Latest Post

"ইউপি সদস্যের বিরুদ্ধে ধর্ষককে সহযোগীতার অভিযোগ"

রংপুরে ভিকটিমকে তুলে নিয়ে গেলেন ধর্ষন ও

অপহরন মামলার আসামিরাঃপুলিশ সুপারের

হস্তক্ষেপ কামনা


নিজস্ব সংবাদদাতা  

রংপুরের সদ্যপুস্করিনী ইউনিয়নের কাটাবাড়ি মিলবাজার'র হোটেল ব্যবসায়ী বাবলু মিয়ার দশম শ্রেণীর ছাত্রী শ্রাবন্তি (ছদ্মনাম) নামে এক নাবালিকা অপহৃতাকে রংপুর কোতয়ালি থানার সহযোগীতায় গত ৯ই মার্চ ঢাকা থেকে উদ্ধার করে নিয়ে আসা হলেও গত বুধবার বাড়ির সামনে থেকে আবারও স্থানীয় ইউপি সদস্য ও তার লোকজনের ইশারায় ভিকটিমকে অপহরন করে নিয়ে যাওয়ার গুরুত্বর অভিযোগ উঠেছে।এ ঘটনায় রংপুর জেলা পুলিশ সুপারের হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন ভুক্তভোগী পরিবার।



রংপুর কোতয়ালি থানা ও ভিকটিমের পরিবারের

দায়েরকৃত মামলা সুত্রে জানাযায়, গত ৭ মার্চ দিবাগত রাত আনুমানিক ৮টায় রংপুর সদর উপজেলার সদ্যপুস্করিনী ইউনিয়নের ১নং ওয়ার্ডের কাটাবাড়ি এলাকার হোটেল ব্যবসায়ী বাবলু মিয়ার নাবালিকা মেয়ে, খোড়াগাছ উচ্চ বিদ্যালয়ের নবম শ্রেণীর ছাত্রী শ্রাবন্তি(ছদ্মনাম) কে একই এলাকার কফুর উদ্দিনের ছেলে বখাটে

মাসুদ রানা (২২) তার বন্ধু ফয়জার আলীসহ অজ্ঞাতনামা বেশ ক'জনের সহযোগীতায় অপহরন করে ঢাকায় নিয়ে যায়।



 পরে পুলিশের সহযোগীতায় বাবলু মিয়ার নাবালিকা মেয়ে, খোড়াগাছ উচ্চ বিদ্যালয়ের নবম

শ্রেণীর ছাত্রী শ্রাবন্তি(১৪)(ছদ্মনাম) কে ঢাকা থেকে উদ্ধার করে নিয়ে আসা হয়। পরে মেয়েটিকে রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের ওসিসি বিভাগে ভর্তি করা হয়। সেখানে চিকিৎসা শেষে গত ২২ মার্চ রংপুর কোতয়ালি থানায় মেয়ের বাবা বাবলু বাদী হয়ে মাসুদ রানাসহ সহযোগী ৪জনকে বিবাদী করে একে অপরের সহায়তায় অপহরন ও ধর্ষনের অভিযোগে ২০০০ সালের নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইন(সংশোধনী ২০০৩) এর ৭/৯(১)/৩০ পেনাল কোড অনুযায়ী এজাহার দায়ের করেন।

যার মামলা নং-১৪। 





এঘটনায় গত মঙ্গলবার প্রধান আসামী মাসুদের বন্ধু ইটভাটা শ্রমিক ফয়জার আলীকে' গ্রেফতার

করে এসআই তৌহিদুল ইসলাম ও তার সঙ্গীয় ফোর্স।এদিকে ফয়জার আলীকে গ্রেফতারের পরদিন বুধবার ভোরের নামাজের পর বাড়ির বাইরে বাথরুম যাওয়ার প্রাক্কলে মামলার প্রধান আসামীসহ অপর আসামীরা ভিকটিম নাবালিকা মেয়েটিকে আবারও অপহরন করে নিয়ে যায়।


মামলার বাদী বাবলুর অভিযোগ, স্থানীয় মাতব্বর ইউপি সদস্য আনোয়ারুল ইসলামসহ কতিপয় স্বার্থান্বেষী মহলের ইশারায় তার মেয়েকে আবারও তুলে নিয়ে যাওয়া হয়েছে।


