Latest Post

 উন্নয়ন ও বেকারত্ব


সিরাজুল ইসলাম-উদ্যোক্তা ও বিশিষ্ট শিল্পপতি   

বর্তমান সরকার ক্ষমতায় এক যুগের বেশী সময়। এই সময়ে মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর নেতৃত্বে দেশে অভুতপূর্ব উন্নয়ন হয়েছে। প্রতিটি ক্ষেত্রেই বাংলাদেশ যে সফলতা দেখিয়েছে, সেটা দেখে সারা বিশ্ব অবাক। এখন সারা বিশ্বের বিস্ময় শেখ হাসিনার নেতৃত্ব,বিচক্ষণতা,সততা ও দূরদর্শিতা। বাংলাদেশ এখন সারা বিশ্বের উন্নয়নের রোল মডেল।


মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শুধুমাত্র অবকাঠামোর উন্নয়নকেই প্রাধান্য দেননি, যাতে দেশে শিল্প-বাণিজ্য সম্প্রসারিত হয় সেজন্য সারা দেশে সরকারি ও বেসরকারি একশত অর্থনৈতিক অঞ্চল গঠন করার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। 


ইতোমধ্যেই ১০/১২টি অর্থনৈতিক অঞ্চলে স্হাপিত শিল্প-কারখানায় স্বল্প পরিসরে উৎপাদন শুরু হয়েছে। 

২৮ টির উন্নয়ন কাজ দ্রুততার সাথে এগিয়ে চলছে। 


সারাদেশে অর্থনৈতিক অঞ্চল করার মুল কারন হল মানুষের দার-গোড়ায় চাকুরী, ব্যবসাসহ বিভিন্নভাবে কর্মক্ষম ব্যক্তিদের আয় বাড়ানো, সামাজিক স্হিতিশীলতা নিশ্চিত করা, বৈষম্য কমানো এবং বেকার সমস্যা সমাধান করা।কর্মহীন মানুষকে কাজের সুযোগ সৃষ্টি করে অর্থনৈতিক স্বচ্ছলতা নিশ্চিত করা।  


২০৩০ সাল নাগাদ ১০০টি অর্থনৈতিক অঞ্চল প্রতিষ্ঠিত হবে। ইতিমধ্যেই ৯৩ টি অনুমোদন পেয়েছে। করোনা মহামারির মধ্যেও মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর নেতৃত্বে(ভার্চুয়াল সভায়) ২০আগষ্ট ২০২০ বেজার বোর্ড সভায় ১০টি অর্থনৈতিক অঞ্চল অনুমোদন পায়। 


সেগুলো হল,

১।ঢাকার নবাবগঞ্জে নবাবগঞ্জ অর্থনৈতিক অঞ্চল,

২।টাঙ্গাইলের ভূঞাপুরে টাঙ্গাইল অর্থনৈতিক অঞ্চল,

৩। নওগাঁয় সাপাহার অর্থনৈতিক অঞ্চল, 

৪।দিনাজপুর সদরে দিনাজপুর অর্থনৈতিক অঞ্চল, 

৫।নোয়াখালীর কোম্পানীগঞ্জে নোয়াখালী অর্থনৈতিক অঞ্চল, 

৬।চট্টগ্রামের সন্দ্বীপে সন্দ্বীপ অর্থনৈতিক অঞ্চল, 

৭।সুনামগঞ্জের ছাতকে সুনামগঞ্জ অর্থনৈতিক অঞ্চল


৮।পাবনার বেড়ায় পাবনা অর্থনৈতিক অঞ্চল, 

৯।বরিশালের হিজলায় চরমেঘা অর্থনৈতিক অঞ্চল ও 


১০।মানিকগঞ্জের শিবালয়ে মানিকগঞ্জ অর্থনৈতিক অঞ্চল।


শুনেছিলাম পীরগঞ্জেও একটি হবে। 

মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর শ্বশুরবাড়ী এবং পীরগঞ্জের এমপি মহান জাতীয় সংসদের স্পীকার তিনিও রাষ্ট্রের গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তি।


তবুও কি আমরা ১০০ থেকে বঞ্চিত হব ?


