মিঠাপুকুরে ঘাঘট নদীতে লাদেন ও বৈদ্যুতিক শকে রিফুল নামে দুজনের মৃত্যু

রুবেল ইসলাম,রংপুর।।

রংপুরের মিঠাপুকুর উপজেলায় পৃথক পৃথক দুটি ঘটনায় একই ইউনিয়নের দুজনের মৃত্যু হয়েছে ।সকালে মাছ ধরতে গিয়ে ঘাঘট নদীতে লাদেন(২৫) নামে যুবক ও  দুলাভাইয়ের বাড়িতে বেড়াতে গিয়ে বৈদ্যুতিক শকে শ্যালক রিফুল মিয়া(১৮)নামে দুজনের মৃত্যু হয়েছে।তিন ঘন্টার চেষ্টায় দুপুরের দিকে ফায়ার সার্ভিসের ডুবুরি দল মরদেহ উদ্ধার করে

উদ্ধারের অপেক্ষায় এলাকাবাসী


গত শুকবার(২৭শে আগস্ট)উপজেলার ভাংনী ইউনিয়নের ঘাঘট নদীর ত্রিমোহিনী ঘাট এলাকায় ও বৈদ্যুতিক শকে হুলাশু বাজার সংলগ্ন লস্করপুর নয়াপাড়া গ্রামে মানিক মিয়ার বাড়িতে এ ঘটনা ঘটে।

পানিতে ডুবে নিহত লাদেন মিয়া উপজেলার ভাংনী ইউনিয়নের ত্রিমোহিনী ফতেপুর গ্রামের হাকিম মিয়ার ছেলে এবং বৈদ্যুতিক শকে মৃত রিফুল মিয়া একই উপজেলার পার্শ্ববর্তী কাফ্রিখাল ইউনিয়নের শ্যামপুর গ্রামের বালাটারী পাড়ার তাহারত ইসলামের ছেলে।

ফায়ার সার্ভিস ও এলাকাবাসি সূত্রে জানা যায়- শুক্রবার সকালে বন্ধুদের সাথে বাড়ির পাশে ঘাঘট নদীতে মাছ ধরতে যান লাদেন মিয়া হঠাৎ করে তিনি পানির নিচে তলিয়ে যান বন্ধুরা অনেক চেষ্টা করেও তাকে খুজে পায়নি পরে গ্রামবাসীকে খবর দেন সম্মিলিতভাবে অনেক চেষ্টা করেও খুঁজে পাওয়া না গেলে ফায়ার সার্ভিসে খবর দেন । খবর পেয়ে মিঠাপুকুর থেকে ফায়ার সার্ভিসের একটি ডুবুরি দল ঘটনাস্থলে গিয়ে ঘন্টা চেষ্টার পর ওই যুবকের মরদেহ উদ্ধার করতে সক্ষম হয় অপরদিকে বিকালে বোনের বাড়িতে গিয়ে বাড়ির কাজ করতে বিদ্যুৎ স্পর্শে আকৃষ্ট হন রিফুল মিয়া । সেখান থেকে উদ্ধার হলে ঘটনাস্থলে মারা যান তিনি ।

ইউপি চেয়ারম্যান কামরুল হাসান ঘটনা নিশ্চিত করে জানান-দুলাভাইয়ের বাড়িতে বাড়ি মেরামতের কাজ করতে গিয়ে বিদ্যুৎ আকৃষ্ট হয়ে মারা যান রিফুল।

 

মিঠাপুকুর ফায়ার সার্ভিসের ইনচার্জ মশিউর রহমান ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, ঘাঘট নদীর ত্রিমোহনী এলাকায় শুকনো মৌসুমে বালু উত্তোলনের ফলে গভীর গর্তের সৃষ্টি হয় বর্তমানে নদীতে পানি বেড়ে যাওয়ায় গর্তের ওপর দিয়ে স্রোত বয়ে যাচ্ছে ওই গর্তে ডুবে মারা যান লাবিবুর রহমান লাদেন