Latest Post

 

মিঠাপুকুরে শিশুকে ঢাল করে অনিভব কায়দায় জমি দখল

মিঠাপুকুর প্রতিনিধি

রংপুরের মিঠাপুকুর উপজেলায় ছোট্ট শিশুকে ঢাল হিসাবে ব্যবহার করে অভিনব কায়দায় আদালতের রায় ও থানার নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে জমি দখলের অভিযোগ উঠেছে ভূমিদস্যু আশিকুর রহমানের পরিবারের উপর ।এ বিষয়ে সেকেন্দার আলী নামে এক ব্যক্তি মিঠাপুকুর থানায় অভিযোগ দায়ের করেন।

উপজেলার রানীপুকুর ইউনিয়নের লালচন্দ্রপুর গ্রামে গত ২৩শে ডিসেম্বর সকালে জাহেদার মোড়ে এঘটনা ঘটে। এ সময় আম গাছ কেটে সেই গাছের উপর একটি ছোট্ট শিশুকে বসিয়ে বাকী আম ও ইউক্লিটাস গাছ জোড়পূর্বক কেটে নিয়ে যায় ।এ সময় সেকেন্দার আলীর পরিবার বাধা দিতে আসলে আশিকুরের নির্দেশে ভূমি দস্যুবাহিনী হামলা করলে পালিয়ে যান তারা ।ভূমি দখল করার পরও রাতিমত সেকেন্দার পরিবারকে হুমকি দিয়ে আসছেন ভূমিদস্যু পরিবার।

মিঠাপুকুরে শিশুকে ঢাল করে অনিভব কায়দায় জমি দখল


থানার অভিযোগ সূত্রে জানা যায়-নিজ নামীয় কবলা খরিদকৃত ও পৈত্রিকসূত্রে পাওয়া ভোগ দখলীয় সম্পত্তি দীর্ঘ ৭ বছর ধরে ভোগ দখল করে আসছেন। পৈত্রিক ও ক্রয়সূত্রে জমি জেলা-রংপুর,থানা-মিঠাপুকুর, মৌজাঃ লালচন্দ্রপুর, জেএল নং-০৯,সি.এস খতিয়ান নং-৪৩,এসএ খতিয়ান নং-৪২,আরবিএস খতিয়ান নং-৮৩,সাবেক দাগ নং-১৬০,হাল দাগ নং-৩৫,জমি-১২৩ শতক সম্পত্তি স্থানীয়ভাবে শালিষী বৈঠকে এবং মামলায় আদালতের রায়ে তিনি ভোগ দখল করছেন।উক্ত জমিতে হঠাৎ করে মাসুদুর রহমান @বাবলা,পিতা-মৃত শাহজাহান আলী,সাং-দক্ষিণ গুপ্তপাড়া,থানা-কোতয়ালী,আরপিএমপি,আশিকুর রহমান,পিতা-মৃত লাভলু মিয়া ,আব্দুল খলিল-পিতা-মৃত আঃ আজিজ,উভয় সাং-নাছিরাবাদ,আনোয়ার হোসেন,পিতা-মৃত  শমসের আলী  রাজু মিয়া-পিতা-লুৎফর রহমান, মজনু মিয়া,পিতা-মৃত আকবর আলী,সর্ব সাং-লালচন্দ্রপুর, টন্না মিয়া পিতা-মৃত আকবার আলী সাং-রামজীবন থানা-রংপুর সদর,নুরআলম পিতা-মৃত ফজলুল হক সাং-দৌলত নুরপুর, মিঠু পিতা-মৃত আকমাল সাং-রানীপুকুর জোতপাড়া ,আঃগফুর পিতা-মৃত শফি উদ্দিন সাং-তনকা মামুদপুর সর্ব থানা-মিঠাপুকুর,জেলা-রংপুর জোড়পূর্বক দখল করছে বলে অভিযোগ করেন।একাধিকবার স্থানীয় ভাবে শালিষী বৈঠকে তারা উপস্থিত না হয়ে ২-৩বছর পরপর জমির ফসল নষ্ট করে দখল করেন।