অপহৃতার বাবা সাংবাদিকদের জানান, স্থানীয় মাতব্বর ইউপি সদস্য আনোয়ারুল ইসলাম ইতিপূর্বে অপহরনকারীদের পক্ষ নিয়ে ২শ টাকার ননজুডিশিয়াল স্ট্যাম্পে মনগড়া অঙ্গিকারনামা লিখে স্বাক্ষর নেয়ার জন্য আমার কাছে লোক মাধ্যমে পাঠায়। কিন্তু আমি তাতে স্বাক্ষর না দিয়ে ননজুডিশিয়াল স্ট্যাম্প টি আটকে দেই। এতে স্থানীয় মাতব্বর ইউপি সদস্য আনোয়ারুল ইসলামসহ তার পালিত লোকজন আমার ও আমার পরিবারের উপর ক্ষিপ্ত হয়ে উঠে এবং দেখে নেয়ার হুমকী দেন। এরই অংশ হিসেবে আমার নাবালিকা মেয়েকে মাসুদরানা গং অাবারও অপহরন করে নিয়ে যায়।


সরেজমিনে দেখা-গেছে প্রধান আসামী মাসুদ রানা ও তার পরিবারের লোকজন বাড়িঘরে তালা মেরে সবাই পালিয়ে গেছেন। কোথায় পালিয়ে গেছেন আশপাশের লোকজন তা নিশ্চিত বলতে পারেননি।

 রংপুর মেট্রোপলিটন গোয়েন্দা বিভাগ (ডিবি) কর্তৃক সাঁড়াশি অভিযানে ৩ টনের অধিক নিষিদ্ধ পলিথিন জব্দ

--------------------------------------------------------------
রংপুর মহানগরীকে সরকার কর্তৃক ঘোষিত নিষিদ্ধ পলিথিন মুক্ত করার লক্ষে গত ২১/০৩/২০২১ খ্রি. রংপুর মহানগরীর নবাবগঞ্জ বাজারে রংপুর মেট্রোপলিটন ডিবি পুলিশ কর্তৃক পরিবেশ দূষণকারী পলিথিন বিরোধী সাঁড়াশি অভিযান পরিচালিত হয়। অভিযানে ৪ ব্যক্তির মালিকানাধীন ০৪ টি পলিথিনের দোকান এবং সংশ্লিষ্ঠ ০৪ টি গুদামে অভিযান পরিচালনা করে সর্বমোট ১৫২ বস্তা যার মোট ওজন ৩০৪০ কেজি সরকার নিষিদ্ধ পলিথিন জব্দ করা হয়। যার আনুমানিক বাজার মূল্য- প্রায় ৯,১২,০০০ (নয় লক্ষ বার হাজার) টাকা। 
গোপন সংবাদের ভিত্তিতে রংপুর মেট্রোপলিটন গোযেন্দা বিভাগ (ডিবি) এর উপ-পুলিশ কমিশনার (ডিবি) জনাব কাজী মুত্তাকী ইবনু মিনান মহোদয়ের নির্দেশনায় সহকারী পুলিশ কমিশনার (ডিবি) জনাব মোঃ ফারুক আহমেদ এর পরিকল্পনা ও নেতৃত্বে ইন্সপেক্টর (নিঃ) মোঃ সালেহ আহমেদ পাঠান,  ইন্সপেক্টর (নিঃ) এবিএম ফিরোজ ওয়াহিদ, এসআই(নিঃ) গোলাম মোর্সেদ, এসআই(নিঃ) তছলিম উদ্দিন আহমেদ, এসআই(নিঃ) মোঃ নাজমুল ইসলাম, এসআই(নিঃ) মোঃ আবু ছাইয়ুম তালুকদার,  এসআই(নিঃ) মোঃ লাকু সরকার এবং সঙ্গীয় অফিসার ও ফোর্সসহ পরিবেশ অধিদপ্তর, রংপুর এর প্রতিনিধীদের  সহায়তায় আরপিএমপি কোতয়ালী থানাধীন রংপুর সুপার মার্কেট সংলগ্ন নবাবগঞ্জ মার্কেট এর ভিতরে এ অভিযান পরিচালনা করা হয়। 


