"আশংকাজনক অবস্থায় হাসপাতালে ভর্তি"
রংপুরে সৎ মাকে হত্যার চেষ্টা! প্রাণে বাচলেও পিটিয়ে
হাত ভেঙ্গে দিয়েছেন ছেলে ও ছেলের বউয়েরা
নিজস্ব প্রতিবেদকঃ
রংপুরের কিসামত মাধবপুর ভাটেরগাও এলাকায় সৎ মাকে হত্যা চেষ্টা চালিয়েছেন ছেলে ও ছেলের বউয়েরা। তবে সৎ মা প্রাণে বাচলেও পিটিয়ে তার বাম হাত ভেঙ্গে দেয়া হয়। ঘটনাটি ঘটেছে রোববার সকাল ৭টায় সদ্যপুস্করিনী ইউনিয়নের কিসামত মাধবপুর ভাটেরগাও এলাকায়। বর্তমানে ঐ সৎ মাকে উদ্ধার করে রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে আশংকাজনক অবস্থায় ভর্তি করা হয়েছে।
ঘটনার বিবরনে প্রকাশ, রংপুর সদর উপজেলার সদ্যপুস্করিনী ইউনিয়নের কিসামত মাধবপুর ভাটেরগাও এলাকার মরহুম আইনুদ্দিন মিয়ার ছেলে শুকুর আলী তার প্রথম স্ত্রী কবজান বেগম মারা যাওয়ার পর প্রায় সাড়ে তিন বছর পর ছেলে-মেয়েদের সম্মতিতে ২০০৮ সালে রংপুর নগরীর ১৪ নং ওয়ার্ডের মরিচটারির আব্দুল লতিব মিয়ার মেয়ে লতিফা বেগম(৩৬) কে বিয়ে করেন। বিয়ের পর তাদের এক ছেলে সন্তান জন্ম হয়। বর্তমানে লিখন নামে ঐ সন্তানের বয়স প্রায় ১০ বছর। লিখন বড় হওয়ার সাথে সাথে শুরু হয় সৎ মায়ের উপর সতীনের ছেলে, মেয়ে ও ছেলের বউদের অমানুষিক নির্যাতন।
এরই জের ধরে গত রবিবার সকাল ৭টার দিকে ধানচাষ সংক্রান্ত পারিবারিক ঘটনার জেরধরে তর্কাতর্কির এক পর্যায়ে স্বামীর অনুপস্থিতিততে বড় সতীনের ছেলে দেলোয়ার হোসেন, মনোয়ার হোসেন, দেলোয়ারের স্ত্রী মোছাঃ নুরি বেগম, মনোয়ারের স্ত্রী মোছাঃ পারুল বেগম, বটি, লাঠিসোঠা নিয়ে সৎ মাকে হত্যার উদ্দেশে তার উপর হামলা ও মারডাং শুরু করেন শ্বাসরোধ করে হত্যার চেষ্টা চালান। একপর্যায়ে
তার আত্ন চিৎকারে আশপাশের লোকজন এগিয়ে আসার আগেই পিঠিয়ে বাম হাত ভেঙ্গে দেন। পরে আশপাশের লোকজন এসে সৎ মা লতিফা বেগমকে উদ্ধার করে প্র্রাথমিক চিকিৎসা দেয়া হয়। পরে অস্থার অবনতি হলে লতিফা বেগমকে রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের তৃতীয় তলার ৩২ নং ওয়ার্ডে ভর্তি করা হয়। গলাসহ তার শরীরে অসংখ্য আঘাতের চিহৃ রয়েছ। মাকে বাচাতে গিয়ে লতিফার ১০ বছরের ছেলে লিখনকেও মারডাং করেন ও চোখের মধ্যে আঘাত করেন হত্যাচেষ্টাকারীরা।
এদিকে বড় সতীনের ছেলে দেলোয়ার হোসেন, মনোয়ার হোসেন, আনোয়ার হোসেন, দেলোয়ারের স্ত্রী মোছাঃ নুরি বেগম, মনোয়ারের স্ত্রী মোছাঃ পারুল বেগম গং মামলা না করার জন্য লতিফার স্বামীকে বিভিন্ন ধরনের হুমকী দিচ্ছেন বলে অভিযোগ উঠেছে।
এলাকার সচেতনমহল বিষয়টি ক্ষতিয়ে দেখার জন্য আইনপ্রয়োগকারী সংশ্লিষ্ট সংস্থার আশু হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন।