12/12/20

 রংপুরে প্রেমের ফাঁদে ফেলে স্কুল ছাত্রীকে ধর্ষন: গ্রেফতার ৪

 

রুবেল ইসলাম, রংপুর

রংপুরের তারাগজ্ঞে নবম শ্রেনীর স্কুল ছাত্রীকে ধর্ষন করেছে কয়েকজন দুবৃর্ত্ত। গুরতর অবস্থায় তাকে রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। এ ঘটনায় পুলিশ চার ধর্ষককে গ্রেফতার করেছে।  তারাগজ্ঞ থানার ওসি ইসমাইল হোসেন প্রধান, আসামী গ্রেফতার করার কথা স্বীকার করেছেন।

ধর্ষিতা স্কুল ছাত্রীর স্বজন এলাকাবাসি ও পুলিশ জানিয়েছে রংপুরের তারাগজ্ঞ উপজেলার সয়ার ইউনিয়নের দামোদরপুর কাজীপাড়া গ্রামের মোকসেদুল কাজীর নবম শ্যেনীতে পড়ুয়া স্কুল ছাত্রীকে সোমবার রাতে অসুস্থ স্বজনকে হাসপাতালে দেখতে যাবার সুযোগে পার্শ্ববর্তী বদরগজ্ঞ উপজেলার শেখেরহাট এলাকার মোজাহার আলীর ছেলে মিঠুন মোবাইল ফোনে প্রেমের সম্পর্কের জের হিসেবে তাদের বাসায় আসে। এরপর স্কুল ছাত্রীকে বাড়ির পেছনে নির্জন স্থানে নিয়ে গিয়ে মিঠুন ও তার চার সহযোগী ধর্ষন করে। এ সময় তার আত্মচিৎকারে আশ্বেপার্শ্বের লোকজন এগিয়ে এসে মেয়েটিকে উদ্ধার করে। সে জ্ঞান হারিয়ে ফেললে তাকে প্রথমে তারাগজ্ঞ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স এ নিয়ে যায়। কিন্তু তার প্রচন্ড রক্ত ক্ষরন বন্ধ না হওয়ায় তাকে রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের ওয়ান ষ্টপ ক্রাইসিস সেন্টারে ভর্তি করা হয়। সেখানেই তার চিকিৎসা চলছে তার অবস্থা এখনও আশংকাজনক বলে কর্তব্যরত চিকিৎসক জানিয়েছেন। এ ঘটনা তারাগজ্ঞ থানা পুলিশকে স্কুল ছাত্রীর স্বজনরা জানালে পুলিশ বৃহসপতিবার মধ্য রাত থেকে শুক্রবার ভোর পর্যন্ত বিভিন্ন স্থানে অভিযান চালিয়ে মুল হোতা মিঠুন সহ চারজন ধর্ষককে গ্রেফতার করে।

পরে পুলিশ তিনজনকে গ্রেফতার করে তারাগজ্ঞ থানায় নিয়ে আসে। এরা হলেন মিঠুন পিতা মোজাহার আলী, নাসিম পিতা জবান আলী আল আমিন পিতা আব্দুল মজিদ সকলের বাড়ি বদরগজ্ঞ উপজেলার শেখেরহাট গ্রামে।

পুলিশ জানায় ধর্ষনের মুল হোতা মিঠুন সবুজ নাম ব্যবহার করে স্কুল ছাত্রীর সাথে মোবাইল ফোনে ফোনে যোগাযোগ করে এবং তাদের মধ্যে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে উঠে। এ সুয়োগটি নিয়েছে সে ও তার সঙ্গিরা। মিঠুর বিরুদ্ধে আরো একটি ধর্ষনের মামলা রয়েছে বলে পুলিশ জানিয়েছে।

এ ব্যাপারে তারাগজ্ঞ থানার ওসি ইসমাইল হোসেনের সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি স্কুল ছাত্রীকে ধর্ষ নের মুল হোতা মিঠুন সহ দুজনকে গ্রেফতার করার কথা স্বীকার করেন। তবে পুলিশের হ্যান্ড কাপ সহ পলাতক নুরুজ্জামানের ব্যাপারে কোন মন্তব্য করেননি তিনি।

এ ঘটনায় ভিকটিম স্কুল ছাত্রীর বাবা মোকসেদুল কাজী বাদী হয়ে নারী ও শিশু নির্যাতন আইনে মামলা দায়ের করার প্রস্তুতি নিচ্ছে বলে ওসি জানান।

 শিলামনিকে শ্বাসরোধ করে ওড়না পেছিয়ে হত্যার অভিযোগ

রুবেল ইসলাম, রংপুর
রংপুরের বদরগঞ্জে জাহিদা আক্তার শিলামনি (২০) নামে এক নববধূকে শ্বাসরোধে হত্যার পর গলায় ওড়না পেচিয়ে লাশ ঝুলিয়ে দেওয়ার অভিযোগ পাওয়া গেছে। তার শরীরের বিভিন্ন অংশে আঘাতের চিহ্ন পাওয়া গেছে। এ ঘটনার পর শ্বশুড়বাড়ির লোকজন বাড়ি ছেড়ে পালিয়েছেন। 

 

 শুক্রবার (১১ ডিসেম্বর)  সকালের দিকে ঘটনাটি ঘটে বদরগঞ্জ উপজেলার কুতুবপুর ইউনিয়নের সোনারপাড়া গ্রামে। শিলামনি পার্শ্ববর্তী পীরগঞ্জ উপজেলার শাহ্ আব্দুর রউফ সরকারি কলেজের অনার্স বাংলা বিষয়ে শিক্ষার্থী ছিল। তার বাবার বাড়ি পার্শ্ববর্তী মিঠাপুকুর উপজেলার ১১ নং বড়বালা ইউনিয়নের কেশবপুর গ্রামে।