এ বিষয়ে সেকেন্দার আলী জানান-তিনি কয়েক দফায় কয়েকজন ওয়ারিশ এর কাছ থেকে এই জমি ক্রয় করেন।জমি দাতা মতিয়ার নিকট ২৭/০৩/২০১৪খ্রি,দাতা মুনসুর আলী গং ০৫/০২/২০১৪খ্রি.দাতা বাবু মিয়া গং ০৫/০২/২০১৪খ্রি. ও দাতা ইলিয়াছের নিকট থেকে ১৯/০৩/২০১৪খ্রি.তারিখে ক্রয়সুত্রে দলিল করিয়া নেন।অবশিষ্ট দাগের জমি তার পৈত্রিকসূত্রে প্রাপ্ত।বিবাদীদের মামলার রায়ের পরে দলিলদাতাগণ তাকে দলিল করিয়া দিয়েছে।সেই কবলা দলিলমূলে খরিদ করিয়া খারিজ ও খাজনাদি পরিশোধ করিয়া ভোগদখল করতেছেন তিনি।জমি নিয়ে এই রকম ঝামেলা সৃষ্টি করলে উভয় পক্ষকে মিঠাপুকুর থানা থেকে ১৫৪ ধারা জারি করে কিন্তু তারা সে আদেশ অমান্য করে  জোড়পূর্বক জমি দখল করছে।

 মিঠাপুকুরে মন্দির থেকে তিন প্রতিমার মাথা কেটে নিয়ে গেছে দুর্বৃত্তরা 


মিঠাপুকুর প্রতিনিধি।। 

রংপুরের মিঠাপুকুরে মন্দির থেকে তিন প্রতিমার মাথা কেটে  নিয়ে যাওয়ার ঘটনা ঘটেছে।ঘটনাস্থল থেকে কয়েকশত গজ দূরে জমি থেকে বিকেলে কেটে নেওয়া প্রতিমার ভাঙ্গা অংশ উদ্ধার করেছে পুলিশ।


খবর পেয়ে এ ঘটনায় মিঠাপুকুর রংপুর-৫ জাতীয় সংসদ সদস্য এইচএন আশিকুর রহমান,উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান জাকির হোসেন সরকার,উপজেলা নির্বাহী অফিসার ফাতেমা-তুজ-জোহরাসহ পুলিশ, ঘটনাস্থল  পরিদর্শন  করেছেন গতকাল বিকেলে।


প্রতিমা গুলো হচ্ছে কালী, শিব ও শীতলী।

৪নং ভাংনী ইউনিয়নের বামন পাড়া গ্রামে এ ঘটনাটি ঘটেছে ।


এলাকাবাসী সূত্রে জানা যায়-বিগত পঞ্চাশ বছর ধরে এই গ্রামে শৈলান চক্রবর্তী পন্ড ঠাকুরের বসবাস।বাংলাদেশ আওয়ামীলীগ মিঠাপুকুর শাখার সদস্য

শৈলান চক্রবর্তী জানান-গতকাল সকাল সাড়ে ৬টার দিকে নিত্য পূজা করার জন্য মন্দিরে প্রবেশ করা মাত্রই দেখতে পান কালী,শিব ও শিতলী প্রতিমার মাথা কেবা কারা কেটে নিয়ে গেছে।


তিনি বলেন-এঘটনা দেখা মাত্রই স্থানীয় চেয়ারম্যান ও থানা পুলিশকে অবগত করা হলে মিঠাপুকুর রংপুর-৫ জাতীয় সংসদ সদস্য এইচএন আশিকুর রহমান,উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান জাকির হোসেন সরকার,উপজেলা নির্বাহী অফিসার ফাতেমা-তুজ-জোহরাসহ পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন  করেছেন গতকাল বিকেলে।


বিপুল চক্রবর্তী, সপ্তমী চক্রবর্তী জানান,এই কালী মন্দিরে তালা দেয়া ছিলনা,তিন প্রতিমার মাথা কেটে নিয়ে গেছে কেবাকারা,আমরা এঘটনায় দোষীদের শাস্তি দাবি করছি। 


