Latest Post

দক্ষতা অর্জনের বিশেষ উপায় হলো প্রশিক্ষণ....... জেলা কমান্ড্যান্ট

ডেক্স নিউজ
দক্ষতা অর্জনের বিশেষ উপাদান হলো প্রশিক্ষণ । প্রশিক্ষ লব্ধ জ্ঞানকে কাজে লাগিয়ে ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র প্রকল্পের মাধ্যমে আত্মকর্মসংস্থান সৃষ্টি করে জনগণের কল্যাণে ও সমাজের উন্নয়নে সন্ত্রাস, জঙ্গীবাদ,মাদক,যৌতুক বাল্যবিবাহ,নারী নির্যাতনসহ সামজিক অকক্ষয় রোধমূলক কর্মকান্ডে সকল প্রশিক্ষণ প্রাপ্ত ভিডিপি সদস্যদের আন্তরিকভাবে কাজ করে উল্লেখযোগ্য ভূমিকা পালন করতে হবে। শনিবার (২৬ অক্টোবর) নগরীর মাহিগঞ্জ আনসার ভিডিপি প্রশিক্ষণ কেন্দ্রে রংপুর আনসার ও গ্রাম প্রতিরক্ষা বাহিনীর ২১ দিন মেয়াদী অস্ত্রসহ ৯০জন ভিডিপি সদস্যদের ২য় ধাপে মৌলিক প্রশিক্ষণে উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি নবাগত জেলা কমান্ড্যান্ট এ এইচ এম মেহেদী হাসান উপরোক্ত কথা বলেন। অনুষ্টানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন মিঠাপুকুর উপজেলার আনসার ভিডিপি কর্মকর্তা ও প্রশিক্ষণ কোর্স কর্মকর্তা প্রবীর কুমার রায়, সার্কেল অ্যাডজুট্যান্ট ও কোর্স কোয়াটার মাস্টার রাসেল আহমেদ। অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি আরও বলেন, মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় উজ্জীবিত হয়ে দেশ গড়ার নিবেদিত সৈনিক হিসেবে সকল প্রতিবন্ধকতাকে মাড়েয়ে উন্নয়নের ধারাকে অব্যাহত রাখার জন্য সকল ভিডিপি প্রশিক্ষনার্থীদের উদাত্ত আহŸান জানান তিনি। রংপুর আনসার ও গ্রাম প্রতিরক্ষা বাহিনীর ২১ দিন মেয়াদী অস্ত্রসহ ৯০জন ভিডিপি সদস্যদের ২য় ধাপে মৌলিক প্রশিক্ষণে রংপুরের আট উপজেলা থেকে বাছাই করে ৯০জন ভিডিপি সদস্য প্রশিক্ষণে অংশ গ্রহণ করে। প্রশিক্ষনার্থীদের পিটি,প্যারেড,ড্রিল,অস্ত্র চালনা, জঙ্গীবাদ , সন্ত্রাস দমন, মাদক প্রতিরোধ, শিক্ষা,স্বাস্থ্য, গবাদী পশু হাঁস মুরগি পালন, মৎস চাষ, আনসার ভিডিপি উন্নয়ন ব্যাংক পয়ঃ প্রণালীসহ বিভিন্ন উন্নয়ণমূলক প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়। প্রশিক্ষণে বিভাগীয় প্রশিক্ষক ছাড়াও ৮টি বিভাগের কর্মকর্তারা অতিথি বক্তা হিসেবে ক্লাশ নেন। প্রশিক্ষণে তিনজন শ্রেষ্ঠ প্রশিক্ষনার্থীকে পুরুষ্কৃত করা হয়। আনসার ভিডিপি প্রশিক্ষণ সনদ ও ব্যাংকের শেয়ার সার্টিফিকেট প্রদান করা হয়।


মিঠাপুকুরে চুরি করে গাছ বিক্রির অপরাধে চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে ইউপি সদস্যের বিরুদ্ধে মামলা  

