Latest Post


 

 
মিঠাপুকুরে সরকারী নিয়মনীতির তোয়াক্কা না করেই অবৈধভাবে গাছ কর্তন
 
 
মিঠাপুকুর প্রতিনিধি
রংপুরের মিঠাপুকুর উপজেলায় সরকারি নিয়ম নীতিকে বৃদ্ধাঙ্গুল দেখিয়ে রাস্তার গাছ কেটে বিক্রি করার অভিযোগ উঠেছে ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে। গাছ কর্তনের বিষয়ে কোন ধরনের রেজুলেশন কিংবা অবহতিকরণ সভা না করেই লুকোচুরি করে গাছ বিক্রি করেছে চেয়ারম্যান এমন অভিযোগ ইউপি সদস্যদের।
গত শুক্রবার বিকেলে স্থানীয় এলাকাবাসীর সহযোগিতায় কর্তনকৃত গাছ সহকারে বহনকারী টলি আটক করেছে ইউপি সদস্যরা। কর্তনকৃত ইউক্লিপটাস গাছ ও বহনকারী টলি ইউনিয়ন পরিষদের জিম্মায় রয়েছে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার নির্দেশে।
সরেজমিনে তদন্ত করে জানা যায়- উপজেলার কাফ্রিখাল ইউনিয়নের খোর্দ্দ মহদীপুর গ্রামের ভবেশ সরকারের বাড়ি থেকে বুজরক মহদীপুর বালিকা উচ্চ বিদ্যালয় যাওয়ার রাস্তার দুপ্বার্শের গাছ কোন প্রকার দরপত্র বিজ্ঞপ্তি এবং ইউনিয়ন পরিষদে অবহতিকরন সভা না করে কর্তন করা হয়। এ বিষয়ে ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান জয়নাল আবেদীন মাস্টার ও সংশ্লিষ্ট ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য ফখরুল ইসলামের সাথে যোগাযোগ করলে গাছ কর্তনের বিষয়টি তারা অস্বীকার করেন। একই সাথে দীর্ঘদিন ধরে দুজনেই অসুস্থ রয়েছেন বলে জানান।
আটককৃত টলী চালক ও লেবার শ্রমিকদের গাছ কে ক্রয় করেছে তা জিজ্ঞাসাবাদ করলে তারা জানান- চেংমারী ইউনিয়নের মাজেদুল ইসলাম নামে একজন কাঠ ব্যবসায়ী এই কাজগুলো ক্রয় করছেন। মাজেদুল ইসলামের সাথে মুঠোফোনে যোগাযোগ করলে তিনি সাময়িক সময় নিয়ে ইউনিয়ন পরিষদে উপস্থিত হন। পরবর্তীতে তার সাথে কথা হলে তিনি ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যানের কাছ থেকে গাছ ক্রয় করেছেন বলে অবগত করেন। একই সাথে চার লাখ ২০ হাজার টাকা দিয়ে এই কাজগুলো ক্রয় করেছেন বলে দাবী করেন। ক্রয় কৃত গাছ সংক্রান্ত বিষয়ে কোনো কাগজপত্র তাদের কাছে আছে কিনা তা জিজ্ঞাসাবাদ করলে তারা তা দেখাতে পারেননি।বরং ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান জয়নাল আবেদীন মাস্টারের হাতে এক লক্ষ ৮০ হাজার টাকা দিয়েছেন বলে জানান। আর এই গাছ কর্তনের বিষয়ে সার্বিক সহযোগিতা করেছেন সংশ্লিষ্ট ওয়ার্ডের ইউপি সদস্যের ভাই আনোয়ার হোসেন। গাছ ব্যবসায়ী মাজেদুল ইসলাম আরোও জানান- গাছ কর্তনের বিষয়ে মিঠাপুকুরের ইউনিক যুব উন্নয়ন সংস্থার প্রতিষ্ঠাতা ও সভাপতি আজারুল ইসলাম চৌধুরী নওশাদ ২০ হাজার টাকা গ্রহণ করেছেন।
এ বিষয়ে ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান জয়নাল আবেদীন মাস্টারের সাথে মুঠোফোনে যোগাযোগ করলে তিনি জানান- গত কয়েকদিন ধরে তিনি অসুস্থ রয়েছেন এবং উন্নত চিকিৎসার জন্য তিনি ঢাকায় যাচ্ছেন আর গাছ কর্তনের বিষয়ে তিনি অবগত নন। গাছ কর্তনের বিষয়ে সংশ্লিষ্ট ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য জানতে পারে বলে অবগত করেন।
আটককৃত টলি বোঝাই ইউক্লিকটাস গাছ

