মিঠাপুকুরে মানবতার ছায়া ফাউন্ডেশনের শীতার্থ মানুষদের মাঝে কম্বল বিতরণ
রুবেল ইসলাম,রংপুর অফিস
রংপুরের মিঠাপুকুর উপজেলায় ছিন্নমূল অসহায় মানুষের কল্যাণে নিয়োজিত সম্পূর্ণ অরাজনৈতিক একটি সামাজিক ফাউন্ডেশনের উদ্যোগে পৃথক পৃথকভাবে ২০০টি পরিবারের মাঝে কম্বল বিতরণ করা হয়।
“মানবতার ছায়া ফাউন্ডেশন”এর ব্যবস্থাপনায় শুক্রবার (২৪ ই ডিসেম্বর) সকালে উপজেলার কাফ্রিখাল ইউনিয়নে মকরমপুর গ্রামের পশ্চিমপাড়া জামে মসজিদ মসজিদের সামনে ও জুম্মার নামাজের পরে কেরামত মিয়ারহাট মহদীপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় মাঠে শীতার্থ মানুষদের মাঝে কম্বল বিতরণ করা হয়। মকরমপুর পশ্চিমপাড়া জামে মসজিদে কম্বল বিতরণের সময় সভাপতিত্ব করেন কাফ্রিখাল সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের অবসরপ্রাপ্ত শিক্ষক নুরুজ্জামান মাস্টার।এ সময় প্রধান অতিথি হিসাবে উপস্থিত ছিলেন কৃষিবিদ গোলাম মোস্তফা শাহীন(শাহীনুর),বিশেষ অতিথি মকরমপুর পশ্চিমপাড়া জামে মসজিদের খতিব মাওলানা আনোয়ার হোসেন এবং মানবতার ছায়া ফাউন্ডেশন আইন বিষয়ক সম্পাদক এডভোকেট রাশেদুল ইসলাম রাসেল, ত্রাণ বিষয়ক সম্পাদক রওশন আলী,ধর্ম বিষয়ক সম্পাদক রবিউল ইসলামসহ অন্যান্যরা।
বিকালে কেরামত মিয়ারহাট মহদীপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় মাঠে সাবেক ইউপি সদস্য সাহার উদ্দিন এর সভাপতিত্বে প্রধান অতিথি হিসাবে উপস্থিত ছিলেন শংকরপুর দাখিল মাদ্রাসার সুপার ইয়ার আলীর।এ সময় দপ্তর সম্পাদক সেলিম মিয়া, শিক্ষা বিষয়ক সহ-সম্পাদক আবু রায়হান,সংস্কৃতি বিষয়ক সহ-সম্পাদক রোকনুজ্জামান সহ স্থানীয় মুরুব্বিগণ উপস্থিত ছিলেন।
প্রসঙ্গ সম্পূর্ণ অরাজনৈতিক সংগঠন মানবতার ছায়া ফাউন্ডেশন ১৩টি লক্ষ্য ও উদ্দেশ্য নিয়ে অসহায় মানুষের কল্যাণে কাজ করছে। চলতি বছরে মিঠাপুকুর উপজেলার কাফ্রিখাল ইউনিয়নের মিয়ারহাটের কিছু তরুণ উদ্দ্যমী যুবদের নিয়ে প্রতিষ্ঠা লাভ করে।
উত্তম প্রসাদ পাঠক রংপুর মেট্রো ডিবির একজন সৎ নিষ্ঠাবান জনবান্ধব পুলিশ অফিসার
উত্তম প্রসাদ পাঠক রংপুর মেট্রো ডিবির একজন সৎ নিষ্ঠাবান জনবান্ধব পুলিশ অফিসার
স্টাফ রিপোর্টারঃ