এ অভিযানে 
১. মোঃ ওবায়দুল ইসলাম (৩৫), পিতা- আলাউদ্দিন মিয়া, সাং- শালবন মিস্ত্রিপাড়া, থানা-কোতয়ালী, মহানগর, রংপুর এর চায়না লেন মেসার্স নয়ন স্টোর নামে দোকান ও ভাড়ায় চালিত গোডাউন ঘর তল্লাশী করে (২০+৪০)=৬০ (ষাট) বস্তা সরকার কর্তৃক নিষিদ্ধ ঘোষিত পলিথিন ব্যাগ উদ্ধার করা হয়। বস্তাগুলো ওজন করে প্রতিটি বস্তা ২০ (বিশ) কেজি করে মোট (৬০দ্ধ২০)=১২০ কেজি, যার মূল্য আনুমানিক (১২০দ্ধ ৩০০)= ৩,৬০,০০০/-(তিন লক্ষ ষাট হাজার) টাকা।
২. মোঃ আমান উল্ল্যাহ খান (৫৫), পিতা- মৃত আব্দুল হাই খানা, সাং- নবাবগঞ্জ বাজার (গুদরিবাজার) হীনদা গলি ভাড়াটিয়া (দোকান মালিক সমিতি ভোটার নং-৫১২), থানা-কোতয়ালী, মহানগর, রংপুর এর ভাড়ায় চালিত গোডাউন ঘর তল্লাশী করে (২০+৪০)=৬০ (ষাট) বস্তা সরকার কর্তৃক নিষিদ্ধ ঘোষিত পলিথিন ব্যাগ উদ্ধার করা হয়। বস্তাগুলো ওজন করে প্রতিটি বস্তা ২০ (বিশ) কেজি করে মোট (৬০দ্ধ২০)=১২০ কেজি, যার মূল্য আনুমানিক (১২০দ্ধ ৩০০)= ৩,৬০,০০০/-(তিন লক্ষ ষাট হাজার) টাকা।
৩. মোঃ ফরিদ (৩০), পিতা-অজ্ঞাত, সাং- অজ্ঞাত, থানা- অজ্ঞাত, রংপুর মহানগর, রংপুর এর ভাড়ায় চালিত গোডাউন ঘর তল্লাশী করে ২৪(চব্বিশ) টি পুরাতন প্লাষ্টিকের বস্তার ভিতরে রক্ষিত অবস্থায় সরকার কর্তৃক নিষিদ্ধ ঘোষিত পলিথিন ব্যাগ উদ্ধার করা হয়। বস্তাগুলো ওজন করে প্রতিটি বস্তা ২০ (বিশ) কেজি করে মোট (২৪দ্ধ২০)=৪৮০ (চারশত আশি) কেজি, যার মূল্য আনুমনিক (৪৮০দ্ধ৩০০)= ১,৪৪,০০০/-(এক লক্ষ চুয়াল্লিশ হাজার) টাকা এবং
৪. মোঃ আবু তাহের (৩৫), পিতা- মোঃ হাসান আলী @ হাসান মুন্সী, সাং- হনুমানতলা, থানা- কোতয়ালী, রংপুর মহানগর, রংপুর  এর ভাড়ায় চালিত গোডাউন ঘর তল্লাশী করে ০৮(আট) টি পুরাতন প্লাষ্টিকের বস্তার ভিতরে রক্ষিত সরকার কর্তৃক নিষিদ্ধ ঘোষিত পলিথিন ব্যাগ উদ্ধার করা হয়। প্রতিটি বস্তা ২০ (বিশ) কেজি করে মোট(৮দ্ধ২০)=১৬০ (একশত ষাট) কেজি যার মূল্য আনুমানিক (১৬০দ্ধ৩০০)=৪৮,০০০/-(আটচল্লিশ হাজার) টাকা।
জব্দকৃত পলিথিনের মালিক ও অপরাধের সাথে সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে আরপিএমপি কোতয়ালী থানায় মামলা রুজু করা হয়। মামলাগুলো যথাক্রমে আরপিএমপি, কোতয়ালী থানার মামলা নং-৫৩,৫৪,৫৫,৫৬ এবং সবগুলো মামলাই ‘পরিবেশ সংরক্ষণ আইন-১৯৯৫(সংশোধনী/২০১০)’ এর ৪(ক)/(খ)’ ধারা।
পলিথিন আমাদের পরিবেশ ও মানবদেহের জন্য মারাত্মক  ক্ষতিকর। স্বাভাবিকভাবে পলিথিন পঁচনশীল নয়। ব্যবহৃত পলিথিনের পরিত্যক্ত অংশ দীর্ঘদিন অপরিবর্তিত ও অবিকৃত থেকে মাটি, পানি ইত্যাদি দূষিত করে। পলিথিন মাটির উবর্বরতা হ্রাস করে ও মাটির গুনাগুন পরিবর্তন করে ফেলে। পলিথিন পোড়ালে এর উপাদান পলিভিনাইল ক্লোরাইড পুড়ে কার্বন মনোক্সাইড উৎপন্ন হয়ে বাতাস দূষিত করে। পলিথিনের ব্যাগ ও অন্যান্য জিনিস শহরের পয়ঃনিষ্কাশন ব্যবস্থায় প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করে। ‘নারডল’ নামক এক প্রকার প্লাস্টিক বর্জ্য সমুদ্রের পানিতে মিশে পানি দূষিত হচ্ছে। এতে সামুদ্রিক জীববৈচিত্র হুমকির মুখে পড়ছে। পলিথিন ও বিভিন্ন প্লাস্টিক পণ্য ব্যাপকভাবে ব্যবহারে সারাদেশে খাল-বিল, নদী-নালা থেকে শুরু করে সমুদ্র্র পর্যন্ত প্লাস্টিক ছড়িয়ে পড়ছে। এতে পরিবেশ মারাত্মকভাবে দূষিত হচ্ছে। যত্রতত্র পলিথিনের ব্যবহারের ফলে মানবদেহে বিভিন্ন শারীরিক সমস্যাসহ ক্যান্সারও হয়। সেই সাথে মারাত্মক হুমকির মুখে পড়েছে জীববৈচিত্র্য। 
জব্দকৃত পলিথিনের উৎপাদন, মজুদ, পরিবহন ও বাজারজাতকরণ থেকে খুচরা বিক্রির সাথে জড়িত সকলকে বিস্তৃত ও নিবিড় তদন্তের মাধ্যমে সনাক্ত করে আইনের আওতায় আনা হবে। 
রংপুর মহানগরী এলাকাকে সরকার কর্তৃক ঘোষিত নিষিদ্ধ পলিথিন মুক্ত করার লক্ষ্যে রংপুর মেট্রোপলিটন গোয়েন্দা বিভাগ (ডিবি) টিম এর অভিযান অব্যহত থাকবে। পলিথিন মুক্ত, পরিচ্ছন্ন ও পরিবেশবান্ধব রংপুর মহানগরী গড়ে তোলার লক্ষ্যে রংপুর মেট্রোপলিটন গোয়েন্দা বিভাগ (ডিবি) টিম সদা তৎপর। এ লক্ষ্যে সার্বক্ষণিক নজরদারী ও প্রয়োজনীয় অভিযান অব্যাহত থাকবে। এ বিষয়ে তথ্য প্রদান করে সহযোগিতা করে সকল সম্মানিত নাগরিক, সাংবাদিক ও মিডিয়াকর্মীদের সহযোগিতা করার জন্য অনুরোধ করা হলো।

