Latest Post

 ভারতীয় তরুণীসহ ৩ জনকে  গ্রেফতার করেছে কোতয়ালি থানা পুলিশঃ জেল হাজতে প্রেরণ


রংপুর জেলা প্রতিনিধিঃ

অবৈধভাবে দেশে আসা ভারতীয় এক কিশোরীসহ তিনজনকে আটক করেছে রংপুর সদর কোতয়ালি থানা পুলিশ। শনিবার (২৬ জুন) দুপুরে রংপুরের মিঠাপুকুর উপজেলার রানীপুকুর ইউনিয়নের নূরপুর বালাপাড়া এলাকার লতিফুল ইসলামের বাড়ি থেকে তাদের গ্রেফতার করা হয়।

রোববার (২৭ জুন) দুপুরে প্রেমিক মিলন ও তার সহযোগীসহ ওই কিশোরীকে রংপুর আদালতে হাজির করা হয়।আটক ভারতীয় কিশোরী প্রীতি পন্ডিতের বাড়ি ভারতের কলকাতার হুগলি জেলায় বলে জানা গেছে।তার সঙ্গে আটক হওয়া বাংলাদেশী নাগরিক মো. মিলন ও হাবিবুর রহমান পাচারকারী বলে জানিয়েছে পুলিশ। তাদের বাড়ি রংপুর সদরের সদ্যপুস্করিনী ইউনিয়নের নয়াপুকুর ফাজিলখা এলাকায়।


রংপুর সদর কোতোয়ালি থানার পুলিশ অফিসার এস.আই জাহাঙ্গীর আলম আমাদের এ প্রতিবেদককে জানান, ভারতের কলকাতার হুগলি জেলার মন্টু পন্ডিতের মেয়ে প্রীতি পন্ডিতের (১৭) সঙ্গে রংপুর সদর উপজেলার সদ্যপুস্করিণী ইউনিয়নের মহির উদ্দিনের ছেলে মিলনের পরিচয় সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে। এরপর দুজনের মধ্যে গড়ে ওঠে প্রেমের সম্পর্ক। সেই টানে গত ২৪ জুন ভারত থেকে যশোরের বেনাপোল সীমান্ত দিয়ে পালিয়ে বাংলাদেশ আসে প্রীতি। গত কয়েকদিন ধরে সদ্যপুস্করিণী ইউনিয়নের পালিচড়া ফাজিল খা গ্রামে মিলনের বাড়িতে অবস্থান করছিল সে। 

এসআই আরও জানান, খবর পেয়ে শনিবার দুপুরে অভিযানে নামে পুলিশ। তবে পুলিশের অভিযানের খবর পেয়ে পালিয়ে যায় তারা। পরে মিলন ও তার এক সহযোগী একই গ্রামের বাবলু মিয়ার ছেলে হাবিবুর রহমানকে পার্শ্ববর্তী মিঠাপুকুর উপজেলার রানী পুকুর ইউনিয়নের নূরপুর বালাপাড়া এলাকার লতিফুল ইসলামের বাড়ি থেকে গ্রেফতার করা হয় । এ সময় গ্রেফতার করা হয় প্রীতি পন্ডিতকেও।

রংপুর সদর কোতোয়ালি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোস্তাফিজুর রহমান সাংবাদিকদের জানান, এ ঘটনায় থানার এসআই জাহাঙ্গীর আলম বাদী হয়ে মানবপাচার আইনে তিনজনকে আসামি করে একটি মামলা দায়ের করেছেন। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদ শেষে গ্রেফতার তিনজনকে আদালতে পাঠানো হয়েছে বলেও তিনি নিশ্চিত করেন।


রংপুরে চাঞ্চল্যকর শিশু হত্যা মামলার প্রধান আসামী রাজা ২৯ দিন পর গ্রেফতার


রুবেল ইসলাম,রংপুর

রংপুরের মিঠাপুকুরে ধর্ষণের পর চাঞ্চল্যকর শিশু হত্যা মামলার প্রধান আসামী রাজা মিয়া(২৫)কে গ্রেফতার করেছে থানা পুলিশ । এসময় হত্যাকান্ডে ব্যবহৃত আলামত (ব্লেড, কোদাল, বটি ও রক্তমাখা কাপড়) উদ্ধার করা হয়েছে ।

