Latest Post


মিঠাপুকুরে চরিত্রহীনতার অপবাদ দিয়ে বিপত্নীক মহিলার বাড়ি ভাংচুর

মিঠাপুকুর(রংপুর)প্রতিনিধি

রংপুরের মিঠাপুকুর উপজেলায় চরিত্রহীনতার অপবাদ দিয়ে বিপত্নীক মহিলার সরকারী রাস্তার তিন মোড়স্থ বাড়ি ভাংচুর করা হয়।এ ঘটনায় ভুক্তভোগী ছবিরন বেগম খোলা আকাশের নিচে অবস্থান করছেন।

বৃহস্পতিবার(১০ই মার্চ)সকাল সাড়ে নয়টায় উপজেলার পায়রাবন্দ ইউনিয়নের ৪ নম্বর ওয়ার্ডের ভেতর লোহানী নামক এলাকায় ঘটনাটি ঘটে।স্থানীয় মসজিদের ইমাম,মুয়াজ্জিন ও প্রভাবশালী কর্তৃক বাড়ি ভেঙ্গে দিয়েছে বলে ভুক্তভোগীর দাবী।

সরেজমিনে স্থানীয়দের সাথে কথা বলে জানা যায়-ছবিরন বেগম নামে মহিলার জন্মস্থান এখানে,বর্তমানে তার কেউ নেই!নেই নিজস্ব কোন?বাপ দাদার পাওয়া সম্পতি, কালের বিবর্তনে হারিয়েছেন তিন স্বামী,মায়ের নামে এক টুকরো জমি তাও মায়ে দিয়েছেন ছোট বোনের নামে ফলে স্থান হয়নি সেখানে। আশেপাশের লোকের বাড়িতে কিংবা ক্ষেত খামারে উপার্জিত অর্থ দিয়ে তার সংসার চলে,থাকেন রাস্তার মোড়স্থ একটু ফাঁকা জায়গায় টিনের চালা তুলে।তবে কোন দিন কেউ তার খারাপ কিছু দেখেনি কিংবা কোন  লোক  তাকে হাতে নাতে ধরেনি শুধু মানুষের মুখে কানাকানি।আর এই কানাকানি থেকেই চারিত্রিক অপবাদ দিয়ে বাড়িটি ভেঙ্গে দেয় প্রভাবশালী ববি ও স্থানীয় মসজিদের ইমাম ও মুয়াজ্জিন।

ভুক্তভোগীর স্বীকার ছবিরন বেগম বলেন-অনেক কষ্ট করে মানুষের বাড়িতে কাজকর্ম করে একটি গরু পালন করে তা বিক্রি করেছেন কয়েক শতক জমি কেনার আশায়।রাস্তার মোড়স্থ জায়গায় বাড়ি করে থাকায় দীর্ঘদিন ধরে তার বিরুদ্ধে নানা অপবাদ দেয় স্থানীয়রা।এখানে টিনের চালা তুলে বসবাস করা কিছু লোক চায়নি এবং তারা তার কাছে বিভিন্ন সময় টাকা দাবী করেন।সেই টাকা না দেওয়ায় চরিত্রহীন কেলেঙ্কারী জড়িয়ে বাড়ি ভেঙ্গে দেয়।সকালে ঘুম থেকে উঠে মেম্বারের বাড়িতে রেশনের কার্ডের জন্য আইডি কার্ড দিতে যান সেখান থেকে ফিরে এসে তার বাড়ি ভাংচুর করা দেখে বাধা দিলে প্রাণে মারার হুমকি দেয় ববি,ভয়ে তিনি চলে যান থানায় সেখানে লোক না থাকায় অভিযোগ না দিয়েই ফিরে আসেন।পরে গিয়ে তার গরু বিক্রির ৩০ হাজার টাকা খোঁজ করলে তা পাননি।