মিঠাপুকুর প্রতিনিধি

রংপুরের মিঠাপুকুর উপজেলায় কোন রকম দরপত্র বিজ্ঞপ্তি কিংবা কর্তৃপক্ষের অনুমতি ও ইউনিয় পরিষদের রেজুলেশন ছাড়াই অবৈধভাবে করাত ও দা-কুড়াল দিয়া চুরি করিয়া কর্তন করে বিক্রি করার দায়ে ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান জয়নাল আবেদীন মাস্টারের বিরুদ্ধে থানায় মামলা করেছে সংশিষ্ট ইউনিয়ন পরিষদের সদস্য।এঘটনায় তত্বাবধানকারী সমিতির সভাপতি আতোয়ার হোসেন জড়িত থাকায় তাকে  আসামী করা হয়।

গত ১৭ ও ১৮ই আগস্ট দিনব্যাপী কাফ্রিখাল ইউনিয়নের  গাছ কর্তন করে অপসারন করেন ব্যবসায়ীরা সন্ধ্যা আনুমানিক ৬টায় বুজরুক মহদীপুর গ্রামের ভবেশ সরকারের বাড়ী হইতে বুজরুক মহদীপুর বালিকা উচ্চ বিদ্যালয় যাওয়ার রাস্তার দুপাশের প্রায় ৬লক্ষাধিক টাকার গাছ কর্তন করেন। 

আটককৃত ট্রলি বোঝাই গাছের গোলাই

এঘটনায়  সদস্য ২নং ওয়ার্ডর ইউপি সদস্য  আলীপুর গ্রামের মৃত আঃ রশিদ ছেলে  আঃ মালেক (৩৮), ৩নং ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য মুরাদ দর্প নারায়নপুর গ্রামের আঃ রাজ্জাক মন্ডল ছেলে ফুয়াদ মন্ডল (৩৫),৭নং ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য খোৰ্দ্দ কাশীনাথপুর গ্রামের মৃত হায়দার আলীর ছেলে  মতিয়ার রহমান (৪২),৪নং ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য  বুজরুক তাজপুর গ্রামের মকবুল হোসেনের ছেলে সাইফুল ইসলাম (৫৫),১নং ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য  খোৰ্দ্দ নারায়নপুর গ্রামের মৃত আলহাজ্ব আঃ কাদেরের ছেলে আত্তাব উদ্দিন (৬০), ৬নং ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য খোৰ্দ্দমহদীপুর গ্রামের মৃত মোজাম উদ্দিনের ছেলে ছাইফুল ইসলাম (৫০) কে সাথে নিয়ে ৮নং ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য মুরারীপুর গ্রামের মৃত শাহাব উদ্দিনের ছেলে নুরনবী মিয়া (৪১) বাদী হয়ে এজাহার দায়ের করেন।

এঘটনায় ইউনিয়নের  পিরোজপুর গ্রামের মৃত ওয়ারেছ আলীর ছেলে কাফ্রিখাল ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান জয়নাল আবেদীন ও বুজরুক মহদীপুর গ্রামের কাশেম মেম্বারের ছেলে  বুজরুক মহদীপুর গ্রাম উন্নয়ন সমিতির সভাপতি আতোয়ার হোসেন (৬০) সহ  অজ্ঞাতনামা ১০/১২জন আসামীর বিরুদ্ধে মামলা করেন।

থানার এজাহার সূত্রে জানা যায়-গোপন সংবাদের ভিত্তিতে নুরন্নবী মিয়াসহ  ইউপি সদস্যগনকে সাথে নিয়ে ঘটনাস্থলের রাস্তায় গিয়া ঘটনাস্থলের কর্তনকৃত গাছের গোলাই বোঝাই একটি ট্রলি  যা চালক ও
লেবারসহ আটক করেন। আটককৃত ট্রলির চালক ও লেবারদেরকে জিজ্ঞাসাবাদে তাহারা জানায়, চেংমারী ইউনিয়নের মাজেদুল ইসলাম নামে একজন কাঠ ব্যবসায়ী গাছগুলি জয়নাল চেয়ারম্যানের কাছ থেকে ক্রয় করেছেন। পরে কাঠ ব্যবসায়ীর সংগে কথা বললে তিনি কাফ্রিখাল ইউনিয়ন পরিষদ
অফিসে এসে তাদের জানান-তিনি গাছগুলি ইউপি চেয়ারম্যান জয়নাল আবেদীন ও ঐ গাছ
তত্বাবধানকারী বুজরুক মহদীপুর গ্রাম উন্নয়ন সমিতির সভাপতি আতোয়ার হোসেনের কাছ থেকে  ৩লাখ ৮০হাজার টাকা দিয়ে ক্রয় করেছেন। 