 
চেয়ারম্যানের সূত্র ধরে ইউপি সদস্য ফখরুল ইসলামের সাথে মুঠোফোনে কথা বললে জানা যায়- বিগত ১৫ দিন ধরে তিনি ডায়াবেটিস সংক্রান্ত বিষয় নিয়ে অসুস্থ রয়েছেন। কে বা কাহারা গাছ কেটেছে? তার বিষয়ে তিনি সম্পূর্ণভাবেই অজানা।
এ বিষয়ে ইউনিক যুব উন্নয়ন সংস্থার প্রতিষ্ঠাতা পরিচালক ও সভাপতি আজহারুল ইসলাম চৌধুরী নওশাদের সাথে মুঠোফোনে যোগাযোগ করলে তিনি জানান- এ বিষয়ে তিনি অবগত নন। তবে গাছ কর্তনের বিষয়টি তিনি শুনেছেন এ বিষয়ে চেয়ারম্যান ঢাকায় রয়েছেন তিনি আসলে তার জবাব নেবেন। কাঠ ব্যবসায়ী মাজেদুল ইসলাম তাকে ২০ হাজার টাকা দিয়েছে এ কথা তিনি অস্বীকার করেন বরং তার সাথে কোন আর্থিক লেনদেন হয়নি বলে দাবি করেন।
নিয়ম নীতি না মেনে গাছ কর্তনের বিষয়ে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা রকিবুল হাসানের সাথে হোয়াইট আপসে যোগাযোগ করলে তিনি জানান- অবৈধভাবে কাজ কর্তনের বিষয়ে তিনি অবগত রয়েছেন।বর্তমানে গাছগুলো ইউনিয়ন পরিষদের জিম্মায় রাখা হয়েছে। চেয়ারম্যান অসুস্থতার জন্য ঢাকায় আছে তিনি আসলে তাকে সহ গাছ কাটার সাথে জড়িত সংশ্লিষ্টদের বিরুদ্ধে আইনী ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

 মিঠাপুকুরে ভূয়া তালিকা প্রস্তুত,কালবৈশাখী ঝড়ের বরাদ্দ আত্মসাৎ করলেন প্যানেল চেয়ারম্যান

মিঠাপুকুর প্রতিনিধি

রংপুরের মিঠাপুকুর উপজেলার বালারহাট ইউনিয়নে কাল বৈশাখী ঝড়ে ঘরবাড়ী পড়ে যাওয়া পরিবারের ভূয়া তালিকা প্রস্তুত করে বরাদ্দকৃত চাল আত্মসাৎ,মৃত ব্যক্তির নাম ও টিপসই ব্যবহার করাসহ একই নাম একাধিকবার ব্যবহার করে চাল উত্তোলন করার অভিযোগ উঠেছে প্যানেল চেয়ারম্যান গোলজার হোসেনের বিরুদ্ধে। ঝড়ে পড়া ঘরবাড়ি দেখিয়ে ভূয়া তালিকা তৈরী করে চাল আত্মসাৎ করায় সরেজমিনে তদন্ত করে প্রতিকার চেয়ে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার কাছে লিখিত আবেদন করেছেন ৪ নম্বর ওয়ার্ডের বাসিন্দা তাহের আলী।জানা যায়-বর্তমান চেয়ারম্যান হজ্জ পালনের কারণে সৌদি আরবে অবস্থান করায় পরিষদের দায়িত্ব গ্রহণ করেন প্যানেল চেয়ারম্যান হিসাবে গোলজার হোসেন। 


