মিঠাপুকুরে শয়নকক্ষ থেকে গলাকাটা শিশুর লাশ উদ্ধার
রুবেল ইসলাম,রংপুর
রংপুরের মিঠাপুকুরে দশ বছরের এক শিশুকে ধর্ষণের পর গলা কেটে হত্যার অভিযোগ উঠেছে রাজা মিয়া নামে এক যুবকের বিরুদ্ধে। ঘটনার পর থেকেই রাজা মিয়া পলাতক রয়েছে বলে জানান এলাকাবাসী।
বৃহস্পতিবার সকালে মিঠাপুকুরের বালুয়া মাসিমপুর এলাকার অভিযুক্ত ফুপাতো ভাই রাজা মিয়ার খাটের নিচে থেকে তৃতীয় শ্রেণীর শিশু রহিমা আক্তারের মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ।
পরিবারের সদস্যরা জানান, গতকাল দুপুর থেকে বাড়িতে রহিমাকে না দেখে অনেক খোজাখুজি করেন তারা। বৃহস্পতিবার সকালে প্রতিবেশী রাজা মিয়ার খাটের নিচে মেয়ে শিশুটির মরদেহ দেখতে পান এলাকাবাসী। পরে পুলিশকে খবর দিলে রহিমার গলাকারা মরদেহ উদ্ধার করেন তারা।
পরিবারের সদস্যদের অভিযোগ-রহিমাকে ধর্ষণের পর গলা কেটে হত্যা করে নিজের খাটের নিচে পুতে রেখে পালিয়ে যায় রাজা মিয়া। তার বিরুদ্ধে মামলা করা হবে বলেও জানায় স্বজনরা।
ডি-সার্কেল সিনিয়র এএসপি কামরুজ্জামান জানান-রাজা মিয়ার খাটের নিচে থেকে রহিমার গলাকাটা মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। প্রাথমিক তদন্তে রহিমাকে গলা কেটে হত্যা করা হয়েছে। তবে কেন হত্যা করা হয়েছে তা তদন্তের পর জানা যাবে বলেও তিনি।
বাংলাদেশ মানবাধিকার কমিশন মিঠাপুকুর উপজেলা শাখার সাধারন সম্পাদক ও সদর দপ্ততের বিশেষ দায়িত্বপ্রাপ্ত রংপুর অঞ্চলের প্রতিনিধি আশিকুর রহমান বলেন- সামাজিক মূল্যবোধের অবক্ষয়ের কারণে সমাজে নানাবিধ অপকর্ম সংগঠিত হচ্ছে। এই অঞ্চলের বেশিরভাগ যুবকই মাদকসক্ত যার কারণে এই শিশু বাচ্চাটিকে বলি হতে হলো।যদি দ্রুত মুল্যবোধ সৃষ্টি করা না হয় তাহলে এহেন ঘটনা অহরহ ঘটবে। বিট-পুলিশের সদস্যদের উদেশ্যে তিনি আরও বলেন- তাদের সতর্ক ভূমিকা রাখতে হবে, গ্রামের মানুষদের সচেতন করতে তাদের উঠান বৈঠকের তাগিদ দেন এই মানবাধিকারকর্মী।
Post a Comment