স্থানীয়,আওয়মী ইউনিয়ন সভাপতি বেলায়েত,এবং মালেক,খোরশেদ আলম,আতোয়ারসহ অনেকে বলছেন-পন্ড ঠাকুর খুব ভালো মানুষ,তিনি গ্রামের সবার সাথে মিলে মিশে বসবাস করছে তবে কারা এধরনের কাজ করেছে তা কোন অনুমান করা যাচ্ছেনা।


অত্র ইউপির চেয়ারম্যান কামরুল হাসান বলেন,বিষয়টি দুঃখজনক,আমি সঠিক তদন্ত সাপেক্ষে ব্যবস্থা গ্রহনের জন্য প্রশাসনের সাথে যোগাযোগ করেছি।


এবিষয়ে উপজেলা চেয়ারম্যান জাকির হোসেন সরকার বলেন-প্রতিমা ক্ষতিসাধন করা এটা একটা ন্যাক্কার জনক ঘটনা।দোষী যেই হোক তাকে চিহ্নিত করে ব্যবস্থা নেয়া জরুরী।


মিঠাপুকুর থানার অফিসার ইনচার্জ মোস্তাফিজার রহমান বলেন- রাতের অন্ধকারে প্রতিমার মাথা ভেঙ্গে নিয়ে গেছে।ঘটনাস্থল পরিদর্শন করা হয়েছে, ঘটনাস্থল থেকে ২০০ গজ দুরে মাটিতে পুতে রাখা কিছু ভাঙা অংশ উদ্বার করা হয়েছে।এ ব্যাপারে থানায় এসে মামলা করার কথা বলা হয়েছে।

 রংপুরে বিজয়ের সুবর্ণ জয়ন্তীর নামে চলছে বচন বেঙ্গ অপসংস্কৃতির সাথে রাতভর নৃত্য

আমন্ত্রণেও নেই মুক্তিযোদ্ধা
 
 
রুবেল ইসলাম,রংপুর
মিঠাপুকুরে বিজয়ের সুবর্ণ জয়ন্তীর নামে চলছে বচন বেঙ্গ অপসংস্কৃতির সাথে রাতভর নৃত্য ফলে বিজয় ও স্বাধীনতার ইতিহাস-ঐতিহ্যের বিজয় উল্লাস তরুণ ও ভবিষ্যৎ প্রজন্মের কাছে উজ্জীবিত-প্রানবন্তের বিপরীতে হাস্যকর ও মূল্যবোধের অবক্ষয়ে রুপান্তিত হয়েছে।স্থানীয় প্রশাসনের নেই কোন তদারকি?
 
জানা যায়,গত ২২শে ডিসেম্বর বুধবার মধ্যেরাতে রংপুর মিঠাপুকুরে বড়বালা ইউনিয়নে তরফসাদি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় মাঠে বিজয়ের সুবর্ণ জয়ন্তী উদযাপন উপলক্ষ্যে আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়।অথচ স্বাধীনতা বিজয় উল্লাসের মুক্তিযুদ্ধের স্মৃতিবিজড়িত চেতনার বিপরীতে সেখানে চলছে বচন বেঙ্গ অপসংস্কৃতির সাথে রাতভর নৃত্য।
এলাকাবাসীর অভিযোগ- অনুষ্ঠানে রাত ১:১৫ মিনিটে হিন্দি, তামিল, ইংলিশ গানের সাথে অসলিল বচন বেঙ্গ অপসংস্কৃতির সাথে চলছে নৃত্য।এছাড়াও এই অনুষ্ঠানে আমন্ত্রণ পাইনি কোনো মুক্তিযোদ্ধা, দেয়া হয়নি- সংবর্ধনা। জাতীয় সংগীত কিংবা দেশাত্মবোধক গানের বিন্দু মাত্র কোন দৃশ্যমান সংস্কৃতি চর্চা চোখে পড়েনি বলে জানিয়েছে এলাকাবাসী।