এরপর আমরা ইউপি চেয়ারম্যান জয়নাল আবেদীন ও ঐ গাছ তত্বাবধানকারী সমিতির সভাপতি আতোয়ার হোসেনের সহিত যোগাযোগ করার চেষ্টা করিয়া জানতে পারেন  ইউপি চেয়ারম্যান জয়নাল আবেদীন চিকিৎসার জন্য ঢাকায় অবস্থান করিতেছেন। পরে মোবাইল ফোনে তার সাথে কথা বলিলে তিনি গাছ বিক্রির কথা স্বীকার করেন।পরে তিনি জানান, ঢাকা হতে ফেরার পর বিষয়টি নিয়ে ইউপি সদস্যদের সাথে কথা বলবেন। 


গাছ তত্বাবধানকারী সমিতির  সভাপতি আতোয়ার হোসেনের সাথে মোবাইল ফোনে কথা বললে তিনিও জানান-চেয়ারম্যান গাছগুলি বিক্রি করেছেন এবং গাছ বিক্রিত টাকা চেয়ারম্যানের কাছে আছে। এরপর ঘটনার বিষয় নিয়া  ইউপি সচিব  আঃ রশিদের সহিত কথা বলিলে তিনি জানান- গাছ বিক্রির বিষয় জানেন না বলে জানান। 

অতঃপর ঘটনার বিষয়টি নিয়া উপজেলা নির্বাহী অফিসার সাহেবের সহিত কথা বলিলে তিঁনি-আটককৃত গাছগুলি ইউনিয়ন পরিষদের জিম্মায় রাখার পরামর্শ দেন। 



 মিঠাপুকুরে প্রধানমন্ত্রীকে নিয়ে কটুক্তি!স্বেচ্ছাসেবকলীগের সভাপতির মামলায় স্বেচ্ছাসেবক দলের নেতা কারাগারে


মিঠাপুকুর প্রতিনিধি
রংপুরের মিঠাপুকুর উপজেলায় সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে মহান স্বাধীনতার স্থপতি জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের কন্যা দেশরত্ন মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে নিয়ে কটুক্তি করায় উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগ সভাপতির অভিযোগের ভিত্তিতে ইউনিয়ন স্বেচ্ছাসেবক দলের নেতাকে গ্রেফতার করেছে মিঠাপুকুর থানা পুলিশ ।গ্রেফতারকৃত নেতাকে আদালতের মাধ্যমে জেল হাজতে পাঠানো হয়েছে বলে নিশ্চিত করেছে পুলিশ।




গত রবিবার সন্ধ্যায় বৈরাতী পুলিশ তদন্ত কেন্দ্রের পুলিশ সদস্যদের সক্রিয় ভূমিকায় দীর্ঘ ১৬দিন পর নিজ বাসা থেকে আটক করে মিঠাপুুকুর থানায় প্রেরণ করেন।

থানার অভিযোগ সূত্রে জানা যায়- উপজেলার মির্জাপুর ইউনিয়নের বৈরাতীহাট কাজিপাড়া এলাকার সরোয়ার মিয়ার পুত্র শাকিল দিশা তার ব্যক্তিগত ফেসবুক আইডি MD Shakil Disha দিয়ে মাননীয় প্রধানমন্ত্রীকে নিয়ে কটুক্তি করলে উপজেলা স্বেচ্ছাসেবকলীগের সভাপতি শাহ্ মোঃ রফিকুল ইসলাম তুহিন বাদী হয়ে মিঠাপুকুর থানায় অভিযোগ করেন। শালিক দিশা তার ফেসবুকে আইডিতে জেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের বিক্ষোভ মিছিলের চারটি ছবি দিয়ে লিখেন- আগামীর রাষ্ট্র নায়ক “তারেক রহমান” এবং ডাঃ জোবাইদা রহমানে’র নামে হাসিনার পেটিকোট থেকে বের হয়ে আসা ফরমায়েশি মিথ্যা মামলার মিথ্যা রায়ের বিরুদ্ধে রংপুর জেলা যুবদল,স্বেচ্ছাসেবকদল এবং ছাত্রদলেরর যৌথ বিক্ষোভ মিছিল। চোর হাসিনার দেয়া রায় মানিনা মানছিনা বলে ১৯জনকে ট্যাগ করে পোষ্ট করেন।

