রংপুর সদর কোতয়ালী থানার "জাগো নারী জাগো"জাগরনে উঠান বৈঠক

 "জাগো নারী জাগো"জাগরনে-----বিট পুলিশ


"আমরা যদি না জাগি মা কেমনে সকাল হবে,
তোমার ছেলে উঠলে মাগো রাত পোহাবে তবে। "---এই প্রত্যয় নিয়ে এবার রংপুর কোতোয়ালি থানার অফিসার ইনচার্জ ও বিট পুলিশ অফিসার সহ অসহায়, নির্যাতিত নারী, শিশু, বয়স্ক, প্রতিবন্ধীসহ সাধারনমানুষের তাৎক্ষণিক পুলিশিসেবা প্রদান এবং নারীদের জাগ্রত করার জন্য বিভিন্ন পাড়া মহল্লায় উঠান বৈঠক করছেন। বিশেষ করে বাবা-মার আদরে বেড়ে উঠা মেয়েটি একদিন সামাজিক নিয়মে নিজ পৈত্রিক বাস গৃহের মায়া, মমতা, ভালবাসা ত্যাগ করে অন্যের ঘরে বউ হয়ে যেতে হয়।তারপর থেকে তাকে গুনী কিংবা সংসারী বউ হিসেবে নিজকে প্রতিষ্ঠিত করার জন্য আজান কিংবা মোরগ ডাকা ভোরে উঠে বাড়িঘর পরিস্কার- পরিছন্ন করা, রান্না বান্না, ধোয়া মোছা, স্বামী শ্বশুর-শ্বশুরীর সেবাসহ নানান গৃহস্থালী কাজে ব্যস্ত থাকতে হয়। এমনি হাজারো গৃহস্থালী কাজে নিজেকে প্রতিষ্ঠার চেষ্টা চলে অবিরাম। দিন শেষে রাতে সকলে বিশ্রামে যাওয়ার পর তারপরে নারীকে যেতে হয় বিশ্রামে। এত কিছুর পরেও নারী স্বামীর সংসারে লোকজনের কাছে আয় উপার্জনহীন।পরিবারের আর সব সদস্য মনে করে একমাত্র স্বামীই আয় উপার্জন করে। তার আয়ে নারী বসে বসে খায়। সংসার জীবনে জীবন-যৌবন নিঃশেষ করলেও একটুখানি ভুল ক্রটিতে স্বামী ও তার বাড়ির লোকজনের কাছ হতে নেমে আসে মানষিক ও শারিরীক নির্যাতন।
নারী জাগরণে সদর থানার ওসি মোস্তাফিজার


বউ পিটানো যেন স্বামীর চিরাচরিত অধিকার। প্রতিবাদ করে না নারী, আকঁড়ে ধরে রাখতে চায় তিলে তিলে গড়া ভালবাসার সংসার।স্বামীর মনোপলি দৃষ্টিভঙ্গি নারী আয় উপার্জন করার ক্ষমতা নেই,-তার যাওয়ারও কোন জায়গা নেই। বাধ্য হয়ে নারীকে তার দয়া ও করুনার উপর থাকতে হবে। স্ত্রী হিসেবে নারীর সম্মান, মর্যাদা, সমধিকার বিহীন অর্থহীন সংসারের দেয়ালে আটকে পড়া অসহায় নারী আরো নিজেকে অসহায় ভাবতে থাকে। হাজারো অন্যায় নির্যাতন মুখ বুঝে দিনের পর দিন সহ্য করে জীবন পার করে দেওয়ার প্রচেষ্টায় শুধুই নিয়তির কাছে আকুতি জানায়। একটু খানি প্রতিবাদ হলে স্বামীর সংসার হতে তাড়িয়ে দেয়া বা বাড়ি হতে বের করে দেয়া কিংবা তালাক শব্দ দিয়ে অধিকার একেবারে হরন করার ভয়ে নারী নিজেকে ভাবতে থাকে মহাসাগরের এক ভাসমান খড়কুটো। বোঝা হতে চায় না বাবা মায়েরও। অর্থবিত্ত কিংবা ধারনা না থাকার কারণে আইনের আশ্রয় নিতে কখন না জানি কোন টাউট বাটপার খপ্পরের পড়ার ভয়ে পিছু হটে ।অনেক সময় উপায়ন্তর না পেয়ে নারী অকালে আত্মহননের একমাত্র পথ বেছে নিয়ে আত্মহত্যা করে। ধর্ষন, অপহরণ, ইফটিজিং, বাল্যবিবাহ যৌতুক নির্যাতন সহ এই রকম বিভিন্ন সমস্যা জর্জরিত নারী ও সাধারন মানুষের পাশে মুহুর্তে দাড়াবে আপনাদের এলাকার বিট পুলিশ।রংপুর জেলার সুযোগ্য পুলিশ সুপার জনাব বিপ্লব কুমার সরকার বিপিএম (বার) পিপিএম মহোদয়ের নির্দেশনায় প্রতিটি ইউনিয়ন পরিষদে গড়ে উঠেছে বিট পুলিশ। বিট পুলিশের নির্ধারিত মোবাইল নম্বরে ফোন দিলে তাৎক্ষনিক পুলিশ হাজির হয়ে কাংখিত সেবা প্রদান করবে।নারী আর ভাববে তারা অসহায়। ভাববে না আর সাধারন মানুষ তার মেয়ে অন্যের ঘরে বিয়ে দিয়ে জামাই গৃহে নির্যাতিত হচ্ছে । সাধারন মানুষ ও পুলিশ যত কাছা কাছি আসবে, তত বন্ধুত্বের সেতু বন্ধন মজবুত হবে। তাড়াতাড়ি সমাজ হতে টাউট বাটপার, বদমাস, সামাজিক অপরাধ, অনাচার দুরীভুত হবে। সুশৃংখলাবদ্ধ ভাবে গড়ে উঠবে সুখের নীড়, সুন্দর হবে সমাজ, সমৃদ্ধ হবে দেশ।
উঠান বৈঠকে সদর থানার ওসি 


Post a Comment

[blogger]

Amader Rangpur news

Contact Form

Name

Email *

Message *

Argon Maltimedia Bangladesh. Powered by Blogger.
Javascript DisablePlease Enable Javascript To See All Widget