মিঠাপুকুরে শিশুকে ধর্ষণ চেষ্টার অভিযোগ বৃদ্ধের বিরুদ্ধে
মিঠাপুকুর প্রতিনিধি
মিঠাপুকুর উপজেলার লতিবপুর ইউনিয়নের অভিরামপুর গ্রামে ৬২ বছরের এক বৃদ্ধের নামে একটি চার বছরের শিশুকে ধর্ষণের চেষ্টা করার অভিযোগ উঠেছে। এ ঘটনায় ঐ এলাকায় বেশ চাঞ্চল্যের পরিবেশ সৃষ্টি হয়েছে।
ঘটনাটি ঘটার পর থেকে ইতোমধ্যে আরো কয়েকটি শিশু তাদের অভিভাবকদের ঐ বৃদ্ধের বিষয়ে নানান অভিযোগ তুলেছেন। এ নিয়ে ঐ বৃদ্ধকে মারধর করেছেন এলাকাবাসী।
এলাকাবাসী ও স্হানীয়রা জানান-অভিরাপুর গ্রামের পূরাতন মসজিদ সংলগ্ন চৌপতির মোড়ে নিজ বাড়িতে একটি ছোট মুদির দোকান রয়েছে অভিযুক্ত আলম (৬২) নামে এক বৃদ্ধের। আলম পেশায় রাজমিস্ত্রীর কাজ করলেও মাঝে মাঝে তার মুদির দোকানে বসতেন। গত ১৬ মে (সোমবার) দুপুরে পাশ্ববর্তী বাড়ির চার বছরের এক শিশু আলমের দোকানে তার বাবার কাছে পটেটো কেনার টাকা নিয়ে ঐ- মুদির দোকানে গেলে আলম, ঐ শিশুটিকে কৌশলে তার বাড়ির ভিতরে ঢুকিয়ে বাচ্চাটির স্পর্শ কাতর জায়গায় হাত বুলাতে থাকেন।
দোকানে খরচ করতে আসা শিরিনা বেগম আলমকে ডাকতে তার ঘরে প্রবেশ করলে তিনি বিষয়টি দেখতে পেয়ে চিৎকার দিয়ে আশেপাশের লোকজনকে ডাকেন। শিশুটির সঙ্গে কথা বলে বিষয়টি নিশ্চিত হয়ে আলমকে মারধর করেন স্হানীয়রা।
এ নিয়ে শিশুটির বাবা এলাকাবাসীর কাছে বিচার দাবি করে আসছিলেন। এ ঘটনা প্রকাশ হবার পর, বিভিন্ন সময়ে আলমের দোকানে খরচ করতে আসা আরো দুটি শিশু আলমের বিরুদ্ধে পূর্বে তাদের সঙ্গে কৌশলে শরীরের বিভিন্ন জায়গায় হাত দেওয়ার অভিযোগ তুলেন।
এ বিষয়ে অভিযুক্ত আলমের সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি জানান, মসজিদ বিষয়ে তাদের সমাজের মধ্যে তার সঙ্গে বিভেদ চলছে। তাকে ফাঁসাতে এমন নোংরা অভিযোগ করেছেন এলাকাবাসী। তিনি জানান, শিশুটি আমার নাতি হয়। আমার দোকানে খরচ করতে আসলে আমার শরীর খারাপ থাকায় শিশুটিকে ঘরে আসতে বলি। নাতি হিসেবে তার প্যান্ট পরে দিতে গিয়ে আমার বিরুদ্ধে এসব অভিযোগ।
বাকী শিশুদের অভিযোগের বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি জানান, আমি ঠাট্টা করার বিষয়টি তারা ভিন্নভাবে রটিয়ে এ ঘটনার সঙ্গে যুক্ত করছেন।
শিশুটির বাবা তাজিরুল ইসলাম জানান, গ্রামের লোকজনকে বিচার দেওয়া হয়েছে। সঠিক সমাধান না হলে আমি আইনি ব্যবস্হা নিবো।
গত বুধবার (১৮ মে) রাতে অভিযোগের বিষয়ে মিঠাপুকুর থানা পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন। এ বিষয়ে মিঠাপুকুর থানা এবং লতিবপুর ইউনিয়নের বিট অফিসার এসআই সুনিরাম টপ্প্য জানান, ঘটনাস্থলে গিয়ে বিষয়টি নিয়ে কথা বলেছি, শিশুটির পরিবার চাইলে থানায় অভিযোগ দায়ের করতে পারেন। এখন পর্যন্ত এ বিষয়ে কেউ কোন লিখিত অভিযোগ করেনি। বৃদ্ধকে শাসন করার বিষয়টি সঠিক।