এই বিষয়ে মামলার বাদী রফিকুল ইসলাম তুহিনের সাথে কথা হলে তিনি জানান-গত ৩ই আগস্ট রাত্রী সাড়ে আটটার সময়ে উপজেলা আওয়ামীলীগ কার্যলয়ে বসে তিনি তার ব্যক্তিগত ফেসবুক আইডি Rafiqul Islam Tuhin দিয়ে বিভিন্ন ধরণের খবর দেখতেছিলেন। এমন সময় মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে উদ্দেশ্যে করে দেওয়া কটুক্তিমূলক,আপত্তিকর, মানহানিকর ও উস্কানাকি মূলক এই পোষ্ট সামনে আসলে তিনি তাৎক্ষণিক ভাবে স্কিনশট দেন।পরবর্তীতে বাদীর নাম ঠিকানা সংগ্রহ করে উপজেলা আওয়ামীলীগের শীর্ষ নেতাদের সাথে আলোচনা করে থানায় অভিযোগ করেন।

মিঠাপুকুর থানার ওসি মোস্তাফিজার রহমান জানান- মাননীয় প্রধানমন্ত্রীকে নিয়ে কটুক্তি করার দায়ে গত ৪ই আগস্ট মিঠাপুকুর থানায় ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে অভিযোগ করেন উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের সভাপতি। অভিযোগের পর থেকেই পলাতক ছিলো অভিযুক্ত স্বেচ্ছাসেবক দলের নেতা। গোপন সংবাদের ভিত্তিতে সে বাড়িতে আসলে তাকে আটক করে নিয়ে আসা হয়। আদালতের মাধ্যমে তাকে জেলহাজতে পাঠায় বিজ্ঞ বিচারক।




 

