রংপুরে চাঞ্চল্যকর শিশু হত্যা মামলার প্রধান আসামী রাজা ২৯ দিন পর গ্রেফতার
রুবেল ইসলাম,রংপুর
রংপুরের মিঠাপুকুরে ধর্ষণের পর চাঞ্চল্যকর শিশু হত্যা মামলার প্রধান আসামী রাজা মিয়া(২৫)কে গ্রেফতার করেছে থানা পুলিশ । এসময় হত্যাকান্ডে ব্যবহৃত আলামত (ব্লেড, কোদাল, বটি ও রক্তমাখা কাপড়) উদ্ধার করা হয়েছে ।
রংপুরে পূর্বশত্রুতার জেরে বাড়িতে
♦আইন প্রয়োগকারী সংস্থার চোখ ফাকি দিয়ে♦
" রংপুর সদরের কাটাবাড়ি বড়ভিটায় মাদক সম্রাট
আনোয়ার, রহিদুল ও এরশাদ আলীর মাদক
ব্যবসা এখন পুরোদমে চলছে"
রংপুর জেলা প্রতিনিধিঃ
রংপুর সদরের সদ্যপুস্করিনী ইউনিয়নের ১নং ওয়ার্ডের কাটাবাড়ি মিলবাজার এলাকার বড়ভিটা নামক গ্রামে মাদক সম্রাট আনোয়োর হোসেনকে রংপুর কোতয়ালি থানার চৌকস পুলিশ অফিসার জাহাঙ্গীর হোসেন কর্তৃক আটকের ৩ দিনের মাথায় হাজত থেকে বের হয়ে এসে আবারো পুরোদমে মাদক(গাঁজা) ব্যবসা শুরু করেছেন আনোয়ার হোসেন। ফলে বড়ভিটায় বিভিন্ন এলাকার খুচরা মাদক ব্যবসায়ীদের আনাগনা বেশ লক্ষ করা যাচ্ছে।
অভিযোগ উঠেছে, মাদক সম্র্রাট আনোয়ারের পাশাপাশি একই গ্রামের মাহাম্মাদ আলীর ছেলে ইয়াবা ব্যবসায়ী রহিদুল ও আঃ মজিদের ছেলে ইয়াবা ব্যবসায়ী এরশাদ আলী ইতিপূর্বে খুচরা বিক্রি করলেও এখন খুচরার পাশাপাশি বেশ কিছুদিন থেকে মরন নেশা ইয়াবার (বিচি, বাবা) পাইকাড়ি ব্যবসা শুরু করেছেন। পুলিশের চোখ ফাকি দিয়ে সুকৌশলে এ ইয়াবার ব্যবসা চালিয়ে যাওয়ার কারনে কাটাবাড়িসহ পার্শ্ববর্তী এলাকার বিশেষ করে যুবসমাজের একটি বড় অংশ এ নেশায় বুদ হয়ে আছেন।
সেখানে গিয়ে লক্ষ করা গেছে মাদক সেবিরা মূল সড়ক ব্যবহার না করে মানুষের অাবাদি, অনাবাদী জমির পাশ/আইল/মাল্লি দিয়ে বড়ভিটায় প্রবেশ করছেন, মাদক নিয়ে আবার বিভিন্ন ফাক-ফোঁকড় দিয়ে বেরিয়ে পড়ছেন।
এ বিষয়ে স্থানীয় ইউপি সদস্য আনারুল ইসলাম ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে"দৈনিক দিনকাল'কে জানান, ইতিপূর্বে আরো মাদক ব্যবসায়ী ছিল। থানা পুলিশের সহযোগীতার অনেককে আত্নসমর্পণ করা হয়েছে এবং স্বাভাবিক জীবনে ফিরে আনা হলেও কেউ কেউ গোপনে মাদক ব্যবসা চালিয়ে যাচ্ছে। আমরা নতুন করে এদের লিষ্ট করছি। ব্যবসা বন্ধ না করলে এ লিষ্ট থানায় জমা দেয়া হবে।
বেশ কিছু সুত্র জানায়, বড়ভিটা থেকে পালিচড়া, নয়াপুকুর, বাবুরহাট, ভুরারঘাট, মাধবপুর, তালতলা, খোড়াগাছ, শ্যামপুরসহ বিভিন্ন এলাকায় মাদক সরবরাহ করা হয়।
এলাকাটি সদর, বদর ও মিঠাপুকুর উপজেলার সীমান্তপথ হওয়ায় নিরাপদ রুট হিসেবেই মাদককারবারিরা এ পথটি বেছে নেয়। এছাড়াও বড়ভিটা গ্র্রামটি একটি বিচ্ছিন্ন দ্বীপের মত হওয়ায় মাদক ব্যবসার জন্য নিরাপদ ঘাটি হিসেবে মাদক ব্যবসায়ীদের জায়গাটি খুবই পছন্দ। প্রশাসনের লোকজন সেখানে যাবার আগেই খবর পৌছে যায় এদের কাছে, ফলে মূহুর্তেই সটকে পড়তে পারেন তারা।