অর্থনৈতিক অঞ্চল হলে সেখানে অনেক শিল্প প্রতিষ্ঠিত হবে। হাজার হাজার মানুষের কর্মসংস্হান হবে। হাজার হাজার কর্মজীবি মানুষের কলকাকলীতে আরও হাজারো আয়ের পথ খুলে যাবে, সৃষ্টি হবে নতুন দিগন্ত।  জমির মুল্য বৃদ্ধি পাবে, মানুষের আয় বাড়বে,কৃষক তার উৎপাদিত পণ্যের ভাল দাম পাবে,হাঁস- মুরগী, গরু-ছাগল, ডিম-দুধ সহ সকল পণ্যের ব্যাপক চাহিদা সৃষ্টি হবে। 

যারা জীবন-জীবিকার তাগিদে পীরগঞ্জ ছেড়ে ঢাকা বা অন্য কোথাও মানবেতর জীবন যাপন করেন তারাও মাথা উঁচু করে বাড়ীতে থেকেই কাজ করতে পারবে। 

হাজার হাজার শিক্ষিত বেকার তরুন-তরুণীর কর্মসংস্হান হবে। 


পীরগঞ্জেও অনেক উন্নয়ন হয়েছে এবং হচ্ছে ,অনেক অবকাঠামো তৈরী হয়েছে কিন্তু এগুলির অর্থনৈতিক সুফল খুব সামান্যই ভোগ করবে পীরগঞ্জবাসী। 

কারন এই সকল অবকাঠামো নির্মাণে যে পরিমান জমি ব্যবহার করা হয়েছে,সে তুলনায় এই সমস্ত প্রতিষ্ঠানে পীরগঞ্জের মানুষ সরাসরি তেমন উল্লেখযোগ্য কেউ কাজের সুযোগ বা চাকুরী পায় নাই।

 

পীরগঞ্জের মানুষের যত বড় আশা ছিল, সে অনুযায়ী উন্নয়নও হয় নাই। 

পীরগঞ্জে প্রতিষ্ঠিত প্রতিষ্ঠান সমুহে পীরগঞ্জের মানুষ তেমন চাকুরী পায় নাই। সাধারণত ছোট ছোট পদগুলোতে স্হানীয়রা অগ্রাধিকার পায়।


কেন এমন হল ?


এজন্য কার কাছে অভিযোগ করবো ?


ন্যাশনাল সার্ভিস সরকারের পাইলট প্রকল্পে আমাদের পাশের থানা মিঠাপুকুরে কাজ পেয়েছে প্রায় ১১ হাজার বেকার তরুন-তরুনী আর পীরগঞ্জে পাঁচ হাজারে কিছু কম বা বেশী। 


আমরা এত কম পেলাম কি কারণে ?


রাস্তা-ঘাট, স্কুল-কলেজ, মসজিদ-মন্দির ও বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান এবং অবকাঠামো তৈরী করলেই উন্নয়ন হয় না। টেকসই উন্নয়নের জন্য সবার আগে প্রয়োজন মান সম্পন্ন শিক্ষা,কর্মসংস্হান, বেকারত্ব হ্রাস এবং অর্থনৈতিক স্বচ্ছলতা। 


আমরা উন্নয়ন এবং কর্মসংস্হান দুইটাই চাই। 


সমস্ত অর্থনৈতিক অঞ্চল প্রতিষ্ঠায় সংশ্লিষ্ট এলকার এমপি বলিষ্ঠ ভুমিকা রেখেছেন। 


আমরাও উন্নয়ন ও কর্মসংস্হান সৃষ্টিতে আমাদের জনপ্রতিনিধির আরও বলিষ্ঠ ভুমিকা দেখতে চাই। 


পুনশ্চঃ যদি ১০০ অর্থনৈতিক অঞ্চলের একটিও আমরা না পাই তাহলে আমরা ৫০ বছর পিছিয়ে থাকবো।

"ইউপি সদস্যের বিরুদ্ধে ধর্ষককে সহযোগীতার অভিযোগ"