গত ৬ই জুলাই উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা বরাবর লিখিত অভিযোগের কপি হাতে নিয়ে সরেজমিনে তদন্ত করে জানা যায়-কাল বৈশাখী ঝড়ে ইউনিয়নের ৯টি ওয়ার্ডের ২৯১টি পরিবারের ঘর ভেঙ্গে গেছে তা সম্পর্কে অবগত নয় এলাকাবাসী। তবে চাল বিতরণ ও মৃত ব্যক্তির টিপ সই দিয়ে চাল গ্রহণ নিয়ে প্রশ্নের ধ্রæ¤্রজাল সৃষ্টি হয়েছে এলাকায়। সুষ্ঠ তদন্ত করে কঠিন বিচারের দাবী এলাকাবাসীর।তালিকা থেকে জানা যায়-১ নং ওয়ার্ডে ১১টি,২ নং ওয়ার্ডে ৩০টি,৩ নং ওয়ার্ডে ১৭,৪ নং ওয়ার্ডে ১৩৮টি,৫ নং ওয়ার্ডে ২১টি,৬ নং ওয়ার্ডে ১৩টি,৭ নং ওয়ার্ডে ১৪টি ,৮ নং ওয়ার্ডে ৩৮টি ও ৯ নং ওয়ার্ডে ৯টি পরিবার ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছে।


অভিযোগকারী ৪ নং ওয়ার্ডের বাসিন্দা তাহের আলী জানায়-তার বাড়ি কালবৈশাখী ঝড়ে তার বাড়িঘর ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছে।তার স্ত্রী লতুফা বেগমের নামে ১০১ নম্বর তালিকা প্রস্তুত করেছে। সেখানে স্বামী হিসাবে আবার তার স্ত্রীর নাম দেওয়া আছে।কিন্তু চাল বিতরনের দিনে তার স্ত্রীকে চাল দেওয়া হয়নি। 



শুধুমাত্র তাহের আলীর স্ত্রীর নামেই ভূল নয়। তালিকায় একই নাম বারবার এবং বর্তমান চেয়ারম্যানের বাবা,চাচা,ভাইসহ আত্মীয়দের নাম দিয়ে চাল উত্তোলন করা হয়েছে। তালিকার ৯৪ নম্বরে মৃত বাদশাহ মিয়া নামে একজনের টিপসই দিয়ে চাল উত্তোলন করছে পাওয়া যার্য়।সেখানে তার বাবার নামও দেওয়া হয়েছে মৃত বাদশা মিয়া।

স্থানীয় এলাকাবাসীরা জানায়-যদি একটি ওয়ার্ডে ১৩৮টি পরিবার ক্ষতিগ্রস্থ হয় তাহলে শুধু ইউনিয়ন নয় সারাদেশ জানার কথা। তাদের ইউনিয়ননে তেমন কোন ক্ষতি হয়নি শুধুমাত্র কয়েকটি গাছের ডালপালা ভাঙ্গা ছাড়া। দূর্নীর্তি করছে কিন্তু এহেন দূর্নীতি কখনই দেখেননি তারা বলে দাবী। 

 ইউনিয়ন পরিষদের ২ নম্বর ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য মাইদুল ইসলাম জানায়- বর্তমান চেয়ারম্যান আবুল হাসনাত রতনকে নিয়েও প্রশ্ন এবং প্যানেল চেয়ারম্যানের পরিবারের মাধ্যমে এবং বর্তমান চেয়ারম্যানের বাবা,চাচা,ভাই ও ভাতিজাদেও নাম দিয়ে পরিবারকেন্দ্রীক  চাল আত্মসাৎ হয়েছে বলে দাবী করেন তিনি।ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যানের যোগসাজোসে ভূয়া তালিকা করে বরাদ্দকৃত চাল আত্মসাৎ ও প্রতিশ্রুতি দিয়ে নির্বাচিত হওয়া চেয়ারম্যান হজের ব্যবসা ও আদম ব্যবসা করার কারণে ইউনিয়নের মানুষের সাথে প্রতারণা করছেন।

