03/21/21

 

মিঠাপুকুরের জল,স্থল অন্তরীক্ষে আশিকুর রহমানের ভূমিকা অনশীকার্য-রাশেক রহমান

রুবেল ইসলাম,রংপুর অফিস

রংপুরের মিঠাপুকুর উপজেলার বালুয়া মাসিমপুর ইউনিয়নের হেলেঞ্চা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় মাঠে কোটি ৬৭ লাখ টাকা ব্যয়ে ১০ শয্যা বিশিষ্ট মা শিশু কল্যাণ কেন্দ্রের ভিত্তি প্রস্তর স্থাপন করেন বাংলাদেশ আওয়ামীলীগের প্রচার প্রকাশনা উপকমিটির সদস্য এবং বিশিষ্ট মিডিয়া ব্যক্তিত্ব রাশেক রহমান।ভিত্তি প্রস্তর স্থাপন অনুষ্ঠানে মূখ্য আলোচকের বক্তব্যে তিনি এই মন্তব্য করেন।

মিঠাপুকুরের জল,স্থল অন্তরীক্ষে  আশিকুর রহমানের ভূমিকা অনশীকার্য-রাশেক রহমান
মৃখ্য আলোচক হিসাবে বক্তব্য রাখছেন তারুণ্যের অহংকার রাশেক রহমান

 

 

শনিবার(২০শে মার্চ)বিকেলে ভিত্তি প্রস্তর স্থাপন শেষে ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের সৌজন্যে এক আলোচনা সভার আয়োজন করা হয়। এতে ভার্চুয়ালে প্রধান অতিথি হিসাবে উপস্থিত ছিলেন আওয়ামীলীগের কেন্দ্রীয় কমিটির কোষাধাক্য,জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় সর্ম্পকিত স্থায়ী কমিটির সভাপতি মিঠাপুকুর- আসনের বারবার নির্বাচিত সাংসদ এইচ এন আশিকুর রহমান বিশেষ অতিথি হিসাবে উপস্থিত ছিলেন ভার্চুয়ালে আশিকুর রহমানের সহধর্মিণী বাংলাদেশ রেড ক্রিসেন্ট সোসাইটির ব্যবস্থাপনা পর্ষদ এর সদস্য , রংপুর ইউনিটের সহ-সভাপতি এবং লাবণ্য প্রকল্পের প্রধান সমন্বয়ক রেহেনা আশিকুর রহমান। এছাড়া আরও উপস্থিত ছিলেন উপজেলা আওয়ামীলীগের সাবেক সভাপতি মোজাম্মেল হক মিন্টু মিয়া,নির্বাহী প্রকৌশলী স্বাস্থ্য অধিদপ্তর রংপুরের মনি কুমার শর্মা,ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক চৌধুরী সেলিম সরকারসহ ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের নেতাকর্মীরা।

প্রধান আলোচকের আলোচনায় রাশেক রহমান প্রথমে তার ১০ বছরের একমাত্র কন্যা অসুস্থতার কারণে ঢাকার ইউনাইটেড হাসাপাতালে ভর্তি থাকার কারণে তার জন্য সকলের কাছে দোয়া প্রার্থনা করেন।পাশাপাশি তিনি গত বৃহস্পতিবার যখন তার মেয়েকে হাসপাতালে ভর্তি করার কথা উল্লেখ করে বলেন-ডাক্তাররা তাদের কাজ করবে,তিনি বাবা হিসাবে তার কাজ করবেন এবং তার মা মা হিসাবে মায়ের কাজ করবেন বলে জানান।সেই সময় হাসপাতালে বসে তার মনে হয়েছে কিছু সাদাকা বা ভালো কাজ করা প্রয়োজন এরি ধারাবাহিকতায় তিনি তার বাবার পক্ষ থেকে এই মা ও শিশু কল্যাণ কেন্দ্রের উদ্বোধন করার জন্য আসেন বলে জনগণকে অবগত করেন।

বক্তব্যের এক পর্যায়ে তিনি বলেন-পরীক্ষা কেন্দ্রে পরীক্ষা দিয়ে কোন সন্তান যখন ভালো ফলাফল করে সেই মেধাবী সন্তানের হাত ধরে অনুভব করা যায়-তার মেধা?তার পুষ্টি? তার বুদ্ধিমত্তার পিছনেও আশিকুর রহমানের হাত রয়েছে।পুষ্টি প্রকল্প থেকে শুরু করে ঘরে ঘরে ফলজ বৃক্ষ অথবা লাবণ্য প্রকল্পের কথাই যদি বলা হয় তাহলে সব জায়গায় আশিকুর রহমানের অবদান বিচরণ।এ সময় ছোট বেলায় রচনার বইয়ে পড়া একটি বাক্যের কথা উল্লেখ করেন।তিনি বলেন-“জল,স্থল অন্তরীক্ষে সচত সঞ্চাচরণ”তেমনি মিঠাপুকুরেও অন্তরীক্ষ আছে? আর মিঠাপুকুরের জল,স্থল অন্তরীক্ষে আশিকুর রহমানের ভূমিকা অনশীকার্য বলে তিনি মন্তব্য করেন।তিনি আরও বলেন-মিঠাপুকুরের মানুষের সবসময় পাশে থেকে সেবা  করার প্রতিশ্রুতি প্রদান করেন।

