Latest Post

  মিঠাপুকুরে সাংসদের সাথে চেয়ারম্যান প্রার্থীর সৌজন্য সাক্ষাৎ




মিঠাপুকুর(রংপুর)প্রতিনিধি

রংপুরের মিঠাপুকুর-৫ আসনের ৫ম বারের নির্বাচিত সাংসদ জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত স্থায়ী কমিটির সভাপতি ও বাংলাদেশ আওয়ামীলীগের কেন্দ্রীয় কমিটির ৫ম বারের কোষাধাক্য হাবিবুরন্নবী আশিকুর রহমানের সাথে আসন্ন ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে নৌকা প্রতিকে সম্ভব্য চেয়ারম্যান প্রত্যাশী নুরআলম সৌজন্য সাক্ষাৎ করেন।

শুক্রবার(৩ই ডিসেম্বর)সন্ধ্যায় উপজেলার “মিঠাপুকুর ভবন”-এ সাক্ষাৎকার করেন খোড়াগাছ ইউনিয়ন পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান ও বর্তমান নৌকা প্রত্যাশী নুরআলম ৩ সহস্রাধীক জনগণ নিয়ে দেখা করেন।



দুপুড়ে খোড়াগাছ ইউনিয়ন পরিষদ কমপ্লেক্স থেকে ৩ শতাধিক মোটরসাইকেল ও দেড় শতাধিক অটোতে প্রায় ৩ সহস্রাধীক মহিলা ও পুরুষ ভোটারদের সাথে নিয়ে জাতীয় সাংসদ সদস্যের সাথে সৌজন্য সাক্ষাৎ করেন তিনি। এ সময় সাংসদের হাতে ফুলের তৈরী আওয়ামীলীগের দলীয় প্রতিক নৌকা উপহার দিয়ে দোয়া ও আর্শিবাদ কামনা করেন।

আশিকুর রহমান খোড়াগাছ বাসীর কাছে তার ভবনে আসার উদ্দেশ্য জানতে চাইলে স্থানীয় কয়েকজন খোড়াগাছের অবিভাবক ও চেয়ারম্যান হিসাবে নুরআলকে দেখতে চান এবং সদয় দৃষ্টি ও দোয়া কামনা করেন।

আশিকুর রহমান খোড়াগাছ বাসীর উদ্দেশ্যে বলেন-খোড়াগাছ ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান নুরআলমকে তিনি চিনেন এবং আমেরিকা থেকে তার বিভিন্ন প্রোগাম দেখেছেন। খোড়াগাছে তার ব্যাপক জনপ্রিয়তা রয়েছে এবং তারুণ্যে ও যুব জননেতা হিসাবে আখ্যায়িত করেন। এ সময় তিনি আরও বলেন- নৌকার মনোনায়ন দেওয়ার ক্ষমতা নেই এই ক্ষমতা শুধুমাত্র বঙ্গবন্ধু কন্যা জননেত্রী শেখ হাসিনার। নৌকার মনোনায়নে শুধুমাত্র সাংসদ সদস্য হিসাবে সুপারিশ দিতে হয়। খোড়াগাছ ইউনিয়নে যতগুলো উন্নয়ন হয়েছে আরও উন্নয়ন হবে বলে তিনি মন্তব্য করেন।

জানা যায়-মিঠাপুকুরের সাংসদ করোনাকালীন সময় চিকিৎসার জন্য দীর্ঘ দিন দেশের বাইরে থাকায় মিঠাপুকুরে আসেন নি।প্রতিনিয়ত ১৭টি ইউনিয়নের নৌকা প্রতিকের চেয়ারম্যান প্রত্যাশীরা সাংসদের সাথে সৌজন্য করছেন।


 বদরগঞ্জে মনোনয়ন প্রত্যাহারের দাবিতে বিক্ষোভ মিছিল, মানববন্ধন ও সংবাদ সম্মেলন 


রংপুর অফিস

রংপুরের বদরগঞ্জ উপজেলার  গোপালপুর ইউপি নির্বাচনে উপজেলা বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা সভাপতির ভাই ও  বিদ্রোহী প্রার্থী ছামছুল আলমকে  নৌকার মনোনয়ন দেয়ায় বিক্ষোভ মিছিল ও মানববন্ধন করেছেন এলাকাবাসী। আধাঘন্টা শ্যামপুর-বদরগঞ্জ রাস্তা অবরোধ করেন।


