রংপুরে ৪' বছর ধরে একঘরে নিম্মআয়ের ১টি পরিবার

 কথিত সমাজপতির যোগসাজশে

 রংপুরে ৪' বছর ধরে একঘরে নিম্মআয়ের ১টি পরিবার 



ষ্টাফ রিপোর্টারঃ

রংপুর সদর উপজেলার খলেয়া ইউনিয়নের ৮নং ওয়ার্ডের দোলাপাড়ায় জমি সংক্রান্ত জের ধরে একটি পরিবারকে চার ৪'বছর ধরে একঘরে করে রাখার অভিযোগ উঠেছে।শুধু তাই নয়,এমনকি মসজিদে নামাজ পড়তে দেয়া হয় না, পরিবারটির সদস্যদের।আবার, মক্তবে পড়তে যাওয়া শিশুটিকে মসজিদ থেকে বের করে দেয়া হয়েছে। তুচ্ছ ঘটনা ও জমি সংক্রান্ত   জেরসহ নিজের স্ত্রীকে সরকারী ভাবে ফিরিয়ে আনায়, কয়েকজন সমাজপতির বিরুদ্ধে এই অভিযোগ করেছে পরিবারটি। 


সম্প্রতি ওই পরিবারটির উপর হামলা ও আখ ক্ষেত নষ্ট করার অভিযোগে,রংপুর গংগাচড়া থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছে, জেসমিন নাহার নামের ভুক্তভোগী এক নারী।



বৃহস্পতিবার বিকেলে সরেজমিনে ও

থানায় দাখিল করা অভিযোগ সূত্রে জানা যায়,

 মানিক মিয়া, যাদু মিয়া ও মনু মিয়ার সাথে জমি ও তুচ্ছ ঘটনা নিয়ে অনেক দিন ধরেই বিরোধ চলে আসছিলো। তারই সুযোগকে কাজে লাগিয়ে কথিত উপরুক্ত সমাজপতিরা লোক সমাজে মিথ্যা-রটনা রটিয়ে সামাজিক ভাবে বিভিন্ন আচার অনুষ্টান এবং মসজিদে প্রবেশে নিষেধাজ্ঞা জারি করে পরিবারটিকে চার ৪'বছর ধরে একঘরে করে রাখা হয়েছে বলে, সত্যতা পাওয়া যায়।


ঘটনাস্থলে সামসুল হক,নিরঞ্জন মহন্ত,রমেশ চন্দ্র কর্মকারসহ নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক কয়েকজন 

স্থানীয়দের সঙ্গে কথা জানা যায়  -মানিক মিয়া,যাদু মিয়া ও মনু মিয়া কথিত সমাজপতি সেজে গ্রামে বিভিন্ন অনৈতিক কার্যকলাপের সঙ্গে যুক্ত, অবৈধ ক্ষমতার আধিপত্যের রাজত্বে গ্রামে বিভিন্ন বিচার সালিশে অর্থের বিনিময়ে দেওয়ানীদের ম্যানেজ করে  অন্যায় ও অবৈধ ভাবে অপরাধীদের পক্ষে দালাল হিসেবে কাজ করে থাকেন।এর সঙ্গে মসজিদের ইমাম মাওলানা আব্দুল মজিদও জড়িত আছে বলেও জানা যায়।


ভুক্তভোগী জেসমিন নাহার বলেন, মানিক মিয়া, যাদু মিয়া ও মনু মিয়া পাড়ার দেওয়ানী। ওরা- যা করবে, গ্রামবাসী তাই মেনে নেবে! ওরা আমাদের উপর অনেক জুলুম করেছে, আর কত সহ্য করব, চার বছর ধরে সহ্য করতে করতে, 

 অসহ্য হয়ে গেছে তাই বাধ্য হয়ে থানায় অভিযোগ দায়ের করেছি। 


জেসমিন নাহারের স্বামী শহিদুল ইসলাম বলেন, মানিক , যাদু ও মনু মিয়া এই গ্রামের খুব প্রভাবশালী। আমার সন্তানকে মক্তবে যেতে দেয় না- ওরা।  এটি আমাদের উপর জুলুম। সরকারের ও রংপুরের মানবিক পুলিশ সুপার বিপ্লব সরকার এর  কাছে ন্যায় বিচার চাই। 


খলেয়া ইউনিয়নের বিট ইনচার্জ উপপরিদর্শক ফারুক বলেন, আমি ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছি। দ্রুত আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।


গংগাচড়া থানার ওসি সুশান্ত কুমার সরকার বলেন, তদন্ত করে দ্রুত ব্যবস্থা নেয়া হবে।

Post a Comment

[blogger]

Amader Rangpur news

Contact Form

Name

Email *

Message *

Argon Maltimedia Bangladesh. Powered by Blogger.
Javascript DisablePlease Enable Javascript To See All Widget