 

 স্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদপ্তর স্বাস্থ্য পরিবার কল্যাণ মন্ত্রনালয় এর কাজটি সম্পুর্ন করার লক্ষ্যে কাজ করছেন মাজেদা ইন্টারপ্রাইজ নামে একটি ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান।

 

বেপরোয়া উপ-স্বাস্থ্য কেন্দ্রে রোগীর স্থানে মাদকসেবা ও সিন্ডিকেটের আড্ডাখানা

রুবেল ইসলাম,রংপুর

রংপুরের মিঠাপুকুর উপজেলার বড় বালা উপ-স্বাস্থ্য কেন্দ্রে কোন চিকিৎসা কার্যক্রম না থাকায় এখন মাদক সিন্ডিকেট মাদকসেবীদের আড্ডাখানায় পরিণত হয়েছে। স্বাস্থ্য কেন্দ্রে চিকিৎসক,সহকারি ফার্মাসিস্ট নিয়োগ থাকলেও চলছে না সেবা কার্যক্রম। হাসপাতালের জমি দখল করে গড়ে উঠেছে দোকান ব্যবসা প্রতিষ্ঠান ফলে নিচিহ্ন হয়েছে হাসাপাতাল। এলাকাবাসীর দাবী দ্রæ এই স্বাস্থ্য কেন্দ্রটি পুনরায় চালু করা।

মিঠাপুকুরে উপ-স্বাস্থ্য কেন্দ্রে রোগীর স্থানে মাদকসেবা ও সিন্ডিকেটের আড্ডাখানা
বড় বালা উপ-স্বাস্থ্য কেন্দ্র

 

 সরেজমিনে-উপজেলার যমুনাশ^রী নদী তীরবর্তী বড় বালা ইউনিয়নের বড় বালা উপ-স্বাস্থ্য কেন্দ্রটি গ্রামীণ জনগোষ্ঠীকে বিনামূল্যে স্বাস্থ্যসেবা ,ঔষধ পরামর্শ দেওয়ার লক্ষ্যে তৎকালীন সাংসদ শাহ মোঃ সোলায়মান আলম ফকির ১০ শয্যা বিশিষ্ট হাসপাতালটি ১২ ডিসেম্বর ২০০৩ সালে উদ্বোধন করেন। প্রতিষ্ঠালাভের পর থেকে স্বাস্থ্য কেন্দ্রে চিকিৎসক,সহকারি ফার্মাসিস্ট নিয়োগ থাকলেও হাসপাতালের মূল ফটকে ঝুলছে তালা,ভাঙ্গা জানালার ফাঁক দিয়ে দেখা যায় ময়লা স্তুপ পড়ে আছে জিংকসিন ফেন্সিডিলের বোতল।

মিঠাপুকুরে উপ-স্বাস্থ্য কেন্দ্রে রোগীর স্থানে মাদকসেবা ও সিন্ডিকেটের আড্ডাখানা
স্বাস্থ্য কেন্দ্রের ভেতরে পড়ে আছে ফেন্সিডিলের বোতল

 

স্থানীয় নং ওয়ার্ডের বাসিন্দা আনছার আলী গোপী জানান-এই হাসপাতালটি প্রতিষ্ঠা করা হয় যাতে এই ইউনিয়নের মানুষকে চিকিৎসা সেবা নেওয়ার জন্য মিঠাপুকুরে যাওয়া না লাগে। বহু প্রতিশ্রæতি দিয়ে এই হাসপাতাল এখানে প্রতিষ্ঠা করা হয়েছে। কিন্তু এখানে নেই কোন ডাক্তার! নেই কোন এম্বুলেন্স! কোন ধরণের সুযোগ সুবিধা পায়নি এলাকাবাসী বলে জানায় তিনি।

মিঠাপুকুরে উপ-স্বাস্থ্য কেন্দ্রে রোগীর স্থানে মাদকসেবা ও সিন্ডিকেটের আড্ডাখানা
স্বাস্থ্য কেন্দ্রটির কোন জানালই রাখেননি মাদকসেবীরা

 

ছড়ান বাজারের তুলা ব্যবসায়ী বিপ্লব হোসেন ক্ষোপের বসে এই হাসপাতালকে ঘোড়ার ডিমের সাথে তুলনা করেন। তিনি আরও বলেন-এই হাসপাতালের দরজা-জানালা ভাঙ্গা,ঘরের ভেতর ময়লা আর্বজনার স্তপ।মাঝে মাঝে এখানে ডাক্তার আসে তবে তাদের ব্যবহার মাশআল্লাহ্।রোগীদের সাথে খারাপ আচরণ করাই যেন তাদের ধর্ম।এসময় তিনি ডাক্তারদের নিয়ে আরও নানাবিধ মন্তব্য করেন।