সোমবার (২২ শে নভেম্বর) দুপুরে উপজেলার গোপালপুর ইউনিয়নের শ্যামপুর বাজারে এ মানববন্ধন ও বিক্ষোভ সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়।  শেষে সংবাদ সম্মেলন করেন নৌকার মনোনয়ন প্রত্যাশী আজিজুর রহমান।


 সংবাদ সম্মেলন থেকে জানা যায় -শ্যামপুর তথা ১১ গোপালপুর ইউনিয়নের সাধারণ ভোটারদের মাঝে মিশ্র প্রতিক্রিয়া দেখা দিয়েছে। বিশেষকরে প্রার্থী না বদলালে নৌকার ভরাডুবির আশংকা করছেন তৃণমূল আওয়ামীলীগের নেতা কর্মীরা!


জানা যায়-বদরগঞ্জ উপজেলা আওয়ামীলীগের সহ -সভাপতি আজিজুর রহমান জনগনের রায়ে জননন্দিত চেয়ারম্যান হিসেবে চার চার বার দায়িত্ব পালন করে আসছেন। অত্র এলাকায় আওয়ামী পরিবারের গর্বিত সদস্য হিসেবে বেশ সুখ্যাতি রয়েছে তার। জনপ্রিয় ও দক্ষ চেয়ারম্যানের স্বীকৃতিস্বরুপ বাংলাদেশ সরকারের কাছ থেকে গোল্ড মেডেলও অর্জন করেছেন  আজিজুর রহমান। 


গত ইউপি নির্বাচনে বিএনপি পরিবারের সদস্য বিদ্রোহী প্রার্থী  সামছুল আলমকে হারিয়ে নৌকা প্রতিক নিয়ে বিপুল ভোটে নির্বাচিত হয়ে জনসেবায় নিজেকে বিলিয়ে দিয়েছেন  আজিজুর রহমান চেয়ারম্যান।


 অথচ চলতি ইউপি নির্বাচনে তাকে মনোনয়ন না দিয়ে আওয়ামীলীগের সভানেত্রী প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার গতবারের বিদ্রোহী প্রার্থীদের বিষয়ে এবার মনোনয়ন না দেয়ার কঠোর নির্দেশনা দেয়া থাকলেও কি কারনে, কিভাবে, কাদের মদদে মোঃ সামছুল আলমকে (গতবারের বিদ্রোহী প্রার্থী) নৌকার মনোনয়ন দেয়া হলো তা নিয়ে এখন চলছে নানানজনের নানান বিশ্লেষণ।


রংপুর জেলা আওয়ামীলীগ, বদরগঞ্জ উপজেলা আওয়ামীলীগ ও গোপালপুর ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের শীর্ষস্থানীয় নেতা-কর্মীরাও খুজে পাচ্ছেননা আজিজুর রহমানকে মনোনয়ন না দেয়ার কি কারন। 


তাই তৃণমূল আওয়ামীলীগের  অনেকেই আসন্ন ইউপি নির্বাচনে আওয়ামীলীগের মনোনয়ন বোর্ডে থাকা দায়িত্বশীল নেতৃত্ব তথা প্রধানমন্ত্রীর দৃষ্টি কামনা করে সিদ্ধান্ত পুনরায় বিবেচনার জোর দাবী জানিয়েছেন।


গোপালপুর ইউনিয়নের বাসিন্দা, শ্যামপুর সুগার মিলস এমপ্লয়িজ ইউনিয়নের সেক্রেটারি ও আওয়ামী শ্রমিকলীগ নেতা আবু সুফিয়ান সাংবাদিকদের জানান, এ সিদ্ধান্ত পুনরায় বিবেচনা করা উচিত! তিনি অভিযোগ করে বলেন, বদরগঞ্জের গোপালপুর ইউনিয়নের জনাব শামসুল আলম যাকে নৌকার মনোনয়ন দেয়া হয়েছে তার ভাই বদরগঞ্জ উপজেলা বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি সহিদার হাজী এবং তিনি বিগত নির্বাচনে নৌকার বিরুদ্ধে বিদ্রোহী হিসেবে নির্বাচন করেছিল। যারা নৌকার বিপক্ষে নির্বাচন করে তারা আবার নৌকার মনোনয়ন কিভাবে পায়!