দায়িত্ব পালনে জনবান্ধব এবং জনসাধারণের কাছে জনপ্রিয় হয়ে উঠা একজন পুলিশ অফিসার উত্তম প্রসাদ পাঠক। বর্তমান রংপুর নগরী যেন এক নিরাপত্তার চাদরে বসবাস করছে। অন্যদিকে রংপুর নগরীর আইন-শৃঙ্খলার সার্বিক উন্নয়নে রংপুর মেট্রোপুলিশ কমিশনার মানবতার ফেরিওয়ালা আবদুল আলীম মাহমুদ এর গৃহিত কর্মসূচীর বাস্তবায়ন ক্রমশ এগিয়ে যাচ্ছে রংপুর সিটি। দেশের জনগনের সার্বিক নিরাপত্তার জন্যে প্রয়োজন ভাল মানের পুলিশ প্রশাসন। যাদের কল্যানে আমাদের নিরপত্তা ব্যবস্থা নিশ্চিত হবে। সেজন্য প্রয়োজন সৎ, নিষ্ঠাবান, দায়িত্বশীল পুলিশ সদস্য। তবে বর্তমানে এ বাহিনীর কিছু কর্মকর্তা, পুলিশ সদস্যদের কাজের মাধ্যমে দিন দিন মানুষ বাহিনীটির উপর আস্তা ফিরে পাচ্ছে। তেমনি এক কর্মকর্তা রংপুর মেট্রোপলিটন পুলিশের অতিরিক্ত উপ-পুলিশ কমিশনার (ডিবি) উত্তম প্রসাদ পাঠক। বর্তমান সরকারের ভাবমূর্তি রক্ষার্থে নগরীর আইনশৃঙ্খলা নিয়ন্ত্রণে রাখতে বর্তমান রংপুর মেট্রোপুলিশ কমিশনার আবদুল আলীম মাহমুদ এর নেতৃত্বে ও নির্দেশনায় অতিরিক্ত উপ-পুলিশ কমিশনার উত্তম প্রসাদ পাঠক অক্লান্ত পরিশ্রম করে যাচ্ছেন। ইতোমধ্যেই সন্ত্রাসী,ডাকাত, মাদক ব্যবসায়ী গ্রেফতার, ওয়ারেন্টভুক্ত আসামী গ্রেফতার, অস্ত্র উদ্ধার সহ অপরাধ নিয়ন্ত্রণের মাধ্যমে প্রচুর সুনাম অর্জন করেছেন তিনি। রংপুর মেট্রোপলিটন পুলিশের আকাশে এক উজ্জল নক্ষত্র। যিনি তার দায়িত্ব পালন করে রংপুর নগরীর দৃষ্টি আকর্ষণ করতে সমর্থ হয়েছেন ভাল কাজ করে। তেমনি একজন দায়িত্বশীল, সৎ, নিষ্ঠাবান রংপুর মেট্রোপলিটন পুলিশের অতিরিক্ত উপ-পুলিশ কমিশনার (ডিবি) উত্তম প্রসাদ পাঠক।
রংপুর মেট্রোপলিটন পুলিশের গোয়েন্দা বিভাগের কর্মকর্তা হিসেবে দায়িত্বভার গ্রহনের নয় মাসের মধ্যে বার বার তিনি প্রশংসিত হয়েছেন কাজের মাধ্যমে । রংপুর মহানগরীর আইনশৃঙ্খলা ব্যবস্থাকে একটা ভাল অবস্থানে নিয়ে যাওয়ার পিছনে তার অবদানের কথা রংপুরের সাধারণ মানুষের জানা। তার কাজে জনসাধারন যেমন খুশি তেমনি তার অধিনস্থরাও সন্তুষ্ট। একজন সৎ, নিষ্ঠাবান, দায়িত্বশীল অফিসার হিসেবে ইতোমধ্যে তিনি স্থান করেছেন নগরবাসীর তথা সাধারণ মানুষের মনে। জানা গেছে, রংপুর মেট্রো পুলিশের অতিরিক্ত উপ-পুলিশ কমিশনার (ডিবি) হিসেবে যোগদানের পর থেকে তার চৌকস অফিসারদের নিয়ে রাত দিন পরিশ্রম করেন। রংপুর মেট্রোর বিভিন্ন এলাকার মাদক ব্যবসায়ীকে গ্রফেতার, মাদক উদ্ধার, মামলার ঝট কমানোর