রংপুরে ভিকটিমকে তুলে নিয়ে গেলেন ধর্ষন ও

অপহরন মামলার আসামিরাঃপুলিশ সুপারের

হস্তক্ষেপ কামনা


নিজস্ব সংবাদদাতা  

রংপুরের সদ্যপুস্করিনী ইউনিয়নের কাটাবাড়ি মিলবাজার'র হোটেল ব্যবসায়ী বাবলু মিয়ার দশম শ্রেণীর ছাত্রী শ্রাবন্তি (ছদ্মনাম) নামে এক নাবালিকা অপহৃতাকে রংপুর কোতয়ালি থানার সহযোগীতায় গত ৯ই মার্চ ঢাকা থেকে উদ্ধার করে নিয়ে আসা হলেও গত বুধবার বাড়ির সামনে থেকে আবারও স্থানীয় ইউপি সদস্য ও তার লোকজনের ইশারায় ভিকটিমকে অপহরন করে নিয়ে যাওয়ার গুরুত্বর অভিযোগ উঠেছে।এ ঘটনায় রংপুর জেলা পুলিশ সুপারের হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন ভুক্তভোগী পরিবার।



রংপুর কোতয়ালি থানা ও ভিকটিমের পরিবারের

দায়েরকৃত মামলা সুত্রে জানাযায়, গত ৭ মার্চ দিবাগত রাত আনুমানিক ৮টায় রংপুর সদর উপজেলার সদ্যপুস্করিনী ইউনিয়নের ১নং ওয়ার্ডের কাটাবাড়ি এলাকার হোটেল ব্যবসায়ী বাবলু মিয়ার নাবালিকা মেয়ে, খোড়াগাছ উচ্চ বিদ্যালয়ের নবম শ্রেণীর ছাত্রী শ্রাবন্তি(ছদ্মনাম) কে একই এলাকার কফুর উদ্দিনের ছেলে বখাটে

মাসুদ রানা (২২) তার বন্ধু ফয়জার আলীসহ অজ্ঞাতনামা বেশ ক'জনের সহযোগীতায় অপহরন করে ঢাকায় নিয়ে যায়।



 পরে পুলিশের সহযোগীতায় বাবলু মিয়ার নাবালিকা মেয়ে, খোড়াগাছ উচ্চ বিদ্যালয়ের নবম

শ্রেণীর ছাত্রী শ্রাবন্তি(১৪)(ছদ্মনাম) কে ঢাকা থেকে উদ্ধার করে নিয়ে আসা হয়। পরে মেয়েটিকে রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের ওসিসি বিভাগে ভর্তি করা হয়। সেখানে চিকিৎসা শেষে গত ২২ মার্চ রংপুর কোতয়ালি থানায় মেয়ের বাবা বাবলু বাদী হয়ে মাসুদ রানাসহ সহযোগী ৪জনকে বিবাদী করে একে অপরের সহায়তায় অপহরন ও ধর্ষনের অভিযোগে ২০০০ সালের নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইন(সংশোধনী ২০০৩) এর ৭/৯(১)/৩০ পেনাল কোড অনুযায়ী এজাহার দায়ের করেন।

যার মামলা নং-১৪। 





এঘটনায় গত মঙ্গলবার প্রধান আসামী মাসুদের বন্ধু ইটভাটা শ্রমিক ফয়জার আলীকে' গ্রেফতার

করে এসআই তৌহিদুল ইসলাম ও তার সঙ্গীয় ফোর্স।এদিকে ফয়জার আলীকে গ্রেফতারের পরদিন বুধবার ভোরের নামাজের পর বাড়ির বাইরে বাথরুম যাওয়ার প্রাক্কলে মামলার প্রধান আসামীসহ অপর আসামীরা ভিকটিম নাবালিকা মেয়েটিকে আবারও অপহরন করে নিয়ে যায়।


মামলার বাদী বাবলুর অভিযোগ, স্থানীয় মাতব্বর ইউপি সদস্য আনোয়ারুল ইসলামসহ কতিপয় স্বার্থান্বেষী মহলের ইশারায় তার মেয়েকে আবারও তুলে নিয়ে যাওয়া হয়েছে।