 

মিঠাপুকুরের জল,স্থল অন্তরীক্ষে আশিকুর রহমানের ভূমিকা অনশীকার্য-রাশেক রহমান

রুবেল ইসলাম,রংপুর অফিস

রংপুরের মিঠাপুকুর উপজেলার বালুয়া মাসিমপুর ইউনিয়নের হেলেঞ্চা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় মাঠে কোটি ৬৭ লাখ টাকা ব্যয়ে ১০ শয্যা বিশিষ্ট মা শিশু কল্যাণ কেন্দ্রের ভিত্তি প্রস্তর স্থাপন করেন বাংলাদেশ আওয়ামীলীগের প্রচার প্রকাশনা উপকমিটির সদস্য এবং বিশিষ্ট মিডিয়া ব্যক্তিত্ব রাশেক রহমান।ভিত্তি প্রস্তর স্থাপন অনুষ্ঠানে মূখ্য আলোচকের বক্তব্যে তিনি এই মন্তব্য করেন।

মিঠাপুকুরের জল,স্থল অন্তরীক্ষে  আশিকুর রহমানের ভূমিকা অনশীকার্য-রাশেক রহমান
মৃখ্য আলোচক হিসাবে বক্তব্য রাখছেন তারুণ্যের অহংকার রাশেক রহমান

 

 