ইউনিয়ন পরিষদে চাল বিতরণ ও তালিকা তৈরী করণ বিষয়ে অবগত করা হয়নি ইউনিয়ন পরিষদের সচিবকেও বলে দাবী শফিকুল ইসলামের। তিনি জানান- ঈদের ছুটিকে কাজে লাগিয়ে চাল বিতরণ করছেন প্যানেল চেয়ারম্যান গোলজার হোসেন বিতরণ করছেন। চাল বিতরণে না কোন সরকারী কর্মকর্তা কিংবা ট্যাগ কর্মকর্তা উপস্থিত ছিলেন না বলে তিনি জানা।

এবিষয়ে প্যানেল চেয়ারম্যান গোলজার হোসেনের সাথে পরিষদে কিংবা মুঠোফোনে একাধিক বার যোগাযোগ করা হলে যোগাযোগ করা সম্ভব হয়নি।

উপজেলা দূর্যোগ ব্যবস্থাপনা অধিদপ্তরের কর্মকর্তা মনিরুজ্জামান জানান- বিষয়টি  তিনি অবগত আছেন এবং এ বিষয়ে সুষ্ঠ তদন্ত করে ব্যবস্থা গ্রহণ করার আশ্বাস দেন।

গত ৯ তারিখে চাল বিতরণে এই অনিয়ম নিয়ে সাক্ষাৎকার দেওয়ায় সচিবের কক্ষে দুই ইউপি সদস্যের শুরু হয় তর্কতর্কি এবং একপর্যায়ে হাতাহাতি। সুষ্ঠ তদন্তপূর্বক ব্যবস্থা গ্রহণ করবে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা এবং সঠিক সুবিধাভোগীর কাছে পৌছে দিবে কাল বৈশাখী ঝড়ে বরাদ্দকৃত চাল এমন প্রত্যাশা বালারহাট ইউনিয়ন বাসীর।



নিউজ ডেক্স

সংবাদ প্রকাশের জেরে রংপুরে যমুনা টেলিভিশনের সাংবাদিক সরকার মাজহারুল মান্নানের (৪৫) বিরুদ্ধে করা ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে মামলা বাতিলের দাবিতে মানববন্ধন করেছেন স্থানীয় সাংবাদিকেরা।


বৃহস্পতিবার বেলা ১১টার দিকে রংপুর প্রেসক্লাব চত্বরে রংপুরের সাংবাদিক সমাজের ব্যানারে এ কর্মসূচি পালন করা হয়।ঘণ্টাব্যাপী মানববন্ধন কর্মসূচি চলাকালে অনুষ্ঠিত সমাবেশে সভাপতিত্ব করেন রংপুর প্রেসক্লাবের সভাপতি মাহবুব রহমান। ফরহাদুজ্জামানের সঞ্চালনায় সমাবেশে বক্তব্য দেন লিয়াকত আলী বাদল, নজরুল ইসলাম, স্বপন চৌধুরী, অভিযুক্ত সাংবাদিক সরকার মাজহারুল মান্নান প্রমুখ।



