Latest Post

 

নগরীর ১৩নং ওয়ার্ডে প্রায় ৭শ’ ৪০ মিটার আরসিসি ড্রেন নির্মাণ কাজ শুরু
 
স্টাফ রিপোর্টার ॥
ডিপিপি অর্থায়নে এক কোটি টাকা ব্যয়ে নগরীর ১৩নং ওয়ার্ডে প্রায় ৭শ’ ৪০ মিটার আরসিসি ড্রেন নির্মাণ কাজ শুরু করেছেন রংপুর সিটি কর্পোরেশন। গত শুক্রবার দুপুরে প্রাইম হাসপাতাল সংলগ্ন এলাকায় উক্ত আরসিসি ড্রেন নির্মাণ কাজের শুভ উদ্বোধন করেন রংপুর সিটি কর্পোরেশনের মেয়র মোঃ মোস্তাফিজার রহমান মোস্তফা।

 
এ সময় উপস্থিত ছিলেন সংশ্লিষ্ট ওয়ার্ড কাউন্সিলর মোঃ ফজলে এলাহী ফুলু ও সংরক্ষিত মহিলা কাউন্সিলর মোছাঃ সাহেদা বেগম বেবি, রংপুর সিটি কর্পোরেশনের নির্বাহী প্রকৌশরী মোঃ আজম আলী ও মেজর (অবঃ) নাসিমসহ স্থানীয় গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ। ###

 

রংপুর ঠিকাদার সমিতির সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত 
২১ মার্চ প্রধানমন্ত্রী বরাবরে স্মারক লিপি প্রদান এবং ২৩ শে মার্চ সিটি কর্পোরেশন ও এলজিইডির সামনে অবস্থান ধর্মঘটের কর্মসূচি ঘোষণা
 
স্টাফ রিপোর্টার
রড সিমেন্ট পাথর ও বিটুমিনসহ সকল প্রকার নির্মাণ সামগ্রীর মুল্য অস্বাভাবিক হারে বৃদ্ধির প্রতিবাদে এবং সিন্ডিকেট ব্যবসায়ীদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহন ও মুল্য কমানোর দাবিতে প্রধানমন্ত্রী বরাবরে রংপুর জেলা প্রশাসনের মাধ্যমে স্মারক লিপি প্রদান এবং সিটি করপোরেশন ও এলজিইডি কার্যালয়ের সামনে অবস্থান ধর্মঘটের কর্মসূচি ঘোষনা করেছেন রংপুর ঠিকাদার সমিতি। গতকাল শনিবার দুপুরে রংপুর নগরীর স্থানীয় একটি কমিউনিটি সেন্টারে রংপুর ঠিকাদার সমিতি আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এ কর্মসূচি ঘোষনা করেন।
২১ মার্চ প্রধানমন্ত্রী বরাবরে স্মারক লিপি প্রদান এবং ২৩ শে মার্চ সিটি কর্পোরেশন ও এলজিইডির সামনে অবস্থান ধর্মঘটের কর্মসূচি ঘোষণা

 
 
সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন রংপুর ঠিকাদার সমিতির আহবায়ক রফিকুল ইসলাম দুলাল। রংপুর ঠিকাদার সমিতির সদস্য সচিব রইছ আহাম্মেদ এর সঞ্চালনায় বক্তব্য রাখেন সংগঠনের যুগ্ন আহ্বায়ক শফিকুল ইসলাম মিঠু, খায়রুল কবীর রানা, মঞ্জুর আহমেদ আজাদ, খায়রুল কবীর রানা, আবু আহমেদ সিদ্দিক পারভেজ।
সংবাদ সম্মেলনে লিখিত অভিযোগে বলা হয়, বর্তমানে প্রতিটি নির্মাণ সামগ্রীর অস্বাভাবিক মুল্য দরপত্রের চুক্তি মুল্য থেকে গড়ে শতকরা ৪০ ভাগ বৃদ্ধি পেয়েছে। মাত্র এক থেকে দেড় মাসের ব্যবধানে ইটের মুল্য শতকরা ৪০ ভাগ, পাথরের মুল্য ৮০ ভাগ, রডের মুল্য ৫০ ভাগ, সিমেন্টের মুল্য ৩৫ ভাগ, বিটুমিনের মুল্য ৪০ ভাগ, মোটা বালুর মুল্য ৩০ ভাগ, এমএস সীটের মুল্য ৫০ ভাগ, ফ্লাটবার ও এ্যাংগেলের মুল্য ৫০ ভাগ, টাইলসের মুল্য ২০ ভাগ, থাই গ্লাসের মুল্য ৪০ ভাগ বৃদ্ধি পেয়েছে। এই অস্বাভাবিক মুল্য বৃদ্ধি সিন্ডিকেটের ষড়যন্ত্র কিনা এবং পরিকল্পিত কিনা তা খতিয়ে দেখার দাবি জানানো হয়। 
ঠিকাদারদের অভিযোগ-দেশের উন্নয়নের অগ্রযাত্রায় মুল কারিগর ঠিকাদারা। এর সাথে ১০ লাখ ঠিকাদার এই শিল্পের সাথে জড়িত, এ ছাড়া নির্মাণ শ্রমিক প্রায় এক কোটি মানুষ সরাসরি জড়িত। নির্মাণ সামগ্রীর মুল্য অস্বাভাবিক বৃদ্ধি পাওয়ায় ঠিকাদারদের পক্ষে নির্মাণ কাজ করা সম্ভব হচ্ছে না। সংবাদ সম্মেলনে তাদের দাবির সমর্থনে ২১ মার্চ জেলা প্রশাসকের কাছে স্মারকলিপি প্রদান এবং ২৩ মার্চ রংপুর সিটি করপোরেশন ও নির্বাহি প্রকৌশলী এলজিইডি রংপুরের কার্যালয়ের সামনে অবস্থান কর্মসুচি ঘোষনা করা হয়। 
এ সময় উপস্থিত ছিলেন যূগ্ম আহবায়ক ইঞ্জিনিয়ার শাহাদত হোসেন, সদস্য শফিকুল ইসলাম যাদু, ওয়াসিমুল বারী রাজ,  রেজাউল ইসলাম মিলন, আব্দুর রব রাঙ্গা, অরুপ দত্ত,  লিটন পারভেজ, জাহিদুল ইসলাম রুবেল, নওরোজ হোসেন পল, আবু সামা, লোকমান হোসেন, আলহাজ্ব রুহুল আমীন ফুলু,  রবিউল ইসলাম রবি, রাহাত ইসলাম রনি, আলতাফ হোসেন লন্ডন,  ফরহাদ হোসেন, আশরাফুল ইসলাম বাবু ও জয়নুল ইসলাম বাবুসহ অন্যান্য ঠিকাদারবৃন্দ। ###


মিঠাপুকুরে চরিত্রহীনতার অপবাদ দিয়ে বিপত্নীক মহিলার বাড়ি ভাংচুর

মিঠাপুকুর(রংপুর)প্রতিনিধি

রংপুরের মিঠাপুকুর উপজেলায় চরিত্রহীনতার অপবাদ দিয়ে বিপত্নীক মহিলার সরকারী রাস্তার তিন মোড়স্থ বাড়ি ভাংচুর করা হয়।এ ঘটনায় ভুক্তভোগী ছবিরন বেগম খোলা আকাশের নিচে অবস্থান করছেন।

বৃহস্পতিবার(১০ই মার্চ)সকাল সাড়ে নয়টায় উপজেলার পায়রাবন্দ ইউনিয়নের ৪ নম্বর ওয়ার্ডের ভেতর লোহানী নামক এলাকায় ঘটনাটি ঘটে।স্থানীয় মসজিদের ইমাম,মুয়াজ্জিন ও প্রভাবশালী কর্তৃক বাড়ি ভেঙ্গে দিয়েছে বলে ভুক্তভোগীর দাবী।