বিষয়টি খুবই  দুঃখজনক!যারা জয়বাংলা, জয় বঙ্গবন্ধু বলাই শেখেনি তারা কি না নৌকার মাঝি হতে চায়?

১১ নং ইউনিয়ন বাসিরা এটা মেনে নিবে না। ইতোমধ্যে তারা উক্ত প্রার্থী কে প্রত্যাক্ষান করেছে। যারা আওয়ামীলীগ করে তাদের মধ্যে থেকে প্রার্থী দিতে হবে। আওয়ামী লীগ কোন ব্যাবসার জায়গা নয়, এটা গন মানুষের আশ্রয়ের শেষ ঠিকানা। 


আওয়ালী লীগ মনোনয়ন বোর্ড এর নিকট পুনঃ বিবেচনার জন্য এ শ্রমিক নেতা অনুরোধও জানিয়েছেন। 

 

গোপালপুর ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের সভাপতি  আবু তালেব একবুক কষ্ট নিয়ে বলেন, যে আওয়ামীলীগের জন্য  আমরা দিন-রাত কাজ করি, যে নৌকাকে আমরা স্বয়নে, স্বপনে লালন করি, ধারন করি সেই আওয়ামীলীগ বিএনপি পরিবারে নৌকা প্রতিক দিতে পারেনা! নিশ্চই ষড়যন্ত্রের মাধ্যমে উপরমহলকে ভুল বুঝিয়ে বর্তমান জননন্দিত চেয়ারম্যান ও বদরগঞ্জ উপজেলা আওয়ামীলীগের সহ সভাপতি  আজিজুর রহমানকে মনোনয়ন বঞ্চিত করা হয়েছে। যা তৃণমূল নেতা-কর্মীরা মানতে পারছেনা। তিনি বিষয়টি ক্ষতিয়ে দেখতে স্থানীয় এমপি মহোদয়সহ জেলা ও উপজেলা আওয়ামীগের কাছে আবেদন জানান।


বদরগঞ্জ উপজেলা আওয়ামীলীগের সহ-সভাপতি ও গোপালপুর ইউপির বর্তমান চেয়ারম্যান আজিজুর রহমান জানান, বিগত ৭ বার নির্বাচন করে  ৪ বার অত্র ইউনিয়নের চেয়ারম্যান হিসেবে সুনামের সাথে দায়িত্ব পালন করে আসছি।


 অবদি তার বিরুদ্ধে কোন দূর্ণীতি বা স্বজন প্রীতির কোন অভিযোগ কেউ দিতে পারেনি। জন্মলগ্ন থেকেই তার আওয়ামী পরিবার। আওয়ামীলীগের দুঃসময়ে তারা সর্বদা রাজপথে সামনের সারিতে থেকে সবকিছু মোকাবেলা করেছে, মার খেয়েছে, হামলা মামলার শিকার হয়েছেন এবং আওয়ামীলীগের জন্য রক্ত ঝরিয়েছি। 


যারা আওয়ামীলীগের রাজনীতি জীবনে করেন নাই বরং নৎসাত করতে শ্যামপুর অঞ্চলে কাজ করেছেন তাদের সাথে কখনো আপস করেননি কিন্তু তারাই যদি ইউপি নির্বাচনে আওয়ামীলীগের দলীয় মনোনয়ন পায়, তাহলে আমরা কার কাছে যাব, কাকে বলবো এ  না পাওয়ার বেদনার কথা!


 তাই আওয়ামীলীগ তথা ইউনিয়নবাসিকে বিএনপি নেতার ভাইকে হটাৎ নৌকার মনোনয়ন দেয়ার বিষয়টি মারাত্নক ব্যাথিত করেছে। 


বর্তমান চেয়ারম্যান ও নৌকার মনোনয়ন প্রত্যাশী আজিজুর রহমান সংবাদমাধ্যমকে আরোও জানান, যদি সঠিকভাবে যাছাই করা হয় তাহলে সবদিক থেকে আমিই নৌকার যোগ্য মাঝি। আশাকরি মনোনয়ন বোর্ড বিষয়টি আমলে নিয়ে পুনঃবিবেচনা করবেন।  আবারো বিপুলভোটে নির্বাচিত হয়ে দলের মান রক্ষা করবো।


