কর্তৃপক্ষের দায়িত্বে অবহেলার নজীর ?
পীরগঞ্জে শেখ হাসিনার আমের বাগান ধ্বংসের পথে !
সরকার বেলায়েত (রংপুর) পীরগঞ্জ : রংপুরের পীরগঞ্জ প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার আম বাগানের আমে অতিরিক্ত কীটনাশক প্রয়োগের ফলে গাছের পাতাসহ আম পচন ধরে মাটিতে ঝরে পড়ছে। আমের বাগান তদারকীর দায়িত্বে নিয়োজিত কর্তৃপক্ষের অবহেলার কারণে এ বছরের ফসল প্রধানমন্ত্রীর শেখ হাসিনা তাঁর এই বাগানের আমের স্বাদ নিতে পারবেন কি না ? এ নিয়ে সংশয়ের সৃষ্টি হয়েছে।
সরেজমিনে খোঁজ নিয়ে দেখা যায়, উক্ত বাগানে অতিরিক্ত কীটনাশক প্রয়োগের ফলে আমের উপর সাদা দাগ পড়ে বোটা শুকিয়ে মাটিতে ঝরে পড়ছে। এছাড়া গাছের ডাল পালাসহ পাতা শুকিয়ে মাটিতে পড়ে যাচ্ছে। বাগান পরিদর্শনকালে বাগানটিতে অতি সম্প্রতি স্প্রে করা কয়েক প্রকারে কীটনাশকের বোতল ও পাউডারের খালি প্যাকেট চোখে পড়ে। শুকিয়ে যাওয়া গাছের ডাল পালা কেটে বাগানের এক পাশে স্তুপ করে রাখা হয়েছে। রংপুর-ঢাকা মহাসড়কের ঐতিহ্যবাহী আংরার ব্রীজ সংলগ্ন শেখ হাসিনার মোড় নামক স্থানে পৌরসভার ১নং ওয়ার্ড এ উজিরপুরে ২ একর ১৫ শতাংশ জমির উপর বারি আম- ৪ সহ হাঁড়ি ভাঙা ও লিচু মাতৃবাগান গড়ে তোলা হয়েছে। স্থানীয়রা জানান,গত সপ্তাহে বাগান তদারকীতে নিয়োজিত কর্তৃপক্ষ আম আহরনের পুর্বক্ষণে উক্ত বাগানে কীটনাশক স্প্রে করার পর থেকেই বাগানের স্বাভাবিক চিত্র পাল্টে যায়। তারা পাল্টা প্রশ্ন করে বলেন, প্রধানমন্ত্রীর আমের বাগান সরকারি লোকজন দেখাশুনা করে, তার পরেও যদি এ অবস্থা হয় ? তাহলে সাধারণ মানুষের আম বাগানের কি হবে ? বাগান পাহারাদার কাহে নিয়োজিত শাহাদত হোসেন বলেন সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে বারবার সংবাদ দিলেও তারা কোন ব্যবস্থা নিচ্ছেন না। এ বিষয়ে জিজ্ঞেস করা হলে বাংলাদেশ কৃষি গবেষণা ইনস্টিটিউট এর রংপুর বুড়িরহাটস্থ আঞ্চলিক কৃষি গবেষণা ইন্সস্টিটিউট এর ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ড. আশিষ কুমার সাহা বলেন-আমি রংপুর আলম নগরের ইনচার্জ কে দায়িত্ব দিয়েছি সে এখন বাগানটি দেখাশুনা করছে। তিনি আরও বলেন- এ ব্যাপারে আমার কিছু করার নেই। রংপুর আলম নগর সরেজমিন গবেষণা বিভাগের ইনচার্জ আলমগীর হোসেন তালুকদারে সাথে ফোনে যোগাযোগ চেষ্টা করা হলে তিনি ফোন রিসিভ করেনি। বিগত বছরগুলোর তুলনায় এ বছর আমের বাম্পার ফলন হলেও ওই বাগানে চলতি মওসুমে পুরোপুরি লোকসান গুনতে হবে মর্মে স্থানীয়রা আশংকা করছেন। উল্লেখ ওই জমিটি বিগত ২০০০ইং সালে রংপুর জেলা আওয়ামীলীগের সাংস্কৃতিক ও ক্রীড়া বিষয়ক সম্পাদক শাহিদুল ইসলাম পিন্টু প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নামে ক্রয় করেন।
Post a Comment