সরেজমিনে স্থানীয়দের সাথে কথা বলে জানা যায়-ছবিরন বেগম নামে মহিলার জন্মস্থান এখানে,বর্তমানে তার কেউ নেই!নেই নিজস্ব কোন?বাপ দাদার পাওয়া সম্পতি, কালের বিবর্তনে হারিয়েছেন তিন স্বামী,মায়ের নামে এক টুকরো জমি তাও মায়ে দিয়েছেন ছোট বোনের নামে ফলে স্থান হয়নি সেখানে। আশেপাশের লোকের বাড়িতে কিংবা ক্ষেত খামারে উপার্জিত অর্থ দিয়ে তার সংসার চলে,থাকেন রাস্তার মোড়স্থ একটু ফাঁকা জায়গায় টিনের চালা তুলে।তবে কোন দিন কেউ তার খারাপ কিছু দেখেনি কিংবা কোন  লোক  তাকে হাতে নাতে ধরেনি শুধু মানুষের মুখে কানাকানি।আর এই কানাকানি থেকেই চারিত্রিক অপবাদ দিয়ে বাড়িটি ভেঙ্গে দেয় প্রভাবশালী ববি ও স্থানীয় মসজিদের ইমাম ও মুয়াজ্জিন।

ভুক্তভোগীর স্বীকার ছবিরন বেগম বলেন-অনেক কষ্ট করে মানুষের বাড়িতে কাজকর্ম করে একটি গরু পালন করে তা বিক্রি করেছেন কয়েক শতক জমি কেনার আশায়।রাস্তার মোড়স্থ জায়গায় বাড়ি করে থাকায় দীর্ঘদিন ধরে তার বিরুদ্ধে নানা অপবাদ দেয় স্থানীয়রা।এখানে টিনের চালা তুলে বসবাস করা কিছু লোক চায়নি এবং তারা তার কাছে বিভিন্ন সময় টাকা দাবী করেন।সেই টাকা না দেওয়ায় চরিত্রহীন কেলেঙ্কারী জড়িয়ে বাড়ি ভেঙ্গে দেয়।সকালে ঘুম থেকে উঠে মেম্বারের বাড়িতে রেশনের কার্ডের জন্য আইডি কার্ড দিতে যান সেখান থেকে ফিরে এসে তার বাড়ি ভাংচুর করা দেখে বাধা দিলে প্রাণে মারার হুমকি দেয় ববি,ভয়ে তিনি চলে যান থানায় সেখানে লোক না থাকায় অভিযোগ না দিয়েই ফিরে আসেন।পরে গিয়ে তার গরু বিক্রির ৩০ হাজার টাকা খোঁজ করলে তা পাননি।

প্রভাবশালী ববি জানান-মহিলা বিভিন্ন অনৈতিক কর্মকান্ডের সাথে জড়িত,দীর্ঘদিন ধরে তাকে নিষেধ করেছেন কিন্তু শোনেন নি।তার বাড়ি ভাংচুর করে দেওয়ার সময় তার ঘর থেকে চোলাই মদ উদ্ধার করা হয়।ইতিপূর্বে তার নামে মিঠাপুকুর থানায় অনৈতিক কার্যক্রম করার কারণে সাধারণ অভিযোগ করা হয়েছিল বলে তিনি জানান।এছাড়া আলু তোলার সময় ফসল নিয়ে যাওয়ার জন্য যাতায়াতের অসুবিধার কথা তিনি দাবী করেন।

স্থানীয় নবনির্বাচিত ইউপি সদস্য সুলতান আহম্মেদ জানান-আমার কাছে কোন অভিযোগ আসেনি এবং একাধিকবার আমি ছবিরন এর সামনে দিয়ে গিয়েছি কিন্তু সে আমাকে কিছু বলেনি।তাছাড়া এই মুহুর্তে তিনি কিছু করতে পারবেন না কারণ এখন তিনি দায়িত্ব গ্রহণ করেনি।

মিঠাপুকুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মোস্তাফিজার রহমান বলেন-বাড়ি ভাঙ্গার বিষয়ে কেউ কোন অভিযোগ থানায় করেনি ।যদি অভিযোগ আসে তাহলে ব্যবস্থা গ্রহণ করবেন।

 


 


 

মিঠাপুকুরে পাটখড়ি দিয়ে তৈরী শহীদ মিনারে শিশুদের পুষ্পার্ঘ অর্পন

মিঠাপুকুর,রংপুর

রংপুরের মিঠাপুকুর উপজেলায় নিজেদের ব্যক্তিগত উদ্যোগে পাটখড়ি দিয়ে শহীদ মিনার তৈরী করে ভাষা শহীদদের শ্রদ্ধা নিবেদন করেছেন প্রাথমিক বিদ্যালয়ে পড়ুয়া  শিশুরা।শিশুদের এই উদ্যোগে অবাক হয়েছেন অভিভাবকরা।