 
এ সময় সাংবাদিকদের উপস্থিতি টের পেয়ে স্থানীয় জনপ্রতিনিধি বড়বালা ইউপি চেয়ারম্যান সাহেব সরকার তার আসন থেকে সরে গেলেও একান্ত সাক্ষাতকারে, অপসংস্কৃতি ও বচন বেঙ্গ করে সংস্কৃতি চর্চার বিরুদ্ধে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে বলেন, ডিজিটাল বাংলাদেশে বর্তমানে যে কালচার এটা একটা ট্রেডিসনে পরিনত হয়েছে। স্বাধীনতা বা বিজয়ের মাস কোনো বিষয় নয়, আনন্দ উল্লাস টায় বড় এমন টায় ভাবে মানুষ। তিনি আরো সু-নিশ্চিত করে বলেন- বিজয়ের সুবর্ণ জয়ন্তী ও স্বাধীনতার ৫০ বছর উদযাপন উপলক্ষ্যে অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়েছে কিন্তু আমন্ত্রণ পাইনি কোনো মুক্তিযোদ্ধা, দেয়া হয়নি সংবর্ধনা।
 
মিঠাপুকুর থানার কর্মরত এসআই নাজমুল উক্ত অনুষ্ঠানে উপস্থিত থাকলেও কোনো পদক্ষেপ গ্রহন করেনি। সাংবাদিকদের উপস্তিতি টের পেয়ে পরে তিনিও সটকে পড়ে।


 
এলাকাবাসী ও সুশীল সমাজ জানায়- বিজয়ের ৫০ বছর উদযাপন উপলক্ষ্যে অনুষ্ঠানের আয়োজন করলেও আমন্ত্রক করা হয়নি কোনো মুক্তিযোদ্ধা কে, না গাওয়া হয়েছে জাতীয় সংগীত ও দেশের গান। যে ভাষার জন্য যুদ্ধ করেছে, আজ সেই বাংলা কে ভুলে আমরা ইংরেজি, তামিল সহ নানা ভাষার গানে বচন বেঙ্গ অপসংস্কৃতি নৃত্যতে মেতেছি, খুবই দুঃখজনক। বিজয়ের ৫০ বছর উদযাপন করতেছি আমরা কিন্তু পাঠ্য বই ছাড়া তেমন কোনো যুদ্ধের ইতিহাস অনেকেই জানেনা। যদি আজ মুক্তিযোদ্ধাদের আমন্ত্রণ করাহত হয়তো তাদের মুখ থেকে মুক্তিযুদ্ধের কিছু কথা শুনতে পেতাম। আজ আমরা যাদের প্রানের, ত্যাগের বিনিময়ে স্বাধীনতা পেয়েছি, অনুষ্ঠান করছি, তাদের আমন্ত্রণ জানাতে ভুলেগেছি এটি দুঃখজনক।
 
অপরদিকে, বিজয় দিবসের সুবর্ণ জয়ন্তীর বিপরিতে বড়বালা ইউনিয়নে সংখ্যা গরিষ্ঠ হিন্দু সম্প্রদায়ের, হিন্দু ধর্মিও কালিপূজা শুরু হয়েছে। পূজা মন্ডপে ধর্মিও রিতি-নিতি মেনে সুশৃঙ্খল ভাবে পূজা পালিত হয়েছে।

 

মিঠাপুকুরে বিজয় দিবসে মন্ত্রীপরিষদ প্রজ্ঞাপনের নির্দেশনা অমান্য

 

মিঠাপুকুর,রংপুর

রংপুরের মিঠাপুকুরে মহান বিজয় দিবসের কর্মসূচীতে মন্ত্রীপরিষদের প্রজ্ঞাপন অমান্য করার ঘটনা ঘটেছে এতে, চরম ক্ষোভ অসন্তোষ প্রকাশ করেছেন অনুষ্ঠানে আগত দর্শনার্থী অতিথিবৃন্দ জাতীয় পতাকা উত্তোলন সালাম গ্রহন অনুষ্ঠানে ছিলেন না উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান জাকির হোসেন সরকার



