চায়না লেবু চাষ করে স্বাবলম্বী হতে চায় শ্রী সুভাষ চন্দ্র উড়াও এর পরিবার
মিঠাপুকুরে চায়না লেবু চাষ করে স্বাবলম্বী হতে চায়
আদিবাসী কৃষকের পরিবার
বাবুলাল মার্ডি,মিঠাপুকুর(রংপুর)প্রতিনিধি
রংপুরের মিঠাপুকুর উপজেলার ১৬নং মির্র্জাপুর ইউনিয়নের ভগবতীপুর মধ্যপাড়ার গ্রামের এক আদিবাসী কৃষক চায়না লেবু চাষ করে স্বাবলম্বী হতে চায় শ্রী সুভাষ চন্দ্র উড়াও এর পরিবার।
গতকাল সোমবার সরেজমিনে বাগানে ও পুকুরে গিয়ে জানা যায়, তার নিজস্ব জমিতে চায়না লেবু বাগান রয়েছে। এই গণমাধ্যম কর্মী ঐ আদিবাসী কৃষক পরিবারের কাছে চায়না লেবুর বাগান, মাছ ও ধান, সবজী চাষ সম্পর্কে জানতে চাওয়া হলে শ্রী সুভাষ চন্দ্র উড়াও এ গণমাধ্যম কর্মীকে জানান, আমি ঐ জমিতে আগে বেগুন চাষ করে আসছিলাম কিন্তু স্থানীয় গ্রামের এক কৃষক মনজুরুল ইসলাম তার নিজস্ব জমিতে চায়না লেবুর একটি বাগান ছিল । আর সেই বাগান থেকে চায়না লেবুর চারাও বিক্রয় করা হতো। তবে প্রতিটি চায়না লেবুর চারার মূল্য ৩০ থেকে ৪০ টাকা দরে বিক্রয় করত। সেই মনজুরুল ইসলাম ঐ আদিবাসী কৃষক পরিবারে যাতে করে চায়না লেবু চাষ করে স্বাবলম্বী হতে পারে ঐ বিষয়ে সর্বদায় পরামর্শ দিয়ে থাকেন। আমি তার পরামর্শ অনুযায়ী আমার নিজস্ব জমিতে চায়না লেবু চারা রোপণ করি। রোপনকৃত বাগানের জমির পরিমান ৫৮ শতক জমিতে ২‘শ ৫০টি চায়না লেবু চারা রোপন করা হয়েছে। লেবুর বাগান থেকে প্রতি সপ্তাহে ৫ হাজার থেকে ৬ হাজার টি লেবু তুলে রংপুরে বিক্রয় করেন তিনি এবং সেখান থেকে প্রতি সপ্তাহে আয় হয় ১০ হাজার টাকা থেকে ১১ হাজার টাকা পর্যন্ত। প্রতি সপ্তাহে তেলার সময় ২ থেকে ৩ জন কৃষক এবং প্রতি ২ থেকে ৩ মাস পরপর ১০ থেকে ১২ জন কৃষক লেবুর বাগানে কর্ম ব্যস্ত কিষাণ-কিষাণীরা ১দিন খাওয়া-দাওয়াসহ পারিশ্রমিক পাচ্ছেন ২’শ ৫০ থেকে ৩ শত টাকা করে। শ্রী সুভাষ চন্দ্র উড়াও আরো জানান, আমার নিজস্ব জমিতে চায়না লেবুর চারা রোপন করা করি । পরে উপজেলা সমবায় কার্যালয়ের আওতায় ৪০ জন উপকারভোগী সদস্যদেরকে নিয়োগ করে ভগবতীপুর ক্ষুদ্র নৃ-তাত্বিক জনগোষ্ঠির জীবন যাত্রা উন্নয়ন সমবায় সমিতি লিমিটেড এর নামকরন করে সভাপতি হিসেবে আমি নিযুক্ত হয়ে সংগঠন পরিচালনা করিতেছি। উপজেলা সমবায় কার্যালয়ের পরার্মশ ক্রমে আমি রংপুর জেলা সমবায় অধিদপ্তরে সহযোগিতায় মৎস চাষের উপর প্রশিক্ষণ গ্রহন করি। প্রশিক্ষণ থেকে এসে সংগঠনের সদস্যদের নিয়ে মিটিং করে প্রশিক্ষনের বিষয়গুলো সকল সদস্যদেরকে জানানো হলো। সংগঠনের আয় কিভাবে বাড়ানো যায় তার উদ্যোগ গ্রহন করি এবং সমবায়ের আওতায় আমার বাড়ী,আমার খামার (৪র্থ সংশোধীত)প্রকল্প থেকে ঋণ গ্রহন করে ৬.৫০ (সাড়ে ছয় )একর জমিতে পুকুর লিজ নিয়ে ধান,মাছ ও পুকুরের পাড় দিয়ে সবজীর বাগান করি। নিজস্ব লেবুর বাগান থেকে ও সংগঠনের উদ্যোগে যে ধান,মাছ ও পুকুরের পাড় দিয়ে সবজীর চাষ করে সংগঠনের সকল উপকারভাগী সদস্য’রা ও আমার পরিবার স্বাবলম্বী হয়ে ভবিষৎতের স্বপ্ন বাস্তবায়ন করে সুন্দর জীবন যাপন ও উন্নয়নের ছোয়াঁ নেমে আসবে বলে আমি আশা করি। তিনি আরো জানান,আমার জমির পাশে আমার ভাই রবিন চন্দ্র উড়াও এর পরিবারে উন্নয়নের নিমিত্তে ও ভবিষৎতে সুন্দর জীবন করার জন্য তিনিও ৫৮ শতক জমিতে একই পরিমান চায়না লেবুর চারা রোপন করেন ।###