প্রভাবশালী ববি জানান-মহিলা বিভিন্ন অনৈতিক কর্মকান্ডের সাথে জড়িত,দীর্ঘদিন ধরে তাকে নিষেধ করেছেন কিন্তু শোনেন নি।তার বাড়ি ভাংচুর করে দেওয়ার সময় তার ঘর থেকে চোলাই মদ উদ্ধার করা হয়।ইতিপূর্বে তার নামে মিঠাপুকুর থানায় অনৈতিক কার্যক্রম করার কারণে সাধারণ অভিযোগ করা হয়েছিল বলে তিনি জানান।এছাড়া আলু তোলার সময় ফসল নিয়ে যাওয়ার জন্য যাতায়াতের অসুবিধার কথা তিনি দাবী করেন।

স্থানীয় নবনির্বাচিত ইউপি সদস্য সুলতান আহম্মেদ জানান-আমার কাছে কোন অভিযোগ আসেনি এবং একাধিকবার আমি ছবিরন এর সামনে দিয়ে গিয়েছি কিন্তু সে আমাকে কিছু বলেনি।তাছাড়া এই মুহুর্তে তিনি কিছু করতে পারবেন না কারণ এখন তিনি দায়িত্ব গ্রহণ করেনি।

মিঠাপুকুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মোস্তাফিজার রহমান বলেন-বাড়ি ভাঙ্গার বিষয়ে কেউ কোন অভিযোগ থানায় করেনি ।যদি অভিযোগ আসে তাহলে ব্যবস্থা গ্রহণ করবেন।

 


 


 

মিঠাপুকুরে পাটখড়ি দিয়ে তৈরী শহীদ মিনারে শিশুদের পুষ্পার্ঘ অর্পন

মিঠাপুকুর,রংপুর

রংপুরের মিঠাপুকুর উপজেলায় নিজেদের ব্যক্তিগত উদ্যোগে পাটখড়ি দিয়ে শহীদ মিনার তৈরী করে ভাষা শহীদদের শ্রদ্ধা নিবেদন করেছেন প্রাথমিক বিদ্যালয়ে পড়ুয়া  শিশুরা।শিশুদের এই উদ্যোগে অবাক হয়েছেন অভিভাবকরা।

উপজেলার কাফ্রিখাল ইউনিয়নে ভাষা শহীদের স্মরণে শহীদ মিনার না থাকায় কিশামতজালাল গ্রামে প্রাথমিকে পড়ুয়া শিক্ষার্থীরা এই উদ্যোগ গ্রহণ করেন।২০শে ফেব্রুয়ারী সারাদিন কয়েকজন শিশু মিলে পাট খড়ি সংগ্রহ করে শহীদ মিনার তৈরী করেন।২১শে ফেব্রুয়ারী প্রভাতে জঙ্গল থেকে বিভিন্ন ধরণের ফুল(ভাটিয়ার ফুল,জবা,গাঁদা,লাইয়ের ফুল) সংগ্রহ করে সকলে মিলে ফুল দেয়।  


জানা যায়-কিশামতজালাল সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ে প্রথম শ্রেণীতে যাতায়াত করা শিক্ষার্থী নুসরাত জাহান,মিঠাপুকুর গ্লোডেন সান বিদ্যালয়ের পঞ্চম শ্রেণীর ছাত্র শাকিবুল হাসান ও স্থানীয় ব্রাক স্কুলে চতুর্থ শ্রেণীতে পড়ুয়া নারগীস আক্তারসহ শিশুরা মিলে এই শহীদ মিনার তৈরী করেন।এতে সার্বিক সহযোগিতা করেন সদ্য কুড়িগ্রাম পলিটেকনিক্যাল থেকে ডিপ্লোমা সম্পর্ণ করা ওবায়দুল ইসলাম।

শাকিবুল হাসান জানায়-সবাই শহীদ মিনারে ফুল দিবে আমরা কেন বঞ্চিত হবো।তাই সকালে ফুল সংগ্রহ করে সকলে মিলে ফুল দিয়ে শহীদদের শ্রদ্ধা নিবেদন করেছেন।