গত বুধবার (২৬ শে মে) উপজেলার বালুয়া মাসিমপুর ইউনিয়নের বুজরুক সন্তোষপুর সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ে ৩য় শ্রেণীতে লেখাপড়া করা শিক্ষার্থীকে ধর্ষন করে গলা কেটে হত্যা করে খাটের নিচে পুঁতে রেখে পালিয়ে যায় ঘাতক।
২৯ দিন পর রাজা মিয়া পুলিশের কাছে আটক



পুলিশ ও এলাকাবাসী সূত্রে জানা যায়- বাদীর জ্যাঠা মুন্নাফ মৃতবরন করায় বাদী ও তাহার পরিবারের অন্যান্য লোকজন মৃত ব্যক্তির দাফন কাফন করার জন্য ছড়ানে যায় । বাদীর স্ত্রী ও মেয়ে (ভিকটিম) বাড়ীতে ছিল । বাদী তাহার জ্যাঠার দাফন কাফন শেষ করিয়া বেলা অনুমান ০৩.০০ ঘটিকার সময় বাড়ীতে ফিরিয়া আসিলে তাহার স্ত্রী বলে যে, তাদের মেয়ে ১০/-টাকা নিয়ে বিস্কুট কেনার জন্য বাড়ীর পাশেই বুলবুলের দোকানে যায় । এখন পর্যন্ত বাড়ীতে আসে নাই । তখন বাদী ও তাহার পরিবারের লোকজন শিশু ভিকটিমকে বুলবুলের দোকান সহ বিভিন্ন জায়গায় খোজাখুজি করিতে থাকে । ইং-২৭/০৫/২১ তারিখ সকাল অনুমান ০৮.০০ ঘটিকার ০১নং আসামী তার নানা বাড়ীতে না থকায় বাদীর সন্দেহ আরো বেড়ে যায় । তখন বাদী গ্রামের লোকজন সহ রাজা মিয়ার নানী বাড়ীতে খোজাখুজি করাকালে উক্ত বাড়ীর পূর্ব দুয়ারী আধাপাকা ঘরের মেঝেতে কাদা দেখে সবার সন্দেহ বেড়ে যায়। এরপর তারা মিঠাপুকুর থানা পুলিশকে খবর দিলে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে ঘরের মেঝে খুড়ে ভিকটিমের লাশ উদ্ধার করে। বাদী রাজা মিয়া ও হালিমা বেগমকে আসামী করে মামলা দায়ের করেন। মামলা নং-৬০, তারিখ-২৭.০৫.২০২১ ইং, ধারা-৩০২/২০১/৩৪ দন্ড বিধি। উক্ত ঘরে অবস্থানকারী তার নানী হালিমা বেগম কে ঘটনার দিনই পুলিশ গ্রেফতার করে। উক্ত মামলার প্রধান আসামী রাজা মিয়া নিজেকে রক্ষায় আত্মগোপন করেন । অবশেষে মিঠাপুকুর থানা পুলিশের একটি চৌকশ দল মোবাইল ট্রাকিংয়ের মাধ্যমে গতকাল বিকাল চারটায় ফরিদপুর নগরকান্দা থানাধীন তালমার মোড় এলাকায় অভিযান পরিচালনা করে তাকে গ্রেফতার করেন। গ্রেফতারকৃত আসামীকে প্রাথমিকভাবে জিজ্ঞাসাবাদে পাওয়া তথ্যে পুলিশ জানায় - রংপুর জেলার মিঠাপুকুর উপজেলার বালুয়া মাসিমপুর ইউনিয়নের বুজরক সন্তোষপুর গ্রামের শামিম মিয়ার পুত্র রাজা মিয়া (২৫) । ছোট বয়স থেকেই সে নানীর বাড়িতে বড় হয়েছে। সে বিভিন্ন জায়গায় রুটি ফ্যাক্টরিতে কাজ করত। ঘটনার দিন রাজা মিয়ার নানার নিজ ভাই মারা গেলে সবাই ছড়ান এলাকায় লাশ দাফনে যায়। কিন্তু রাজা মিয়া ,তার মামাতো বোন রহিমা ও মামী তার একমাত্র দুই মাসের বাচ্চা নিয়ে বাড়িতে ছিল।রহিমাদের বাড়ি ও রাজা মিয়ার নানা বাড়ি পাশাপাশি। দুপুর ১২ টার দিকে রহিমা তার মায়ের কাছ থেকে ১০/- টাকা নিয়ে বাড়ির পাশের দোকানে বিস্কুট কিনতে যায়। পথের মধ্যে রাজা মিয়ার সাথে দেখা হলে রাজা মিয়া তাকে আরও ১০ টাকা দিয়ে বিস্কুট আনতে বলে। এরপর বিস্কুট নিয়ে রাজা মিয়ার কাছে আসলে রাজা মিয়া তাকে নিয়ে তার ঘরে যায়।

