Latest Post


"এলাকায় শোকের মাতম দিশাহারা দুই পরিবার"

খন্দকার মিলন আল-মামুন,নিজস্ব সংবাদদাতা 

রংপুরের সদর উপজেলায় পৃথক পৃথক দুইটি ঘটনায় দুইজন শিশুর মৃত্যু ঘটনা ঘটেছে।ঘটনার বিবরনে জানা যায়-উপজেলার সদ্যপুষ্করিনী ইউনিয়নে  দুপুর সাড়ে ১২টায় বাবুরহাট এলাকাস্থ "বস ভাটা" থেকে ইট বোঝাই একটি পাওয়ার ট্রিলার চালিত ট্রলি কেশবপুর বানীয়া পাড়ার বাবলু মিয়ার বাড়িতে যাওয়ার সময় পশ্চিম কেশবপুর মধ্যপাড়া এলাকায় রাস্তার উপর পাওয়ারট্রিলার চাপায় আবু লুবাবা নামে ২৭ মাস বয়সের একটি শিশু বাচ্চাকে চাপা দিলে ঘটনাস্থলেই মারা যান। লুবাবাবার বাবার নাম রুহুল আমিন। এসময় পাওয়ারট্রিলার ট্রলি চালক চোকা মিয়ার ছেলে আবু হোরায়রা (৩০) ট্রলি রেখে পালিয়ে যায়। 

ট্রলির চাকায় পিষ্ট মৃত্যু শিশুর পূর্বের ছবি   

খবর পেয়ে রংপুর সদর (সার্কেল) এএসপি আরিফ হাসান ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন। বর্তমানে পাওয়ারট্রিলার ও লাশটি উদ্ধার করে থানায় নিয়ে যাওয়া হয়েছে। পোষ্টমর্টেম শেষে আগামীকাল লাশটি পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হবে  বলে রংপুর সদর কোতয়ালি থানার অফিসার্স ইনচার্জ মোস্তাফিজার রহমান আমাদের এ প্রতিবেদককে বলেন। 

অপরদিকে একই ইউনিয়নের দক্ষিণ ভেলুতে গড়ে(আবাসন) এলাকায় এনামুল নামে এক ব্যক্তির দিঘিতে (পানিতে) পড়ে শিহাব( ১২) নামে এক প্রতিবন্ধী শিশুর মৃত্যু হয়েছে। পরে বাদ মাগরিব বালার হাটে জানাযা শেষে দাফন কার্য সম্পন্ন করা হয়েছে। শিহাবের বাবার নাম রাশেদুল ইসলাম বলে জানাযায়।।

 পীরগঞ্জে ইউনিয়ন আ’লীগের সভাপতির বিরুদ্ধে মানব বন্ধন, বিক্ষোভ মিছিল


পীরগঞ্জ (রংপুর) প্রতিনিধিঃ  রংপুরের পীরগঞ্জ উপজেলার বড় আলমপুর ইউনিয়ন আ’লীগের  সভাপতি জাহাঙ্গীর আলমের বিরুদ্ধে মসজিদের জমি দখলকে কেন্দ্র করে গ্রামবাসীর মানব বন্ধন।

মানব বন্ধনে স্থানীয় এলাকাবাসী,প্রশাসনের হস্তক্ষেপ কামনা

 

 বৃহস্পতিবার বিকেলে খালাশপীর-চতরা সড়কে ছোট রসুলপুর নামক স্থানে মানব বন্ধন অনুষ্ঠিত হয়।  মানব বন্ধনে প্রায় সহশ্রাধিক নারী-পুরুষ অংশ গ্রহন করে। উক্ত মানব বন্ধনে বক্তব্য রাখেন- ছোট রসুলপুর জামে মসজিদের সভাপতি কামরুজ্জামান, কিছু দিন পূর্বে ওই মসজিদের জমিকে কেন্দ্র করে প্রতিপক্ষ হাতে রুহুল আমীন নামের একব্যাক্তি হত্যাকান্ডের শিকার হয়। নিহতের পুত্র সিফাত মিয়া ও মামলার বাদী নিহত রুহুলের ছোট ভাই গোলাম রব্বানী বক্তব্য রাখে।

 

রাস্তা অবরোধ করে আওয়ামীলীগ সভাপতির বিরুদ্ধে মানববন্ধন

 বক্তরা মসজিদের ৯৩ শতক জমি জোর পূর্বক দখলের চেস্টা, ধর্মদাসপুর আমিনিয়া দাখিল মাদ্রাসার নিয়োগ বানিজ্যে, ক্ষমতার অপব্যবহার ও ইউনিয়ন আ’লীগের সভাপতির পদ থেকে জাহাঙ্গীর আলমের অপসারনের দাবী করে। বক্তরা আরো বলেন- রুহুল হত্যা মামলার সঠিক তদন্ত সাপেক্ষে হত্যাকান্ডের শিকার রুহুলের ছেলে সিফাতকে প্রকাশ্যে পিতার ন্যায় হত্যার হুমকি দাতাদের  আইনের আওতায় আনাসহ দ্রুত বিচারের দাবী করে।


মানব বন্ধন শেষে বিক্ষুদ্ধ গ্রামবাসী ওই সড়কে বিক্ষোভ করে বিভিন্ন ধরনের শ্লোগান দেয়।

 

রংপুরে ধর্ষকের যাবজ্জীবন,১৩ বছর পর স্বীকৃতি পেল সন্তান

 