স্থানীয় লোকজন আরও বলেন-যদি কোন জরুরী রোগীকে চিকিৎসার জন্য শহরে নিয়ে যাওয়ার পূর্বেই রাস্তায় মারা যাওয়ার ঘটনা অহরহ বলে মন্তব্য করেন এলাকাবাসী।

মিঠাপুকুরে উপ-স্বাস্থ্য কেন্দ্রে রোগীর স্থানে মাদকসেবা ও সিন্ডিকেটের আড্ডাখানা
হাসপাতালের ভেতরে পড়ে আছে জিংসিন ও ফেন্সিডিলের বোতল

 

 

হাসপাতালটি অতি দ্রæ চালু করা এবং  দিবারাত্রি ২৪ ঘন্টায় রোগীদের চিকিৎসা সেবার পাশাপাশি দখলদার হাত থেকে দখল কৃত জমি উদ্ধারের তাগিত স্থানীয় রাজনৈতিক নেতাদের।স্থানীয় আওয়ামীলীগ নেতা নুরুজ্জামান জুয়েল এর সাথে কথা হলে তিনি জানান- এই হাসপাতালটি চালু হলে এই এলাকার প্রায় ২০ হাজার মানুষ চিকিৎসা সেবা পাবে।তিনি আরও বলেন এখানে দিবারাত্রি ২৪ ঘন্টা ডাক্তার থাকার কথা কিন্তু কোন ডাক্তার আসেও না আবার বসেও না তবে মাঝে মাঝে ডাক্তার আসেন। সপ্তাহে ২দিন শনিবার ও বুধবার অফিস খোলা হয় সেখান থেকে কিছু ঔষধ বিতরণ করা হয় তাও সীমিত। পাশাপাশি এই হাসপাতালের কিছু জমি বেদখল করে নানাবিধ ব্যবসা প্রতিষ্ঠান ও বাড়ি গড়ে তুলেছে কিছু ভূমিদস্যু। তাদের প্রতিহত করে হাসপাতালের ৩৩ শতাংশ জমি উদ্ধার করে হাসপাতালের রুপ প্রদান করতে হবে বলে তিনি দাবী করেন।

মিঠাপুকুরে উপ-স্বাস্থ্য কেন্দ্রে রোগীর স্থানে মাদকসেবা ও সিন্ডিকেটের আড্ডাখানা
স্বাস্থ্য কেন্দ্রের জমি দখল করে গড়ে উঠা ব্যবসা প্রতিষ্ঠান

 

 

বেদখল জমি উদ্ধারে একাধিকবার উচ্ছেদ করলেও কোন প্রকার কাজে আসছে না এবং রাতের আধারে আবার ঘর তোলেন দখলদাররা বলে মন্তব্য করেছেন স্থানীয় বড় বালা ইউপি চেয়ারম্যান সাহেব আলী সরকার। এসময় ‍তিনি দাবী করেন-থানা স্বাস্থ্য কর্মকর্তা চাইলে এই সমস্যা সমাধান করতে পারেন ।

আর সুশীল সমাজ সচেতন মহলের দাবী- স্বাস্থ্য কেন্দ্রটি চালু হলে সুবিধা পাবে দিনাজপুর রংপুর জেলার তিনটি উপজেলার সাধারণ মানুষ বলে মন্তব্য করেছেন মিঠাপুকুর এতিম উন্নয়ন ফাউন্ডেশনের প্রতিষ্ঠাতা ও চেয়ারম্যান ফরিদুল ইসলাম ফরিদ। তিনি আরও বলেন-বড় বালা ইউনিয়ন থেকে প্রায় ৩৫ কিলোমিটার রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল এবং প্রায় ২৫ কিলোমিটার দুরে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স। সুতরাং এই অঞ্চলের মানুষদের জন্য চিকিৎসা পাওয়া খুবই দুষ্কর।তাই এই হাসপাতালটিকে নতুন রুপ দিয়ে চালু করা প্রয়োজন বলে তিনি মনে করেন।

 

 মিঠাপুকুরের ১৭টি ইউনিয়নের মধ্যে বর্তমানে উপ-স্বাস্থ্যকেন্দ্র চালু রয়েছে ১১টিতে আর বাকি ৬টিতে অবকাঠামো না থাকলেও নিয়োগ দেওয়া রয়েছে চিকিৎসক।

 

Amader Rangpur news

Contact Form

Name

Email *

Message *

Argon Maltimedia Bangladesh. Powered by Blogger.
Javascript DisablePlease Enable Javascript To See All Widget