মী ইউনিয়ন সভাপতি বেলায়েত,এবং মালেক,খোরশেদ আলম,আতোয়ারসহ অনেকে বলছেন-পন্ড ঠাকুর খুব ভালো মানুষ,তিনি গ্রামের সবার সাথে মিলে মিশে বসবাস করছে তবে কারা এধরনের কাজ করেছে তা কোন অনুমান করা যাচ্ছেনা।


অত্র ইউপির চেয়ারম্যান কামরুল হাসান বলেন,বিষয়টি দুঃখজনক,আমি সঠিক তদন্ত সাপেক্ষে ব্যবস্থা গ্রহনের জন্য প্রশাসনের সাথে যোগাযোগ করেছি।


এবিষয়ে উপজেলা চেয়ারম্যান জাকির হোসেন সরকার বলেন-প্রতিমা ক্ষতিসাধন করা এটা একটা ন্যাক্কার জনক ঘটনা।দোষী যেই হোক তাকে চিহ্নিত করে ব্যবস্থা নেয়া জরুরী।


মিঠাপুকুর থানার অফিসার ইনচার্জ মোস্তাফিজার রহমান বলেন- রাতের অন্ধকারে প্রতিমার মাথা ভেঙ্গে নিয়ে গেছে।ঘটনাস্থল পরিদর্শন করা হয়েছে, ঘটনাস্থল থেকে ২০০ গজ দুরে মাটিতে পুতে রাখা কিছু ভাঙা অংশ উদ্বার করা হয়েছে।এ ব্যাপারে থানায় এসে মামলা করার কথা বলা হয়েছে।

 রংপুরে বিজয়ের সুবর্ণ জয়ন্তীর নামে চলছে বচন বেঙ্গ অপসংস্কৃতির সাথে রাতভর নৃত্য

আমন্ত্রণেও নেই মুক্তিযোদ্ধা
 
 
রুবেল ইসলাম,রংপুর
মিঠাপুকুরে বিজয়ের সুবর্ণ জয়ন্তীর নামে চলছে বচন বেঙ্গ অপসংস্কৃতির সাথে রাতভর নৃত্য ফলে বিজয় ও স্বাধীনতার ইতিহাস-ঐতিহ্যের বিজয় উল্লাস তরুণ ও ভবিষ্যৎ প্রজন্মের কাছে উজ্জীবিত-প্রানবন্তের বিপরীতে হাস্যকর ও মূল্যবোধের অবক্ষয়ে রুপান্তিত হয়েছে।স্থানীয় প্রশাসনের নেই কোন তদারকি?
 
জানা যায়,গত ২২শে ডিসেম্বর বুধবার মধ্যেরাতে রংপুর মিঠাপুকুরে বড়বালা ইউনিয়নে তরফসাদি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় মাঠে বিজয়ের সুবর্ণ জয়ন্তী উদযাপন উপলক্ষ্যে আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়।অথচ স্বাধীনতা বিজয় উল্লাসের মুক্তিযুদ্ধের স্মৃতিবিজড়িত চেতনার বিপরীতে সেখানে চলছে বচন বেঙ্গ অপসংস্কৃতির সাথে রাতভর নৃত্য।
এলাকাবাসীর অভিযোগ- অনুষ্ঠানে রাত ১:১৫ মিনিটে হিন্দি, তামিল, ইংলিশ গানের সাথে অসলিল বচন বেঙ্গ অপসংস্কৃতির সাথে চলছে নৃত্য।এছাড়াও এই অনুষ্ঠানে আমন্ত্রণ পাইনি কোনো মুক্তিযোদ্ধা, দেয়া হয়নি- সংবর্ধনা। জাতীয় সংগীত কিংবা দেশাত্মবোধক গানের বিন্দু মাত্র কোন দৃশ্যমান সংস্কৃতি চর্চা চোখে পড়েনি বলে জানিয়েছে এলাকাবাসী।


 
এ সময় সাংবাদিকদের উপস্থিতি টের পেয়ে স্থানীয় জনপ্রতিনিধি বড়বালা ইউপি চেয়ারম্যান সাহেব সরকার তার আসন থেকে সরে গেলেও একান্ত সাক্ষাতকারে, অপসংস্কৃতি ও বচন বেঙ্গ করে সংস্কৃতি চর্চার বিরুদ্ধে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে বলেন, ডিজিটাল বাংলাদেশে বর্তমানে যে কালচার এটা একটা ট্রেডিসনে পরিনত হয়েছে। স্বাধীনতা বা বিজয়ের মাস কোনো বিষয় নয়, আনন্দ উল্লাস টায় বড় এমন টায় ভাবে মানুষ। তিনি আরো সু-নিশ্চিত করে বলেন- বিজয়ের সুবর্ণ জয়ন্তী ও স্বাধীনতার ৫০ বছর উদযাপন উপলক্ষ্যে অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়েছে কিন্তু আমন্ত্রণ পাইনি কোনো মুক্তিযোদ্ধা, দেয়া হয়নি সংবর্ধনা।
 
মিঠাপুকুর থানার কর্মরত এসআই নাজমুল উক্ত অনুষ্ঠানে উপস্থিত থাকলেও কোনো পদক্ষেপ গ্রহন করেনি। সাংবাদিকদের উপস্তিতি টের পেয়ে পরে তিনিও সটকে পড়ে।


 
এলাকাবাসী ও সুশীল সমাজ জানায়- বিজয়ের ৫০ বছর উদযাপন উপলক্ষ্যে অনুষ্ঠানের আয়োজন করলেও আমন্ত্রক করা হয়নি কোনো মুক্তিযোদ্ধা কে, না গাওয়া হয়েছে জাতীয় সংগীত ও দেশের গান। যে ভাষার জন্য যুদ্ধ করেছে, আজ সেই বাংলা কে ভুলে আমরা ইংরেজি, তামিল সহ নানা ভাষার গানে বচন বেঙ্গ অপসংস্কৃতি নৃত্যতে মেতেছি, খুবই দুঃখজনক। বিজয়ের ৫০ বছর উদযাপন করতেছি আমরা কিন্তু পাঠ্য বই ছাড়া তেমন কোনো যুদ্ধের ইতিহাস অনেকেই জানেনা। যদি আজ মুক্তিযোদ্ধাদের আমন্ত্রণ করাহত হয়তো তাদের মুখ থেকে মুক্তিযুদ্ধের কিছু কথা শুনতে পেতাম। আজ আমরা যাদের প্রানের, ত্যাগের বিনিময়ে স্বাধীনতা পেয়েছি, অনুষ্ঠান করছি, তাদের আমন্ত্রণ জানাতে ভুলেগেছি এটি দুঃখজনক।
 
অপরদিকে, বিজয় দিবসের সুবর্ণ জয়ন্তীর বিপরিতে বড়বালা ইউনিয়নে সংখ্যা গরিষ্ঠ হিন্দু সম্প্রদায়ের, হিন্দু ধর্মিও কালিপূজা শুরু হয়েছে। পূজা মন্ডপে ধর্মিও রিতি-নিতি মেনে সুশৃঙ্খল ভাবে পূজা পালিত হয়েছে।

Amader Rangpur news

Contact Form

Name

Email *

Message *

Argon Maltimedia Bangladesh. Powered by Blogger.
Javascript DisablePlease Enable Javascript To See All Widget