April 2022

 

মুক্তিযোদ্ধার নাতির কারারক্ষী পদে নিয়োগে ১০ লাখ টাকা গ্রহণ,সাবেক আই.জি প্রিজন্স দেহরক্ষী কারাগারে

রংপুর কোর্ট প্রতিনিধি
চাকুরী দেওয়ার প্রলোভন দেখিয়ে  ১০লাখ টাকা অর্থ গ্রহণের মামলায় সাবেক আইজি প্রিজন্স ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মোস্তফা কামাল পাশার দেহরক্ষী সাজেদুল কবির রাসেল(কারারক্ষী নম্বর-১২৭৬৪)কে  রংপুর কেন্দ্রীয় কারাগারে পাঠিয়েছে মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্টেট কোতয়ালী আমলী আদালত।

গত রবিবার (৩ই এপ্রিল)  দুপুর ১২ টায় বীরমুক্তিযোদ্ধার নাতী সোহেল রানা নামে এক ভুক্তভোগীর করা মামলায় জামিন নিতে আসলে জামিন না মঞ্জুর করে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন বিজ্ঞ ম্যাজিস্টেট রাজু আহম্মেদ।(জিআর মামলা নম্বর-৬৫৪/২১)।

আইজি প্রিজন্স ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মোস্তফা কামাল পাশার দেহরক্ষী সাজেদুল কবির রাসেল


মামলার নথি  ও লিগ্যাল নোটিশ থেকে জানা যায়-গাজীপুর জেলার  কালিয়াকৈর থানার বড় গোবিন্দপুর পাইকপাড়া এলাকার আব্দুল করিম সরকারের পুত্র কারারক্ষী জসিম সরকার(১২৮১৪) ও কিশোরগঞ্জ জেলার রাজিবপুর থানার সরারচর  পুরানগাঁও এলাকার আবু বক্কর সিদ্দিকের পুত্র সাজেদুল কবির রাসেল (১২৭৬৪) দুজনকে রংপুরের কোর্টের আইনজীবি শফিকুল ইসলামের মাধ্যমে(২৩/০৫/২০২১) লিগ্যাল নোটিশ পাঠান সোহেল রানা। উভয়ই গাজিপুর জেলা কারাগারের ব্যাচমেট।সোহেল রানার মামা ওবাইদুল হক কারারক্ষী হওয়ায় তাহার পরিচয় সুত্র ধরে ঘনিষ্ট সম্পর্ক গড়ে উঠে।সাজেদুল সাবেক আই.জি প্রিজন ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মোস্তফা কামাল পাশা সাহেবের দেহরক্ষী ও জসিম সরকার ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগারে গাড়ি চালক হিসেবে চাকুরী করার সুবিধার্থে পরিচয় হয়।মোস্তফা কামাল পাশার সাথে গভীর সম্পর্ক মর্মে মুক্তিযোদ্ধা কোটায় কারারক্ষী হিসাবে চাকুরী দিতে পারবেন বলে ১০ লাখ টাকায় যুক্তি করেন। গত ২৮/০৮/২০২০ইং তারিখে রংপুরে আসিয়া মামা ওবাইদুল হকের মোকাবেলায় চার লাখ টাকা অঙ্গীকারবদ্ধ হয়ে গ্রহণ করেন তারা।এরপর ০৪/০৯/২০২০ ইং তারিখে  বাসায় ডাকিয়া ছয় লাখ টাকা গ্রহণ করেন।এরপর কারারক্ষী নিয়োগ-২০২০ এর প্রবেশপত্র পাঠাইয়া দেন।যাহার রেজিষ্ট্রেশন নম্বর-BDJM-07015 । পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করে উত্তীর্ণ হলেও চাকুরী লইয়া দিতে ব্যর্থ হয় তারা,পরে টাকা ফেতর দিতে তালবাহানা শুরু করেন।গত ১৫/০১/২০২১ ইং তারিখে স্বাক্ষীসহ টাকা চাইতে গেলে খুনজখমের হুমকি ও ভয়ভীতি প্রদর্শন করেন।

গত ২৮/০৯/২০২১ তারিখে আরপিএমপি কোতয়ালী থানায় (যাহার মামলা নম্বর-৭৬) মামলা হলে নালিশকারীর নালিশী দরখাস্তটি FIR করে তদন্তপূর্বক ওসি কোতয়ালী থানাকে ২৪ ঘন্টার মধ্যে পিবিআইকে হস্তান্তের  নির্দেশ দেন চীফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট এফ,এস,আহসানুল হক।পরে তদন্ত শেষে চুড়ান্ত প্রতিবেদন দাখিল করেন পিবিআই(পুলিশ ব্যুারো ইনভেস্টিগেশন)।

মামলার বাদী সোহেল রানা জানায়-শতভাগ চাকুরী দেওয়ার কথা বলে তারা অর্ধশতাধিক চাকুরী প্রত্যাশীর কাছে কোটি কোটি টাকা নিয়েছে।বিভিন্ন খানে তারা পালিয়ে বেড়ায়। টাকা ফেরত দিতে চেয়েও হয়রানী করছে। দেড় বছর ধরে গাজিপুর কারাগারে পাওনাদারদের কারণে আসেন না জসিম সরকার। অনেক কষ্ট করে তার মতো অনেক হতভাগার চাকুরী দেওয়ার কথা বলে অর্থ হাতিয়ে নিয়েছে।