সমাবেশে বক্তারা বলেন-জিজিটাল নিরাপত্তা আইন গণমাধ্যমের স্বাধীনতায় আঘাত ও হয়রানি ছাড়া কিছু নয়। সাংবাদিকেরা যেন সত্য প্রকাশ করতে না পারেন, এ জন্য এই কালো আইন করা হয়েছে। এই আইনের মিথ্যা প্যাঁচে ফেলে দেশব্যাপী সাংবাদিকদের কণ্ঠ রোধ করা হচ্ছে। অবিলম্বে এই আইন বাতিল করতে হবে। সংবাদ প্রকাশ করতে গিয়ে যমুনা টেলিভিশনের ব্যুরো প্রধান মাজহারুল মান্নানসহ তিনজনের নামে হয়রানিমূলক ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে মামলা করা হয়েছে। অবিলম্বে এই মামলা প্রত্যাহারের দাবি জানান সাংবাদিক নেতারা।


সংবাদ প্রকাশের জেরে গতকাল বুধবার সরকার মাজহারুল মান্নানসহ তিনজনের বিরুদ্ধে সাইবার ট্রাইব্যুনাল আদালতে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে মামলার আবেদন করেন রংপুর সিটি করপোরেশনের ১৫ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর ও মহানগরের তাজহাট থানা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক জাকারিয়া আলম ওরফে শিপলু। আদালতের বিচারক আবদুল মজিদ অভিযোগটি আমলে নিয়ে পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশনকে (পিবিআই) মামলাটি তদন্তের নির্দেশ দিয়েছেন।


মামলার অন্য আসামিরা হলেন—স্থানীয় বাসিন্দা নূর মোহাম্মদ (৫৫) ও রংপুর সিটি করপোরেশনের ১৫ নম্বর ওয়ার্ডের সাবেক কাউন্সিলর শাফিউল ইসলাম শাফি (৫০)।


মামলার অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, ১ এপ্রিল রাত ৯টায় যমুনা টেলিভিশনের অপরাধ অনুসন্ধানমূলক অনুষ্ঠান ‘ক্রাইম সিনে’ কাউন্সিলর জাকারিয়া আলমকে ভূমিদস্যু আখ্যায়িত করে, সরকারি দলের নামে সন্ত্রাসী বাহিনী তৈরি, সাধারণ মানুষকে হয়রানিসহ বিভিন্ন অপরাধ নিয়ে একটি প্রতিবেদন প্রচারিত হয়েছে। প্রকাশিত সংবাদের মাধ্যমে আসামিরা যোগসাজশ করে কাউন্সিলর জাকারিয়ার মানহানি, সুনাম ক্ষুণ্ন করার চেষ্টা করেছেন। একই সঙ্গে বর্তমান সরকার তথা স্বাধীনতার সপক্ষের শক্তিকে দুর্বল ও জনবিচ্ছিন্ন করতে অপপ্রচার চালিয়েছে বলে অভিযোগ করা হয়েছে।


 

দীর্ঘ সাত বছর পর রংপুর জেলা ছাত্রলীগের কমিটি

নিউজ ডেক্স
নানা জল্পনা-কল্পনার অবসান ঘটিয়ে অবশেষে এস এম সাব্বির আহমেদকে সভাপতি ও তানিম আহসান চপলকে সাধারণ সম্পাদক করে রংপুর জেলা ছাত্রলীগের ২৪ সদস্য বিশিষ্ট আংশিক কমিটি গঠিত হয়েছে।

শনিবার (৪ জুন) রাত সাড়ে ১১টার দিকে সংগঠনটির কেন্দ্রীয় নির্বাহী সংসদের সভাপতি আল-নাহিয়ান খান জয় এবং সাধারণ সম্পাদক লেখক ভট্টাচার্য এ কমিটির অনুমোদন দিয়েছেন।

 

নবগঠিত কমিটির অন্যান্যরা হলেন, সহ-সভাপতি মোহাইমিনুল রহমান চৌধুরী মিথুন, মেহেদী আল-হাসান আকাশ, ইয়াসির আরাফাত শুভ, হাসানুল ইসলাম হাসিব, নবীনুর ইসলাম নয়ন, জিল্লুর রহমান অনিক, মেহেদী হাসান জিম, বেলাল হোসেন আপেল, মো. আল-আমিন ইসলাম জয়, মাজহারুল ইসলাম রাকিব, শাকিল মিয়া, মো. সাব্বিরুল ইসলাম সাব্বির, রেজওয়ানুল রহমান হৃদয়, মুর্শেল হক চৌধুরী রক্তিম। যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক: শাহজাহানুর ইসলাম সৌরভ, মো: আক্তারুজ্জামান আপেল, শহিদ সরকার,আমিনুল ইসলাম। সাংগঠনিক সম্পাদক: অভিনাশ কুমার, মো. সাদমান সাকিব রিদম, মতিউর রহমান মাহিদ, রোহান মাহমুদ।

এছাড়াও কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য হয়েছেন মো. রাব্বি হাসান এবং সোহেল রানা সনি।

উল্লেখ্য, নবগঠিত কমিটির সভাপতি এস এম সাব্বির আহমেদ বিগত জেলা কমিটির সাংগঠনিক সম্পাদক এবং সাবেক সাহিত্য সম্পাদক ও মমিনপুর ইউনিয়ন ছাত্রলীগের সভাপতির দায়িত্ব পালন করেছেন।অন্যদিকে নব নির্বাচিত সাধারণ সম্পাদক তানিম আহসান চপল বিগত জেলা ছাত্রলীগ কমিটিতে তথ্য ও প্রযুক্তি বিষয়ক সম্পাদক পদে দায়িত্ব পালন করেছেন।

প্রসঙ্গত, চলতি বছরের ৮ ফেব্রুয়ারি দীর্ঘ ৭ বছর ২ মাস পর জেলা ছাত্রলীগের কমিটি বিলুপ্ত ঘোষণা করেছিল কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগ।

 

ভিন্ন জগৎ এর ব্যবস্থাপনা পরিচালক এস. এম. কামালের মৃত্যুতে 
রংপুর সিটি কর্পোরেশনের মেয়র মোঃ মোস্তাফিজার রহমান মোস্তফার শোক প্রকাশ
 
স্টাফ রিপোর্টার ॥
রংপুরের অন্যতম বিনোদন কেন্দ্র 'ভিন্ন জগৎ এবং ডায়মন্ড পার্টিক্যাল বোর্ড মিলস লিমিটেড এর ব্যবস্থাপনা পরিচালক এস. এম. কামাল (৭০) আর নেই। গতকাল রোববার রাজধানীর ইউনাইটেড হসপিটালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় হৃদযন্ত্রের ক্রিয়া বন্ধ হয়ে ইন্তেকাল করেন। (ইন্না লিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন)। 

 
তাঁর মৃত্যুতে গভীর শোক করেছেন জাতীয় পার্টির প্রেসিডিয়াম সদস্য, রংপুর মহানগর জাতীয় পার্টির সভাপতি ও রংপুর সিটি কর্পোরেশনের মাননীয় মেয়র মোঃ মোস্তাফিজার রহমান মোস্তফা। 
তিনি এক শোক বার্তায় মরহুমের বিদেহী আত্মার মাগফেরাত কামনা করেন এবং শোক সন্তপ্ত পরিবারবর্গের প্রতি গভীর সমবেদনা জ্ঞাপন করেন।
অপর এক বার্তা মরহুমের বিদেহী আত্মার মাগফেরাত কামনা করেন এবং শোক সন্তপ্ত পরিবারবর্গের সমবেদনা জ্ঞাপন করেন জাতীয় পার্টির ভাইস চেয়ারম্যান ও রংপুর মহানগর সাধারণ সম্পাদক এস.এম ইয়াসীরসহ জাতীয় পার্টির অন্যান্য নেতৃবৃন্দ।

 মিঠাপুকুরে শিশুকে ধর্ষণ চেষ্টার অভিযোগ বৃদ্ধের বিরুদ্ধে 


মিঠাপুকুর প্রতিনিধি

মিঠাপুকুর উপজেলার লতিবপুর ইউনিয়নের অভিরামপুর গ্রামে ৬২ বছরের এক বৃদ্ধের নামে একটি চার বছরের শিশুকে ধর্ষণের চেষ্টা করার অভিযোগ উঠেছে। এ ঘটনায় ঐ এলাকায় বেশ চাঞ্চল্যের পরিবেশ সৃষ্টি হয়েছে।