অপহৃতার বাবা সাংবাদিকদের জানান, স্থানীয় মাতব্বর ইউপি সদস্য আনোয়ারুল ইসলাম ইতিপূর্বে অপহরনকারীদের পক্ষ নিয়ে ২শ টাকার ননজুডিশিয়াল স্ট্যাম্পে মনগড়া অঙ্গিকারনামা লিখে স্বাক্ষর নেয়ার জন্য আমার কাছে লোক মাধ্যমে পাঠায়। কিন্তু আমি তাতে স্বাক্ষর না দিয়ে ননজুডিশিয়াল স্ট্যাম্প টি আটকে দেই। এতে স্থানীয় মাতব্বর ইউপি সদস্য আনোয়ারুল ইসলামসহ তার পালিত লোকজন আমার ও আমার পরিবারের উপর ক্ষিপ্ত হয়ে উঠে এবং দেখে নেয়ার হুমকী দেন। এরই অংশ হিসেবে আমার নাবালিকা মেয়েকে মাসুদরানা গং অাবারও অপহরন করে নিয়ে যায়।


সরেজমিনে দেখা-গেছে প্রধান আসামী মাসুদ রানা ও তার পরিবারের লোকজন বাড়িঘরে তালা মেরে সবাই পালিয়ে গেছেন। কোথায় পালিয়ে গেছেন আশপাশের লোকজন তা নিশ্চিত বলতে পারেননি।

 রংপুর মেট্রোপলিটন গোয়েন্দা বিভাগ (ডিবি) কর্তৃক সাঁড়াশি অভিযানে ৩ টনের অধিক নিষিদ্ধ পলিথিন জব্দ

--------------------------------------------------------------
রংপুর মহানগরীকে সরকার কর্তৃক ঘোষিত নিষিদ্ধ পলিথিন মুক্ত করার লক্ষে গত ২১/০৩/২০২১ খ্রি. রংপুর মহানগরীর নবাবগঞ্জ বাজারে রংপুর মেট্রোপলিটন ডিবি পুলিশ কর্তৃক পরিবেশ দূষণকারী পলিথিন বিরোধী সাঁড়াশি অভিযান পরিচালিত হয়। অভিযানে ৪ ব্যক্তির মালিকানাধীন ০৪ টি পলিথিনের দোকান এবং সংশ্লিষ্ঠ ০৪ টি গুদামে অভিযান পরিচালনা করে সর্বমোট ১৫২ বস্তা যার মোট ওজন ৩০৪০ কেজি সরকার নিষিদ্ধ পলিথিন জব্দ করা হয়। যার আনুমানিক বাজার মূল্য- প্রায় ৯,১২,০০০ (নয় লক্ষ বার হাজার) টাকা। 
গোপন সংবাদের ভিত্তিতে রংপুর মেট্রোপলিটন গোযেন্দা বিভাগ (ডিবি) এর উপ-পুলিশ কমিশনার (ডিবি) জনাব কাজী মুত্তাকী ইবনু মিনান মহোদয়ের নির্দেশনায় সহকারী পুলিশ কমিশনার (ডিবি) জনাব মোঃ ফারুক আহমেদ এর পরিকল্পনা ও নেতৃত্বে ইন্সপেক্টর (নিঃ) মোঃ সালেহ আহমেদ পাঠান,  ইন্সপেক্টর (নিঃ) এবিএম ফিরোজ ওয়াহিদ, এসআই(নিঃ) গোলাম মোর্সেদ, এসআই(নিঃ) তছলিম উদ্দিন আহমেদ, এসআই(নিঃ) মোঃ নাজমুল ইসলাম, এসআই(নিঃ) মোঃ আবু ছাইয়ুম তালুকদার,  এসআই(নিঃ) মোঃ লাকু সরকার এবং সঙ্গীয় অফিসার ও ফোর্সসহ পরিবেশ অধিদপ্তর, রংপুর এর প্রতিনিধীদের  সহায়তায় আরপিএমপি কোতয়ালী থানাধীন রংপুর সুপার মার্কেট সংলগ্ন নবাবগঞ্জ মার্কেট এর ভিতরে এ অভিযান পরিচালনা করা হয়। 


