মিঠাপুকুরে চা বিক্রেতা আরিফুল নিদারুন কষ্টে , খাবার নাই ঘরে
মিঠাপুকুরে চা বিক্রেতা আরিফুল নিদারুন কষ্টে আছেন, খাবার নাই ঘরে
বাবুলাল মার্ডি,মিঠাপুকুর (রংপুর) প্রতিনিধি
রংপুরের মিঠাপুকুরে প্রতিবন্ধি ২ জমজ সন্তান নিয়ে চা বিক্রেতা আরিফুল নিদারুন কষ্টে আছেন। ঘরে খাবার নাই। তিনি বলেন ‘আইজ চা ব্যাচা হয় নাই। ঘরোত কোনো খাবার নাই। প্রতিবন্ধি ২ জমজ ছইল নিয়া না খায়া থাকপার নাগবে।’ তার বাড়ি উপজেলার দুর্গাপুর ইউনিয়নের দুলহাপুর গ্রামে।
দরিদ্র পরিবারের সন্তান আরিফুলের বয়স ৩০ বছর। বাড়িতে ২ প্রতিবন্ধি জমজ সন্তান আর স্ত্রী সারাদিন অপেক্ষায় থাকে কখন চাল-ডাল ও শিশুদের খাবার নিয়ে বাড়ি আসবে আরিফুল। কিন্তু লকডাউনে কোন বেচাবিক্রি না থাকায় অর্ধাহারে অনাহারে দিন কাটছে তার পরিবারের সদস্যদের। অভাবের তাড়নায় নিদারুন কষ্টে আছে সন্তানেরা। ঢাকা-রংপুর মহাসড়কের ধারে মিঠাপুকুর উপজেলা সদরে ব্যাচেলার কোয়ার্টারের সামনে পরিত্যাক্ত জায়গায় ঝুপড়ি ঘর তুলে চায়ের দোকান দিয়েছেন আরিফুল। কোনদিন যৎ সামান্য বেচা হয়, কোনদিন হয়না। তিনি সাংবাদিকদের কাছে দুঃখ করে বলেন- যেদিন ব্যাচাকিনা হয়, সেদিন কোন রকম একনা খরচ করি বাড়ি নিয়া যাও। আর যেদিন বেচা হয়না, সেদিন ছইল নিয়া না খায়া থাকপার নাগে।’ তিনি আরও বলেন- শুনছিনু, সরকার গরিব মানুষের ছইলের জন্য শিশু খাদ্য দেয়। চেয়ারম্যান-মেম্বারের কাছে কতো ঝর্ণা দিনু। পায়ের স্যান্ডেল ক্ষয় করনু। তাও দেলোনা।’ আরিফুল আরও বলেন, ২২ বয়সী এই জমজ সন্তানদের চিকিৎসার ভার ব্যয় করার সামর্থও নেই। কেউ কোনো সহযোগিতাও করেনা।’ তিনি প্রতিবন্ধী ২ জমজ সন্তানের ভরন-পোষণ ও পরিবার সচল রাখতে সবার সহযোগিতা কামনা করেছেন। এ ব্যাপারে দুর্গাপুর ইউপি চেয়ারম্যান সাইদুর রহমান তালুকদার বলেন, নানা প্রতিকুলতার কারণে তাকে সহায়তা দেওয়া সম্ভব হয়নি। তবে, সামনের দিনে অবশ্যই আরিফুলকে সহায়তা করা হবে।