মন্ত্রীপরিষদ প্রজ্ঞাপন সূত্রে জানা গেছে, জাতীয় পতাকা বিধির চতুর্থ অনুচ্ছেদ মোতাবেক উপজেলা পর্যায়ে স্বাধীনতা দিবস, বিজয় দিবস এবং সরকার ঘোষিত অন্য যে কোন দিনে আয়োজিত অনুষ্ঠানাদি উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান কর্তৃক জাতীয় পতাকা উত্তোলন সালাম গ্রহন করতে হবে। কিন্তু, মিঠাপুকুরে বিজয় দিবসে এই প্রজ্ঞাপন মানেনি উপজেলা প্রশাসন

জাতীয় পতাকা উত্তোলন সালাম গ্রহণ অনুষ্ঠানে স্থানীয় সংসদ সদস্য এইচএন আশিকুর রহমান, উপজেলা নির্বাহি অফিসার ফাতেমাতুজ জোহরা থানা ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোস্তাফিজার রহমান ছিলেন। উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান জাকির হোসেন সরকার ছিলেন অতিথি মঞ্চে, নিজের আসনে। তারপরও তাকে অভিবাদ মঞ্চে ডাকা হয়নি। মাইকে পতাকা উত্তোলন সালাম গ্রহন করার জন্য স্থানীয় সংসদ সদস্য এইচএন আশিকুর রহমানের নাম ঘোষণা করা হয়। ঘটনায় মিঠাপুকুরে চরম ক্ষোভ অসন্তোষ দেখা দিয়েছে

বিজয় দিবসে আগম দর্শনার্থী মজিবর রহমান বলেন, রাষ্ট্রিয় সকল অনুষ্ঠানে জাতীয় পতাকা সালাম গ্রহন করেন উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান কিন্তু, এবারেই প্রথম উপজেলা প্রশসান এর ব্যতিক্রম ঘটালেন

উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান জাকির হোসেন সরকার বলেন, বিজয় দিবসের আগের দিন আমাকে বলা হয়েছে-জাতীয় পতাকা উত্তোলন সালাম গ্রহণ অনুষ্ঠানে থাকার জন্য। কিন্তু, অনুষ্ঠানের দিনে আমাকে অভিবাদন মঞ্চে ডাকা হয়নি

উপজেলা নির্বাহি অফিসার ফাতেমাতুজ জোহরা ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে বলেন, সংসদ সদস্যের প্রটোকল উপজেলা চেয়ারম্যানের উপরে। তাছাড়াও, আশিকুর রহমান এমপি স্যার কেন্দ্রীয় আওয়ামী লীগের কোষাধ্যক্ষ শ্রদ্ধাভাজন ব্যক্তি। তিনি অনুষ্ঠানের প্রধান অতিথি ছিলেন। তাই, তাকে পতাকা উত্তোলন সালাম গ্রহন করার জন্য বলা হয়েছে

 

 মিঠাপুকুরে যথাযথ মর্যাদায় বিজয় দিবস উদযাপন

মিঠাপুকুর(রংপুর)প্রতিনিধি
রংপুরের মিঠাপুকুর উপজেলায় যথাযথ মর্যাদায় গৌরবের ৫০ তম জাতীয় বিজয় দিবস পালিত হয়েছে।সকালে মিঠাপুকুর মহাবিদ্যালয় শহীদ মিনারে পুষ্পস্তবকের মধ্য দিয়ে দিনটির সুচনা করা হয়।
উপজেলা প্রশাসনের আয়োজনে মহাবিদ্যালয় মাঠে মহান বিজয় দিবস উপলক্ষে কুচকাওয়াজ,ডিসপ্লে ও পুরষ্কার বিতরণ অনুষ্ঠিত হয়েছে।