ওবায়দুল ইসলাম বলেন-তাদের ইউনিয়নে কিংবা বাড়ির পাশে সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ে ভাষা শহীদদের স্মরণে কোন শহীদ মিনার না থাকায় বেকায়দায় পড়তে হয় এই ইউনিয়নের শিক্ষার্থীদের।টিভিতে ও ছবিতে কিংবা বইয়ের পৃষ্ঠায় ছাড়া শহীদ মিনার দেখতে পায়না।প্রতিটি বিদ্যালয়ে শহীদ মিনার থাকলে ভাষা শহীদদের ত্যাগ ও তিতিক্ষা সম্পর্কে জানতে পারতো।পড়ালেখা্ শেষে বাড়িতে অবস্থানকালে দেখি কিছু শিশু পাট খড়ি দিয়ে শহীদ মিনার তৈরী করার চেষ্টা করছে বিষয়টি ভালো লাগায় তিনি সহযোগিতা করেন।



যাদবপুর সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক ও অভিভাবক আক্কাস আলী জানান- তার ছেলে শাকিবুল সারাদিন বাড়িতে ভাত না খেয়ে সারাদিন ছোট্ট বাচ্চাদের নিয়ে শহীদ মিনার তৈরী করছে।সকালে তাদের খালি পায়ে ফুল দেওয়া থেকে বিস্মিত হই।ভাষার জন্য শহীদদের মর্যাদা শিশুদের মনে কতটুকু।অথচ আমরা উচ্চ শিক্ষিতরাই শহীদ মিনারকে অসম্মান করি।

ব্রাকের শিক্ষিকা মৌসুমী আক্তার জানায়-ভাষা শহীদের ব্যাপারে শিক্ষার্থীদের অবগত এবং চারুকারুর জন্য ব্লাক বোর্ডে তাদের শহীদ মিনার আর্ট করা শিক্ষিয়েছেন।কিভাবে ও কেন শহীদদের সম্মান করতে হবে তা শিক্ষার্থীদের অবগত করেন।সকালে শিশুদের তৈরী শহীদ মিনার দেখে তিনি নিজেও আশ্চর্যম হন।

 


  

 মিঠাপুকুরে স্বামীর গোপনঅঙ্গ কেটে স্ত্রী পলাতক



মিঠাপুকুর (রংপুর) প্রতিনিধিঃ
রংপুরের মিঠাপুকুরে পরকীয়ায় জড়িত সন্দেহে স্বামীর গোপনঅঙ্গ কেটে নিয়ে পালিয়েছেন স্ত্রী। আহত ব্যক্তিকে মুমূর্ষু অবস্থায় উদ্ধার করে রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। ঘটনার পর থেকে স্ত্রী পলাতক রয়েছেন।
স্থানীয় ও পুলিশ সুত্রে জানা গেছে, উপজেলার দমদমা বাজারের পাশে শিমুল পাড়া গ্রামের ফুলবাবু ওরফে ফুলু মিয়ার ছেলে সোলাইমান মিয়া (২৭) ট্রাক ড্রাইভারের সহকারী হিসেবে দেশের বিভিন্ন এলাকায় যান। একপর্যায়ে মাগুরা জেলার এক নারীর সাথে মুঠোফোনে সম্পর্ক গড়ে উঠে তার। ২ বছর আগে মাগুরা জেলার ওই নারী রাহেনা বেগমের (৩৫) সাথে বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হন। গত ৬/৭ মাস আগে সোলাইমান তার স্ত্রীকে গ্রামের বাড়ি মিঠাপুকুরে নিয়ে এসে সংসার করতে থাকেন। সংসার জীবনের একপর্যায়ে রাহেনা বেগমের অভিযোগ উঠে তার স্বামী পরকীয়ায় জড়িয়ে পড়েছেন। আর সোলাইমান অভিযোগ তোলেন তার থেকে তার স্ত্রীর বয়স বেশী তাকে জোরপূর্বক বিয়ে করতে বাধ্য করেছে। এ নিয়ে তাদের মধ্যে প্রায়ই ঝগড়া হতো।

