Latest Post

 

মুক্তিযোদ্ধার নাতির কারারক্ষী পদে নিয়োগে ১০ লাখ টাকা গ্রহণ,সাবেক আই.জি প্রিজন্স দেহরক্ষী কারাগারে

রংপুর কোর্ট প্রতিনিধি
চাকুরী দেওয়ার প্রলোভন দেখিয়ে  ১০লাখ টাকা অর্থ গ্রহণের মামলায় সাবেক আইজি প্রিজন্স ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মোস্তফা কামাল পাশার দেহরক্ষী সাজেদুল কবির রাসেল(কারারক্ষী নম্বর-১২৭৬৪)কে  রংপুর কেন্দ্রীয় কারাগারে পাঠিয়েছে মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্টেট কোতয়ালী আমলী আদালত।

গত রবিবার (৩ই এপ্রিল)  দুপুর ১২ টায় বীরমুক্তিযোদ্ধার নাতী সোহেল রানা নামে এক ভুক্তভোগীর করা মামলায় জামিন নিতে আসলে জামিন না মঞ্জুর করে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন বিজ্ঞ ম্যাজিস্টেট রাজু আহম্মেদ।(জিআর মামলা নম্বর-৬৫৪/২১)।

আইজি প্রিজন্স ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মোস্তফা কামাল পাশার দেহরক্ষী সাজেদুল কবির রাসেল


মামলার নথি  ও লিগ্যাল নোটিশ থেকে জানা যায়-গাজীপুর জেলার  কালিয়াকৈর থানার বড় গোবিন্দপুর পাইকপাড়া এলাকার আব্দুল করিম সরকারের পুত্র কারারক্ষী জসিম সরকার(১২৮১৪) ও কিশোরগঞ্জ জেলার রাজিবপুর থানার সরারচর  পুরানগাঁও এলাকার আবু বক্কর সিদ্দিকের পুত্র সাজেদুল কবির রাসেল (১২৭৬৪) দুজনকে রংপুরের কোর্টের আইনজীবি শফিকুল ইসলামের মাধ্যমে(২৩/০৫/২০২১) লিগ্যাল নোটিশ পাঠান সোহেল রানা। উভয়ই গাজিপুর জেলা কারাগারের ব্যাচমেট।সোহেল রানার মামা ওবাইদুল হক কারারক্ষী হওয়ায় তাহার পরিচয় সুত্র ধরে ঘনিষ্ট সম্পর্ক গড়ে উঠে।সাজেদুল সাবেক আই.জি প্রিজন ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মোস্তফা কামাল পাশা সাহেবের দেহরক্ষী ও জসিম সরকার ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগারে গাড়ি চালক হিসেবে চাকুরী করার সুবিধার্থে পরিচয় হয়।মোস্তফা কামাল পাশার সাথে গভীর সম্পর্ক মর্মে মুক্তিযোদ্ধা কোটায় কারারক্ষী হিসাবে চাকুরী দিতে পারবেন বলে ১০ লাখ টাকায় যুক্তি করেন। গত ২৮/০৮/২০২০ইং তারিখে রংপুরে আসিয়া মামা ওবাইদুল হকের মোকাবেলায় চার লাখ টাকা অঙ্গীকারবদ্ধ হয়ে গ্রহণ করেন তারা।এরপর ০৪/০৯/২০২০ ইং তারিখে  বাসায় ডাকিয়া ছয় লাখ টাকা গ্রহণ করেন।এরপর কারারক্ষী নিয়োগ-২০২০ এর প্রবেশপত্র পাঠাইয়া দেন।যাহার রেজিষ্ট্রেশন নম্বর-BDJM-07015 । পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করে উত্তীর্ণ হলেও চাকুরী লইয়া দিতে ব্যর্থ হয় তারা,পরে টাকা ফেতর দিতে তালবাহানা শুরু করেন।গত ১৫/০১/২০২১ ইং তারিখে স্বাক্ষীসহ টাকা চাইতে গেলে খুনজখমের হুমকি ও ভয়ভীতি প্রদর্শন করেন।