এরপরে রাজা ঘরের দরজা বন্ধ করে দিয়ে তার পড়নের কাপড় খুলে তার ইচ্ছার বিরুদ্ধে ধর্ষণের চেষ্টা করে। ভিকটিম চিৎকার দিতে শুরু করলে রাজা তার গলা টিপে ধরে। এতে ভিকটিমের শ্বাস-প্রশ্বাস বন্ধ হয়ে যায়। এরপর ভিক্টিমের মৃত্য নিশ্চিত করার জন্য সে ব্লেড দিয়ে তার গলা কাটে। এরপর কোদাল ও বটি দিয়ে ঘরের মধ্যে গর্ত করে লাশ গর্তের মধ্যে পুতে ফেলে উক্ত গর্ত পানি দিয়ে লেপে দিয়ে তার উপর ধানের বস্তা রেখে দেয়। হত্যাকান্ডে ব্যবহৃত কোদাল পাশের বাসাতে, বটি বেডের নিচে এবং রক্ত মোছার কাজে ব্যবহৃত কাথা ও লুঙ্গি পাশের পুকুরে পুতে রাখে। এরপর সে হত্যাকান্ড আড়াল করার জন্য সবার সাথে ভিকটিমকে খুজতে থাকে। ঘটনার দিন রাত সাড়ে এগারোটার দিকে সে বাড়ি থেকে পালিয়ে যায়। গ্রেফতারের পর তার দেয়া তথ্য অনুসারে হত্যাকান্ডে ব্যবহৃত ব্লেড তার ঘরে লাশ গুমের জন্য খননকৃত গর্ত থেকে, বটি তার ঘরের বেডের নিচ থেকে, কোদাল পাশের মাহবুল এর বাড়ি থেকে এবং মেঝের রক্ত মোছার কাজে ব্যবহৃত লুঙ্গি ও কাঁথা পাশের বাড়ির পুকুর থেকে উদ্ধার করা হয়।
ডি-সার্কেল সিনিয়র এএসপি কামরুজ্জামান জানান- গ্রেফতারকৃত আসামী সেচ্ছায় দোষ স্বীকার করে স্বীকারোক্তিমুলক জবানবন্দি প্রদানে আগ্রহ প্রকাশ করায় তার জবানবন্দি রেকর্ডের জন্য বিজ্ঞ আদালতে প্রেরণ করা হয়েছে।

 রংপুরে পূর্বশত্রুতার জেরে বাড়িতে

হামলা-ভাংচুর, নগদ টাকা লুট

রাফাত হোসের বাঁধন, রংপুর। রংপুরের গঙ্গাচড়ায় পূর্ব শত্রুতার জের ধরে পরিবারের সদস্যদের উপর হামলা ও নগদ অর্থ লুটের অভিযোগ উঠেছে। এঘটনায় থানায় মামলা দায়ের করেছে ভুক্তভোগী পরিবার। তবে আসিমারা গ্রেফতার না হওয়ায় হামলার শিকার পরিবারটি এখন চরম নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছেন।


অভিযোগ উঠেছে, গঙ্গাচড়া উপজেলার আলমবিদিতর ইউনিয়নের জু্ম্মাপাড়ার আনাহার মিয়া ও তার পারিবারের সাথে জমিজমা সংক্রান্ত বিরোধ চলছিল একই এলাকার রায়হান ইসলামের। এরই জের ধরে গত রোববার (২০ জুন) বিকেলে দেশীয় লাঠি, সোডা, রড হাতে বাসা বাড়িতে জোরপূর্বক ঢুকে আনাহার, ফারুক, গোলজার, কামাল ও আমজানুরসহ অজ্ঞাত বেশ কয়েকজন হামলা চালায়। এসময় রায়হানের মা মোরশেদা বেগম ও ছোটবোন কামরুন্নাহার, ভাবী সম্পা বেগম, স্ত্রী সুমাইয়া ও ছোটভাই বোরহান শাহ নয়ন তাদেরকে বাধা দেয়ার চেষ্টা করেন। এতে বিক্ষুদ্ধ হয়ে আনাহারের লোকজন বাড়িতে ভাংচুর করে অকাথ্য ভাষায় গালাগালি ও শ্লীলতাহানি করে। একপর্যায়ে তারা বোরহান ও তার মাকে মারধর করে জখম করে। বাড়িতে ভাংচুর ও মারধর করার সময়ে ঘরের ভিতরে প্রবেশ করে নদগ ৫০ হাজার টাকা, রায়হানের স্ত্রীর ৩২ হাজার টাকা মূল্যের গলায় থাকা স্বর্ণের চেইন ছুড়ে নিয়ে যায়। ওই ঘটনায় প্রায় ১ লাখ ৩৭ হাজার টাকার ক্ষয়ক্ষতি হয় বলে দাবি রায়হান ইসলামের। ঘটনার দিন মধ্যরাতেই গুরুতর আহত অবস্থায় বোরহান ও তার মাকে রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।


