দূর্গাপুরে ১৪তম চেয়ারম্যান সাইদুর-ইউপির ব্যাপক উন্নয়ন

রুবেল ইসলাম,রংপুর অফিস

রংপুরের মিঠাপুকুর উপজেলার দূর্গাপুর ইউনিয়নে স্বাধীনতার পূর্ববর্তী ও পরবর্তীতে ধারাবাহিক স্থানীয় সরকারের দায়িত্ব পালনের তালিকায় ১৪ তম চেয়ারম্যান হিসাবে নির্বাচিত ও দায়িত্ব পালন করেন উদীয়মান তরুণ চেয়ারম্যান সাইদুর রহমান তালুকদার ।ইউনিয়নে জনসাধারণের ভালোবাসায় ২০১৬ সালে স্থানীয় সরকার নির্বাচনে বাংলাদেশের সর্ববৃহৎ ও ক্ষমতাসীন দল আওয়ামীলীগের নৌকা প্রতীকে নির্বাচন করে বিপুল ভোটে জয়লাভ করে ১৮ই আগস্ট ২০১৬ চেয়ারম্যান হিসাবে দায়িত্ব গ্রহণ করেন ।জনগণের পাশে থেকে এবং সফলতার সহিত গত ১৮ই আগস্ট ২০২১ তারিখে তার ক্ষমতার পাঁচ বছর পূর্ণ হয়।

জনগণের ভালোবাসায় সিক্ত ইউপি চেয়ারম্যান সাইদুর


গত সোমবার(২৩শে আগস্ট)ব্যক্তিগত সাক্ষাৎকারে সাইদুর রহমান জানান-বাঙ্গালী জাতির পিতা ও বঙ্গবন্ধু কন্যা মাননীয় প্রধানমন্ত্রী দেশরত্ন শেখ হাসিনার স্বপ্ন বাস্তবায়নে সহযোদ্ধা হিসাবে ৫ বছর  চেয়ারম্যান হিসাবে দায়িত্ব পালন করেছেন । এই পাঁচ বছরে মিঠাপুকুর-৫ আসনের জাতীয় সাংসদ ও জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত স্থায়ী কমিটির সভাপতি এবং বাংলাদেশ আওয়ামীলীগের বারবার দায়িত্বরত সফল কোষাধাক্য হাবিবুরন্নবী আশিকুর রহমানের সহযোগিতায় ইউনিয়নে প্রায় ২৩ কিলোমিটারের অধিক রাস্তা পাকাকরণ করা হয়েছে।ইউনিয়নে ত্রাণের মাধ্যমে ৫টি বড় ব্রিজ নির্মাণ করা হয়।৭৮টি মসজিদ,২৬টি মন্দির,কবরস্থান ৫টি,শশ্মান ৪টি,সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় ১৮টি,কলেজ ৪টি,উচ্চ বিদ্যালয় ৫টিতে লাইটিং ব্যবস্থাসহ কবরস্থানে মাটি ভরাট করা হয়।

শঠিবাড়িতে জমিসহ সাড়ে ৩ কোটি টাকা ব্যয়ে নতুন গরুরহাট বানানো,হাটকে সিসি ক্যামেরার অর্ন্তভুক্ত করা হয়,নির্দিষ্টস্থানে ময়লা ফেলানোর জন্য ৩টি সেড নির্মাণ ও ময়লা অপসারণের জন্য ৪টি ভ্যান দেওয়া হয়।এছাড়াও হাটের ভেতরে রাস্তা ও গলি গুলোতে ইট দিয়ে হেরিং করা হয়।

এছাড়াও ইউনিয়ন পরিষদে সুবিধা নিতে আসা জনগণের নামাজের জন্য ২৫ লাখ টাকা ব্যয়ে মসজিদ নির্মাণ,জরুরী রোগীকে পরিবহনে এলজিএসপি-৩ এর মাধ্যমে ১৬ লাখ ব্যয়ে জন্য টাকায়  এম্বুলেন্স সেবা,সাড়ে ৪ হাজার বয়স্ক পুরুষ ও মহিলাকে বয়স্ক ও বিধবা ভাতায় অর্ন্তভুক্তকরণ,ভিজিএফ এর মাধ্যমে ৮৯৯৫টি ও ৩৮০টি পরিবারে ভিজিডি সেবা প্রদান।নিজ উদ্যোগে প্রায় শতটি বাল্যবিবাহ বন্ধ।