শনিবার(২০শে মার্চ)বিকেলে ভিত্তি প্রস্তর স্থাপন শেষে ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের সৌজন্যে এক আলোচনা সভার আয়োজন করা হয়। এতে ভার্চুয়ালে প্রধান অতিথি হিসাবে উপস্থিত ছিলেন আওয়ামীলীগের কেন্দ্রীয় কমিটির কোষাধাক্য,জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় সর্ম্পকিত স্থায়ী কমিটির সভাপতি মিঠাপুকুর- আসনের বারবার নির্বাচিত সাংসদ এইচ এন আশিকুর রহমান বিশেষ অতিথি হিসাবে উপস্থিত ছিলেন ভার্চুয়ালে আশিকুর রহমানের সহধর্মিণী বাংলাদেশ রেড ক্রিসেন্ট সোসাইটির ব্যবস্থাপনা পর্ষদ এর সদস্য , রংপুর ইউনিটের সহ-সভাপতি এবং লাবণ্য প্রকল্পের প্রধান সমন্বয়ক রেহেনা আশিকুর রহমান। এছাড়া আরও উপস্থিত ছিলেন উপজেলা আওয়ামীলীগের সাবেক সভাপতি মোজাম্মেল হক মিন্টু মিয়া,নির্বাহী প্রকৌশলী স্বাস্থ্য অধিদপ্তর রংপুরের মনি কুমার শর্মা,ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক চৌধুরী সেলিম সরকারসহ ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের নেতাকর্মীরা।

প্রধান আলোচকের আলোচনায় রাশেক রহমান প্রথমে তার ১০ বছরের একমাত্র কন্যা অসুস্থতার কারণে ঢাকার ইউনাইটেড হাসাপাতালে ভর্তি থাকার কারণে তার জন্য সকলের কাছে দোয়া প্রার্থনা করেন।পাশাপাশি তিনি গত বৃহস্পতিবার যখন তার মেয়েকে হাসপাতালে ভর্তি করার কথা উল্লেখ করে বলেন-ডাক্তাররা তাদের কাজ করবে,তিনি বাবা হিসাবে তার কাজ করবেন এবং তার মা মা হিসাবে মায়ের কাজ করবেন বলে জানান।সেই সময় হাসপাতালে বসে তার মনে হয়েছে কিছু সাদাকা বা ভালো কাজ করা প্রয়োজন এরি ধারাবাহিকতায় তিনি তার বাবার পক্ষ থেকে এই মা ও শিশু কল্যাণ কেন্দ্রের উদ্বোধন করার জন্য আসেন বলে জনগণকে অবগত করেন।

বক্তব্যের এক পর্যায়ে তিনি বলেন-পরীক্ষা কেন্দ্রে পরীক্ষা দিয়ে কোন সন্তান যখন ভালো ফলাফল করে সেই মেধাবী সন্তানের হাত ধরে অনুভব করা যায়-তার মেধা?তার পুষ্টি? তার বুদ্ধিমত্তার পিছনেও আশিকুর রহমানের হাত রয়েছে।পুষ্টি প্রকল্প থেকে শুরু করে ঘরে ঘরে ফলজ বৃক্ষ অথবা লাবণ্য প্রকল্পের কথাই যদি বলা হয় তাহলে সব জায়গায় আশিকুর রহমানের অবদান বিচরণ।এ সময় ছোট বেলায় রচনার বইয়ে পড়া একটি বাক্যের কথা উল্লেখ করেন।তিনি বলেন-“জল,স্থল অন্তরীক্ষে সচত সঞ্চাচরণ”তেমনি মিঠাপুকুরেও অন্তরীক্ষ আছে? আর মিঠাপুকুরের জল,স্থল অন্তরীক্ষে আশিকুর রহমানের ভূমিকা অনশীকার্য বলে তিনি মন্তব্য করেন।তিনি আরও বলেন-মিঠাপুকুরের মানুষের সবসময় পাশে থেকে সেবা  করার প্রতিশ্রুতি প্রদান করেন।

 

 স্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদপ্তর স্বাস্থ্য পরিবার কল্যাণ মন্ত্রনালয় এর কাজটি সম্পুর্ন করার লক্ষ্যে কাজ করছেন মাজেদা ইন্টারপ্রাইজ নামে একটি ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান।

 