গত ২৮/০৯/২০২১ তারিখে আরপিএমপি কোতয়ালী থানায় (যাহার মামলা নম্বর-৭৬) মামলা হলে নালিশকারীর নালিশী দরখাস্তটি FIR করে তদন্তপূর্বক ওসি কোতয়ালী থানাকে ২৪ ঘন্টার মধ্যে পিবিআইকে হস্তান্তের  নির্দেশ দেন চীফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট এফ,এস,আহসানুল হক।পরে তদন্ত শেষে চুড়ান্ত প্রতিবেদন দাখিল করেন পিবিআই(পুলিশ ব্যুারো ইনভেস্টিগেশন)।

মামলার বাদী সোহেল রানা জানায়-শতভাগ চাকুরী দেওয়ার কথা বলে তারা অর্ধশতাধিক চাকুরী প্রত্যাশীর কাছে কোটি কোটি টাকা নিয়েছে।বিভিন্ন খানে তারা পালিয়ে বেড়ায়। টাকা ফেরত দিতে চেয়েও হয়রানী করছে। দেড় বছর ধরে গাজিপুর কারাগারে পাওনাদারদের কারণে আসেন না জসিম সরকার। অনেক কষ্ট করে তার মতো অনেক হতভাগার চাকুরী দেওয়ার কথা বলে অর্থ হাতিয়ে নিয়েছে।

এ বিষয়ে গাজীপুর জেলা  কারাগারের জেল সুপারের সাথে একাকিধার মুঠোফোনে যোগাযোগ করার চেষ্টা করলেও সম্ভব হয়নি।

রংপুর বিভাগের ডিআইজি প্রিজন্স আলতাফ হোসেন এর সাথে যোগাযোগ করলে তিনি স্বাধীন বাংলাকে জানান- ঘটনাটি তার বিভাগের অন্তর্ভুক্ত নয়, সে গাজীপুর জেলা কারাগারে কর্মরত আছে। সে যদি অপরাধী হয় তাহলে তার বিচার আদালত করবে।


 

মিঠাপুকুরে পল্লীচিকিৎসক কর্তৃক বাকপ্রতিবন্দীকে বলাৎকার

মিঠাপুকুর,রংপুর

বাকপ্রতিবন্দী ছেলেটি ছয় বছরের ছোট ভাইয়ের সাথে বাড়ির উত্তরপ্বার্শে পতিত জমিতে খেলছিলো।এমন সময় পাশের বাড়ির পল্লীচিকিৎসক কৌশলে ডেকে নিয়ে যায় ছেলেটিকে।বাড়ির পূর্ব দুয়ারী ঘরে নিয়ে জোড়পূর্বক পরনের থ্রি-কোয়ার্টার প্যান্ট খুলে ইচ্ছার বিরুদ্ধে বলাৎকার( ধর্ষণ) করে শিশুটিকে।বড় ভাইয়ের সাথে এই অবস্থা দেখে কান্নায় চিৎকারে দৌড়ে যায় মায়ের কাছে।কান্নাজনিত কন্ঠে বাক প্রতিবন্দী ছেলেকে দেখে হতাশ মা।এ বিষয়ে ভুক্তভোগীর মা বাদী হয়ে থানায় লিখিত অভিযোগ করেন।

গত সোমবার(২৮শে মার্চ)দুপুরে মিঠাপুকুর উপজেলার ভাংনী ইউনিয়নে স্থানীয় পল্লীচিকিৎসক কর্তৃক বাকপ্রতিবন্দী শিশুকে বলাৎকার করার অভিযোগ উঠেছে।এ ঘটনার পর থেকে চিকিৎসক পলাতক আছেন।