 তিনি বলেন -তার বড় ছেলে রাফিউর রহমান কারমাইকেল বিশ্ববিদ্যালয় কলেজ শাখা ছাত্রলীগের সভাপতি থাকাকালে জামাত-শিবিরকে বিতাড়িত করতে নেতৃত্ব দিয়েছেন। এজন্য একাধিকবার বিএনপি, জামাত-শিবির কর্তৃক হত্যা চেষ্টার শিকার হয়েছেন তার পরেও জীবনবাজি রেখে এখনো দলের জন্য রংপুর জেলা আওয়ামীলীগের সদস্য, একজন সৈনিক হয়ে কাজ করে যাচ্ছেন। ছোট ছেলে সাফিউর রহমান রংপুর মহানগর ছাত্রলীগের দপ্তর সম্পাদকের দায়িত্বে থেকে বঙ্গবন্ধুর আদর্শকে ধারন করছেন। আর আমদেরকে যদি মনোনয়ন বঞ্চিত করা হয় তাহলে নিশ্চই কোন কারন আছে ষড়যন্ত্রের গন্ধ পাচ্ছি। কাদের স্বার্থে আমাকে মনোনয়ন দেয়া হলোনা তা মনোনয়ন বোর্ড সংশ্লিষ্ট নেতৃবৃন্দ এবং মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর হস্তক্ষেপসহ  তদন্তদাবী করছেন। পাশাপাশি মনোনয়ন প্রাপ্তির বিষয়টি পুনঃবিবেচনার আহবান জানাচ্ছেন।


এদিকে এলাকাবাসির সাথে কথা বলে জানাযায় এবং গোপালপুর ইউনিয়ন আওয়ামীলীগ, স্বেচ্ছাসেবকলীগ,  যুবলীগ, কৃষকলীগ ও ছাত্রলীগের একাধিক কর্মীরা অভিযোগ করে বলেন, গোপালপুর ইউনিয়নে সামছুল আলম নামে যাকে মনোনয়ন দেয়া হয়েছে তিনি আসলে জামাত-বিএনপির একজন এজেন্ট ও এজেন্ডা বাস্তবায়নকারী মাত্র। 


তিনি বদরগঞ্জ উপজেলা বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি মরহুম সহিদার হাজীর ছোট ভাই। ২০১৬ সালের ইউপি নির্বাচনে জামায়াত-বিএনপির সমর্থনে নৌকা প্রতীকের বিরুদ্ধে  ঘোড়া মার্কা নিয়ে অংশ নিয়ে আজিজুর রহমানের কাছে পরাজিত হয়েছিলেন তিনি। বর্তমানে সামছুল আলমের ভাতিজা সহিরুল আলম বদরগঞ্জ উপজেলা বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক। তার ছোট ভাই মরহুম ইমদাদুল হক ছিলেন ১১নং গোপালপুর ইউনিয়ন বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি। অপর ভাতিজা ইউনুছ আলী এখনো বিএনপির সক্রিয় সদস্য। এছাড়াও জনি নামে এক নাতী বদরগঞ্জ উপজেলা ছাত্রদল নেতা ও মিনু মাস্টার নামে এক ভাগ্নে জামায়াতের রোকন সদস্য। এত কিছুর পরেও কিভাবে তিনি মনোনয়ন পেলেন?

 

মিঠাপুকুরে ভিক্ষুকমুক্ত ইউনিয়ন গড়তে চান -বাতেন সরকার

 

মিঠাপুকুর,রংপুর

রংপুরের মিঠাপুকুর উপজেলায় আসন্ন ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে ক্ষমতাশীল দল আওয়ামীলীগের দলীয় প্রতিক নৌকার মনোনায়ন প্রত্যাশায় এম.এ বাতেন সরকার নামে একজন প্রার্থীর পথসভা অনুষ্ঠিত হয়েছে।তিনি ইউনিয়ন শাখা আওয়ামী যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক।



রবিবার(২১ শে নভেম্বর)উপজেলার বড়বালা ইউনিয়নে বড়বালা ইউনিয়ন পরিষদ কমপ্লেক্সের সামনে পথসভা অনুষ্ঠিত হয়েছে।