বেপরোয়া উপ-স্বাস্থ্য কেন্দ্রে রোগীর স্থানে মাদকসেবা ও সিন্ডিকেটের আড্ডাখানা

রুবেল ইসলাম,রংপুর

রংপুরের মিঠাপুকুর উপজেলার বড় বালা উপ-স্বাস্থ্য কেন্দ্রে কোন চিকিৎসা কার্যক্রম না থাকায় এখন মাদক সিন্ডিকেট মাদকসেবীদের আড্ডাখানায় পরিণত হয়েছে। স্বাস্থ্য কেন্দ্রে চিকিৎসক,সহকারি ফার্মাসিস্ট নিয়োগ থাকলেও চলছে না সেবা কার্যক্রম। হাসপাতালের জমি দখল করে গড়ে উঠেছে দোকান ব্যবসা প্রতিষ্ঠান ফলে নিচিহ্ন হয়েছে হাসাপাতাল। এলাকাবাসীর দাবী দ্রæ এই স্বাস্থ্য কেন্দ্রটি পুনরায় চালু করা।

মিঠাপুকুরে উপ-স্বাস্থ্য কেন্দ্রে রোগীর স্থানে মাদকসেবা ও সিন্ডিকেটের আড্ডাখানা
বড় বালা উপ-স্বাস্থ্য কেন্দ্র

 

 সরেজমিনে-উপজেলার যমুনাশ^রী নদী তীরবর্তী বড় বালা ইউনিয়নের বড় বালা উপ-স্বাস্থ্য কেন্দ্রটি গ্রামীণ জনগোষ্ঠীকে বিনামূল্যে স্বাস্থ্যসেবা ,ঔষধ পরামর্শ দেওয়ার লক্ষ্যে তৎকালীন সাংসদ শাহ মোঃ সোলায়মান আলম ফকির ১০ শয্যা বিশিষ্ট হাসপাতালটি ১২ ডিসেম্বর ২০০৩ সালে উদ্বোধন করেন। প্রতিষ্ঠালাভের পর থেকে স্বাস্থ্য কেন্দ্রে চিকিৎসক,সহকারি ফার্মাসিস্ট নিয়োগ থাকলেও হাসপাতালের মূল ফটকে ঝুলছে তালা,ভাঙ্গা জানালার ফাঁক দিয়ে দেখা যায় ময়লা স্তুপ পড়ে আছে জিংকসিন ফেন্সিডিলের বোতল।

মিঠাপুকুরে উপ-স্বাস্থ্য কেন্দ্রে রোগীর স্থানে মাদকসেবা ও সিন্ডিকেটের আড্ডাখানা
স্বাস্থ্য কেন্দ্রের ভেতরে পড়ে আছে ফেন্সিডিলের বোতল

 

স্থানীয় নং ওয়ার্ডের বাসিন্দা আনছার আলী গোপী জানান-এই হাসপাতালটি প্রতিষ্ঠা করা হয় যাতে এই ইউনিয়নের মানুষকে চিকিৎসা সেবা নেওয়ার জন্য মিঠাপুকুরে যাওয়া না লাগে। বহু প্রতিশ্রæতি দিয়ে এই হাসপাতাল এখানে প্রতিষ্ঠা করা হয়েছে। কিন্তু এখানে নেই কোন ডাক্তার! নেই কোন এম্বুলেন্স! কোন ধরণের সুযোগ সুবিধা পায়নি এলাকাবাসী বলে জানায় তিনি।

মিঠাপুকুরে উপ-স্বাস্থ্য কেন্দ্রে রোগীর স্থানে মাদকসেবা ও সিন্ডিকেটের আড্ডাখানা
স্বাস্থ্য কেন্দ্রটির কোন জানালই রাখেননি মাদকসেবীরা

 

ছড়ান বাজারের তুলা ব্যবসায়ী বিপ্লব হোসেন ক্ষোপের বসে এই হাসপাতালকে ঘোড়ার ডিমের সাথে তুলনা করেন। তিনি আরও বলেন-এই হাসপাতালের দরজা-জানালা ভাঙ্গা,ঘরের ভেতর ময়লা আর্বজনার স্তপ।মাঝে মাঝে এখানে ডাক্তার আসে তবে তাদের ব্যবহার মাশআল্লাহ্।রোগীদের সাথে খারাপ আচরণ করাই যেন তাদের ধর্ম।এসময় তিনি ডাক্তারদের নিয়ে আরও নানাবিধ মন্তব্য করেন।