ক্ষেত্রে অভিযোগের ভিত্তিতে অফিসেই নিষ্পত্তি এছাড়াও ছিনতাইকারী, অপহরণকারী, জাল টাকা ব্যবসায়ী, অস্ত্রধারী সন্ত্রাসী,চোর, ডাকাত গ্রেপ্তারে বিশেষ অবদান রেখেছেন তিনি। যার ফলে স্থানীয় থানা ও পুলিশ বিভাগের প্রতি জনগনের স্বস্তি আসা ও আস্থা এবং বিশ্বাসের সৃষ্টি হয়েছে। এছাড়াও তার কঠোর হস্তক্ষেপের কারণে করোনা ভাইরাসে আতংকের সুযোগে ব্যবসায়ী এবং মজুদদাররা আতংকিত। খাটের নিচে তেলের খনি- টিসিবি’র ১২৩৮ লিটার সয়াবিন তেল জব্দ,টিসিবি’র ৬৪৮০ লিটার সয়াবিন তেল উদ্ধার টিসিবি’র ৩১০৭ লিটার সয়াবিন তেল ও ১৫০ কেজি চিনি উদ্ধার,টিসিবি’র ৫৫৪ লিটার সয়াবিন তেল এবং ১০০ কেজি চিনি উদ্ধার,টসিবি’র ১৭৫৬ লিঃ সয়াবিন তৈল, ৯০০ কেজি চিনি এবং ৫০ কেজি ডাল উদ্ধার,ওএমএস এর ১৪০ কেজি চাউল উদ্ধার,করোনা ভাইরাস নিয়ে গুজব সংক্রান্তে ৫ জন আটক,নকল ব্লিচিং পাউডার কারখানা জব্দ এবং ৮০ কেজি নকল ব্লিচিং পাউডার বাজেয়াপ্ত,নকল প্রসাধনী সামগ্রী উদ্ধার ,১৬০০ কেজি নকল ধানের বীজ উদ্ধার, নকল হ্যান্ড স্যানিটাইজার ও নকল হ্যান্ড স্যানিটাইজার তৈরীর সরঞ্জামাদি তৈরী কারখানায় অভিযান,মেডিকেল, ডায়াগনস্টিক সেন্টার এবং ক্লিনিক এ অভিযান,নকল প্লাস্টিক কারখানায় অভিযান,নকল ব্যাটারীর কেমিক্যাল ও নকল সরঞ্জাম তৈরীর কারখানায় অভিযান,ভেজাল সেমাই তৈরীর কারখানায় অভিযান,অস্বাস্থ্যকর ও অনুমোদনহীন বেকারীতে ভেজাল বিরোধী অভিযান,সাবান ফ্যাক্টরীতে ভেজাল বিরোধী অভিযান,শীর্ষ সন্ত্রাসী ও কুখ্যাত মাদক ব্যবসায়ী শাবলু গ্রেফতার,দালাল চক্র গ্রেফতার অভিযান খাটের নীচে তেলের খনি, টিসিবির মালামাল উদ্ধার,অবৈধ ক্লিনিকে অভিযান, রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে দফায় দফায় দালাল চক্রের সন্ধানে অভিযানের নেতৃত্বে সম্মুখ এই অফিসার কাজ করে যাচ্ছে অবিরাম। তার এই অভিযানে খুশী সাধারন মানুষ।
একের পর এক সাঁড়াশি অভিযানে লন্ডভন্ড করে দিয়েছে মাদকের অস্তানা। আলোচিত মামলার আসামীদের গ্রেফতার, অপহৃত উদ্ধার, টাকা, চোরাই মোটরসাইকেল উদ্ধারসহ রয়েছে নানা সাফল্য। এ ধারাবাহিকতা রক্ষা করতে পুলিশের পাশাপাশি ব্যক্তি ও পারিবারিক পর্যায়ে সচেতনতা বৃদ্ধির বিকল্প নেই। সৎ ও নিষ্ঠাবান অফিসার উত্তম প্রসাদ পাঠক জানান,বিগত বছরগুলোর তুলনায় চলতি বছর নগরীতে অপরাধ অনেকটাই কমে গেছে।পাশাপাশি প্রতিটি অপরাধকে গুরুত্ব দেওয়ায় কমেছে অন্যান্য অপরাধসমূহও।