উপজেলার কাফ্রিখাল ইউনিয়নে ভাষা শহীদের স্মরণে শহীদ মিনার না থাকায় কিশামতজালাল গ্রামে প্রাথমিকে পড়ুয়া শিক্ষার্থীরা এই উদ্যোগ গ্রহণ করেন।২০শে ফেব্রুয়ারী সারাদিন কয়েকজন শিশু মিলে পাট খড়ি সংগ্রহ করে শহীদ মিনার তৈরী করেন।২১শে ফেব্রুয়ারী প্রভাতে জঙ্গল থেকে বিভিন্ন ধরণের ফুল(ভাটিয়ার ফুল,জবা,গাঁদা,লাইয়ের ফুল) সংগ্রহ করে সকলে মিলে ফুল দেয়।  


জানা যায়-কিশামতজালাল সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ে প্রথম শ্রেণীতে যাতায়াত করা শিক্ষার্থী নুসরাত জাহান,মিঠাপুকুর গ্লোডেন সান বিদ্যালয়ের পঞ্চম শ্রেণীর ছাত্র শাকিবুল হাসান ও স্থানীয় ব্রাক স্কুলে চতুর্থ শ্রেণীতে পড়ুয়া নারগীস আক্তারসহ শিশুরা মিলে এই শহীদ মিনার তৈরী করেন।এতে সার্বিক সহযোগিতা করেন সদ্য কুড়িগ্রাম পলিটেকনিক্যাল থেকে ডিপ্লোমা সম্পর্ণ করা ওবায়দুল ইসলাম।

শাকিবুল হাসান জানায়-সবাই শহীদ মিনারে ফুল দিবে আমরা কেন বঞ্চিত হবো।তাই সকালে ফুল সংগ্রহ করে সকলে মিলে ফুল দিয়ে শহীদদের শ্রদ্ধা নিবেদন করেছেন।

ওবায়দুল ইসলাম বলেন-তাদের ইউনিয়নে কিংবা বাড়ির পাশে সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ে ভাষা শহীদদের স্মরণে কোন শহীদ মিনার না থাকায় বেকায়দায় পড়তে হয় এই ইউনিয়নের শিক্ষার্থীদের।টিভিতে ও ছবিতে কিংবা বইয়ের পৃষ্ঠায় ছাড়া শহীদ মিনার দেখতে পায়না।প্রতিটি বিদ্যালয়ে শহীদ মিনার থাকলে ভাষা শহীদদের ত্যাগ ও তিতিক্ষা সম্পর্কে জানতে পারতো।পড়ালেখা্ শেষে বাড়িতে অবস্থানকালে দেখি কিছু শিশু পাট খড়ি দিয়ে শহীদ মিনার তৈরী করার চেষ্টা করছে বিষয়টি ভালো লাগায় তিনি সহযোগিতা করেন।



যাদবপুর সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক ও অভিভাবক আক্কাস আলী জানান- তার ছেলে শাকিবুল সারাদিন বাড়িতে ভাত না খেয়ে সারাদিন ছোট্ট বাচ্চাদের নিয়ে শহীদ মিনার তৈরী করছে।সকালে তাদের খালি পায়ে ফুল দেওয়া থেকে বিস্মিত হই।ভাষার জন্য শহীদদের মর্যাদা শিশুদের মনে কতটুকু।অথচ আমরা উচ্চ শিক্ষিতরাই শহীদ মিনারকে অসম্মান করি।

ব্রাকের শিক্ষিকা মৌসুমী আক্তার জানায়-ভাষা শহীদের ব্যাপারে শিক্ষার্থীদের অবগত এবং চারুকারুর জন্য ব্লাক বোর্ডে তাদের শহীদ মিনার আর্ট করা শিক্ষিয়েছেন।কিভাবে ও কেন শহীদদের সম্মান করতে হবে তা শিক্ষার্থীদের অবগত করেন।সকালে শিশুদের তৈরী শহীদ মিনার দেখে তিনি নিজেও আশ্চর্যম হন।