 স্থানীয় পল্লীচিকিৎসক কর্তৃক বাকপ্রতিবন্দী শিশুকে বলাৎকার


সরেজমিনে ও থানার অভিযোগ সূত্রে জানা যায়-খেলাধুলা করার সময় ১০ বছরের বাকপ্রতিবন্দী শিশুকে কৌশলে জোড়পূর্বক ধর্ষন করেন স্থানীয় পল্লীচিকিৎসক আসাদুজ্জামান(৫০)।এ বিষয়ে গত বুধবার(৩০শে মার্চ)সকাল আটটায় স্থানীয় ইউপি সদস্যের সহযোগিতায় শালিশী বেঠক ডাকা হয়।শালিশী বৈঠকে আসাদুজ্জামান হাজির না হয়ে পলাতক থাকেন।স্থানীয় বাসিন্দা আব্দুস সালাম বলেন-বিষয়টি শোনার পর স্থানীয়ভাবে মিমাংসার ব্যবস্থা করা হয়।কিন্তু ডাক্তার উপস্থিত হয়নি।শালিশী বৈঠকে তিনি উপস্থিত না হওয়ায় তিনি এই অপরাধ করছেন বলে দাবী তার।এমন দাবী শুধু আব্দুস সালামের নয়,ফিরুজ মিয়া,শাহাদত হোসেন ও সোহেল রানাসহ প্রায় ৩০জন এলাকাবাসীর।

ভুক্তভোগীর মা জানান-তার বাক প্রতিবন্দী ছেলের চিৎকারের শব্দ শুনে ছোট্ট ছেলে বাড়িতে দৌড়ে গিয়ে খবর দেয়।তিনি এসে দেখেন তার ছেলে কান্নাকাটি করছে।ডাক্তার তাকে নানান ভাবে বুঝিয়ে বিষয়টি ধামাচাপা দেওয়ার চেষ্টা করেন।

স্থানীয় ওয়ার্ড ইউপি সদস্য ইলিয়াস মিয়ার সাথে মুঠোফোনে কথা হলে তিনি জানান-বিষয়টি তিনি জানার পর স্থানীয় এলাকাবাসীসহ শালিশী বৈঠক বসানো হয়।বৈঠকে উপস্থিত না হলে ভুক্তভোগীদের আইনের আশ্রয় নেওয়ার জন্য পরামর্শ দেন।

মিঠাপুকুর থানার অফিসার ইন-চার্জ মোস্তাফিজার রহমান জানান-এ বিষয়ে লিখিত এজাহার পেয়েছেন।তদন্তমূলক ব্যবস্থা গ্রহণ করার আশ্বাস দেন তিনি।

 


 


 

নগরীর ১৩নং ওয়ার্ডে প্রায় ৭শ’ ৪০ মিটার আরসিসি ড্রেন নির্মাণ কাজ শুরু
 
স্টাফ রিপোর্টার ॥
ডিপিপি অর্থায়নে এক কোটি টাকা ব্যয়ে নগরীর ১৩নং ওয়ার্ডে প্রায় ৭শ’ ৪০ মিটার আরসিসি ড্রেন নির্মাণ কাজ শুরু করেছেন রংপুর সিটি কর্পোরেশন। গত শুক্রবার দুপুরে প্রাইম হাসপাতাল সংলগ্ন এলাকায় উক্ত আরসিসি ড্রেন নির্মাণ কাজের শুভ উদ্বোধন করেন রংপুর সিটি কর্পোরেশনের মেয়র মোঃ মোস্তাফিজার রহমান মোস্তফা।

 
এ সময় উপস্থিত ছিলেন সংশ্লিষ্ট ওয়ার্ড কাউন্সিলর মোঃ ফজলে এলাহী ফুলু ও সংরক্ষিত মহিলা কাউন্সিলর মোছাঃ সাহেদা বেগম বেবি, রংপুর সিটি কর্পোরেশনের নির্বাহী প্রকৌশরী মোঃ আজম আলী ও মেজর (অবঃ) নাসিমসহ স্থানীয় গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ। ###