 
মিঠাপুকুরে সরকারী নিয়মনীতির তোয়াক্কা না করেই অবৈধভাবে গাছ কর্তন
 
 
মিঠাপুকুর প্রতিনিধি
রংপুরের মিঠাপুকুর উপজেলায় সরকারি নিয়ম নীতিকে বৃদ্ধাঙ্গুল দেখিয়ে রাস্তার গাছ কেটে বিক্রি করার অভিযোগ উঠেছে ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে। গাছ কর্তনের বিষয়ে কোন ধরনের রেজুলেশন কিংবা অবহতিকরণ সভা না করেই লুকোচুরি করে গাছ বিক্রি করেছে চেয়ারম্যান এমন অভিযোগ ইউপি সদস্যদের।
গত শুক্রবার বিকেলে স্থানীয় এলাকাবাসীর সহযোগিতায় কর্তনকৃত গাছ সহকারে বহনকারী টলি আটক করেছে ইউপি সদস্যরা। কর্তনকৃত ইউক্লিপটাস গাছ ও বহনকারী টলি ইউনিয়ন পরিষদের জিম্মায় রয়েছে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার নির্দেশে।
সরেজমিনে তদন্ত করে জানা যায়- উপজেলার কাফ্রিখাল ইউনিয়নের খোর্দ্দ মহদীপুর গ্রামের ভবেশ সরকারের বাড়ি থেকে বুজরক মহদীপুর বালিকা উচ্চ বিদ্যালয় যাওয়ার রাস্তার দুপ্বার্শের গাছ কোন প্রকার দরপত্র বিজ্ঞপ্তি এবং ইউনিয়ন পরিষদে অবহতিকরন সভা না করে কর্তন করা হয়। এ বিষয়ে ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান জয়নাল আবেদীন মাস্টার ও সংশ্লিষ্ট ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য ফখরুল ইসলামের সাথে যোগাযোগ করলে গাছ কর্তনের বিষয়টি তারা অস্বীকার করেন। একই সাথে দীর্ঘদিন ধরে দুজনেই অসুস্থ রয়েছেন বলে জানান।
আটককৃত টলী চালক ও লেবার শ্রমিকদের গাছ কে ক্রয় করেছে তা জিজ্ঞাসাবাদ করলে তারা জানান- চেংমারী ইউনিয়নের মাজেদুল ইসলাম নামে একজন কাঠ ব্যবসায়ী এই কাজগুলো ক্রয় করছেন। মাজেদুল ইসলামের সাথে মুঠোফোনে যোগাযোগ করলে তিনি সাময়িক সময় নিয়ে ইউনিয়ন পরিষদে উপস্থিত হন। পরবর্তীতে তার সাথে কথা হলে তিনি ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যানের কাছ থেকে গাছ ক্রয় করেছেন বলে অবগত করেন। একই সাথে চার লাখ ২০ হাজার টাকা দিয়ে এই কাজগুলো ক্রয় করেছেন বলে দাবী করেন। ক্রয় কৃত গাছ সংক্রান্ত বিষয়ে কোনো কাগজপত্র তাদের কাছে আছে কিনা তা জিজ্ঞাসাবাদ করলে তারা তা দেখাতে পারেননি।বরং ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান জয়নাল আবেদীন মাস্টারের হাতে এক লক্ষ ৮০ হাজার টাকা দিয়েছেন বলে জানান। আর এই গাছ কর্তনের বিষয়ে সার্বিক সহযোগিতা করেছেন সংশ্লিষ্ট ওয়ার্ডের ইউপি সদস্যের ভাই আনোয়ার হোসেন। গাছ ব্যবসায়ী মাজেদুল ইসলাম আরোও জানান- গাছ কর্তনের বিষয়ে মিঠাপুকুরের ইউনিক যুব উন্নয়ন সংস্থার প্রতিষ্ঠাতা ও সভাপতি আজারুল ইসলাম চৌধুরী নওশাদ ২০ হাজার টাকা গ্রহণ করেছেন।
এ বিষয়ে ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান জয়নাল আবেদীন মাস্টারের সাথে মুঠোফোনে যোগাযোগ করলে তিনি জানান- গত কয়েকদিন ধরে তিনি অসুস্থ রয়েছেন এবং উন্নত চিকিৎসার জন্য তিনি ঢাকায় যাচ্ছেন আর গাছ কর্তনের বিষয়ে তিনি অবগত নন। গাছ কর্তনের বিষয়ে সংশ্লিষ্ট ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য জানতে পারে বলে অবগত করেন।
আটককৃত টলি বোঝাই ইউক্লিকটাস গাছ

 
চেয়ারম্যানের সূত্র ধরে ইউপি সদস্য ফখরুল ইসলামের সাথে মুঠোফোনে কথা বললে জানা যায়- বিগত ১৫ দিন ধরে তিনি ডায়াবেটিস সংক্রান্ত বিষয় নিয়ে অসুস্থ রয়েছেন। কে বা কাহারা গাছ কেটেছে? তার বিষয়ে তিনি সম্পূর্ণভাবেই অজানা।
এ বিষয়ে ইউনিক যুব উন্নয়ন সংস্থার প্রতিষ্ঠাতা পরিচালক ও সভাপতি আজহারুল ইসলাম চৌধুরী নওশাদের সাথে মুঠোফোনে যোগাযোগ করলে তিনি জানান- এ বিষয়ে তিনি অবগত নন। তবে গাছ কর্তনের বিষয়টি তিনি শুনেছেন এ বিষয়ে চেয়ারম্যান ঢাকায় রয়েছেন তিনি আসলে তার জবাব নেবেন। কাঠ ব্যবসায়ী মাজেদুল ইসলাম তাকে ২০ হাজার টাকা দিয়েছে এ কথা তিনি অস্বীকার করেন বরং তার সাথে কোন আর্থিক লেনদেন হয়নি বলে দাবি করেন।
নিয়ম নীতি না মেনে গাছ কর্তনের বিষয়ে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা রকিবুল হাসানের সাথে হোয়াইট আপসে যোগাযোগ করলে তিনি জানান- অবৈধভাবে কাজ কর্তনের বিষয়ে তিনি অবগত রয়েছেন।বর্তমানে গাছগুলো ইউনিয়ন পরিষদের জিম্মায় রাখা হয়েছে। চেয়ারম্যান অসুস্থতার জন্য ঢাকায় আছে তিনি আসলে তাকে সহ গাছ কাটার সাথে জড়িত সংশ্লিষ্টদের বিরুদ্ধে আইনী ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