সোমবার (২৪ জানুয়ারি) রাতে খাওয়া শেষে তারা ঘুমিয়ে পড়েন। রাত আনুমানিক আড়াইটার দিকে স্ত্রী রাহেনা বেগম তার স্বামী সোলাইমান মিয়ার বিশেষ অঙ্গ কেটে নিয়ে পালিয়ে যান।

মিঠাপুকুর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মোস্তাফিজার রহমান বলেন, খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠানো হয়েছে। ঘটনাটির তদন্ত চলমান রয়েছে। পলাতক স্ত্রী রেহেনা বেগমকে গ্রেফতারের চেষ্টা অব্যাহত আছে।

 

মিঠাপুকুরে শিশুকে ঢাল করে অনিভব কায়দায় জমি দখল

মিঠাপুকুর প্রতিনিধি

রংপুরের মিঠাপুকুর উপজেলায় ছোট্ট শিশুকে ঢাল হিসাবে ব্যবহার করে অভিনব কায়দায় আদালতের রায় ও থানার নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে জমি দখলের অভিযোগ উঠেছে ভূমিদস্যু আশিকুর রহমানের পরিবারের উপর ।এ বিষয়ে সেকেন্দার আলী নামে এক ব্যক্তি মিঠাপুকুর থানায় অভিযোগ দায়ের করেন।

উপজেলার রানীপুকুর ইউনিয়নের লালচন্দ্রপুর গ্রামে গত ২৩শে ডিসেম্বর সকালে জাহেদার মোড়ে এঘটনা ঘটে। এ সময় আম গাছ কেটে সেই গাছের উপর একটি ছোট্ট শিশুকে বসিয়ে বাকী আম ও ইউক্লিটাস গাছ জোড়পূর্বক কেটে নিয়ে যায় ।এ সময় সেকেন্দার আলীর পরিবার বাধা দিতে আসলে আশিকুরের নির্দেশে ভূমি দস্যুবাহিনী হামলা করলে পালিয়ে যান তারা ।ভূমি দখল করার পরও রাতিমত সেকেন্দার পরিবারকে হুমকি দিয়ে আসছেন ভূমিদস্যু পরিবার।

মিঠাপুকুরে শিশুকে ঢাল করে অনিভব কায়দায় জমি দখল


থানার অভিযোগ সূত্রে জানা যায়-নিজ নামীয় কবলা খরিদকৃত ও পৈত্রিকসূত্রে পাওয়া ভোগ দখলীয় সম্পত্তি দীর্ঘ ৭ বছর ধরে ভোগ দখল করে আসছেন। পৈত্রিক ও ক্রয়সূত্রে জমি জেলা-রংপুর,থানা-মিঠাপুকুর, মৌজাঃ লালচন্দ্রপুর, জেএল নং-০৯,সি.এস খতিয়ান নং-৪৩,এসএ খতিয়ান নং-৪২,আরবিএস খতিয়ান নং-৮৩,সাবেক দাগ নং-১৬০,হাল দাগ নং-৩৫,জমি-১২৩ শতক সম্পত্তি স্থানীয়ভাবে শালিষী বৈঠকে এবং মামলায় আদালতের রায়ে তিনি ভোগ দখল করছেন।উক্ত জমিতে হঠাৎ করে মাসুদুর রহমান @বাবলা,পিতা-মৃত শাহজাহান আলী,সাং-দক্ষিণ গুপ্তপাড়া,থানা-কোতয়ালী,আরপিএমপি,আশিকুর রহমান,পিতা-মৃত লাভলু মিয়া ,আব্দুল খলিল-পিতা-মৃত আঃ আজিজ,উভয় সাং-নাছিরাবাদ,আনোয়ার হোসেন,পিতা-মৃত  শমসের আলী  রাজু মিয়া-পিতা-লুৎফর রহমান, মজনু মিয়া,পিতা-মৃত আকবর আলী,সর্ব সাং-লালচন্দ্রপুর, টন্না মিয়া পিতা-মৃত আকবার আলী সাং-রামজীবন থানা-রংপুর সদর,নুরআলম পিতা-মৃত ফজলুল হক সাং-দৌলত নুরপুর, মিঠু পিতা-মৃত আকমাল সাং-রানীপুকুর জোতপাড়া ,আঃগফুর পিতা-মৃত শফি উদ্দিন সাং-তনকা মামুদপুর সর্ব থানা-মিঠাপুকুর,জেলা-রংপুর জোড়পূর্বক দখল করছে বলে অভিযোগ করেন।একাধিকবার স্থানীয় ভাবে শালিষী বৈঠকে তারা উপস্থিত না হয়ে ২-৩বছর পরপর জমির ফসল নষ্ট করে দখল করেন।