নির্বাচনী পথসভায় ঢাকা থেকে টেলি কনফারেন্সে বক্তব্য রাখেন নৌকার মনোনায়ন প্রত্যাশী এম.এ বাতেন সরকার।বক্তব্যের শুরুতে এলাকাবাসীর কাছে দোয়া ও সমর্থন চেয়েছেন এবং গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকার ও বাংলাদেশ আওয়ামীলীগের দলীয় প্রধান মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার কাছ থেকে মনোনায়ন পেলে ভিক্ষুকমুক্ত ইউনিয়ন গড়ে তুলবেন বলে ঘোষনা করেন।এছাড়াও প্রধানমন্ত্রীর “গ্রাম হবে শহর” বাস্তবায়নে অগ্রণী ভূমিকা রাখবেন বলে প্রত্যয় ব্যক্ত করেন।ইউনিয়নের গরু চুরি রোধে অতন্দ্র প্রহরীর মতো কাজ করবেন।প্রত্যেকের সুখে দুখে পাশে থাকার আশ্বাস প্রদান করেন।মাননীয় সাংসদের সাথে যোগসাজসে এলাকার কাঁচা রাস্তাগুলো পাকাকরণের  ব্যবস্থা,বাল্যবিবাহ ও মাদক রোধে নানাবিধ পদক্ষেপ গ্রহণ করবেন বলে আশ্বাস দেন।



পথসভায় আওয়ামীলীগ,যুবলীগ,স্বেচ্ছাসেবক লীগসহ ইউনিয়নের বিভিন্ন স্তরের পুরুষ ও মহিলারা অংশগ্রহণ করেন।পথসভা শেষে ছড়ান বাজারে বাতেন সরকারের পক্ষে শোডাউন ইউনিয়ন পরিষদ থেকে বের হয়ে ছড়ান বাজারের বিভিন্ন রাস্তা ঘুরে ছড়ান উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে গিয়ে শেষ হয়।



 

 

 মিঠাপুকুরে বড়বালায় চেয়ারম্যান প্রার্থীর নির্বাচনী মতবিনিময় সভা


মিঠাপুকুর,রংপুর

রংপুরের মিঠাপুকুর উপজেলায় আসন্ন ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে বড়বালা ইউনিয়ন পরিষদে নৌকার প্রতিক ও  মনোনয়ন চেয়ে ইউনিয়নের মহিলাদের নিয়ে মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে।

নৌকার মনোনয়ন প্রত্যাশী আব্দুল বাতেন সরকার


সোমবার দুপুড়ে উপজেলার ১১ নম্বর বড়বালা ইউনিয়নের বারঘুরিয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় মাঠে মতবিনিময় করেছেন ইউনিয়ন যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক আব্দুল বাতেন সরকার নামে একজন চেয়ারম্যান প্রার্থী।



মতবিনিময় সভায় বিভিন্ন ওয়ার্ডে নারীরা আগামী নির্বাচনে তারুণ্যের অহংকার ও যুবদের আইকন বাতেনকে নৌকার মনোনয়ন দেওয়া জন্য মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার কাছে দাবী করেন।এসময় বাতেন নৌকার চেয়ারম্যান হলে এলাকার উন্নয়নের পাশাপাশি ইউনিয়নের নানাবিধ পরিবর্তন হবে বলে মনে করছেন তারা।


মতবিনিময় সভায় আব্দুল বাতেন মহিলাদের  উদ্দেশ্যে বলেন-মাননীয় প্রধানমন্ত্রী ও বাংলাদেশ আওয়ামীলীগের দলীয় প্রধান মুজিব কন্যা দেশরত্ন শেখ হাসিনা যদি নৌকা প্রতিকে মনোনায়ন দেন তাহলে ইউনিয়নকে রোল মডেলে রুপান্তিত ও বঙ্গবন্ধুর সোনার বাংলার স্বপ্ন বাস্তবায়ন করবেন।হাসিনাপুত্র সজীব ওয়াজেদ জয়ের ডিজিটাল বাংলাদেশের ডিজিটাল ইউনিয়ন হিসাবে গড়ে তুলবেন বলে অঙ্গীকার করেন।ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান হিসাবে নয় জনগণের সেবক হিসাবে নিজেকে উপস্থাপন করার প্রতিশ্রুতি দেন।ইউনিয়নে বাল্যবিবাহ প্রতিরোধে যে ব্যবস্থা গ্রহণ করা প্রয়োজন সেই ব্যবস্থার মাধ্যমে বাল্যবিবাহ প্রতিহত করবেন। মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার মাদকবিরোধী জিরো টলারেন্স অভিযান বাস্তবায়ন করার ক্ষেত্রে ইউনিয়নের স্থানীয় প্রশাসনকে নিয়ে কাজ করবেন বলে অঙ্গীকার করেন। মায়ের কাছে সন্তান হিসাবে তিনি দোয়া কামনা করেন।