এ অভিযানে 
১. মোঃ ওবায়দুল ইসলাম (৩৫), পিতা- আলাউদ্দিন মিয়া, সাং- শালবন মিস্ত্রিপাড়া, থানা-কোতয়ালী, মহানগর, রংপুর এর চায়না লেন মেসার্স নয়ন স্টোর নামে দোকান ও ভাড়ায় চালিত গোডাউন ঘর তল্লাশী করে (২০+৪০)=৬০ (ষাট) বস্তা সরকার কর্তৃক নিষিদ্ধ ঘোষিত পলিথিন ব্যাগ উদ্ধার করা হয়। বস্তাগুলো ওজন করে প্রতিটি বস্তা ২০ (বিশ) কেজি করে মোট (৬০দ্ধ২০)=১২০ কেজি, যার মূল্য আনুমানিক (১২০দ্ধ ৩০০)= ৩,৬০,০০০/-(তিন লক্ষ ষাট হাজার) টাকা।
২. মোঃ আমান উল্ল্যাহ খান (৫৫), পিতা- মৃত আব্দুল হাই খানা, সাং- নবাবগঞ্জ বাজার (গুদরিবাজার) হীনদা গলি ভাড়াটিয়া (দোকান মালিক সমিতি ভোটার নং-৫১২), থানা-কোতয়ালী, মহানগর, রংপুর এর ভাড়ায় চালিত গোডাউন ঘর তল্লাশী করে (২০+৪০)=৬০ (ষাট) বস্তা সরকার কর্তৃক নিষিদ্ধ ঘোষিত পলিথিন ব্যাগ উদ্ধার করা হয়। বস্তাগুলো ওজন করে প্রতিটি বস্তা ২০ (বিশ) কেজি করে মোট (৬০দ্ধ২০)=১২০ কেজি, যার মূল্য আনুমানিক (১২০দ্ধ ৩০০)= ৩,৬০,০০০/-(তিন লক্ষ ষাট হাজার) টাকা।
৩. মোঃ ফরিদ (৩০), পিতা-অজ্ঞাত, সাং- অজ্ঞাত, থানা- অজ্ঞাত, রংপুর মহানগর, রংপুর এর ভাড়ায় চালিত গোডাউন ঘর তল্লাশী করে ২৪(চব্বিশ) টি পুরাতন প্লাষ্টিকের বস্তার ভিতরে রক্ষিত অবস্থায় সরকার কর্তৃক নিষিদ্ধ ঘোষিত পলিথিন ব্যাগ উদ্ধার করা হয়। বস্তাগুলো ওজন করে প্রতিটি বস্তা ২০ (বিশ) কেজি করে মোট (২৪দ্ধ২০)=৪৮০ (চারশত আশি) কেজি, যার মূল্য আনুমনিক (৪৮০দ্ধ৩০০)= ১,৪৪,০০০/-(এক লক্ষ চুয়াল্লিশ হাজার) টাকা এবং
৪. মোঃ আবু তাহের (৩৫), পিতা- মোঃ হাসান আলী @ হাসান মুন্সী, সাং- হনুমানতলা, থানা- কোতয়ালী, রংপুর মহানগর, রংপুর  এর ভাড়ায় চালিত গোডাউন ঘর তল্লাশী করে ০৮(আট) টি পুরাতন প্লাষ্টিকের বস্তার ভিতরে রক্ষিত সরকার কর্তৃক নিষিদ্ধ ঘোষিত পলিথিন ব্যাগ উদ্ধার করা হয়। প্রতিটি বস্তা ২০ (বিশ) কেজি করে মোট(৮দ্ধ২০)=১৬০ (একশত ষাট) কেজি যার মূল্য আনুমানিক (১৬০দ্ধ৩০০)=৪৮,০০০/-(আটচল্লিশ হাজার) টাকা।
জব্দকৃত পলিথিনের মালিক ও অপরাধের সাথে সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে আরপিএমপি কোতয়ালী থানায় মামলা রুজু করা হয়। মামলাগুলো যথাক্রমে আরপিএমপি, কোতয়ালী থানার মামলা নং-৫৩,৫৪,৫৫,৫৬ এবং সবগুলো মামলাই ‘পরিবেশ সংরক্ষণ আইন-১৯৯৫(সংশোধনী/২০১০)’ এর ৪(ক)/(খ)’ ধারা।
পলিথিন আমাদের পরিবেশ ও মানবদেহের জন্য মারাত্মক  ক্ষতিকর। স্বাভাবিকভাবে পলিথিন পঁচনশীল নয়। ব্যবহৃত পলিথিনের পরিত্যক্ত অংশ দীর্ঘদিন অপরিবর্তিত ও অবিকৃত থেকে মাটি, পানি ইত্যাদি দূষিত করে। পলিথিন মাটির উবর্বরতা হ্রাস করে ও মাটির গুনাগুন পরিবর্তন করে ফেলে। পলিথিন পোড়ালে এর উপাদান পলিভিনাইল ক্লোরাইড পুড়ে কার্বন মনোক্সাইড উৎপন্ন হয়ে বাতাস দূষিত করে। পলিথিনের ব্যাগ ও অন্যান্য জিনিস শহরের পয়ঃনিষ্কাশন ব্যবস্থায় প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করে। ‘নারডল’ নামক এক প্রকার প্লাস্টিক বর্জ্য সমুদ্রের পানিতে মিশে পানি দূষিত হচ্ছে। এতে সামুদ্রিক জীববৈচিত্র হুমকির মুখে পড়ছে। পলিথিন ও বিভিন্ন প্লাস্টিক পণ্য ব্যাপকভাবে ব্যবহারে সারাদেশে খাল-বিল, নদী-নালা থেকে শুরু করে সমুদ্র্র পর্যন্ত প্লাস্টিক ছড়িয়ে পড়ছে। এতে পরিবেশ মারাত্মকভাবে দূষিত হচ্ছে। যত্রতত্র পলিথিনের ব্যবহারের ফলে মানবদেহে বিভিন্ন শারীরিক সমস্যাসহ ক্যান্সারও হয়। সেই সাথে মারাত্মক হুমকির মুখে পড়েছে জীববৈচিত্র্য। 
জব্দকৃত পলিথিনের উৎপাদন, মজুদ, পরিবহন ও বাজারজাতকরণ থেকে খুচরা বিক্রির সাথে জড়িত সকলকে বিস্তৃত ও নিবিড় তদন্তের মাধ্যমে সনাক্ত করে আইনের আওতায় আনা হবে। 
রংপুর মহানগরী এলাকাকে সরকার কর্তৃক ঘোষিত নিষিদ্ধ পলিথিন মুক্ত করার লক্ষ্যে রংপুর মেট্রোপলিটন গোয়েন্দা বিভাগ (ডিবি) টিম এর অভিযান অব্যহত থাকবে। পলিথিন মুক্ত, পরিচ্ছন্ন ও পরিবেশবান্ধব রংপুর মহানগরী গড়ে তোলার লক্ষ্যে রংপুর মেট্রোপলিটন গোয়েন্দা বিভাগ (ডিবি) টিম সদা তৎপর। এ লক্ষ্যে সার্বক্ষণিক নজরদারী ও প্রয়োজনীয় অভিযান অব্যাহত থাকবে। এ বিষয়ে তথ্য প্রদান করে সহযোগিতা করে সকল সম্মানিত নাগরিক, সাংবাদিক ও মিডিয়াকর্মীদের সহযোগিতা করার জন্য অনুরোধ করা হলো।

