"মাই ন্যাশনাল আইটি" কোম্পানীর এজেন্ট কর্তৃক ৬ লাখ টাকা আত্নসাৎ, গ্রাহকদের মাথায় হাত!

"মাই ন্যাশনাল আইটি" কোম্পানীর এজেন্ট কর্তৃক ৬ লাখ টাকা আত্নসাৎ, গ্রাহকদের মাথায় হাত!
খন্দকার মিলন আল মামুন,রংপুর
অল্প পরিশ্রম করে যদি অল্পদিনের ব্যবধানে টাকা দ্বিগুন করা যায়, তবে কেনা আগ্রহী হয় ! সাধারন মানুষের এই আগ্রহকে পুজিঁ করে দেশ ব্যাপী প্রতারনার ফাদঁ তৈরি করে চলছে একাধিক প্রতারক চক্র ! সম্প্রতি ইন্টারনেট ভিত্তিক " মাই ন্যাশনাল আইটি " সহ ন্যাশনাল এগ্র্রো ফার্ম, ন্যাশনাল বাজার ও ডিজিট্যাল ন্যাচারাল এগ্রো ফার্ম " নামের হায় হায় কোম্পানীর এজেন্টরা রংপুর জেলার বিভিন্ন এলাকার তরুন যুবকদের কাছ থেকে প্রায় কোটি টাকা হাতিয়ে নিয়ে গা ঢাকা দেয়ার অভিযোগ উঠেছে। এই প্রতারক চক্রের খপ্পড়ে পড়ে রংপুরের অসংখ্য যুবক এখন দিশেহারা হয়ে পড়েছেন।
অভিযোগ উঠেছে, "মাই ন্যাশনাল আইটি" হায় হায় কোম্পানীর (এজেন্ট) এক্সিকিউটিভ অফিসার রংপুর সদর উপজেলার সদ্যপুস্করিনী ইউনিয়নের কেশবপুর গ্রামের (ডাক্তারখানা ফুটবল খেলার মাঠেরর পশ্চিমে বাড়ি) আবু তালেব, একই কোম্পানীর গোল্ডস্টার বদরগঞ্জ উপজেলার নাটারাম এলাকার আনোয়ারুল্ল্যা বিপ্লব ও রুবি মেম্বার পদধারী একই এলাকার আলমগীর হোসেন । বিভিন্ন এলাকার যুবকদের মগজ ধোলাই করে বায়ুফ্লোগ পদ্ধতিতে মাছ চাষ প্রকল্প তৈরি করে দেয়ার নামে হাতিয়ে নিয়েছেন প্রায় কোটি টাকা।


জানাযায়, "মাই ন্যাশনাল আইটি" হায় হায় কোম্পানীর এক (এজেন্ট) সদ্যপুস্করিণীর ইউনিয়নের কেশবপুরের আবু তালেবের কাছে ধরাসায়ি একজন ভুক্তভোগী বদরগঞ্জ উপজেলার গোপালপুর ইউনিয়নের দিনমজুর হাবিবুর রহমানের কলেজ পড়ুয়া ছেলে হুসাইন আলী(২৫) ও তার দুই বন্ধু। তাদের বায়ুফ্লোগ পদ্ধতিতে মাছ চাষের জন্য ৫০টি হাউজ তৈরি করে দেয়ার কথা বলে তিন বন্ধুর কাছ থেকে প্রতারক আবু তালেব কৈশলে হাতিয়ে নিয়েছে প্রায় ৬ লক্ষাধিক টাকা ।
এদিকে ভুক্তভোগী হুসাইন আলী সম্প্রতি প্রতারক আবু তালেবের বিরুদ্ধে- রংপুর সদর কোতয়ালি থানায় একটি এজাহার দায়ের করেছেন। এজাহার সুত্রমতে জানাযায়, "মাই ন্যাশনাল আইটি" কোম্পানীতে এক্সিকিউটিভ অফিসার পদে আবু তালেব কাজ করার সুবাদে পূর্ব পরিচয়ের সুত্র ধরে হুসাইন আলীর বাড়িতে যাওয়া আসার সুবাদে তার পরিবারে জানায়, আমি "মাই ন্যাশনাল আইটি নামে একটি কোম্পানীর অফিসার। তার কোম্পানীতে ৪ লাখ টাকা দিলে হুসাইনদের ৪০ শতক জমিতে ৫০ টি হাউজ তৈরি করে দিয়ে মাছ চাষ করে এক বছরে উক্ত টাকার দ্বিগুন মুনাফা ফেরত দেয়ার প্রতিশ্রুতি দেন। সরল বিশ্বাসে হুসাইন তার বাবার মাধ্যমে ধারদেনা করে ঘটনারদিন গত ৩০/০৮/২০২০ ইং সন্ধ্যা আনুমানিক ৭টার দিকে পালিচড়াহাটস্থ আবু তালেবের ব্যবসা প্রতিষ্ঠান ও তার "মাই ন্যাশনাল আইটি অফিসে হুসাইন তার বাবাকেসহ একাধিক স্বাক্ষিকে সাথে নিয়ে আবু তালেবের হাতে একযোগে ৪ লাখ টাকা প্রদান করেন। টাকা গ্রহনের পর "মাই ন্যাশনাল আইটি" হায় হায় কোম্পানীর এজেন্ট আবু তালেব হুসাইনদের বাড়িতে মাছ চাষের জন্য লোক দেখানো হাউজ নির্মাণ শুরু করে। এসময় আরো দুই লাখ টাকা অগ্রিম লাগবে বলে জানালে হুমায়ুন বদরগঞ্জের গোপালপুর পশ্চিমপাড়ার গোলাম মোস্তফা ও হরিপুর গ্রামের মোশরেফুলের কাছ থেকে দুই লাখ টাকা নিয়ে আবু তালেবের হাতে দেন। মোট ৬ লাখ টাকা গ্রহন পরবর্তীতে আবু তালেব শর্তমোতাবেক ৫০টি হাউজ করে দেয়ার কথা থাকলেও মাত্র ৪টি হাউজ, ৪টি হাওয়া প্ম্প ও আংশিত যন্ত্রাংশ স্থাপন করে টোটাল কাজ বন্ধ করে দেয়। পরবর্তীতে বাকী হাউজগুলো তৈরি করে চাইলে আবু তালেবের বেরিয়ে পড়ে আসল রুপ। শুরু হয় টালবাহানা। দেখায় নানান অজুহাত। একসময় একেবারে আত্নগোপনে চলে যায় সে। তবে কোন ভাবে যোগাযোগ হলেও তখন দেয়াহত মারপিটসহ খুনের হুমকী।

এদিকে আবু তালেবের পেছনে হন্নে হয়ে ঘুরার পর একপর্যায়ে গত ২৬ জুলাই ২১ ইং তারিখে দুপুরের দিকে হুসাইন ও তার বন্ধু আবু তালেবের বাড়িতে গেলে উল্টো মিথ্যা মামলা দেয়ার ভয় দেখিয়ে ও বিভিন্ন হুমকী দিয়ে তাদের তাড়িয়ে দেয়া হয়।  

Post a Comment

[blogger]

Amader Rangpur news

Contact Form

Name

Email *

Message *

Argon Maltimedia Bangladesh. Powered by Blogger.
Javascript DisablePlease Enable Javascript To See All Widget