 


  

 মিঠাপুকুরে স্বামীর গোপনঅঙ্গ কেটে স্ত্রী পলাতক



মিঠাপুকুর (রংপুর) প্রতিনিধিঃ
রংপুরের মিঠাপুকুরে পরকীয়ায় জড়িত সন্দেহে স্বামীর গোপনঅঙ্গ কেটে নিয়ে পালিয়েছেন স্ত্রী। আহত ব্যক্তিকে মুমূর্ষু অবস্থায় উদ্ধার করে রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। ঘটনার পর থেকে স্ত্রী পলাতক রয়েছেন।
স্থানীয় ও পুলিশ সুত্রে জানা গেছে, উপজেলার দমদমা বাজারের পাশে শিমুল পাড়া গ্রামের ফুলবাবু ওরফে ফুলু মিয়ার ছেলে সোলাইমান মিয়া (২৭) ট্রাক ড্রাইভারের সহকারী হিসেবে দেশের বিভিন্ন এলাকায় যান। একপর্যায়ে মাগুরা জেলার এক নারীর সাথে মুঠোফোনে সম্পর্ক গড়ে উঠে তার। ২ বছর আগে মাগুরা জেলার ওই নারী রাহেনা বেগমের (৩৫) সাথে বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হন। গত ৬/৭ মাস আগে সোলাইমান তার স্ত্রীকে গ্রামের বাড়ি মিঠাপুকুরে নিয়ে এসে সংসার করতে থাকেন। সংসার জীবনের একপর্যায়ে রাহেনা বেগমের অভিযোগ উঠে তার স্বামী পরকীয়ায় জড়িয়ে পড়েছেন। আর সোলাইমান অভিযোগ তোলেন তার থেকে তার স্ত্রীর বয়স বেশী তাকে জোরপূর্বক বিয়ে করতে বাধ্য করেছে। এ নিয়ে তাদের মধ্যে প্রায়ই ঝগড়া হতো।

সোমবার (২৪ জানুয়ারি) রাতে খাওয়া শেষে তারা ঘুমিয়ে পড়েন। রাত আনুমানিক আড়াইটার দিকে স্ত্রী রাহেনা বেগম তার স্বামী সোলাইমান মিয়ার বিশেষ অঙ্গ কেটে নিয়ে পালিয়ে যান।

মিঠাপুকুর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মোস্তাফিজার রহমান বলেন, খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠানো হয়েছে। ঘটনাটির তদন্ত চলমান রয়েছে। পলাতক স্ত্রী রেহেনা বেগমকে গ্রেফতারের চেষ্টা অব্যাহত আছে।

 

মিঠাপুকুরে শিশুকে ঢাল করে অনিভব কায়দায় জমি দখল

মিঠাপুকুর প্রতিনিধি

রংপুরের মিঠাপুকুর উপজেলায় ছোট্ট শিশুকে ঢাল হিসাবে ব্যবহার করে অভিনব কায়দায় আদালতের রায় ও থানার নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে জমি দখলের অভিযোগ উঠেছে ভূমিদস্যু আশিকুর রহমানের পরিবারের উপর ।এ বিষয়ে সেকেন্দার আলী নামে এক ব্যক্তি মিঠাপুকুর থানায় অভিযোগ দায়ের করেন।

উপজেলার রানীপুকুর ইউনিয়নের লালচন্দ্রপুর গ্রামে গত ২৩শে ডিসেম্বর সকালে জাহেদার মোড়ে এঘটনা ঘটে। এ সময় আম গাছ কেটে সেই গাছের উপর একটি ছোট্ট শিশুকে বসিয়ে বাকী আম ও ইউক্লিটাস গাছ জোড়পূর্বক কেটে নিয়ে যায় ।এ সময় সেকেন্দার আলীর পরিবার বাধা দিতে আসলে আশিকুরের নির্দেশে ভূমি দস্যুবাহিনী হামলা করলে পালিয়ে যান তারা ।ভূমি দখল করার পরও রাতিমত সেকেন্দার পরিবারকে হুমকি দিয়ে আসছেন ভূমিদস্যু পরিবার।