হামলার ওই ঘটনায় সোমবার (২১ জুন) সন্ধ্যায় গঙ্গাচড়া মডেল থানায় রায়হান ইসলাম বাদী হয়ে আনাহার মিয়াকে প্রধান আসামী করে আটজনের নাম উল্লেখ করে একটি মামলা দায়ের করেন। বাকি আসামীরা হলেন, ফারুক মিয়া (২৮), গােলজার হোসেন (৪৫), কালাম মিয়া (৬২), আমজানুর মিয়া (২৬), মোমেনা বেগম (২৫), শারমিন বেগম (২৭), কাওসার মিয়া (৩৫)। এদিকে আসামীরা এখনো গ্রেফতার না হওয়ায় হামলার স্বীকার রায়হানের পরিবার চরম নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছেন। দ্রুত প্রশাসনের কাছে বিচার দাবী করেছেন পরিবারটি।
এ বিষয়ে গঙ্গাচড়া মডেল থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সুশান্ত কুমার সরকার বলেন, ইতিমধ্যে অভিযুক্তদের নামে একটি মামলা হয়েছে। আসামীদের গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে।

 ♦আইন প্রয়োগকারী সংস্থার চোখ ফাকি দিয়ে♦

 " রংপুর সদরের কাটাবাড়ি বড়ভিটায় মাদক সম্রাট

      আনোয়ার, রহিদুল ও এরশাদ আলীর মাদক  

              ব্যবসা এখন পুরোদমে চলছে"


রংপুর জেলা প্রতিনিধিঃ

রংপুর সদরের সদ্যপুস্করিনী ইউনিয়নের ১নং ওয়ার্ডের কাটাবাড়ি মিলবাজার এলাকার বড়ভিটা নামক গ্রামে মাদক সম্রাট আনোয়োর হোসেনকে রংপুর কোতয়ালি থানার চৌকস পুলিশ অফিসার জাহাঙ্গীর হোসেন কর্তৃক আটকের ৩ দিনের মাথায় হাজত থেকে বের হয়ে এসে আবারো পুরোদমে মাদক(গাঁজা) ব্যবসা শুরু করেছেন আনোয়ার হোসেন। ফলে বড়ভিটায় বিভিন্ন এলাকার খুচরা মাদক ব্যবসায়ীদের আনাগনা বেশ লক্ষ করা যাচ্ছে।




অভিযোগ উঠেছে,  মাদক সম্র্রাট আনোয়ারের পাশাপাশি একই গ্রামের মাহাম্মাদ আলীর ছেলে ইয়াবা ব্যবসায়ী রহিদুল ও আঃ মজিদের ছেলে ইয়াবা ব্যবসায়ী এরশাদ আলী ইতিপূর্বে খুচরা বিক্রি করলেও এখন খুচরার পাশাপাশি বেশ কিছুদিন থেকে মরন নেশা ইয়াবার (বিচি, বাবা) পাইকাড়ি ব্যবসা শুরু করেছেন। পুলিশের চোখ ফাকি দিয়ে সুকৌশলে এ ইয়াবার ব্যবসা চালিয়ে যাওয়ার কারনে কাটাবাড়িসহ পার্শ্ববর্তী এলাকার বিশেষ করে যুবসমাজের একটি বড় অংশ এ নেশায় বুদ হয়ে আছেন।

সেখানে গিয়ে লক্ষ করা গেছে মাদক সেবিরা মূল সড়ক ব্যবহার না করে মানুষের অাবাদি, অনাবাদী জমির পাশ/আইল/মাল্লি দিয়ে বড়ভিটায় প্রবেশ করছেন, মাদক নিয়ে আবার বিভিন্ন ফাক-ফোঁকড় দিয়ে বেরিয়ে পড়ছেন। 