আরপিএমপি ডিবি কর্তৃক মাদকদ্রব্যসহ ব্যবসায়ী গ্রেফতার
রুবেল ইসলাম,রংপুর ।।
রংপুর মেট্রোপলিটন পুলিশ (আরপিএমপি)’র গোয়েন্দা বিভাগ (ডিবি) কর্তৃক ৩০ পিস ইয়াবা ট্যাবলেট উদ্ধারসহ তিনজন মাদক ব্যবসায়ী এবং নয়জন মাদকসেবীকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।
গত রবিবার ( ২০ শে জুন ) দিবারাত্রি অভিযান চালিয়ে রংপুর মেট্রোপলিটন গোয়েন্দা বিভাগ (ডিবি) এর উপ-পুলিশ কমিশনার কাজী মুত্তাকী ইবনু মিনান মহোদয়ের নির্দেশনায় ও সার্বিক তত্ত্বাবধানে সহকারী পুলিশ কমিশনার (ডিবি) ফারুক আহমেদ এর অপারেশন কর্মপরিকল্পনায় মহানগরীর পৃথক পৃথক এলাকায় অভিযান পরিচালনা করে নেশা জাতীয় মদকদ্রব্য ৩০ পিস ইয়াবা ট্যাবলেট উদ্ধার সহ তিন জন মাদক ব্যবসায়ী এবং নয় জন মাদকসেবীসহ মোট ১২ জনকে গ্রেফতার করা হয় ।
গতকাল একটি অভিযানে গোপন সংবাদের ভিত্তিতে এসআই (নিঃ) বাবুল ইসলাম এর নেতৃত্বে এসআই (নিঃ) গোলাম মোর্শেদ এবং সঙ্গীয় অফিসার ফোর্সসহ আরপিএমপি রংপুর কোতয়ালী থানা এলাকায় মাদকবিরোধী অভিযান পরিচালনা করা কালে উক্ত থানাধীন মুন্সিপাড়া কেরামতিয়া মাদ্রাসা সংলগ্ন মদিনা ম্যা ̈নশন, বাসা নং- ৮, রোড নং-১ এর সামনে চলাচলের পাকা রাস্তায় উপর থেকে নেশা জাতীয় মাদকদ্রব্য ৩০ পিস ইয়াবা ট্যাবলেট উদ্ধারসহ মহিলা আসামী মৌ আক্তার (২৭)কে আটক করা হয়। সে ১২ নং ওয়ার্ড কামারপাড়া চামড়াপট্টি হাজিপাড়া এলাকার জাহাঙ্গীর আলমের স্ত্রী। পরবর্তীতে গ্রেফতারকৃত মহিলা আসামীর দেয়া তথ্যের ভিত্তিতে তার বাসায় অভিযান পরিচালনা করে উক্ত মাদকদ্রব্য পাচারের সাথে জড়িত আরোও দুই জন আসামী নূরুল ইসলাম জাহাঙ্গীর আলম ও আব্দুল আউয়াল রাকিব হাসান @ রবি @ বাবু(৩০)(নব মুসলিম)পূর্বের নাম-শ্রী রবি দাস নামে গ্রেফতার করা হয়।গ্রেফতারকৃত রবি ১৫ নং ওয়ার্ড তাজহাট থানার মর্ডান আশরতপুর এলাকার পুলিন রায়ের পুত্র । পরবর্তীতে গ্রেফতারকৃত আসামীদের বিরুদ্ধে কোতয়ালী থানায় মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইন- ২০১৮ ধারায় মামলা দায়ের করা হয়েছে।
অপরদিকে গতকাল অপর অভিযানে গোপন সংবাদের ভিত্তিতে এসআই(নিঃ) নাজমুল ইসলাম, এসআই(নিঃ) গোলাম মোর্শেদ, এসআই(নিঃ) আবু ছাইয়ুম তালুকদার এবং সঙ্গীয় অফিসার ফোর্সসহ আরপিএমপি রংপুর কোতয়ালী থানা এলাকায় মাদকবিরোধী অভিযান পরিচালনা করে । উক্ত থানাধীন ২৫ নং ওয়ার্ড শালবন সিটি কর্পোরেশন বালিকা উচ্চ বিদ্যালয় এবং আলমনগর পীরপুর সরকারী প্রাথমিক উচ্চ বিদ্যালয় এর বাউন্ডারী প্রাচীরের ভিতরে নেশা জাতীয় মাদকদ্রব্য গাঁজা সেবনের প্রস্ততিকালে গাঁজা সেবনের সরঞ্জামাদি সহ নয়জন মাদকসেবী ফজলে রাব্বি (২৮) , পিতা- দেওয়ান আবু সাঈদ তাইমুর রহমান, সাং- করনজাই রোড, সেনপাড়া, ওয়ার্ড নং- ২১, থানা-কোতয়ালী, ২। ইফতি প্রধান (২৬), পিতা- ওয়াহেদ প্রধান, সাং-গুপ্তপাড়া, ওয়ার্ড- ২৪, ৩। আজম (২৯), পিতা- মোছাদ্দের আলী, সাং- ̧প্তপাড়া, ওয়ার্ড- ২৪, ৪। আরিফুর রহমান (২৭), পিতা-শফিউল ইসলাম, সাং- ̧গুপ্তপাড়া, ওয়ার্ড- ২৪, ৫। মোঃ আসিফ ইসলাম (২৫), পিতা- মোঃ আইয়ুব আলী, সাং- ̧প্তপাড়া, ওয়ার্ড- ২৪, ৬। মোঃ আসিফ আজম (২৬), পিতা- মোঃ নাইয়ার আজম, সাং- সেনপাড়া গ্রান্ড হোটেল মোড়, ওয়ার্ড-২১, ৭। তন্ময় (২০), পিতা- ম...ত কুমারেশ, সাং- কামাল কাছনা,ওয়ার্ড- ২৪, ৮। মোঃ শাহাদৎ হোসেন (২১), পিতা- মোঃ বাদশা মিয়া, সাং- ̧প্তপাড়া, ওয়ার্ড- ২৪, ৯। জামাল হোসেন (৫৫), পিতা- ম...ত ফকির চান্দ,সাং- আলম নগর খামার চুড়ি পট্টি, সর্বথানা- কোতয়ালী, মহানগর, রংপুরকে গেধফতার করা হয়।
পরবর্তীতে গেধফতারক...ত আসামীদের বিরুদ্ধে কোতয়ালী থানায় মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইন ২০১৮ ধারায় মামলা দায়ের করা হয়। পরবর্তীতে গ্রেফতার আসামীদের বিরুদ্ধে কোতয়ালী থানায় মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইন ২০১৮ ধারায় মামলা দায়ের করা হয়।
মিঠাপুকৃুরে বাড়ি থেকে পরিবারের উপার্জনক্ষম অটো চুরি !
রুবেল ইসলাম,রংপুর।।
রংপুরের মিঠাপুকুর উপজেলায় শেষ রাতে বাড়ি থেকে ব্যাটারি চালিত চার্জিত অটো চুরির ঘটনা ঘটেছে । অটোর মালিক ও এলাকবাসী বিষয়টি নিশ্চিত করেছে।
ঘটনাটি ঘটেছে -রবিবার ( ২০ শে জুন ) রাত তিনটার দিকে উপজেলার কাফ্রিখাল ইউনিয়নের মকরমপুর গ্রামের মিয়াজী পাড়া কাশেম মিয়ার বাড়ি থেকে চুরি হয়েছে । ভুক্তভোগী ও এলাকাবাসী সূত্রে জানা যায়- দীর্ঘ কয়েক বছর ধরে মুরারীপুর গ্রামের মজিবর রহমানের পুত্র কোরবান মিয়া অটো চালিয়ে অর্থ উপার্জন করতেন। নিজ বাড়িতে অটো প্রবেশের কোন ব্যবস্থা না থাকায় পাশের গ্রাম মকরমপুর তার দাদী বাড়িতে অটো চার্জ দিতেন। প্রতিদিন শেষ রাতে সে অটো নিয়ে জায়গীরহাট বাসস্টপ থেকে কোমরগঞ্জ ও বালারহাট যাত্রী নিয়ে ভাড়ায় চালাতেন।
চুরি হয়ে যাওয়া প্রতিকি অটো |
অটো চালক কোরবান মিয়া বলেন- অটো চালিয়ে তার পরিবারে সংসার চালাতেন তিনি । ইতিপূর্বে সে হোটেলে বয় হিসাবে কাজ করলে সেখান থেকে উপার্জিত অর্থ এবং বিভিন্ন এনজিও থেকে টাকা উত্তোলন করে অটো কিনে ভাড়ায় চালিয়ে সংসার চালাচ্ছেন।
চাচা কাশেম মিয়া বলেন- আমার ভাতিজার পরিবারে সদস্য সংখ্যা আটজন । একমাত্র এই অটোর মাধ্যমে আয় করে সংসার চালাতো কোরবান । তার ছোট ভাই রাসেল সে হোটেলে কাজ করেন। এখন এই পরিবারে আয়ের একমাত্র মাধ্যম অটোটি হারিয়ে দিশেহারা পরিবারটি।
স্থানীয় ইউপি সদস্য আশরাফুল ইসলাম বলেন- বর্তমানে কিশোর গ্যাং এর পরিমাণ বৃদ্ধি পেয়েছে। এই ধরণের চুরি কিশোর গ্যাংয়ের সদস্যদের মধ্যে সংঘঠিত হতে পারে। ঐ পরিবারের একমাত্র আয়ের উৎস ছিলো অটোটি ,চুরি হয়ে যাওয়ার ঘটনাটি দুঃখজনক বলে তিনি মন্তব্য করেন।