এ বিষয়ে সেকেন্দার আলী জানান-তিনি কয়েক দফায় কয়েকজন ওয়ারিশ এর কাছ থেকে এই জমি ক্রয় করেন।জমি দাতা মতিয়ার নিকট ২৭/০৩/২০১৪খ্রি,দাতা মুনসুর আলী গং ০৫/০২/২০১৪খ্রি.দাতা বাবু মিয়া গং ০৫/০২/২০১৪খ্রি. ও দাতা ইলিয়াছের নিকট থেকে ১৯/০৩/২০১৪খ্রি.তারিখে ক্রয়সুত্রে দলিল করিয়া নেন।অবশিষ্ট দাগের জমি তার পৈত্রিকসূত্রে প্রাপ্ত।বিবাদীদের মামলার রায়ের পরে দলিলদাতাগণ তাকে দলিল করিয়া দিয়েছে।সেই কবলা দলিলমূলে খরিদ করিয়া খারিজ ও খাজনাদি পরিশোধ করিয়া ভোগদখল করতেছেন তিনি।জমি নিয়ে এই রকম ঝামেলা সৃষ্টি করলে উভয় পক্ষকে মিঠাপুকুর থানা থেকে ১৫৪ ধারা জারি করে কিন্তু তারা সে আদেশ অমান্য করে  জোড়পূর্বক জমি দখল করছে।

 মিঠাপুকুরে মন্দির থেকে তিন প্রতিমার মাথা কেটে নিয়ে গেছে দুর্বৃত্তরা 


মিঠাপুকুর প্রতিনিধি।। 

রংপুরের মিঠাপুকুরে মন্দির থেকে তিন প্রতিমার মাথা কেটে  নিয়ে যাওয়ার ঘটনা ঘটেছে।ঘটনাস্থল থেকে কয়েকশত গজ দূরে জমি থেকে বিকেলে কেটে নেওয়া প্রতিমার ভাঙ্গা অংশ উদ্ধার করেছে পুলিশ।


খবর পেয়ে এ ঘটনায় মিঠাপুকুর রংপুর-৫ জাতীয় সংসদ সদস্য এইচএন আশিকুর রহমান,উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান জাকির হোসেন সরকার,উপজেলা নির্বাহী অফিসার ফাতেমা-তুজ-জোহরাসহ পুলিশ, ঘটনাস্থল  পরিদর্শন  করেছেন গতকাল বিকেলে।


প্রতিমা গুলো হচ্ছে কালী, শিব ও শীতলী।

৪নং ভাংনী ইউনিয়নের বামন পাড়া গ্রামে এ ঘটনাটি ঘটেছে ।


এলাকাবাসী সূত্রে জানা যায়-বিগত পঞ্চাশ বছর ধরে এই গ্রামে শৈলান চক্রবর্তী পন্ড ঠাকুরের বসবাস।বাংলাদেশ আওয়ামীলীগ মিঠাপুকুর শাখার সদস্য

শৈলান চক্রবর্তী জানান-গতকাল সকাল সাড়ে ৬টার দিকে নিত্য পূজা করার জন্য মন্দিরে প্রবেশ করা মাত্রই দেখতে পান কালী,শিব ও শিতলী প্রতিমার মাথা কেবা কারা কেটে নিয়ে গেছে।