 মিঠাপুকুরে ভূয়া তালিকা প্রস্তুত,কালবৈশাখী ঝড়ের বরাদ্দ আত্মসাৎ করলেন প্যানেল চেয়ারম্যান

মিঠাপুকুর প্রতিনিধি

রংপুরের মিঠাপুকুর উপজেলার বালারহাট ইউনিয়নে কাল বৈশাখী ঝড়ে ঘরবাড়ী পড়ে যাওয়া পরিবারের ভূয়া তালিকা প্রস্তুত করে বরাদ্দকৃত চাল আত্মসাৎ,মৃত ব্যক্তির নাম ও টিপসই ব্যবহার করাসহ একই নাম একাধিকবার ব্যবহার করে চাল উত্তোলন করার অভিযোগ উঠেছে প্যানেল চেয়ারম্যান গোলজার হোসেনের বিরুদ্ধে। ঝড়ে পড়া ঘরবাড়ি দেখিয়ে ভূয়া তালিকা তৈরী করে চাল আত্মসাৎ করায় সরেজমিনে তদন্ত করে প্রতিকার চেয়ে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার কাছে লিখিত আবেদন করেছেন ৪ নম্বর ওয়ার্ডের বাসিন্দা তাহের আলী।জানা যায়-বর্তমান চেয়ারম্যান হজ্জ পালনের কারণে সৌদি আরবে অবস্থান করায় পরিষদের দায়িত্ব গ্রহণ করেন প্যানেল চেয়ারম্যান হিসাবে গোলজার হোসেন। 


গত ৬ই জুলাই উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা বরাবর লিখিত অভিযোগের কপি হাতে নিয়ে সরেজমিনে তদন্ত করে জানা যায়-কাল বৈশাখী ঝড়ে ইউনিয়নের ৯টি ওয়ার্ডের ২৯১টি পরিবারের ঘর ভেঙ্গে গেছে তা সম্পর্কে অবগত নয় এলাকাবাসী। তবে চাল বিতরণ ও মৃত ব্যক্তির টিপ সই দিয়ে চাল গ্রহণ নিয়ে প্রশ্নের ধ্রæ¤্রজাল সৃষ্টি হয়েছে এলাকায়। সুষ্ঠ তদন্ত করে কঠিন বিচারের দাবী এলাকাবাসীর।তালিকা থেকে জানা যায়-১ নং ওয়ার্ডে ১১টি,২ নং ওয়ার্ডে ৩০টি,৩ নং ওয়ার্ডে ১৭,৪ নং ওয়ার্ডে ১৩৮টি,৫ নং ওয়ার্ডে ২১টি,৬ নং ওয়ার্ডে ১৩টি,৭ নং ওয়ার্ডে ১৪টি ,৮ নং ওয়ার্ডে ৩৮টি ও ৯ নং ওয়ার্ডে ৯টি পরিবার ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছে।


অভিযোগকারী ৪ নং ওয়ার্ডের বাসিন্দা তাহের আলী জানায়-তার বাড়ি কালবৈশাখী ঝড়ে তার বাড়িঘর ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছে।তার স্ত্রী লতুফা বেগমের নামে ১০১ নম্বর তালিকা প্রস্তুত করেছে। সেখানে স্বামী হিসাবে আবার তার স্ত্রীর নাম দেওয়া আছে।কিন্তু চাল বিতরনের দিনে তার স্ত্রীকে চাল দেওয়া হয়নি। 