স্থানীয় লোকজন আরও বলেন-যদি কোন জরুরী রোগীকে চিকিৎসার জন্য শহরে নিয়ে যাওয়ার পূর্বেই রাস্তায় মারা যাওয়ার ঘটনা অহরহ বলে মন্তব্য করেন এলাকাবাসী।

মিঠাপুকুরে উপ-স্বাস্থ্য কেন্দ্রে রোগীর স্থানে মাদকসেবা ও সিন্ডিকেটের আড্ডাখানা
হাসপাতালের ভেতরে পড়ে আছে জিংসিন ও ফেন্সিডিলের বোতল

 

 

হাসপাতালটি অতি দ্রæ চালু করা এবং  দিবারাত্রি ২৪ ঘন্টায় রোগীদের চিকিৎসা সেবার পাশাপাশি দখলদার হাত থেকে দখল কৃত জমি উদ্ধারের তাগিত স্থানীয় রাজনৈতিক নেতাদের।স্থানীয় আওয়ামীলীগ নেতা নুরুজ্জামান জুয়েল এর সাথে কথা হলে তিনি জানান- এই হাসপাতালটি চালু হলে এই এলাকার প্রায় ২০ হাজার মানুষ চিকিৎসা সেবা পাবে।তিনি আরও বলেন এখানে দিবারাত্রি ২৪ ঘন্টা ডাক্তার থাকার কথা কিন্তু কোন ডাক্তার আসেও না আবার বসেও না তবে মাঝে মাঝে ডাক্তার আসেন। সপ্তাহে ২দিন শনিবার ও বুধবার অফিস খোলা হয় সেখান থেকে কিছু ঔষধ বিতরণ করা হয় তাও সীমিত। পাশাপাশি এই হাসপাতালের কিছু জমি বেদখল করে নানাবিধ ব্যবসা প্রতিষ্ঠান ও বাড়ি গড়ে তুলেছে কিছু ভূমিদস্যু। তাদের প্রতিহত করে হাসপাতালের ৩৩ শতাংশ জমি উদ্ধার করে হাসপাতালের রুপ প্রদান করতে হবে বলে তিনি দাবী করেন।

মিঠাপুকুরে উপ-স্বাস্থ্য কেন্দ্রে রোগীর স্থানে মাদকসেবা ও সিন্ডিকেটের আড্ডাখানা
স্বাস্থ্য কেন্দ্রের জমি দখল করে গড়ে উঠা ব্যবসা প্রতিষ্ঠান

 

 

বেদখল জমি উদ্ধারে একাধিকবার উচ্ছেদ করলেও কোন প্রকার কাজে আসছে না এবং রাতের আধারে আবার ঘর তোলেন দখলদাররা বলে মন্তব্য করেছেন স্থানীয় বড় বালা ইউপি চেয়ারম্যান সাহেব আলী সরকার। এসময় ‍তিনি দাবী করেন-থানা স্বাস্থ্য কর্মকর্তা চাইলে এই সমস্যা সমাধান করতে পারেন ।

আর সুশীল সমাজ সচেতন মহলের দাবী- স্বাস্থ্য কেন্দ্রটি চালু হলে সুবিধা পাবে দিনাজপুর রংপুর জেলার তিনটি উপজেলার সাধারণ মানুষ বলে মন্তব্য করেছেন মিঠাপুকুর এতিম উন্নয়ন ফাউন্ডেশনের প্রতিষ্ঠাতা ও চেয়ারম্যান ফরিদুল ইসলাম ফরিদ। তিনি আরও বলেন-বড় বালা ইউনিয়ন থেকে প্রায় ৩৫ কিলোমিটার রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল এবং প্রায় ২৫ কিলোমিটার দুরে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স। সুতরাং এই অঞ্চলের মানুষদের জন্য চিকিৎসা পাওয়া খুবই দুষ্কর।তাই এই হাসপাতালটিকে নতুন রুপ দিয়ে চালু করা প্রয়োজন বলে তিনি মনে করেন।

 

 মিঠাপুকুরের ১৭টি ইউনিয়নের মধ্যে বর্তমানে উপ-স্বাস্থ্যকেন্দ্র চালু রয়েছে ১১টিতে আর বাকি ৬টিতে অবকাঠামো না থাকলেও নিয়োগ দেওয়া রয়েছে চিকিৎসক।

 

Amader Rangpur news

Contact Form

Name

Email *

Message *

Argon Maltimedia Bangladesh. Powered by Blogger.
Javascript DisablePlease Enable Javascript To See All Widget