তিনি বলেন-এঘটনা দেখা মাত্রই স্থানীয় চেয়ারম্যান ও থানা পুলিশকে অবগত করা হলে মিঠাপুকুর রংপুর-৫ জাতীয় সংসদ সদস্য এইচএন আশিকুর রহমান,উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান জাকির হোসেন সরকার,উপজেলা নির্বাহী অফিসার ফাতেমা-তুজ-জোহরাসহ পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন  করেছেন গতকাল বিকেলে।


বিপুল চক্রবর্তী, সপ্তমী চক্রবর্তী জানান,এই কালী মন্দিরে তালা দেয়া ছিলনা,তিন প্রতিমার মাথা কেটে নিয়ে গেছে কেবাকারা,আমরা এঘটনায় দোষীদের শাস্তি দাবি করছি। 


স্থানীয়,আওয়মী ইউনিয়ন সভাপতি বেলায়েত,এবং মালেক,খোরশেদ আলম,আতোয়ারসহ অনেকে বলছেন-পন্ড ঠাকুর খুব ভালো মানুষ,তিনি গ্রামের সবার সাথে মিলে মিশে বসবাস করছে তবে কারা এধরনের কাজ করেছে তা কোন অনুমান করা যাচ্ছেনা।


অত্র ইউপির চেয়ারম্যান কামরুল হাসান বলেন,বিষয়টি দুঃখজনক,আমি সঠিক তদন্ত সাপেক্ষে ব্যবস্থা গ্রহনের জন্য প্রশাসনের সাথে যোগাযোগ করেছি।


এবিষয়ে উপজেলা চেয়ারম্যান জাকির হোসেন সরকার বলেন-প্রতিমা ক্ষতিসাধন করা এটা একটা ন্যাক্কার জনক ঘটনা।দোষী যেই হোক তাকে চিহ্নিত করে ব্যবস্থা নেয়া জরুরী।


মিঠাপুকুর থানার অফিসার ইনচার্জ মোস্তাফিজার রহমান বলেন- রাতের অন্ধকারে প্রতিমার মাথা ভেঙ্গে নিয়ে গেছে।ঘটনাস্থল পরিদর্শন করা হয়েছে, ঘটনাস্থল থেকে ২০০ গজ দুরে মাটিতে পুতে রাখা কিছু ভাঙা অংশ উদ্বার করা হয়েছে।এ ব্যাপারে থানায় এসে মামলা করার কথা বলা হয়েছে।

 রংপুরে বিজয়ের সুবর্ণ জয়ন্তীর নামে চলছে বচন বেঙ্গ অপসংস্কৃতির সাথে রাতভর নৃত্য

আমন্ত্রণেও নেই মুক্তিযোদ্ধা
 
 
রুবেল ইসলাম,রংপুর
মিঠাপুকুরে বিজয়ের সুবর্ণ জয়ন্তীর নামে চলছে বচন বেঙ্গ অপসংস্কৃতির সাথে রাতভর নৃত্য ফলে বিজয় ও স্বাধীনতার ইতিহাস-ঐতিহ্যের বিজয় উল্লাস তরুণ ও ভবিষ্যৎ প্রজন্মের কাছে উজ্জীবিত-প্রানবন্তের বিপরীতে হাস্যকর ও মূল্যবোধের অবক্ষয়ে রুপান্তিত হয়েছে।স্থানীয় প্রশাসনের নেই কোন তদারকি?
 
জানা যায়,গত ২২শে ডিসেম্বর বুধবার মধ্যেরাতে রংপুর মিঠাপুকুরে বড়বালা ইউনিয়নে তরফসাদি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় মাঠে বিজয়ের সুবর্ণ জয়ন্তী উদযাপন উপলক্ষ্যে আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়।অথচ স্বাধীনতা বিজয় উল্লাসের মুক্তিযুদ্ধের স্মৃতিবিজড়িত চেতনার বিপরীতে সেখানে চলছে বচন বেঙ্গ অপসংস্কৃতির সাথে রাতভর নৃত্য।
এলাকাবাসীর অভিযোগ- অনুষ্ঠানে রাত ১:১৫ মিনিটে হিন্দি, তামিল, ইংলিশ গানের সাথে অসলিল বচন বেঙ্গ অপসংস্কৃতির সাথে চলছে নৃত্য।এছাড়াও এই অনুষ্ঠানে আমন্ত্রণ পাইনি কোনো মুক্তিযোদ্ধা, দেয়া হয়নি- সংবর্ধনা। জাতীয় সংগীত কিংবা দেশাত্মবোধক গানের বিন্দু মাত্র কোন দৃশ্যমান সংস্কৃতি চর্চা চোখে পড়েনি বলে জানিয়েছে এলাকাবাসী।


