মিঠাপুকুরে মহাসড়কে “বাংলাদেশ আওয়ামীলীগ চাঁদতারা ক্লাব”স্থাপনে রাস্তার গাছ কর্তন


রুবেল ইসলাম,রংপুর
রংপুরের মিঠাপুকুর উপজেলায় আঞ্চলিক মহাসড়কের জায়গা অবৈধভাবে দখল করে গাছ কর্তন ও বাংলাদেশ আওয়ামীলীগ চাঁদতারা ও পাঠাগার ক্লাব স্থাপনের অভিযোগ উঠেছে। ক্লাবের শ্লোগান হিসাবে সাইন বোর্ডে লেখা আছে-বঙ্গবন্ধুর গঠিত বঙ্গবন্ধুর স্বপ্ন বাস্তবায়নে বাংলাদেশ আওয়ামীলীগের দ্বিতীয় তম শক্তি হিসাবে কাজ করে যাচ্ছেন।

উপজেলার চেংমারী ইউনিয়নের কিশামত হাড়ড়পাড়া এলাকায় একটি মুরগী খামারের প্রাচীর ঘেঁষে বাংলাদেশ আওয়ামীলীগ চাঁদতারা ও পাঠাগার ক্লাব স্থাপন করা হয়েছে।সংগঠনের ঘর নির্মাণের জন্য মিঠাপুকুর-ফুলবাড়ি আঞ্চলিক মহাসড়কের পাশের কয়েকটি বড় বড় গাছ কর্তন করা হয়েছে।ব্যস্ততম এই মহাসড়কের রাস্তার গাছ কেঁটে ফেলায় কোন ধরণের পদক্ষেপ গ্রহণ করেনি স্থানীয় প্রশাসন।বর্তমানে ক্লাব ঘরে পরিচালিত হচ্ছে গাঁজাসহ নানাবিধ মাদকদ্রব্য সেবনের আড্ডা।

সরেজমিনে খোঁজ নিয়ে জানা যায়- ১৯৭৭ সালে কিশামত হাড়ড়পাড়া চাঁদতারা পাঠাগার ও ক্লাব একটি স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন প্রতিষ্ঠিত হয় যা গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের সমাজসেবা কার্যলয় থেকে নিবন্ধনকৃত। দীর্ঘদিন ধরে বন্ধ আছে এই সংগঠনের সাংগঠনিক কার্যক্রম এবং নেই তাদের তৎকালীন কমিটি। হঠাৎ করেই সংগঠনটিকে পুণঃপ্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে নাম পরিবর্তন করে স্থানীয় কিছু মাদকসেবী যুবদের নিয়ে কাজ করছেন আলামিন মিয়া। পাশাপাশি নিজেকে উত্তরাধিকার সূত্রে পাওয়া এই সংগঠনের সভাপতি হিসাবে নিজেকে দাবী করেন। সংগঠনের কোন ঘর না থাকায় রাস্তার পাশে জায়গা দখল করে ক্লাব নির্মান করা হয়েছে। পাশাপাশি সংগঠনের  পূর্বের নামের কিশামত হাড়ড়পাড়া বাদ দিয়ে বাংলাদেশ আওয়ামীলীগ বসিয়ে ফায়দা নেওয়ার চেষ্টা করছে।এতে সমাজসেবা থেকে নিবন্ধন পাওয়া সংগঠনের লক্ষ্য ও উদ্দেশ্যে থেকে দূরে সড়ে গিয়ে আগামী দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ফায়দা নেওয়ার চেষ্টা করা হচ্ছে বলে ধারনা করছেন স্থানীয় সচেতনমহল।

এ বিষয়ে সংগঠনের বর্তমান সভাপতি দাবীকারী আলামিন মিয়ার সাথে কথা হলে তিনি জানান- দীর্ঘদিন এই ক্লাবটি তার নানা  ও  মামারা পরিচালনা করছেন। বর্তমানে তাদের নানা ও মামাদের বংশধরদের পরিমান তিন শতাধিক,হাড়ড়পাড়া এলাকার অধিকাংশ জনগোষ্ঠী তাদের আত্মীয়। ক্লাবের কার্যক্রম বন্ধ ছিলো নিজ ব্যক্তিগত উদ্যোগে রাস্তার পাশে স্থাপন করে প্রচার করা হচ্ছে। এখানে নামের বিষয়ে কোন বিতর্ক নয় যেই নাম দেওয়া হয়েছে সেই নামেই আগে ক্লাব ছিলো বলে তিনি দাবী করেন। রাস্তার গাছ কাটার বিষয়ে প্রথমে অস্বীকার করলেও পরবর্তীতে বলেন গাছের সুবিধাভোগীরা গাছ কর্তন নিয়ে করে গেছেন।

এবিষয়ে চেংমারী ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান রেজাউল করিম টুটুল বলেন- মহাসড়কের জায়গা দখল করে ক্লাব ঘর প্রতিষ্ঠা করা সম্পূর্ণ অন্যায়।সেখানে মাদক সেবনের আড্ডা বসে এবিষয়ে তিনি প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে এবং মাদকের বিষয়ে তিনি জিরো টলারেন্স নীতি বাস্তবায়ন করতে যা করা প্রয়োজন তাই ব্যবস্থা গ্রহন করবেন।

মিঠাপুকুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা রকিবুল হাসান বলেন-মৌখিক ভাবে অবৈধভাবে মহাসড়কের জায়গা দখল কওে গড়ে উঠা ক্লাব ঘরটি ভেঙ্গে দেওয়ার জন্য ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যানকে নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। অতি দ্রুত সময়ে বাস্তবায়ন করা হবে বলে তিনি জানান।