এ বিষয়ে স্থানীয় ইউপি সদস্য আনারুল ইসলাম ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে"দৈনিক দিনকাল'কে জানান, ইতিপূর্বে আরো মাদক ব্যবসায়ী ছিল। থানা পুলিশের সহযোগীতার অনেককে আত্নসমর্পণ করা হয়েছে এবং স্বাভাবিক জীবনে ফিরে আনা হলেও কেউ কেউ গোপনে মাদক ব্যবসা চালিয়ে যাচ্ছে। আমরা নতুন করে এদের লিষ্ট করছি। ব্যবসা বন্ধ না করলে এ লিষ্ট থানায় জমা দেয়া হবে।

বেশ কিছু সুত্র জানায়, বড়ভিটা থেকে পালিচড়া, নয়াপুকুর, বাবুরহাট, ভুরারঘাট, মাধবপুর, তালতলা, খোড়াগাছ, শ্যামপুরসহ বিভিন্ন এলাকায় মাদক সরবরাহ করা হয়। 

এলাকাটি সদর, বদর ও মিঠাপুকুর উপজেলার সীমান্তপথ হওয়ায় নিরাপদ রুট হিসেবেই মাদককারবারিরা এ পথটি বেছে নেয়। এছাড়াও বড়ভিটা গ্র্রামটি একটি বিচ্ছিন্ন দ্বীপের মত হওয়ায় মাদক ব্যবসার জন্য নিরাপদ ঘাটি হিসেবে মাদক ব্যবসায়ীদের জায়গাটি খুবই পছন্দ। প্রশাসনের লোকজন সেখানে যাবার আগেই খবর পৌছে যায় এদের কাছে, ফলে মূহুর্তেই সটকে পড়তে পারেন তারা।

 আরপিএমপি ডিবি কর্তৃক মাদকদ্রব্যসহ ব্যবসায়ী  গ্রেফতার


রুবেল ইসলাম,রংপুর ।।

রংপুর মেট্রোপলিটন পুলিশ (আরপিএমপি)’র  গোয়েন্দা বিভাগ (ডিবি) কর্তৃক ৩০ পিস ইয়াবা ট্যাবলেট উদ্ধারসহ তিনজন মাদক ব্যবসায়ী এবং নয়জন মাদকসেবীকে  গ্রেফতার করেছে পুলিশ।



গত রবিবার ( ২০ শে জুন ) দিবারাত্রি অভিযান চালিয়ে রংপুর মেট্রোপলিটন  গোয়েন্দা বিভাগ (ডিবি) এর উপ-পুলিশ কমিশনার কাজী মুত্তাকী ইবনু মিনান মহোদয়ের নির্দেশনায় ও সার্বিক তত্ত্বাবধানে সহকারী পুলিশ কমিশনার (ডিবি)  ফারুক আহমেদ এর অপারেশন কর্মপরিকল্পনায় মহানগরীর পৃথক পৃথক এলাকায় অভিযান পরিচালনা করে নেশা জাতীয় মদকদ্রব্য ৩০ পিস ইয়াবা ট্যাবলেট উদ্ধার সহ তিন জন মাদক ব্যবসায়ী এবং নয় জন মাদকসেবীসহ মোট ১২ জনকে গ্রেফতার করা হয় ।



 গতকাল একটি অভিযানে গোপন সংবাদের ভিত্তিতে এসআই (নিঃ) বাবুল ইসলাম এর নেতৃত্বে এসআই (নিঃ) গোলাম মোর্শেদ এবং সঙ্গীয় অফিসার ফোর্সসহ আরপিএমপি রংপুর কোতয়ালী থানা এলাকায় মাদকবিরোধী অভিযান পরিচালনা করা কালে উক্ত থানাধীন মুন্সিপাড়া কেরামতিয়া মাদ্রাসা সংলগ্ন মদিনা ম্যা ̈নশন, বাসা নং- ৮, রোড নং-১ এর সামনে চলাচলের পাকা রাস্তায় উপর থেকে নেশা জাতীয় মাদকদ্রব্য ৩০ পিস ইয়াবা ট্যাবলেট উদ্ধারসহ মহিলা আসামী  মৌ আক্তার (২৭)কে আটক করা হয়। সে ১২ নং ওয়ার্ড  কামারপাড়া চামড়াপট্টি হাজিপাড়া এলাকার জাহাঙ্গীর আলমের স্ত্রী। পরবর্তীতে গ্রেফতারকৃত মহিলা আসামীর দেয়া তথ্যের ভিত্তিতে তার বাসায় অভিযান পরিচালনা করে উক্ত মাদকদ্রব্য পাচারের সাথে জড়িত আরোও দুই জন আসামী নূরুল ইসলাম জাহাঙ্গীর আলম ও আব্দুল আউয়াল  রাকিব হাসান @ রবি @ বাবু(৩০)(নব মুসলিম)পূর্বের নাম-শ্রী রবি দাস নামে গ্রেফতার করা হয়।গ্রেফতারকৃত রবি ১৫ নং ওয়ার্ড তাজহাট থানার মর্ডান আশরতপুর এলাকার   পুলিন রায়ের পুত্র । পরবর্তীতে গ্রেফতারকৃত আসামীদের বিরুদ্ধে কোতয়ালী থানায় মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইন- ২০১৮ ধারায় মামলা দায়ের করা হয়েছে।