 

মিঠাপুকুরের জল,স্থল অন্তরীক্ষে আশিকুর রহমানের ভূমিকা অনশীকার্য-রাশেক রহমান

রুবেল ইসলাম,রংপুর অফিস

রংপুরের মিঠাপুকুর উপজেলার বালুয়া মাসিমপুর ইউনিয়নের হেলেঞ্চা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় মাঠে কোটি ৬৭ লাখ টাকা ব্যয়ে ১০ শয্যা বিশিষ্ট মা শিশু কল্যাণ কেন্দ্রের ভিত্তি প্রস্তর স্থাপন করেন বাংলাদেশ আওয়ামীলীগের প্রচার প্রকাশনা উপকমিটির সদস্য এবং বিশিষ্ট মিডিয়া ব্যক্তিত্ব রাশেক রহমান।ভিত্তি প্রস্তর স্থাপন অনুষ্ঠানে মূখ্য আলোচকের বক্তব্যে তিনি এই মন্তব্য করেন।

মিঠাপুকুরের জল,স্থল অন্তরীক্ষে  আশিকুর রহমানের ভূমিকা অনশীকার্য-রাশেক রহমান
মৃখ্য আলোচক হিসাবে বক্তব্য রাখছেন তারুণ্যের অহংকার রাশেক রহমান

 

 

