রংপুরে প্রেমের ফাঁদে ফেলে স্কুল ছাত্রীকে ধর্ষন: গ্রেফতার ৪
রংপুরে প্রেমের ফাঁদে ফেলে স্কুল ছাত্রীকে ধর্ষন: গ্রেফতার ৪
রুবেল ইসলাম, রংপুর
রংপুরের তারাগজ্ঞে নবম শ্রেনীর স্কুল ছাত্রীকে ধর্ষন করেছে কয়েকজন দুবৃর্ত্ত। গুরতর অবস্থায় তাকে রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। এ ঘটনায় পুলিশ চার ধর্ষককে গ্রেফতার করেছে। তারাগজ্ঞ থানার ওসি ইসমাইল হোসেন প্রধান, আসামী গ্রেফতার করার কথা স্বীকার করেছেন।
ধর্ষিতা স্কুল ছাত্রীর স্বজন এলাকাবাসি ও পুলিশ জানিয়েছে রংপুরের তারাগজ্ঞ উপজেলার সয়ার ইউনিয়নের দামোদরপুর কাজীপাড়া গ্রামের মোকসেদুল কাজীর নবম শ্যেনীতে পড়ুয়া স্কুল ছাত্রীকে সোমবার রাতে অসুস্থ স্বজনকে হাসপাতালে দেখতে যাবার সুযোগে পার্শ্ববর্তী বদরগজ্ঞ উপজেলার শেখেরহাট এলাকার মোজাহার আলীর ছেলে মিঠুন মোবাইল ফোনে প্রেমের সম্পর্কের জের হিসেবে তাদের বাসায় আসে। এরপর স্কুল ছাত্রীকে বাড়ির পেছনে নির্জন স্থানে নিয়ে গিয়ে মিঠুন ও তার চার সহযোগী ধর্ষন করে। এ সময় তার আত্মচিৎকারে আশ্বেপার্শ্বের লোকজন এগিয়ে এসে মেয়েটিকে উদ্ধার করে। সে জ্ঞান হারিয়ে ফেললে তাকে প্রথমে তারাগজ্ঞ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স এ নিয়ে যায়। কিন্তু তার প্রচন্ড রক্ত ক্ষরন বন্ধ না হওয়ায় তাকে রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের ওয়ান ষ্টপ ক্রাইসিস সেন্টারে ভর্তি করা হয়। সেখানেই তার চিকিৎসা চলছে তার অবস্থা এখনও আশংকাজনক বলে কর্তব্যরত চিকিৎসক জানিয়েছেন। এ ঘটনা তারাগজ্ঞ থানা পুলিশকে স্কুল ছাত্রীর স্বজনরা জানালে পুলিশ বৃহসপতিবার মধ্য রাত থেকে শুক্রবার ভোর পর্যন্ত বিভিন্ন স্থানে অভিযান চালিয়ে মুল হোতা মিঠুন সহ চারজন ধর্ষককে গ্রেফতার করে।
পরে পুলিশ তিনজনকে গ্রেফতার করে তারাগজ্ঞ থানায় নিয়ে আসে। এরা হলেন মিঠুন পিতা মোজাহার আলী, নাসিম পিতা জবান আলী আল আমিন পিতা আব্দুল মজিদ সকলের বাড়ি বদরগজ্ঞ উপজেলার শেখেরহাট গ্রামে।
পুলিশ জানায় ধর্ষনের মুল হোতা মিঠুন সবুজ নাম ব্যবহার করে স্কুল ছাত্রীর সাথে মোবাইল ফোনে ফোনে যোগাযোগ করে এবং তাদের মধ্যে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে উঠে। এ সুয়োগটি নিয়েছে সে ও তার সঙ্গিরা। মিঠুর বিরুদ্ধে আরো একটি ধর্ষনের মামলা রয়েছে বলে পুলিশ জানিয়েছে।
এ ব্যাপারে তারাগজ্ঞ থানার ওসি ইসমাইল হোসেনের সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি স্কুল ছাত্রীকে ধর্ষ নের মুল হোতা মিঠুন সহ দুজনকে গ্রেফতার করার কথা স্বীকার করেন। তবে পুলিশের হ্যান্ড কাপ সহ পলাতক নুরুজ্জামানের ব্যাপারে কোন মন্তব্য করেননি তিনি।
এ ঘটনায় ভিকটিম স্কুল ছাত্রীর বাবা মোকসেদুল কাজী বাদী হয়ে নারী ও শিশু নির্যাতন আইনে মামলা দায়ের করার প্রস্তুতি নিচ্ছে বলে ওসি জানান।