তথ্য সুত্রঃ মেট্রোপলিটন ডিবি, রংপুর।
শ্যামপুরে চিনিকল বন্ধের প্রতিবাদে অর্ধদিবস হরতাল পালিত খন্দকার মিলন স্টাফ রিপোর্টার
চিনিকল বন্ধের প্রতিবাদে হরতাল ও বিক্ষোভ সমাবেশ করেছেন কারখানার শ্রমিক, কর্মচারী ও আখ চাষীরা
রংপুরের শ্যামপুর চিনিকলসহ দেশের ছয়টি চিনিকল বন্ধের প্রতিবাদে অর্ধদিবস হরতাল পালন করছে মিলের শ্রমিক, কর্মচারী ও আখ চাষীরা। আজ বুধবার সকাল ৬ টা থেকে দুপুর ১ টা পর্যন্ত জেলার বদরগঞ্জ উপজেলার শ্যামপুর চিনিকল এলাকায় এ হরতাল কর্মসূচি পালিত হয়।
আখ চাষী ও চিনিকলে কর্মরত কর্মচারী ও শ্রমিকরা সকাল থেকে চিনিকলের সামনের ফটকে অবস্থান নিয়ে এ কর্মসূচি পালন করে।
সমাবেশ থেকে আখ মাড়াই কার্যক্রম চালুসহ বন্ধ করে দেওয়া ছয়টি চিনিকল খুলে দেওয়ার দাবি জানানো হয়। এ সময় হরতালের প্রতি সমর্থন জানিয়ে স্থানীয় ব্যবসায়ীরাও তাদের দোকানপাট বন্ধ রাখেন।
এদিকে যেকোনো ধরনের অপ্রীতিকর ঘটনা এড়াতে শ্যামপুর চিনিকল এলাকায় অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়।
সমাবেশে আখ চাষী কল্যাণ সমিতির সাধারণ সম্পাদক মেহেদী হাসান সাগর জানান, গভীর ষড়যন্ত্রের অংশ হিসেবে চিনিকলগুলোকে বন্ধ করে দেয়ার পাঁয়তারা করা হচ্ছে। শ্যামপুর চিনিকলের সাতশ থেকে আটশ শ্রমিক, কর্মকর্তা ও কর্মচারী, ১২ হাজার আখ চাষীসহ প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষভাবে জড়িত প্রায় দেড় লক্ষাধিক মানুষের জীবন-জীবিকা হুমকির মুখে পড়েছে।
শ্যামপুরে চিনিকল বন্ধের প্রতিবাদে অর্ধদিবস হরতাল পালিত করছেন শ্রমিকরা
শ্যামপুর চিনিকল কর্মচারী ইউনিয়নের সাধারণ সম্পাদক বুলু আমিন বলেন, ‘১৫ টি চিনিকলের মধ্যে নয়টি চিনিকল চালু করলেও এখনো ছয়টি চিনিকল বন্ধ রয়েছে। এর মধ্যে শ্যামপুর চিনিকল একটি। অবিলম্বে এই চিনিকল চালু করে শ্রমিকদের বকেয়া বেতন পরিশোধসহ পাঁচ দফা দাবি মেনে নিতে হবে।’
দাবি মেনে না নেওয়া হলে রেলপথ, রাজপথ অবরোধসহ আরও কঠোর কর্মসূচি ঘোষণার হুঁশিয়ারি দিয়েছেন আন্দোলনকারীরা।
প্রসঙ্গত, গত ১ ডিসেম্বর দেশের ১৫টি চিনিকলের মধ্যে ছয়টি চিনিকলে আখমাড়াই বন্ধ রেখে ৯ টি চিনিকলে আখ মাড়াই চালু রাখার সিদ্ধান্ত নেয় বাংলাদেশ চিনি ও খাদ্য শিল্প করপোরেশন।