 


নবজাতককে রেখে মাকে পরীক্ষার সুযোগ দিলেন চেয়ারম্যান


নিজস্ব প্রতিবেদক, রংপুর



কিশোরী মা তার সদ্যোজাত সন্তানকে নিয়ে পরীক্ষা দিতে এসেছিলেন। কিন্তু ৩৫ দিন বয়সী সন্তান থেমে থেমে কাঁদতে শুরু করে। ঘড়ির দিকে তাকিয়ে নিরুপায় মা তখন দিশেহারা। সন্তানের কান্না থামাতে না পেরে ঘাবড়ে যান। হঠাৎ পরীক্ষা শুরুর ঘণ্টা বাজে। কিন্তু তিনি পরীক্ষার হলে ঢুকতে পারছিলেন না।



এমন দৃশ্য দেখে এগিয়ে আসেন রংপুর সদর উপজেলা চেয়ারম্যান নাছিমা জামান ববি। পরীক্ষা চলাকালীন পুরো দেড় ঘণ্টা তিনি ওই নবজাতকের দায়িত্ব নেন। মাতৃস্নেহে নিজ কোলে আগলে রেখে মাকে পরীক্ষার সুযোগ করে দেন।


রোববার (১৪ নভেম্বর) সকালে রংপুরের মিঠাপুকুর উপজেলার শঠিবাড়ী আলিম মাদরাসা পরীক্ষা কেন্দ্রে এ ঘটনা ঘটে। উপজেলা চেয়ারম্যান নাছিমা জামান ববি ওই মাদরাসার ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ ও কেন্দ্রসচিব।


দাখিল পরীক্ষায় অংশ নেওয়া ওই কিশোরী বড় হযরতপুর ইউনিয়নের মাঝগ্রাম দাখিল মাদরাসার শিক্ষার্থী। বাল্যবিবাহের কারণে অপ্রাপ্তবয়সে সন্তানের মা হলেও পড়ালেখা গুটিয়ে নেননি তিনি। বরং স্বামী-সংসার, সন্তান আর বই-খাতার সঙ্গে সম্পর্ক ঠিক রেখে উচ্চশিক্ষা গ্রহণে নিজের চেষ্টা ধরে রেখেছেন।




পরীক্ষা চলাকালীন কেন্দ্র পরিদর্শনে এসে ওই শিশুকে কোলে দেখে কৌতূহলবশত এগিয়ে আসেন মিঠাপুকুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ফাতেমা তুজ জোহরা। পরে বিষয়টি জানতে পেরে তিনিও আবেগ আপ্লুত হন। জনপ্রতিনিধি, ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ ও কেন্দ্রসচিবের দায়িত্বে থাকা নাছিমা জামান ববির প্রতি মুগ্ধ হয়ে তিনিও প্রসংশা করেন।


এদিকে নবজাতককে কোলে নিয়ে তোলা একটি ছবি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে পোস্ট করেন ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ নাছিমা জামান ববি। সেখানে তিনি লেখেন, ‘এক ছাত্রী মাত্র ৩৫ দিনের বাচ্চাকে নিয়ে পরীক্ষা দিতে চলে এসেছিল। পড়াশোনায় তার আগ্রহে আমি অভিভূত। থাক না দেড় ঘণ্টা বাবুটা আমাদের কাছে।’


তার পোস্ট করা ছবিটি মুহূর্তেই ছড়িয়ে পড়ে। বিভিন্নজন লাইক, কমেন্টস আর শেয়ার করেন। দোয়া ও শুভকামনায় ভাসতে থাকেন তিনি। নানা রকম অনুভূতি ব্যক্ত করছেন নেটিজেনরা। হাসান পিন্টু নামে একজন লিখেছেন, ‘ববি আপার মানবিকতা আমাদের শিক্ষা।’ ওই পোস্টে খুব ছোট্ট করে ইঞ্জিনিয়ার আব্দুর রাজ্জাক লিখেছেন, ‘বেঁচে থাকুক মানবতা, ধন্যবাদ।’