 

রংপুর ঠিকাদার সমিতির সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত 
২১ মার্চ প্রধানমন্ত্রী বরাবরে স্মারক লিপি প্রদান এবং ২৩ শে মার্চ সিটি কর্পোরেশন ও এলজিইডির সামনে অবস্থান ধর্মঘটের কর্মসূচি ঘোষণা
 
স্টাফ রিপোর্টার
রড সিমেন্ট পাথর ও বিটুমিনসহ সকল প্রকার নির্মাণ সামগ্রীর মুল্য অস্বাভাবিক হারে বৃদ্ধির প্রতিবাদে এবং সিন্ডিকেট ব্যবসায়ীদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহন ও মুল্য কমানোর দাবিতে প্রধানমন্ত্রী বরাবরে রংপুর জেলা প্রশাসনের মাধ্যমে স্মারক লিপি প্রদান এবং সিটি করপোরেশন ও এলজিইডি কার্যালয়ের সামনে অবস্থান ধর্মঘটের কর্মসূচি ঘোষনা করেছেন রংপুর ঠিকাদার সমিতি। গতকাল শনিবার দুপুরে রংপুর নগরীর স্থানীয় একটি কমিউনিটি সেন্টারে রংপুর ঠিকাদার সমিতি আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এ কর্মসূচি ঘোষনা করেন।
২১ মার্চ প্রধানমন্ত্রী বরাবরে স্মারক লিপি প্রদান এবং ২৩ শে মার্চ সিটি কর্পোরেশন ও এলজিইডির সামনে অবস্থান ধর্মঘটের কর্মসূচি ঘোষণা

 
 
সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন রংপুর ঠিকাদার সমিতির আহবায়ক রফিকুল ইসলাম দুলাল। রংপুর ঠিকাদার সমিতির সদস্য সচিব রইছ আহাম্মেদ এর সঞ্চালনায় বক্তব্য রাখেন সংগঠনের যুগ্ন আহ্বায়ক শফিকুল ইসলাম মিঠু, খায়রুল কবীর রানা, মঞ্জুর আহমেদ আজাদ, খায়রুল কবীর রানা, আবু আহমেদ সিদ্দিক পারভেজ।
সংবাদ সম্মেলনে লিখিত অভিযোগে বলা হয়, বর্তমানে প্রতিটি নির্মাণ সামগ্রীর অস্বাভাবিক মুল্য দরপত্রের চুক্তি মুল্য থেকে গড়ে শতকরা ৪০ ভাগ বৃদ্ধি পেয়েছে। মাত্র এক থেকে দেড় মাসের ব্যবধানে ইটের মুল্য শতকরা ৪০ ভাগ, পাথরের মুল্য ৮০ ভাগ, রডের মুল্য ৫০ ভাগ, সিমেন্টের মুল্য ৩৫ ভাগ, বিটুমিনের মুল্য ৪০ ভাগ, মোটা বালুর মুল্য ৩০ ভাগ, এমএস সীটের মুল্য ৫০ ভাগ, ফ্লাটবার ও এ্যাংগেলের মুল্য ৫০ ভাগ, টাইলসের মুল্য ২০ ভাগ, থাই গ্লাসের মুল্য ৪০ ভাগ বৃদ্ধি পেয়েছে। এই অস্বাভাবিক মুল্য বৃদ্ধি সিন্ডিকেটের ষড়যন্ত্র কিনা এবং পরিকল্পিত কিনা তা খতিয়ে দেখার দাবি জানানো হয়। 
ঠিকাদারদের অভিযোগ-দেশের উন্নয়নের অগ্রযাত্রায় মুল কারিগর ঠিকাদারা। এর সাথে ১০ লাখ ঠিকাদার এই শিল্পের সাথে জড়িত, এ ছাড়া নির্মাণ শ্রমিক প্রায় এক কোটি মানুষ সরাসরি জড়িত। নির্মাণ সামগ্রীর মুল্য অস্বাভাবিক বৃদ্ধি পাওয়ায় ঠিকাদারদের পক্ষে নির্মাণ কাজ করা সম্ভব হচ্ছে না। সংবাদ সম্মেলনে তাদের দাবির সমর্থনে ২১ মার্চ জেলা প্রশাসকের কাছে স্মারকলিপি প্রদান এবং ২৩ মার্চ রংপুর সিটি করপোরেশন ও নির্বাহি প্রকৌশলী এলজিইডি রংপুরের কার্যালয়ের সামনে অবস্থান কর্মসুচি ঘোষনা করা হয়। 
এ সময় উপস্থিত ছিলেন যূগ্ম আহবায়ক ইঞ্জিনিয়ার শাহাদত হোসেন, সদস্য শফিকুল ইসলাম যাদু, ওয়াসিমুল বারী রাজ,  রেজাউল ইসলাম মিলন, আব্দুর রব রাঙ্গা, অরুপ দত্ত,  লিটন পারভেজ, জাহিদুল ইসলাম রুবেল, নওরোজ হোসেন পল, আবু সামা, লোকমান হোসেন, আলহাজ্ব রুহুল আমীন ফুলু,  রবিউল ইসলাম রবি, রাহাত ইসলাম রনি, আলতাফ হোসেন লন্ডন,  ফরহাদ হোসেন, আশরাফুল ইসলাম বাবু ও জয়নুল ইসলাম বাবুসহ অন্যান্য ঠিকাদারবৃন্দ। ###


