Latest Post

 

রংপুরে ডিবি পুলিশের জালে দালাল চক্রের ছয় সদস্য

রুবেল ইসলাম,রংপুর

রংপুর মেট্রোপলিটন পুলিশের গোয়েন্দা বিভাগ (ডিবি) কর্তৃক দালাল চক্রের ০৬ সদস্য আটক করেছে।

গতকাল গোপন সংবাদের ভিত্তিতে গোয়েন্দা বিভাগের অতিঃ উপ-পুলিশ কমিশনার (ডিবি) উত্তম প্রসাদ পাঠক এর নেতৃত্বে সহকারী পুলিশ কমিশনার (ডিবি) ফারুক আহমেদ ও পুলিশ পরিদর্শক এবিএম ফিরোজ ওয়াহিদ, এসআই (নিঃ) নাজমুল ইসলাম,এসআই বাবুল ইসলাম,এসআই সাইয়ুম তালুকদার এবং সঙ্গীয় অফিসার ফোর্সসহ আরপিএমপি কোতয়ালী থানাধীন এলাকায় অভিযান পরিচালনা করে উক্ত থানাধীন কাচারি বাজার সংলগ্ন বিআরটিএ অফিস এর অফিসের আশেপাশে থেকে ০৬ জন দালাল চক্রের সদস্য দের গ্রেফতার করা হয়।


ঘটনার বিবরণিতে জানা যায়, উক্ত দালাল চক্রের সদস্যরা বিআরটিএ অফিসে মোটর ড্রাইভিং রেজিঃ করতে আসা আগত সেবা গ্রহিতাদের সেবা প্রদানে বাধা দান, সরকারী অফিসের ডেস্কে বসে কাজ করা, অবৈধ ভাবে টাকা দাবি করতো। সেখানে উপস্থিত সেবা নিতে আসা লোকদের কাছে থেকে দালালদের বিরুদ্ধে উক্ত অভিযোগগুলো পাওয়া যায়।

দালাল চক্রের সদস্যদের মধ্যে দেলোয়ার হোসেন (৫০), পিতা- মৃত  শমসের আলী,আঃ রশিদ (৩১) পিতা- জয়নাল আবেদিন, সাং- বাহার কাছনা, উভয় থানা-হারাগাছ, মহানগর, রংপুর, লিটন সরকার (৪০), পিতা- মৃত তমিজ উদ্দীন, সাং- কেড়ানীপাড়া, রিজাউল করিম রাজু (৫০), পিতা- মৃত মেনহাজ উদ্দীন, সাং- কেড়ানীপাড়া,হুমায়ন কবির (৩৮), পিতা- আবু হানিফ মিয়া, থানা- কামাড়পাড়া,আল-আমিন হোসেন (৩১), পিতা- আমজাদ হোসেন, সাং- মেডিকেল পূর্বগেট, সর্ব থানা-কোতয়ালী, মহানগর, রংপুর।

উল্লেখ্য যে, গ্রেফতারকৃত আসামীদের বিরুদ্ধে কোতয়ালী থানায় আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ প্রক্রিয়াধীন।

 

 

 

 

রংপুর মেট্রোপলিটন পুলিশের মাদকের বিরুদ্ধে সাড়াশি অভিযান

রুবেল ইসলাম,রংপুর

রংপুর মেট্রোপলিটন পুলিশের গোয়েন্দা বিভাগ (ডিবি) কর্তৃক এক জন মাদক ব্যবসায়ী, এক জন মাদকসেবী এবং তাজহাট থানায় এক কেজি শুকনো গাঁজা উদ্ধারসহ এক জন আসামী গ্রেফতার করেছে পুলিশ

গতকাল গোপন সংবাদের ভিত্তিতে গোয়েন্দা বিভাগ এর অতিঃ উপ-পুলিশ কমিশনার (ডিবি) উত্তম প্রসাদ পাঠক এর তত্ত্বাবধানে নির্দেশনায় সঙ্গীয় অফিসার ফোর্সসহ তাজহাট থানা এলাকায় পৃথক পৃথক দুটি মাদক বিরোধী অভিযান পরিচালনা করে এক জন মাদক ব্যবসায়ী এবং এক জন মাদকসেবীকে গ্রেফতার করা হয়।