 
এ সময় সাংবাদিকদের উপস্থিতি টের পেয়ে স্থানীয় জনপ্রতিনিধি বড়বালা ইউপি চেয়ারম্যান সাহেব সরকার তার আসন থেকে সরে গেলেও একান্ত সাক্ষাতকারে, অপসংস্কৃতি ও বচন বেঙ্গ করে সংস্কৃতি চর্চার বিরুদ্ধে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে বলেন, ডিজিটাল বাংলাদেশে বর্তমানে যে কালচার এটা একটা ট্রেডিসনে পরিনত হয়েছে। স্বাধীনতা বা বিজয়ের মাস কোনো বিষয় নয়, আনন্দ উল্লাস টায় বড় এমন টায় ভাবে মানুষ। তিনি আরো সু-নিশ্চিত করে বলেন- বিজয়ের সুবর্ণ জয়ন্তী ও স্বাধীনতার ৫০ বছর উদযাপন উপলক্ষ্যে অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়েছে কিন্তু আমন্ত্রণ পাইনি কোনো মুক্তিযোদ্ধা, দেয়া হয়নি সংবর্ধনা।
 
মিঠাপুকুর থানার কর্মরত এসআই নাজমুল উক্ত অনুষ্ঠানে উপস্থিত থাকলেও কোনো পদক্ষেপ গ্রহন করেনি। সাংবাদিকদের উপস্তিতি টের পেয়ে পরে তিনিও সটকে পড়ে।


 
এলাকাবাসী ও সুশীল সমাজ জানায়- বিজয়ের ৫০ বছর উদযাপন উপলক্ষ্যে অনুষ্ঠানের আয়োজন করলেও আমন্ত্রক করা হয়নি কোনো মুক্তিযোদ্ধা কে, না গাওয়া হয়েছে জাতীয় সংগীত ও দেশের গান। যে ভাষার জন্য যুদ্ধ করেছে, আজ সেই বাংলা কে ভুলে আমরা ইংরেজি, তামিল সহ নানা ভাষার গানে বচন বেঙ্গ অপসংস্কৃতি নৃত্যতে মেতেছি, খুবই দুঃখজনক। বিজয়ের ৫০ বছর উদযাপন করতেছি আমরা কিন্তু পাঠ্য বই ছাড়া তেমন কোনো যুদ্ধের ইতিহাস অনেকেই জানেনা। যদি আজ মুক্তিযোদ্ধাদের আমন্ত্রণ করাহত হয়তো তাদের মুখ থেকে মুক্তিযুদ্ধের কিছু কথা শুনতে পেতাম। আজ আমরা যাদের প্রানের, ত্যাগের বিনিময়ে স্বাধীনতা পেয়েছি, অনুষ্ঠান করছি, তাদের আমন্ত্রণ জানাতে ভুলেগেছি এটি দুঃখজনক।
 
অপরদিকে, বিজয় দিবসের সুবর্ণ জয়ন্তীর বিপরিতে বড়বালা ইউনিয়নে সংখ্যা গরিষ্ঠ হিন্দু সম্প্রদায়ের, হিন্দু ধর্মিও কালিপূজা শুরু হয়েছে। পূজা মন্ডপে ধর্মিও রিতি-নিতি মেনে সুশৃঙ্খল ভাবে পূজা পালিত হয়েছে।

Amader Rangpur news

Contact Form

Name

Email *

Message *

Argon Maltimedia Bangladesh. Powered by Blogger.
Javascript DisablePlease Enable Javascript To See All Widget