মিঠাপুকুরে চরিত্রহীনতার অপবাদ দিয়ে বিপত্নীক মহিলার বাড়ি ভাংচুর

মিঠাপুকুর(রংপুর)প্রতিনিধি

রংপুরের মিঠাপুকুর উপজেলায় চরিত্রহীনতার অপবাদ দিয়ে বিপত্নীক মহিলার সরকারী রাস্তার তিন মোড়স্থ বাড়ি ভাংচুর করা হয়।এ ঘটনায় ভুক্তভোগী ছবিরন বেগম খোলা আকাশের নিচে অবস্থান করছেন।

বৃহস্পতিবার(১০ই মার্চ)সকাল সাড়ে নয়টায় উপজেলার পায়রাবন্দ ইউনিয়নের ৪ নম্বর ওয়ার্ডের ভেতর লোহানী নামক এলাকায় ঘটনাটি ঘটে।স্থানীয় মসজিদের ইমাম,মুয়াজ্জিন ও প্রভাবশালী কর্তৃক বাড়ি ভেঙ্গে দিয়েছে বলে ভুক্তভোগীর দাবী।

সরেজমিনে স্থানীয়দের সাথে কথা বলে জানা যায়-ছবিরন বেগম নামে মহিলার জন্মস্থান এখানে,বর্তমানে তার কেউ নেই!নেই নিজস্ব কোন?বাপ দাদার পাওয়া সম্পতি, কালের বিবর্তনে হারিয়েছেন তিন স্বামী,মায়ের নামে এক টুকরো জমি তাও মায়ে দিয়েছেন ছোট বোনের নামে ফলে স্থান হয়নি সেখানে। আশেপাশের লোকের বাড়িতে কিংবা ক্ষেত খামারে উপার্জিত অর্থ দিয়ে তার সংসার চলে,থাকেন রাস্তার মোড়স্থ একটু ফাঁকা জায়গায় টিনের চালা তুলে।তবে কোন দিন কেউ তার খারাপ কিছু দেখেনি কিংবা কোন  লোক  তাকে হাতে নাতে ধরেনি শুধু মানুষের মুখে কানাকানি।আর এই কানাকানি থেকেই চারিত্রিক অপবাদ দিয়ে বাড়িটি ভেঙ্গে দেয় প্রভাবশালী ববি ও স্থানীয় মসজিদের ইমাম ও মুয়াজ্জিন।