এ ব্যাপারে নাছিমা জামান ববি ঢাকা পোস্টকে বলেন, ‘আমি ওই শিশুর কান্না শুনে আঁতকে উঠেছিলাম। পরীক্ষা দিবে না বাচ্চার কান্না থামাবে, এ নিয়ে শিশুটির মা ভীষণ চিন্তিত ছিল। ওর মা যাতে চিন্তামুক্ত পরীক্ষা দিতে পারে, এ জন্য প্রায় দেড় ঘণ্টা কোলে রেখেছি। আমার কোলে শিশুটি বেশিক্ষণ কান্নাও করেনি।’


উল্লেখ্য, নাছিমা জামান ববি রংপুর জেলা মহিলা যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক। তিনি রংপুরে ‘স্লোগানকন্যা’ হিসেবে পরিচিত। ববি রংপুর জেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগের সভাপতি ও জেলা পরিষদ সদস্য সিরাজুল ইসলামের সহধর্মিণী। টানা তৃতীয়বারের মতো নির্বাচিত হয়ে বর্তমানে তিনি রংপুর সদর উপজেলার চেয়ারম্যান হিসেবে জনসেবা করছেন।


 

গাইবান্ধার আব্দুর রউফ হত্যায় অভিযুক্ত আরিফ গ্রেফতার

 

রংপুর অফিস

গাইবান্ধার সদ্য বিজয়ী ইউপি সদস্য আবদুর রউফ মাষ্টারকে পিটিয়ে হত্যায় অভিযুক্ত আরিফ মিয়াকে গ্রেফতার করেছে ্যাব

রোববার (১৪ নভেম্বর) সকাল ১০টার দিকে তাকে গ্রেফতারের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন ্যাব-১৩ গাইবান্ধা ক্যাম্পের ফ্লাইট লেফটেন্যান্ট, সিনিয়র সহকারি পরিচালক (মিডিয়া) মাহমুদ বশির আহমেদ। তিনি জানান, পঞ্চগড়ের বোদা থেকে আরিফ মিয়াকে গ্রেফতার করা হয়। দুপুরের মধ্যে রংপুরে প্রেস বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে তাকে গ্রেফতারের বিষয়ে বিস্তারিত জানানো হবে

অভিযুক্ত আরিফ মিয়া (৩৮) লক্ষীপুর ইউনিয়নের মাগুরের কুটি গ্রামের হায়দার মিয়ার ছেলে। ঘটনার পর থেকেই পলাতক ছিলেন আরিফ



নিহত আব্দুর রউফ মাস্টার দ্বিতীয় ধাপে অনুষ্ঠিত ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে লক্ষীপুর ইউনিয়ন পরিষদের ১নং ওয়ার্ডে ইউপি সদস্য নির্বাচিত হন। পাশাপাশি তিনি লক্ষীপুর উচ্চ বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক ছিলেন

উল্লেখ, গত শুক্রবার রাত সাড়ে ১০টার দিকে আব্দুর রউফ মোটরসাইকেলে লক্ষ্মীপুর বাজার থেকে বাড়ি ফিরছিলেন। বাড়ির কাছাকাছি একটি ভাঙা ব্রিজ হেঁটে পার হওয়ার সময় আরিফ মিয়া লোহার রড দিয়ে আব্দুর রউফের মাথায় উপযুপরি আঘাত করে পালিয়ে যায়। পরে আহত অবস্থায় আব্দুর রউফকে উদ্ধার করে সদর হাসপাতালে নিলে গেলে চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন

এদিকে, আব্দুর রউফ হত্যার ঘটনায় শনিবার রাতে সদর থানায় হত্যা মামলা দায়ের হয়েছে। নিহতের বড় বোন মমতাজ বেগম বাদি হয়ে এই মামলা করেন। মামলায় আরিফ মিয়াকে প্রধান অজ্ঞাত / জনকে আসামি করা হয় বলে জানান সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. মাসুদার রহমান

 

Amader Rangpur news

Contact Form

Name

Email *

Message *

Argon Maltimedia Bangladesh. Powered by Blogger.
Javascript DisablePlease Enable Javascript To See All Widget