এছাড়া গোয়েন্দা বিভাগ ডিবি টিম কর্তৃক তাজহাট থানাধীন ২৮ নং ওয়ার্ডস্থ  এরশাদ নগর নং ব্লক এর প্রবেশ পথের সামনে ঢাকা -কুড়িগ্রাম মহাসড়ক এর পাশে সন্দেহভাজন একজন ব্যক্তির দেহ তল্লাশী করে তার প্যান্টের পকেটের ভিতর থেকে নেশা জাতীয় মাদকদ্রব্য ৫০ (পঞ্চাশ) পুড়িয়া শুকনো গাঁজা (যাহার ওজন ১০০গ্রাম ) উদ্ধারসহ  শামীম হোসেন শান্ত (৪০) নামে একজনকে আটক করে পুলিশ। গ্রেফতারকৃত আসামী মহানগর তাজহাট থানার এরশাদ নগর এলাকার  ফজলুল হকের ছেলে।

 পরবর্তীতে গ্রেফতারকৃত আসামীর বিরুদ্ধে তাজহাট থানায় মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রন আইন ২০১৮ এর ৩৬() সারণি ১৯() ধারায় মামলা দায়ের করা হয়।

গোয়েন্দা বিভাগ ডিবি টিম কর্তৃক তাজহাট থানাধীন ২৮নং ওয়ার্ডস্থ তাজহাট উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রাচিরের ভিতর থেকে গাঁজা সেবনের প্রস্তুতিকালে গাঁজা মিশ্রিত অবস্থায় একটি ডার্বি সিগারেট একটি দেয়শলাইসহ আসামী  আপেল (২৪)নামে গ্রেফতার করা হয়। পুলিশ। গ্রেফতারকৃত আসামী মহানগর তাজহাট থানার মধ্য এরশাদ নগর এলাকার  তমসের মিয়ার ছেলে। পরবর্তীতে গ্রেফতারকৃত আসামীর বিরুদ্ধে তাজহাট থানায় প্রসিকিউশন দাখিল করা হয়।


রংপুর মেট্রোপলিটন তাজহাট থানা পুলিশ কর্তৃক উক্ত থানাধীন ধান গবেষণার ইন্সিটিটিউট এর সামনে রংপুর টু ঢাকা গামী মহাসড়কের উপর থেকে ০১ (এক) কেজি মাদকদ্রব্য শুকনা গাঁজা (যাহার মূল্য ১০,০০০/- টাকা) বিক্রয়ের উদ্দেশ্য নিজ দখলে রাখার অপরাধে আসামী রতন মিয়া (২৫)কে গ্রেফতার করেছে। কুড়িগ্রাম জেলার ফুলবাড়ি থানার ১নং শিমুলবাড়ি ইউনিয়ন মিয়াপাড়া এলাকার আব্দুল খালেক মিয়ার ছেলে।পরবর্তীতে গ্রেফতারকৃত আসামীর বিরুদ্ধে তাজহাট থানায় মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রন আইন ২০১৮ এর ৩৬() সারণি ১৯() ধারায় মামলা দায়ের করা হয়।


 

উল্লেখ্য যে- রংপুর মেট্রোপলিটন পুলিশের সকল ধরনের অবৈধ কার্যক্রম এবং মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রনে আরপিএমপি গোয়েন্দা বিভাগ (ডিবি) টিমের অভিযান অব্যাহত থাকবে।

 

 

করোনায় কপাল পুড়েছে ক্ষুদ্র নারী উদ্যোক্তাদের

 

  কবির,রংপুর মরণঘাতি করোনা ভাইরাসের থাবায় মুখ থুবড়ে পড়েছে রংপুর অঞ্চলের কয়েকশ নারী উদ্যোক্তার স্বপ্ন। ব্যবসায় চলছে মন্দা। নেই ব্যাংক ঋণ সুবিধা ও আর্থিক প্রণোদনা। অনেকেই বন্ধ করে দিয়েছেন ব্যবসা প্রতিষ্ঠান, কারখানা। দু’একজন টিকে থাকার প্রাণপণ চেষ্টা চালিয়ে গেলেও শেষ পর্যন্ত এ লড়াইয়ে কতটা সফল হবেন তা নিয়ে দেখা দিয়েছে সংশয়। ব্যাংক ঋণে জটিলতা, আর্থিক প্রণোদনা না পাওয়া, তৈরিকৃত পণ্য বিক্রি না হওয়াসহ নানা কারণে ভালো নেই এসব ক্ষুদ্র নারী উদ্যোক্তারা।

রংপুর নগরীর দর্শনা কলেজপাড়া এলাকার ক্ষুদ্র নারী উদ্যোক্তা লাইজুতুন জান্নাত। তিনি পাট থেকে পণ্য তৈরি করে বিক্রি করতেন। একটা সময় ২০০ জন শ্রমিক তার অধীনে কাজ করলেও করোনা ভাইরাসের সংক্রমণ শুরুর পর থেকে তা কমতে কমতে বর্তমানে ৩০/৪০ জনে এসে দাঁড়িয়েছে। তৈরিকৃত মালামাল বিক্রি না হওয়ায় ঠিকমতো মজুরি দিতে পারছিলেন না তিনি শ্রমিকদের। ফলে ধীরে ধীরে কমতে থাকে উৎপাদন, কমতে থাকে শ্রমিক ও আয়। এক পর্যায়ে পুঁজি হারিয়ে এখন কোনোমতে টিকে থাকার লড়াই চালিয়ে যাচ্ছেন লাইজুতুন জান্নাত। সরকারিভাবে আর্থিক প্রণোদনার কথা বলা হলেও তা জোটেনি তার কপালে। লাইজুতুন জান্নাত বলেন, টাকার অভাবে সিজনের সময়ও কম দামে পাট কিনতে পারছি না। বড় মহাজনরা পাট কিনে স্টক করছেন। একটা সময় পাটের দাম বৃদ্ধি পেলে তখন আরও কেনা সম্ভব হবে না। সরকারিভাবে যে প্রণোদনার কথা বলে হয়েছিল তাও পাইনি। বাধ্য হয়ে এ পেশা গুটিয়ে নিতে হচ্ছে। লাইজুতুন জান্নাতের মতো আরেক উদ্যোক্তা নাছিমা আক্তার। নিজ গ্রাম রংপুরের মিঠাপুকুর উপজেলার রানীবন্দরে পাটপণ্যের হস্তশিল্প কারখানা গড়ে তোলার পাশাপাশি রংপুর নগরীতে বাসা ভাড়া নিয়ে বীকন মোড়ে দিয়েছিলেন শো-রুম। করোনা ভাইরাস শুরুর আগে প্রায় দেড় লাখ টাকার কাঁচামাল কিনেছিলেন। পণ্য তৈরি না করতেই শুরু হয় লকডাউন। ফলে কাঁচামাল কেনাতেই আটকে থাকে সবটুকু পুঁজি। কয়েক মাস পর জমানো সবটুকু শেষ হলে বন্ধ করে দেন শো-রুম। বাসা ভাড়া দিতে না পারায় ফিরে যান গ্রামে। বন্ধ করতে বাধ্য হন কারখানাও। বর্তমানে গ্রামের আশপাশের নারীদের বাড়িতে কাজের অর্ডার দিয়ে কোনোরকমে ধরে আছেন এ পেশা।

 রংপুরে প্রেমের ফাঁদে ফেলে স্কুল ছাত্রীকে ধর্ষন: গ্রেফতার ৪

 

রুবেল ইসলাম, রংপুর

রংপুরের তারাগজ্ঞে নবম শ্রেনীর স্কুল ছাত্রীকে ধর্ষন করেছে কয়েকজন দুবৃর্ত্ত। গুরতর অবস্থায় তাকে রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। এ ঘটনায় পুলিশ চার ধর্ষককে গ্রেফতার করেছে।  তারাগজ্ঞ থানার ওসি ইসমাইল হোসেন প্রধান, আসামী গ্রেফতার করার কথা স্বীকার করেছেন।