২৩ কিলোমিটার রাস্তার মধ্যে ডাবরা-সুলতানপুর-মুশাপুর হয়ে মিঠাপুকুর ৫ কিমি,শঠিবাড়ি সরকারি খাদ্য গুদাম হতে নুপুর সিনেমা হল ১ কিমি,খামারহরিপুর-কবি নজরুল বিদ্যানিকেতন ১.২ কিমি,মিঠাপুকুর পুরাতন টেলিফোন অফিস-চিতলী দক্ষিণপাড়া ৩ কিমি,পোষ্ট অফিস-আল-দ্বীনবিদ্যাপীট ১.৫ কিমি,মিঠাপুকুর বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়-কৃষ্ণপুর-বকুলতলা ১.৫ কিমি,মিঠাপুকুর কেন্দ্রীয় ঈদগাহ মাঠ-জীবনপুর-তুলশীপুর দক্ষিণপাড়া ৩.৫ কিমি, মির্জাপুর ক্লিনিক-সাবেক চেয়ারম্যান এনামুল বাড়ির মোড় ১.২ কিমি,মির্জাপুর বাজার-হুল্লাই স্কুল ০.৫ কিমি,ভাবনা ফ্লিলিং স্টেশন-শান্তিপুর সাইদ মেম্বারের বাড়ি ১ কিমি,শীতলগাড়ি পারভেজ বাড়ি-লেখাপড়া বাশেরতল ১ কিমি,রামপুরা ক্লিনিক-রামপুরা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় ০.৫ কিমি,ডাবরা নেতার বাজার-জৈন্তপুর ১ কিমি ও ডাবরা নেতার –বিনোদপুর গামী ১.৫ কিমি রাস্তা পাকা করণ করা হয় ।

ভাগ্যবান ১৪ নং দূর্গাপুর ইউপির ১৪ নম্বর চেয়ারম্যানের স্বপ্ন-১৪.৩৭ বর্গমাইলের ৯১৯৯ একর জমির উপর ৩৩টি গ্রাম নিয়ে সাড়ে ৫ লাখ জনসংখ্যার এই  ইউনিয়নকে সৌরআলোয় আলোকিত ও সিসি ক্যামেরার আওতায় আনা।গ্রামকে শহরে রুপায়ন।মানুষের সকল মৌলিক চাহিদা পূরণে অব্যাহত চেষ্টা।গ্রামের সকল রাস্তাগুলোকে পাকাকর‌ণ এবং শঠিবাড়িতে পানি নিষ্কাশনের জন্য ড্রেনেজ ব্যবস্থা করা ।আধুনিক,ব্যবসায়িক ও বসবাসযোগ্য শঠিবাড়ি বন্দর গড়ে তোলা।

উল্লেখ্য সাবেক ইউপি চেয়ারম্যারে ধারাবহিক নাম- তছলিম উদ্দিন(১৯৬০-১৯৬৬),বজলার রহমান(১৯৬৬-১৯৭১),হামিদুল হক প্রধান(১৯৭১-১৯৭৩),আব্দুল মতিন প্রধান(১৯৭৩-১৯৭৭),খালেক প্রধান(১৯৭৭-১৯৮৪),আহম্মদ আলী(১৯৮৪-১৯৮৮),আহাম্মদ আলী(১৯৮৮-১৯৯২),হাফিজুর রহমান তালুকদার(২৬ই এপ্রিল ১৯৯২-১৫ই এপ্রিল ১৯৯৫),এনামুল হক প্রধান(৮ই নভেম্বর ১৯৯৫-২০শে ফেব্রয়ারী ১৯৯৮),শহিদুল ইসলাম(২০শে ফেব্রয়ারী ১৯৯৮-১১ই এপ্রিল ২০০৩),এনামুল হক প্রধান(১১ই এপ্রিল ২০০৩-১৮ই আগস্ট ২০১১),হাফিজার রহমান তালুকদার(১৮ই আগস্ট ২০১১-১৫ই জানুয়ারী ২০১২),রবিউল ইসলাম প্রমাণিক(১৬ই মে ২০১২-১৮ই আগস্ট ২০১৬),সাইদুর রহমান তালুকদার (১৮ই আগস্ট ২০১৬-১৮ই আগস্ট ২০২১)