ভুক্তভোগীর স্বীকার ছবিরন বেগম বলেন-অনেক কষ্ট করে মানুষের বাড়িতে কাজকর্ম করে একটি গরু পালন করে তা বিক্রি করেছেন কয়েক শতক জমি কেনার আশায়।রাস্তার মোড়স্থ জায়গায় বাড়ি করে থাকায় দীর্ঘদিন ধরে তার বিরুদ্ধে নানা অপবাদ দেয় স্থানীয়রা।এখানে টিনের চালা তুলে বসবাস করা কিছু লোক চায়নি এবং তারা তার কাছে বিভিন্ন সময় টাকা দাবী করেন।সেই টাকা না দেওয়ায় চরিত্রহীন কেলেঙ্কারী জড়িয়ে বাড়ি ভেঙ্গে দেয়।সকালে ঘুম থেকে উঠে মেম্বারের বাড়িতে রেশনের কার্ডের জন্য আইডি কার্ড দিতে যান সেখান থেকে ফিরে এসে তার বাড়ি ভাংচুর করা দেখে বাধা দিলে প্রাণে মারার হুমকি দেয় ববি,ভয়ে তিনি চলে যান থানায় সেখানে লোক না থাকায় অভিযোগ না দিয়েই ফিরে আসেন।পরে গিয়ে তার গরু বিক্রির ৩০ হাজার টাকা খোঁজ করলে তা পাননি।

প্রভাবশালী ববি জানান-মহিলা বিভিন্ন অনৈতিক কর্মকান্ডের সাথে জড়িত,দীর্ঘদিন ধরে তাকে নিষেধ করেছেন কিন্তু শোনেন নি।তার বাড়ি ভাংচুর করে দেওয়ার সময় তার ঘর থেকে চোলাই মদ উদ্ধার করা হয়।ইতিপূর্বে তার নামে মিঠাপুকুর থানায় অনৈতিক কার্যক্রম করার কারণে সাধারণ অভিযোগ করা হয়েছিল বলে তিনি জানান।এছাড়া আলু তোলার সময় ফসল নিয়ে যাওয়ার জন্য যাতায়াতের অসুবিধার কথা তিনি দাবী করেন।

স্থানীয় নবনির্বাচিত ইউপি সদস্য সুলতান আহম্মেদ জানান-আমার কাছে কোন অভিযোগ আসেনি এবং একাধিকবার আমি ছবিরন এর সামনে দিয়ে গিয়েছি কিন্তু সে আমাকে কিছু বলেনি।তাছাড়া এই মুহুর্তে তিনি কিছু করতে পারবেন না কারণ এখন তিনি দায়িত্ব গ্রহণ করেনি।

মিঠাপুকুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মোস্তাফিজার রহমান বলেন-বাড়ি ভাঙ্গার বিষয়ে কেউ কোন অভিযোগ থানায় করেনি ।যদি অভিযোগ আসে তাহলে ব্যবস্থা গ্রহণ করবেন।

 


 


 

মিঠাপুকুরে পাটখড়ি দিয়ে তৈরী শহীদ মিনারে শিশুদের পুষ্পার্ঘ অর্পন

মিঠাপুকুর,রংপুর

রংপুরের মিঠাপুকুর উপজেলায় নিজেদের ব্যক্তিগত উদ্যোগে পাটখড়ি দিয়ে শহীদ মিনার তৈরী করে ভাষা শহীদদের শ্রদ্ধা নিবেদন করেছেন প্রাথমিক বিদ্যালয়ে পড়ুয়া  শিশুরা।শিশুদের এই উদ্যোগে অবাক হয়েছেন অভিভাবকরা।