এ বিষয়ে গাজীপুর জেলা  কারাগারের জেল সুপারের সাথে একাকিধার মুঠোফোনে যোগাযোগ করার চেষ্টা করলেও সম্ভব হয়নি।

রংপুর বিভাগের ডিআইজি প্রিজন্স আলতাফ হোসেন এর সাথে যোগাযোগ করলে তিনি স্বাধীন বাংলাকে জানান- ঘটনাটি তার বিভাগের অন্তর্ভুক্ত নয়, সে গাজীপুর জেলা কারাগারে কর্মরত আছে। সে যদি অপরাধী হয় তাহলে তার বিচার আদালত করবে।


 

মিঠাপুকুরে পল্লীচিকিৎসক কর্তৃক বাকপ্রতিবন্দীকে বলাৎকার

মিঠাপুকুর,রংপুর

বাকপ্রতিবন্দী ছেলেটি ছয় বছরের ছোট ভাইয়ের সাথে বাড়ির উত্তরপ্বার্শে পতিত জমিতে খেলছিলো।এমন সময় পাশের বাড়ির পল্লীচিকিৎসক কৌশলে ডেকে নিয়ে যায় ছেলেটিকে।বাড়ির পূর্ব দুয়ারী ঘরে নিয়ে জোড়পূর্বক পরনের থ্রি-কোয়ার্টার প্যান্ট খুলে ইচ্ছার বিরুদ্ধে বলাৎকার( ধর্ষণ) করে শিশুটিকে।বড় ভাইয়ের সাথে এই অবস্থা দেখে কান্নায় চিৎকারে দৌড়ে যায় মায়ের কাছে।কান্নাজনিত কন্ঠে বাক প্রতিবন্দী ছেলেকে দেখে হতাশ মা।এ বিষয়ে ভুক্তভোগীর মা বাদী হয়ে থানায় লিখিত অভিযোগ করেন।

গত সোমবার(২৮শে মার্চ)দুপুরে মিঠাপুকুর উপজেলার ভাংনী ইউনিয়নে স্থানীয় পল্লীচিকিৎসক কর্তৃক বাকপ্রতিবন্দী শিশুকে বলাৎকার করার অভিযোগ উঠেছে।এ ঘটনার পর থেকে চিকিৎসক পলাতক আছেন।

 স্থানীয় পল্লীচিকিৎসক কর্তৃক বাকপ্রতিবন্দী শিশুকে বলাৎকার


সরেজমিনে ও থানার অভিযোগ সূত্রে জানা যায়-খেলাধুলা করার সময় ১০ বছরের বাকপ্রতিবন্দী শিশুকে কৌশলে জোড়পূর্বক ধর্ষন করেন স্থানীয় পল্লীচিকিৎসক আসাদুজ্জামান(৫০)।এ বিষয়ে গত বুধবার(৩০শে মার্চ)সকাল আটটায় স্থানীয় ইউপি সদস্যের সহযোগিতায় শালিশী বেঠক ডাকা হয়।শালিশী বৈঠকে আসাদুজ্জামান হাজির না হয়ে পলাতক থাকেন।স্থানীয় বাসিন্দা আব্দুস সালাম বলেন-বিষয়টি শোনার পর স্থানীয়ভাবে মিমাংসার ব্যবস্থা করা হয়।কিন্তু ডাক্তার উপস্থিত হয়নি।শালিশী বৈঠকে তিনি উপস্থিত না হওয়ায় তিনি এই অপরাধ করছেন বলে দাবী তার।এমন দাবী শুধু আব্দুস সালামের নয়,ফিরুজ মিয়া,শাহাদত হোসেন ও সোহেল রানাসহ প্রায় ৩০জন এলাকাবাসীর।

ভুক্তভোগীর মা জানান-তার বাক প্রতিবন্দী ছেলের চিৎকারের শব্দ শুনে ছোট্ট ছেলে বাড়িতে দৌড়ে গিয়ে খবর দেয়।তিনি এসে দেখেন তার ছেলে কান্নাকাটি করছে।ডাক্তার তাকে নানান ভাবে বুঝিয়ে বিষয়টি ধামাচাপা দেওয়ার চেষ্টা করেন।

স্থানীয় ওয়ার্ড ইউপি সদস্য ইলিয়াস মিয়ার সাথে মুঠোফোনে কথা হলে তিনি জানান-বিষয়টি তিনি জানার পর স্থানীয় এলাকাবাসীসহ শালিশী বৈঠক বসানো হয়।বৈঠকে উপস্থিত না হলে ভুক্তভোগীদের আইনের আশ্রয় নেওয়ার জন্য পরামর্শ দেন।

মিঠাপুকুর থানার অফিসার ইন-চার্জ মোস্তাফিজার রহমান জানান-এ বিষয়ে লিখিত এজাহার পেয়েছেন।তদন্তমূলক ব্যবস্থা গ্রহণ করার আশ্বাস দেন তিনি।

 


 


Amader Rangpur news

Contact Form

Name

Email *

Message *

Argon Maltimedia Bangladesh. Powered by Blogger.
Javascript DisablePlease Enable Javascript To See All Widget