রুবেল ইসলাম,রংপুর

রংপুরের পীরগাছা উপজেলায় ধর্ষণের ফলে সন্তান জন্মদানের ঘটনায় আদালতে দায়েরকৃত মামলায় অভিযুক্ত ব্যক্তির যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছেন বিচারক। এছাড়াও ধর্ষণে জন্ম নেয়া সন্তানের ভরণপোষণ প্রদানসহ ধর্ষকের ওয়ারিশ হিসেবে ঘোষণা দেন বিচারক।

 

সোমবার দুপুর দেড়টার দিকে রংপুরের নারী শিশু নির্যাতন দমন আদালত- এর বিচারক রোকনুজ্জামান রায় দেন এবং আসামীর উপস্থিতিতে রায় পড়ে শোনান। রায় ঘোষণার সময় অভিযুক্ত শফিকুল ইসলাম আদালতে উপস্থিত ছিলেন।

 

রংপুরে ধর্ষকের যাবজ্জীবন,১৩ বছর পর স্বীকৃতি পেল সন্তান
আদালত থেকে কারাগারে নেওয়া হচ্ছে ধর্ষককে

ভুক্তভোগী,মামলার বিবরণ আদালত সূত্রে জানা যায়-পীরগাছা উপজেলার অন্নদানগর ইউনিয়নের অন্নদানগর গ্রামের দিনমজুর হানিফ উদ্দিন দুই মেয়ে, এক ছেলে স্ত্রী রেখে অন্যত্র চলে যান এবং সেখানে দ্বিতীয় বিয়ে করেন তিনি। সেই থেকে ছেলে-মেয়েদের নিয়ে ওই ইউনিয়নের সাতদরগাহ হরিচরণ গ্রামে মায়ের বাড়িতে বসবাস করে আসছেন হানিফ উদ্দিনের স্ত্রী।

 

হানিফের বড় মেয়েকে (তৎকালীন ১৪ বছর বয়স) প্রায়ই উত্যক্ত করতেন প্রতিবেশী মৃত মজিবর রহমানের ছেলে পান ব্যবসায়ী শফিকুল ইসলাম (তৎকালীন ২২ বছর বয়স)

একপর্যায়ে বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে ওই কিশোরীর সঙ্গে শারীরিক সম্পর্ক গড়ে তোলেন শফিকুল।ঘটনার দিন ২০০৭ সালের ২৬ অক্টোবর বিকেলে বাড়িতে কেউ না থাকার সুযোগ নিয়ে ওই কিশোরীকে ধর্ষণ করেন শফিকুল। পরে মেয়েটি অন্তঃসত্ত্বা হয়ে পড়লে বিষয়টি এলাকায় জানাজানি হয়।

২০০৮ সালের পহেলা ফেব্রুয়ারি ওই বাড়িতে গিয়ে জোরপূর্বক গর্ভপাত ঘটানোর জন্য চাপ প্রয়োগ করতে থাকেন শফিকুল তার স্বজনরা। পরবর্তীতে ধর্ষণের ঘটনা এবং সন্তানের স্বীকৃতি অস্বীকার করলে প্রায় চার মাসের অন্তঃসত্ত্বা অবস্থায় ওই বছরের ১০ ফেব্রুয়ারি পীরগাছা থানায় মামলা করতে গেলে থানা থেকে তাদেরকে আদালতে মামলা দায়ের করার পরামর্শ দেয়া হয়।

 

পরে মেয়েটি নিজে বাদী হয়ে ২০০৮ সালের ২৫ ফেব্রুয়ারি আদালতে শফিকুলসহ তার বাবা মজিবর, চাচা মমতাজ উদ্দিন ফুফু নজিরনকে আসামি করে মামলা দায়ের করেন। মামলা চলাকালীন অবস্থায় আসামি মজিবর মারা যান এবং ২০০৮ সালের আগস্ট একটি ছেলে সন্তানের জন্ম দেন ওই কিশোরী।

এদিকে শফিকুলও অন্যত্র বিয়ে করে সংসার শুরু করেন। পরবর্তীতে আদালতের নির্দেশে ধর্ষণে জন্ম নেয়া শিশুর এবং ধর্ষকের ডিএনএ পরীক্ষা জন সাক্ষীর সাক্ষ্যগ্রহণ শেষে দীর্ঘ ১৩ বছর পর সোমবার দুপুড়ে রায় ঘোষণা করা হয়। রায়ে অপর দুই আসামিকে খালাস দিয়েছেন বিচারক।

 

মামলার রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী নারী শিশু নির্যাতন দমন আদালত- এর পাবলিক প্রসিকিউটর (পিপি) জাহাঙ্গীর হোসেন তুহিন বলেন-যাবজ্জীবন কারাদণ্ড ছাড়াও এক লাখ টাকা জরিমানা আদায় এবং ধর্ষকের ওয়ারিশ হিসেবে সম্পত্তির অংশী দারিত্বের রায় দিয়েছেন বিচারক। যদি ধর্ষকের কোনো সম্পত্তি না থাকে তাহলে ওই শিশুর ব্যয় ভার রাষ্ট্রকে নেয়ার নির্দেশ দেয়া হয়েছে।উক্ত মামলায় আসামিপক্ষের আইনজীবী ছিলেন অ্যাডভোকেট জহুরুল ইসলাম।

 

 

Amader Rangpur news

Contact Form

Name

Email *

Message *

Argon Maltimedia Bangladesh. Powered by Blogger.
Javascript DisablePlease Enable Javascript To See All Widget