শুধুমাত্র তাহের আলীর স্ত্রীর নামেই ভূল নয়। তালিকায় একই নাম বারবার এবং বর্তমান চেয়ারম্যানের বাবা,চাচা,ভাইসহ আত্মীয়দের নাম দিয়ে চাল উত্তোলন করা হয়েছে। তালিকার ৯৪ নম্বরে মৃত বাদশাহ মিয়া নামে একজনের টিপসই দিয়ে চাল উত্তোলন করছে পাওয়া যার্য়।সেখানে তার বাবার নামও দেওয়া হয়েছে মৃত বাদশা মিয়া।

স্থানীয় এলাকাবাসীরা জানায়-যদি একটি ওয়ার্ডে ১৩৮টি পরিবার ক্ষতিগ্রস্থ হয় তাহলে শুধু ইউনিয়ন নয় সারাদেশ জানার কথা। তাদের ইউনিয়ননে তেমন কোন ক্ষতি হয়নি শুধুমাত্র কয়েকটি গাছের ডালপালা ভাঙ্গা ছাড়া। দূর্নীর্তি করছে কিন্তু এহেন দূর্নীতি কখনই দেখেননি তারা বলে দাবী। 

 ইউনিয়ন পরিষদের ২ নম্বর ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য মাইদুল ইসলাম জানায়- বর্তমান চেয়ারম্যান আবুল হাসনাত রতনকে নিয়েও প্রশ্ন এবং প্যানেল চেয়ারম্যানের পরিবারের মাধ্যমে এবং বর্তমান চেয়ারম্যানের বাবা,চাচা,ভাই ও ভাতিজাদেও নাম দিয়ে পরিবারকেন্দ্রীক  চাল আত্মসাৎ হয়েছে বলে দাবী করেন তিনি।ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যানের যোগসাজোসে ভূয়া তালিকা করে বরাদ্দকৃত চাল আত্মসাৎ ও প্রতিশ্রুতি দিয়ে নির্বাচিত হওয়া চেয়ারম্যান হজের ব্যবসা ও আদম ব্যবসা করার কারণে ইউনিয়নের মানুষের সাথে প্রতারণা করছেন।

ইউনিয়ন পরিষদে চাল বিতরণ ও তালিকা তৈরী করণ বিষয়ে অবগত করা হয়নি ইউনিয়ন পরিষদের সচিবকেও বলে দাবী শফিকুল ইসলামের। তিনি জানান- ঈদের ছুটিকে কাজে লাগিয়ে চাল বিতরণ করছেন প্যানেল চেয়ারম্যান গোলজার হোসেন বিতরণ করছেন। চাল বিতরণে না কোন সরকারী কর্মকর্তা কিংবা ট্যাগ কর্মকর্তা উপস্থিত ছিলেন না বলে তিনি জানা।

এবিষয়ে প্যানেল চেয়ারম্যান গোলজার হোসেনের সাথে পরিষদে কিংবা মুঠোফোনে একাধিক বার যোগাযোগ করা হলে যোগাযোগ করা সম্ভব হয়নি।

উপজেলা দূর্যোগ ব্যবস্থাপনা অধিদপ্তরের কর্মকর্তা মনিরুজ্জামান জানান- বিষয়টি  তিনি অবগত আছেন এবং এ বিষয়ে সুষ্ঠ তদন্ত করে ব্যবস্থা গ্রহণ করার আশ্বাস দেন।

গত ৯ তারিখে চাল বিতরণে এই অনিয়ম নিয়ে সাক্ষাৎকার দেওয়ায় সচিবের কক্ষে দুই ইউপি সদস্যের শুরু হয় তর্কতর্কি এবং একপর্যায়ে হাতাহাতি। সুষ্ঠ তদন্তপূর্বক ব্যবস্থা গ্রহণ করবে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা এবং সঠিক সুবিধাভোগীর কাছে পৌছে দিবে কাল বৈশাখী ঝড়ে বরাদ্দকৃত চাল এমন প্রত্যাশা বালারহাট ইউনিয়ন বাসীর।