নিহত শিক্ষার্থী শিলামণি,দ্রুত বিচারের দাবী পরিবারের



নিহতের পরিবার ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, প্রায় আড়াই মাস আগে পারিবারিকভাবে সোনারপাড়া গ্রামের শফিকুল ইসলাম খোকা মেম্বারের পুত্র নাসিম সোনারের সঙ্গে শিলামনির বিয়ে হয়। বাবার বাড়ি থেকে বিয়েতে চার ভরি ওজনের স্বর্ণালংকার দেওয়ার কথা ছিল। কিন্তু হতদরিদ্র বাবা অলংকার তৈরি করে দিতে দেরি করেন। এ নিয়ে প্রায় সময় শিলামনিকে গালাগালসহ মানসিকভাবে নির্যাতন চালায় স্বামী ও শ্বশুড়বাড়ির লোকজন। 

নিহতের পরিবারের ধারণা ওই বিরোধের জেরে গতকাল সকালে শিলামনিকে হত্যার পর তার লাশ ঘরের আড়ার সঙ্গে ওড়না দিয়ে ঝুলিয়ে দেওয়া হয়। পরে বিষয়টি প্রতিবেশীদের মধ্যে জানাজানি হলে স্বামী নাসিম সোনাসহ বাড়ির লোকজন ঘরে তালা ঝুলিয়ে পালিয়ে যান। এ ঘটনায় নিহতের বাবা সাহাবুল ইসলাম মন্ডল বাদী হয়ে বদরগঞ্জ থানায় মামলা দেওয়ার প্রস্তুতি নিয়েছেন।


নিহতের চাচা আতাউর রহমান বলেন, বিয়েতে চার ভরি ওজনের অলংকার দেওয়ার কথা ছিল। টাকা জোগাড় করে মেয়ের বাবা অলংকার তৈরি করেন। কিন্তু অলংকার দিতে দেরি হওয়ায় মেয়েকে প্রায় সময় অকথ্য ভাষায় গালাগাল দিতেন শ্বশুরবাড়ির লোকজন। এ ঘটনার জেরে পরিকল্পিতভাবে আমার ভাতিজিকে হত্যার পর লাশ ওড়না দিয়ে পেঁচিয়ে ঘরের তীরের সঙ্গে ঝোলানো হয়। আশপাশের লোকজনের মুখে খবর পেয়ে আমরা ছুটে এসে দেখি খাটের ওপর  লাশ ঝুলছিল। শরীরের বিভিন্ন অংশে আঘাতের চিহ্ন রয়েছে বলে জানান তিনি।

বদরগঞ্জ থানার ওসি (তদন্ত) আরিফ আলী বলেন, ঘটনাস্থল থেকে লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য রংপুর মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হবে। তবে ঘরে তালা ঝুলিয়ে পালিয়েছেন নিহতের শ্বশুড়বাড়ির লোকজন। এ ঘটনায় থানায় নিহতের পরিবারের পক্ষে মামলা নেওয়া হবে

 

"মিঠাপুকুর থানা পুলিশের অভিযানঃ দুই চোর
আটকসহ চোরাই মোটরসাইকেল উদ্ধার" 
 
রুবেল ইসলাম,রংপুর
 
রংপুরে এএসপি ডি সার্কেল রংপুর মহোদয়'র নির্দেশনায় মিঠাপুকুর থানা পুলিশ বিশেষ অভিযান পরিচালনা করে দুই মোটরসাইকেল চোরসহ একটি চোরাই মোটর সাইকেল উদ্ধার করার খবর পাওয়া গেছে।।
 
গতকাল গোপন সংবাদের ভিত্তিতে মিঠাপুকুর থানার এসআই মমিনুর রহমান সঙ্গীয় ফোর্সসহ রংপুর সদরের কাটাবাড়ি মিলবাজার এলাকায় সাড়াশি অভিযান চালিয়ে পান্না মিয়া(৩৩) ও আনিছুল হক (৩০) নামে এ দু'জনকে চোরাই মোটরসাইকেলসহ হাতেনাতে আটক করা হয়। 

 
আটক পান্নার বাড়ি মিঠাপুকুরের বালারহাট ও আনিছুলের বাড়ি রংপুর সদরের সদ্যপুস্করিনী ইউনিয়নের কাটাবাড়ি মিলবাজার এলাকায় বলে নিশ্চিত হওয়া গেছে।
 
অভিযোগ উঠেছে- পান্না ও তার স্ত্রীর বড়ভাই আনিছুল হক দীর্ঘদিন ধরে হাট- বাজার থেকে বাইসাইকেল, রিক্সা চুরি ছিনতাইয়ের সাথে জড়িত থেকে অপরাধ করে আসছিল এবং চোরাইকৃত মালামাল আনিছুল মিঠাপুকুরের খোড়াগাছ ইউনিয়নের রঙ্গাতীপাড়ায় তার শ্বশুড় শহীদুল ইসলাম নবানুর বাড়িতে গোপনে নিয়ে গিয়ে রাখত। 

 
মিঠাপুকুর থানায় আনিছুল ও তার শ্বশুরের নামেও একাধিক মামলা রয়েছে।

 

Amader Rangpur news

Contact Form

Name

Email *

Message *

Argon Maltimedia Bangladesh. Powered by Blogger.
Javascript DisablePlease Enable Javascript To See All Widget