উপজেলার কাফ্রিখাল ইউনিয়নে ভাষা শহীদের স্মরণে শহীদ মিনার না থাকায় কিশামতজালাল গ্রামে প্রাথমিকে পড়ুয়া শিক্ষার্থীরা এই উদ্যোগ গ্রহণ করেন।২০শে ফেব্রুয়ারী সারাদিন কয়েকজন শিশু মিলে পাট খড়ি সংগ্রহ করে শহীদ মিনার তৈরী করেন।২১শে ফেব্রুয়ারী প্রভাতে জঙ্গল থেকে বিভিন্ন ধরণের ফুল(ভাটিয়ার ফুল,জবা,গাঁদা,লাইয়ের ফুল) সংগ্রহ করে সকলে মিলে ফুল দেয়।  


জানা যায়-কিশামতজালাল সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ে প্রথম শ্রেণীতে যাতায়াত করা শিক্ষার্থী নুসরাত জাহান,মিঠাপুকুর গ্লোডেন সান বিদ্যালয়ের পঞ্চম শ্রেণীর ছাত্র শাকিবুল হাসান ও স্থানীয় ব্রাক স্কুলে চতুর্থ শ্রেণীতে পড়ুয়া নারগীস আক্তারসহ শিশুরা মিলে এই শহীদ মিনার তৈরী করেন।এতে সার্বিক সহযোগিতা করেন সদ্য কুড়িগ্রাম পলিটেকনিক্যাল থেকে ডিপ্লোমা সম্পর্ণ করা ওবায়দুল ইসলাম।

শাকিবুল হাসান জানায়-সবাই শহীদ মিনারে ফুল দিবে আমরা কেন বঞ্চিত হবো।তাই সকালে ফুল সংগ্রহ করে সকলে মিলে ফুল দিয়ে শহীদদের শ্রদ্ধা নিবেদন করেছেন।

ওবায়দুল ইসলাম বলেন-তাদের ইউনিয়নে কিংবা বাড়ির পাশে সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ে ভাষা শহীদদের স্মরণে কোন শহীদ মিনার না থাকায় বেকায়দায় পড়তে হয় এই ইউনিয়নের শিক্ষার্থীদের।টিভিতে ও ছবিতে কিংবা বইয়ের পৃষ্ঠায় ছাড়া শহীদ মিনার দেখতে পায়না।প্রতিটি বিদ্যালয়ে শহীদ মিনার থাকলে ভাষা শহীদদের ত্যাগ ও তিতিক্ষা সম্পর্কে জানতে পারতো।পড়ালেখা্ শেষে বাড়িতে অবস্থানকালে দেখি কিছু শিশু পাট খড়ি দিয়ে শহীদ মিনার তৈরী করার চেষ্টা করছে বিষয়টি ভালো লাগায় তিনি সহযোগিতা করেন।



যাদবপুর সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক ও অভিভাবক আক্কাস আলী জানান- তার ছেলে শাকিবুল সারাদিন বাড়িতে ভাত না খেয়ে সারাদিন ছোট্ট বাচ্চাদের নিয়ে শহীদ মিনার তৈরী করছে।সকালে তাদের খালি পায়ে ফুল দেওয়া থেকে বিস্মিত হই।ভাষার জন্য শহীদদের মর্যাদা শিশুদের মনে কতটুকু।অথচ আমরা উচ্চ শিক্ষিতরাই শহীদ মিনারকে অসম্মান করি।

ব্রাকের শিক্ষিকা মৌসুমী আক্তার জানায়-ভাষা শহীদের ব্যাপারে শিক্ষার্থীদের অবগত এবং চারুকারুর জন্য ব্লাক বোর্ডে তাদের শহীদ মিনার আর্ট করা শিক্ষিয়েছেন।কিভাবে ও কেন শহীদদের সম্মান করতে হবে তা শিক্ষার্থীদের অবগত করেন।সকালে শিশুদের তৈরী শহীদ মিনার দেখে তিনি নিজেও আশ্চর্যম হন।

 


  

Amader Rangpur news

Contact Form

Name

Email *

Message *

Argon Maltimedia Bangladesh. Powered by Blogger.
Javascript DisablePlease Enable Javascript To See All Widget