ধর্ষিতা স্কুল ছাত্রীর স্বজন এলাকাবাসি ও পুলিশ জানিয়েছে রংপুরের তারাগজ্ঞ উপজেলার সয়ার ইউনিয়নের দামোদরপুর কাজীপাড়া গ্রামের মোকসেদুল কাজীর নবম শ্যেনীতে পড়ুয়া স্কুল ছাত্রীকে সোমবার রাতে অসুস্থ স্বজনকে হাসপাতালে দেখতে যাবার সুযোগে পার্শ্ববর্তী বদরগজ্ঞ উপজেলার শেখেরহাট এলাকার মোজাহার আলীর ছেলে মিঠুন মোবাইল ফোনে প্রেমের সম্পর্কের জের হিসেবে তাদের বাসায় আসে। এরপর স্কুল ছাত্রীকে বাড়ির পেছনে নির্জন স্থানে নিয়ে গিয়ে মিঠুন ও তার চার সহযোগী ধর্ষন করে। এ সময় তার আত্মচিৎকারে আশ্বেপার্শ্বের লোকজন এগিয়ে এসে মেয়েটিকে উদ্ধার করে। সে জ্ঞান হারিয়ে ফেললে তাকে প্রথমে তারাগজ্ঞ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স এ নিয়ে যায়। কিন্তু তার প্রচন্ড রক্ত ক্ষরন বন্ধ না হওয়ায় তাকে রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের ওয়ান ষ্টপ ক্রাইসিস সেন্টারে ভর্তি করা হয়। সেখানেই তার চিকিৎসা চলছে তার অবস্থা এখনও আশংকাজনক বলে কর্তব্যরত চিকিৎসক জানিয়েছেন। এ ঘটনা তারাগজ্ঞ থানা পুলিশকে স্কুল ছাত্রীর স্বজনরা জানালে পুলিশ বৃহসপতিবার মধ্য রাত থেকে শুক্রবার ভোর পর্যন্ত বিভিন্ন স্থানে অভিযান চালিয়ে মুল হোতা মিঠুন সহ চারজন ধর্ষককে গ্রেফতার করে।

পরে পুলিশ তিনজনকে গ্রেফতার করে তারাগজ্ঞ থানায় নিয়ে আসে। এরা হলেন মিঠুন পিতা মোজাহার আলী, নাসিম পিতা জবান আলী আল আমিন পিতা আব্দুল মজিদ সকলের বাড়ি বদরগজ্ঞ উপজেলার শেখেরহাট গ্রামে।

পুলিশ জানায় ধর্ষনের মুল হোতা মিঠুন সবুজ নাম ব্যবহার করে স্কুল ছাত্রীর সাথে মোবাইল ফোনে ফোনে যোগাযোগ করে এবং তাদের মধ্যে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে উঠে। এ সুয়োগটি নিয়েছে সে ও তার সঙ্গিরা। মিঠুর বিরুদ্ধে আরো একটি ধর্ষনের মামলা রয়েছে বলে পুলিশ জানিয়েছে।

এ ব্যাপারে তারাগজ্ঞ থানার ওসি ইসমাইল হোসেনের সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি স্কুল ছাত্রীকে ধর্ষ নের মুল হোতা মিঠুন সহ দুজনকে গ্রেফতার করার কথা স্বীকার করেন। তবে পুলিশের হ্যান্ড কাপ সহ পলাতক নুরুজ্জামানের ব্যাপারে কোন মন্তব্য করেননি তিনি।

এ ঘটনায় ভিকটিম স্কুল ছাত্রীর বাবা মোকসেদুল কাজী বাদী হয়ে নারী ও শিশু নির্যাতন আইনে মামলা দায়ের করার প্রস্তুতি নিচ্ছে বলে ওসি জানান।

Amader Rangpur news

Contact Form

Name

Email *

Message *

Argon Maltimedia Bangladesh. Powered by Blogger.
Javascript DisablePlease Enable Javascript To See All Widget