অনুষ্ঠানে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ফাতেমাতুজ জোহরার সভাপতিত্বে প্রধান অতিথি হিসাবে উপস্থিত ছিলেন মিঠাপুকুর-৫ আসনের সাংসদ ও জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত স্থায়ী কমিটির সভাপতি ও বাংলাদেশ আওয়ামীলীগের কেন্দ্রীয় কমিটির কোষাধাক্য হাবিবুরন্নবী আশিকুর রহমান।এছাড়া বিশেষ অতিথি হিসাবে উপস্থিত ছিলেন সাংসদ সহধর্মিনী রেহানা আশিকুর,মিঠাপুকুর উপজেলা চেয়ারম্যান জাকির হোসেন সরকার,ভাইচ চেয়ারম্যান নিরাঞ্জন মহন্ত,সংরক্ষিত মহিলা ভাইচ সদস্যা জেসমিন আক্তার, উপজেলা আওয়ামীলীগের সাবেক সভাপতি মোজাম্মেল হক মিন্টু মিয়া,মিঠাপুকর সহকারী ভূমি কমিশনার মাহামুদ হাসা মৃধা ও মিঠাপুকুর থানার অফিসার্স ইনচার্য মোস্তাফিজার রহমানসহ প্রমূখ।
কুচকাওয়াজে মিঠাপুকুর থানার পুলিশ সদস্য,উপজেলা আনসার ,ফায়ার সার্ভিস কর্মী,মিঠাপুকুর মহাবিদ্যালয়ের বিএনসিসি,মিঠাপৃুকুর সরকারী উচ্চ বিদ্যারয়,হেনা মেমোরিয়াল,বেগম রোকেয়া শিশু নিকেতন,আইডিয়াল পাবলিক স্কুল,আল-ফারুখ ইন্সটিটিউট,গোল্ডেন সান স্কুল,মিঠাপুকুর আদর্শ শিশু নিকেতনসহ বিভিন্ন প্রতিষ্ঠিানের শিক্ষার্থীরা অংশগ্রহণ করেন।
এছাড়া ইসলামিক রিলিফের মাধ্যমে দেশের গানের সাথে নৃত্য পরিবেশন করেন শিক্ষার্থীরা। পরে মিঠাপুকুর উপজেলার বীর মুক্তিযোদ্ধাদের সাংসদের পক্ষ থেকে বিশেষ উপহার প্রদান করা হয়।

 মিঠাপুকুরে বালু বোঝাই ট্রলি নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে  স্কুলছাত্রের মৃত্যু


মিঠাপুকুর(রংপুর)প্রতিনিধি

রংপুরের মিঠাপুকুর উপজেলায় বালু বহনকারী ট্রলি নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে পুকুরে পড়ে উজ্জ্বল চন্দ্র রায় (১৫) নামে দশম শ্রেণির এক স্কুলছাত্রের মৃত্যু হয়েছে।সোমবার সকালে উপজেলার মির্জাপুর ইউনিয়নের পশ্চিম মুরাদপুর গ্রামে এ দুর্ঘটনা ঘটে।

স্কুল ছাত্র ট্রলি ড্রাইভার উজ্জ্বলের লাশ


জানা যায়-উজ্জ্বল চন্দ্র রংপুরের বদরগঞ্জ উপজেলার কুতুবপুর দ্বিমুখী উচ্চ বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী ও কুতুবপুর ইউনিয়নের কাচারীপাড়া এলাকার প্রমোদ চন্দ্র রায়ের ছেলে। সে পড়ালেখার পাশাপাশি ট্রলির ড্রাইভার হিসেবে কাজ করতো।

পুকুর থেকে লাশ উদ্ধার করছেন ফায়ার কর্মীরা


ঈুলিশ,ফায়ার সার্ভিস ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়-পার্শ্ববর্তী বদরগঞ্জ উপজেলার ওপর দিয়ে বয়ে চলা যমুনেশ্বরী নদীর নাগেরহাট এলাকা থেকে ট্রলিতে বালু বোঝাই করে নিয়ে আসছিলেন। ওই বালু বোঝাই ট্রলি নিয়ে যাওয়ার পথে মির্জাপুর ইউনিয়নের মুরাদপুর এলাকায় নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে সড়কের পাশে পুকুরে পড়ে যায়। এসময় ঘটনাস্থলেই নিহত হন উজ্জ্বল রায়।

মিঠাপুকুর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মোস্তাফিজার রহমান বলেন, পরিবারের কারো কোনও অভিযোগ না থাকায় উজ্জ্বলের মরদেহ স্বজনদের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে।


Amader Rangpur news

Contact Form

Name

Email *

Message *

Argon Maltimedia Bangladesh. Powered by Blogger.
Javascript DisablePlease Enable Javascript To See All Widget