শনিবার(২০শে মার্চ)বিকেলে ভিত্তি প্রস্তর স্থাপন শেষে ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের সৌজন্যে এক আলোচনা সভার আয়োজন করা হয়। এতে ভার্চুয়ালে প্রধান অতিথি হিসাবে উপস্থিত ছিলেন আওয়ামীলীগের কেন্দ্রীয় কমিটির কোষাধাক্য,জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় সর্ম্পকিত স্থায়ী কমিটির সভাপতি মিঠাপুকুর- আসনের বারবার নির্বাচিত সাংসদ এইচ এন আশিকুর রহমান বিশেষ অতিথি হিসাবে উপস্থিত ছিলেন ভার্চুয়ালে আশিকুর রহমানের সহধর্মিণী বাংলাদেশ রেড ক্রিসেন্ট সোসাইটির ব্যবস্থাপনা পর্ষদ এর সদস্য , রংপুর ইউনিটের সহ-সভাপতি এবং লাবণ্য প্রকল্পের প্রধান সমন্বয়ক রেহেনা আশিকুর রহমান। এছাড়া আরও উপস্থিত ছিলেন উপজেলা আওয়ামীলীগের সাবেক সভাপতি মোজাম্মেল হক মিন্টু মিয়া,নির্বাহী প্রকৌশলী স্বাস্থ্য অধিদপ্তর রংপুরের মনি কুমার শর্মা,ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক চৌধুরী সেলিম সরকারসহ ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের নেতাকর্মীরা।

প্রধান আলোচকের আলোচনায় রাশেক রহমান প্রথমে তার ১০ বছরের একমাত্র কন্যা অসুস্থতার কারণে ঢাকার ইউনাইটেড হাসাপাতালে ভর্তি থাকার কারণে তার জন্য সকলের কাছে দোয়া প্রার্থনা করেন।পাশাপাশি তিনি গত বৃহস্পতিবার যখন তার মেয়েকে হাসপাতালে ভর্তি করার কথা উল্লেখ করে বলেন-ডাক্তাররা তাদের কাজ করবে,তিনি বাবা হিসাবে তার কাজ করবেন এবং তার মা মা হিসাবে মায়ের কাজ করবেন বলে জানান।সেই সময় হাসপাতালে বসে তার মনে হয়েছে কিছু সাদাকা বা ভালো কাজ করা প্রয়োজন এরি ধারাবাহিকতায় তিনি তার বাবার পক্ষ থেকে এই মা ও শিশু কল্যাণ কেন্দ্রের উদ্বোধন করার জন্য আসেন বলে জনগণকে অবগত করেন।

বক্তব্যের এক পর্যায়ে তিনি বলেন-পরীক্ষা কেন্দ্রে পরীক্ষা দিয়ে কোন সন্তান যখন ভালো ফলাফল করে সেই মেধাবী সন্তানের হাত ধরে অনুভব করা যায়-তার মেধা?তার পুষ্টি? তার বুদ্ধিমত্তার পিছনেও আশিকুর রহমানের হাত রয়েছে।পুষ্টি প্রকল্প থেকে শুরু করে ঘরে ঘরে ফলজ বৃক্ষ অথবা লাবণ্য প্রকল্পের কথাই যদি বলা হয় তাহলে সব জায়গায় আশিকুর রহমানের অবদান বিচরণ।এ সময় ছোট বেলায় রচনার বইয়ে পড়া একটি বাক্যের কথা উল্লেখ করেন।তিনি বলেন-“জল,স্থল অন্তরীক্ষে সচত সঞ্চাচরণ”তেমনি মিঠাপুকুরেও অন্তরীক্ষ আছে? আর মিঠাপুকুরের জল,স্থল অন্তরীক্ষে আশিকুর রহমানের ভূমিকা অনশীকার্য বলে তিনি মন্তব্য করেন।তিনি আরও বলেন-মিঠাপুকুরের মানুষের সবসময় পাশে থেকে সেবা  করার প্রতিশ্রুতি প্রদান করেন।

 

 স্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদপ্তর স্বাস্থ্য পরিবার কল্যাণ মন্ত্রনালয় এর কাজটি সম্পুর্ন করার লক্ষ্যে কাজ করছেন মাজেদা ইন্টারপ্রাইজ নামে একটি ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান।

Amader Rangpur news

Contact Form

Name

Email *

Message *

Argon Maltimedia Bangladesh. Powered by Blogger.
Javascript DisablePlease Enable Javascript To See All Widget