মিঠাপুকুরে শিশুকে ঢাল করে অনিভব কায়দায় জমি দখল


থানার অভিযোগ সূত্রে জানা যায়-নিজ নামীয় কবলা খরিদকৃত ও পৈত্রিকসূত্রে পাওয়া ভোগ দখলীয় সম্পত্তি দীর্ঘ ৭ বছর ধরে ভোগ দখল করে আসছেন। পৈত্রিক ও ক্রয়সূত্রে জমি জেলা-রংপুর,থানা-মিঠাপুকুর, মৌজাঃ লালচন্দ্রপুর, জেএল নং-০৯,সি.এস খতিয়ান নং-৪৩,এসএ খতিয়ান নং-৪২,আরবিএস খতিয়ান নং-৮৩,সাবেক দাগ নং-১৬০,হাল দাগ নং-৩৫,জমি-১২৩ শতক সম্পত্তি স্থানীয়ভাবে শালিষী বৈঠকে এবং মামলায় আদালতের রায়ে তিনি ভোগ দখল করছেন।উক্ত জমিতে হঠাৎ করে মাসুদুর রহমান @বাবলা,পিতা-মৃত শাহজাহান আলী,সাং-দক্ষিণ গুপ্তপাড়া,থানা-কোতয়ালী,আরপিএমপি,আশিকুর রহমান,পিতা-মৃত লাভলু মিয়া ,আব্দুল খলিল-পিতা-মৃত আঃ আজিজ,উভয় সাং-নাছিরাবাদ,আনোয়ার হোসেন,পিতা-মৃত  শমসের আলী  রাজু মিয়া-পিতা-লুৎফর রহমান, মজনু মিয়া,পিতা-মৃত আকবর আলী,সর্ব সাং-লালচন্দ্রপুর, টন্না মিয়া পিতা-মৃত আকবার আলী সাং-রামজীবন থানা-রংপুর সদর,নুরআলম পিতা-মৃত ফজলুল হক সাং-দৌলত নুরপুর, মিঠু পিতা-মৃত আকমাল সাং-রানীপুকুর জোতপাড়া ,আঃগফুর পিতা-মৃত শফি উদ্দিন সাং-তনকা মামুদপুর সর্ব থানা-মিঠাপুকুর,জেলা-রংপুর জোড়পূর্বক দখল করছে বলে অভিযোগ করেন।একাধিকবার স্থানীয় ভাবে শালিষী বৈঠকে তারা উপস্থিত না হয়ে ২-৩বছর পরপর জমির ফসল নষ্ট করে দখল করেন।

এ বিষয়ে সেকেন্দার আলী জানান-তিনি কয়েক দফায় কয়েকজন ওয়ারিশ এর কাছ থেকে এই জমি ক্রয় করেন।জমি দাতা মতিয়ার নিকট ২৭/০৩/২০১৪খ্রি,দাতা মুনসুর আলী গং ০৫/০২/২০১৪খ্রি.দাতা বাবু মিয়া গং ০৫/০২/২০১৪খ্রি. ও দাতা ইলিয়াছের নিকট থেকে ১৯/০৩/২০১৪খ্রি.তারিখে ক্রয়সুত্রে দলিল করিয়া নেন।অবশিষ্ট দাগের জমি তার পৈত্রিকসূত্রে প্রাপ্ত।বিবাদীদের মামলার রায়ের পরে দলিলদাতাগণ তাকে দলিল করিয়া দিয়েছে।সেই কবলা দলিলমূলে খরিদ করিয়া খারিজ ও খাজনাদি পরিশোধ করিয়া ভোগদখল করতেছেন তিনি।জমি নিয়ে এই রকম ঝামেলা সৃষ্টি করলে উভয় পক্ষকে মিঠাপুকুর থানা থেকে ১৫৪ ধারা জারি করে কিন্তু তারা সে আদেশ অমান্য করে  জোড়পূর্বক জমি দখল করছে।

Amader Rangpur news

Contact Form

Name

Email *

Message *

Argon Maltimedia Bangladesh. Powered by Blogger.
Javascript DisablePlease Enable Javascript To See All Widget