অপরদিকে গতকাল অপর অভিযানে গোপন সংবাদের ভিত্তিতে এসআই(নিঃ) নাজমুল ইসলাম, এসআই(নিঃ) গোলাম মোর্শেদ, এসআই(নিঃ) আবু ছাইয়ুম তালুকদার এবং সঙ্গীয় অফিসার ফোর্সসহ আরপিএমপি রংপুর কোতয়ালী থানা এলাকায় মাদকবিরোধী অভিযান পরিচালনা করে । উক্ত থানাধীন ২৫ নং ওয়ার্ড  শালবন সিটি কর্পোরেশন বালিকা উচ্চ বিদ্যালয় এবং আলমনগর পীরপুর সরকারী প্রাথমিক উচ্চ বিদ্যালয় এর বাউন্ডারী প্রাচীরের ভিতরে নেশা জাতীয় মাদকদ্রব্য গাঁজা সেবনের প্রস্ততিকালে গাঁজা সেবনের সরঞ্জামাদি সহ নয়জন মাদকসেবী  ফজলে রাব্বি (২৮) , পিতা- দেওয়ান আবু সাঈদ তাইমুর রহমান, সাং- করনজাই রোড, সেনপাড়া, ওয়ার্ড নং- ২১, থানা-কোতয়ালী, ২। ইফতি প্রধান (২৬), পিতা- ওয়াহেদ প্রধান, সাং-গুপ্তপাড়া, ওয়ার্ড- ২৪, ৩। আজম (২৯), পিতা- মোছাদ্দের আলী, সাং-  ̧প্তপাড়া, ওয়ার্ড- ২৪, ৪। আরিফুর রহমান (২৭), পিতা-শফিউল ইসলাম, সাং-  ̧গুপ্তপাড়া, ওয়ার্ড- ২৪, ৫। মোঃ আসিফ ইসলাম (২৫), পিতা- মোঃ আইয়ুব আলী, সাং-  ̧প্তপাড়া, ওয়ার্ড- ২৪, ৬। মোঃ আসিফ আজম (২৬), পিতা- মোঃ নাইয়ার আজম, সাং- সেনপাড়া গ্রান্ড হোটেল মোড়, ওয়ার্ড-২১, ৭। তন্ময় (২০), পিতা- ম...ত কুমারেশ, সাং- কামাল কাছনা,ওয়ার্ড- ২৪, ৮। মোঃ শাহাদৎ হোসেন (২১), পিতা- মোঃ বাদশা মিয়া, সাং-  ̧প্তপাড়া, ওয়ার্ড- ২৪, ৯। জামাল হোসেন (৫৫), পিতা- ম...ত ফকির চান্দ,সাং- আলম নগর খামার চুড়ি পট্টি, সর্বথানা- কোতয়ালী, মহানগর, রংপুরকে গেধফতার করা হয়। 



পরবর্তীতে গেধফতারক...ত আসামীদের বিরুদ্ধে কোতয়ালী থানায় মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইন ২০১৮ ধারায় মামলা দায়ের করা হয়। পরবর্তীতে গ্রেফতার আসামীদের বিরুদ্ধে কোতয়ালী থানায় মাদকদ্রব্য  নিয়ন্ত্রণ আইন ২০১৮ ধারায় মামলা দায়ের করা হয়।


Amader Rangpur news

Contact Form

Name

Email *

Message *

Argon Maltimedia Bangladesh. Powered by Blogger.
Javascript DisablePlease Enable Javascript To See All Widget