নিউজ ডেক্স

সংবাদ প্রকাশের জেরে রংপুরে যমুনা টেলিভিশনের সাংবাদিক সরকার মাজহারুল মান্নানের (৪৫) বিরুদ্ধে করা ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে মামলা বাতিলের দাবিতে মানববন্ধন করেছেন স্থানীয় সাংবাদিকেরা।


বৃহস্পতিবার বেলা ১১টার দিকে রংপুর প্রেসক্লাব চত্বরে রংপুরের সাংবাদিক সমাজের ব্যানারে এ কর্মসূচি পালন করা হয়।ঘণ্টাব্যাপী মানববন্ধন কর্মসূচি চলাকালে অনুষ্ঠিত সমাবেশে সভাপতিত্ব করেন রংপুর প্রেসক্লাবের সভাপতি মাহবুব রহমান। ফরহাদুজ্জামানের সঞ্চালনায় সমাবেশে বক্তব্য দেন লিয়াকত আলী বাদল, নজরুল ইসলাম, স্বপন চৌধুরী, অভিযুক্ত সাংবাদিক সরকার মাজহারুল মান্নান প্রমুখ।



সমাবেশে বক্তারা বলেন-জিজিটাল নিরাপত্তা আইন গণমাধ্যমের স্বাধীনতায় আঘাত ও হয়রানি ছাড়া কিছু নয়। সাংবাদিকেরা যেন সত্য প্রকাশ করতে না পারেন, এ জন্য এই কালো আইন করা হয়েছে। এই আইনের মিথ্যা প্যাঁচে ফেলে দেশব্যাপী সাংবাদিকদের কণ্ঠ রোধ করা হচ্ছে। অবিলম্বে এই আইন বাতিল করতে হবে। সংবাদ প্রকাশ করতে গিয়ে যমুনা টেলিভিশনের ব্যুরো প্রধান মাজহারুল মান্নানসহ তিনজনের নামে হয়রানিমূলক ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে মামলা করা হয়েছে। অবিলম্বে এই মামলা প্রত্যাহারের দাবি জানান সাংবাদিক নেতারা।


সংবাদ প্রকাশের জেরে গতকাল বুধবার সরকার মাজহারুল মান্নানসহ তিনজনের বিরুদ্ধে সাইবার ট্রাইব্যুনাল আদালতে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে মামলার আবেদন করেন রংপুর সিটি করপোরেশনের ১৫ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর ও মহানগরের তাজহাট থানা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক জাকারিয়া আলম ওরফে শিপলু। আদালতের বিচারক আবদুল মজিদ অভিযোগটি আমলে নিয়ে পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশনকে (পিবিআই) মামলাটি তদন্তের নির্দেশ দিয়েছেন।


মামলার অন্য আসামিরা হলেন—স্থানীয় বাসিন্দা নূর মোহাম্মদ (৫৫) ও রংপুর সিটি করপোরেশনের ১৫ নম্বর ওয়ার্ডের সাবেক কাউন্সিলর শাফিউল ইসলাম শাফি (৫০)।


মামলার অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, ১ এপ্রিল রাত ৯টায় যমুনা টেলিভিশনের অপরাধ অনুসন্ধানমূলক অনুষ্ঠান ‘ক্রাইম সিনে’ কাউন্সিলর জাকারিয়া আলমকে ভূমিদস্যু আখ্যায়িত করে, সরকারি দলের নামে সন্ত্রাসী বাহিনী তৈরি, সাধারণ মানুষকে হয়রানিসহ বিভিন্ন অপরাধ নিয়ে একটি প্রতিবেদন প্রচারিত হয়েছে। প্রকাশিত সংবাদের মাধ্যমে আসামিরা যোগসাজশ করে কাউন্সিলর জাকারিয়ার মানহানি, সুনাম ক্ষুণ্ন করার চেষ্টা করেছেন। একই সঙ্গে বর্তমান সরকার তথা স্বাধীনতার সপক্ষের শক্তিকে দুর্বল ও জনবিচ্ছিন্ন করতে অপপ্রচার চালিয়েছে বলে অভিযোগ করা হয়েছে।


Amader Rangpur news

Contact Form

Name

Email *

Message *

Argon Maltimedia Bangladesh. Powered by Blogger.
Javascript DisablePlease Enable Javascript To See All Widget