 ঘটনাটি ঘটার পর থেকে ইতোমধ্যে আরো কয়েকটি শিশু তাদের অভিভাবকদের ঐ বৃদ্ধের বিষয়ে নানান অভিযোগ তুলেছেন। এ নিয়ে ঐ বৃদ্ধকে মারধর করেছেন এলাকাবাসী। 



এলাকাবাসী ও স্হানীয়রা জানান-অভিরাপুর গ্রামের পূরাতন মসজিদ সংলগ্ন চৌপতির মোড়ে নিজ বাড়িতে একটি ছোট মুদির দোকান রয়েছে অভিযুক্ত আলম (৬২) নামে এক বৃদ্ধের। আলম পেশায় রাজমিস্ত্রীর কাজ করলেও মাঝে মাঝে তার মুদির দোকানে বসতেন। গত ১৬ মে (সোমবার) দুপুরে পাশ্ববর্তী বাড়ির চার বছরের এক শিশু আলমের দোকানে তার বাবার কাছে পটেটো কেনার টাকা নিয়ে ঐ- মুদির দোকানে গেলে আলম, ঐ শিশুটিকে কৌশলে তার বাড়ির ভিতরে ঢুকিয়ে বাচ্চাটির স্পর্শ কাতর জায়গায় হাত বুলাতে থাকেন। 


দোকানে খরচ করতে আসা শিরিনা বেগম আলমকে ডাকতে তার ঘরে প্রবেশ করলে তিনি বিষয়টি দেখতে পেয়ে চিৎকার দিয়ে আশেপাশের লোকজনকে ডাকেন। শিশুটির সঙ্গে কথা বলে বিষয়টি নিশ্চিত হয়ে আলমকে মারধর করেন স্হানীয়রা। 


এ নিয়ে শিশুটির বাবা এলাকাবাসীর কাছে বিচার দাবি করে আসছিলেন। এ ঘটনা প্রকাশ হবার পর, বিভিন্ন সময়ে আলমের দোকানে খরচ করতে আসা আরো দুটি শিশু আলমের বিরুদ্ধে পূর্বে তাদের সঙ্গে কৌশলে শরীরের বিভিন্ন জায়গায় হাত দেওয়ার অভিযোগ তুলেন।  


এ বিষয়ে অভিযুক্ত আলমের সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি জানান, মসজিদ বিষয়ে তাদের সমাজের মধ্যে তার সঙ্গে বিভেদ চলছে। তাকে ফাঁসাতে এমন নোংরা অভিযোগ করেছেন এলাকাবাসী। তিনি জানান, শিশুটি আমার নাতি হয়। আমার দোকানে খরচ করতে আসলে আমার শরীর খারাপ থাকায় শিশুটিকে ঘরে আসতে বলি। নাতি হিসেবে তার প্যান্ট পরে দিতে গিয়ে আমার বিরুদ্ধে এসব অভিযোগ। 


বাকী শিশুদের অভিযোগের বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি জানান, আমি ঠাট্টা করার বিষয়টি তারা ভিন্নভাবে রটিয়ে এ ঘটনার সঙ্গে যুক্ত করছেন। 


শিশুটির বাবা তাজিরুল ইসলাম জানান, গ্রামের লোকজনকে বিচার দেওয়া হয়েছে। সঠিক সমাধান না হলে আমি আইনি ব্যবস্হা নিবো।


গত বুধবার (১৮ মে) রাতে অভিযোগের বিষয়ে মিঠাপুকুর থানা পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন। এ বিষয়ে মিঠাপুকুর থানা এবং লতিবপুর ইউনিয়নের বিট অফিসার এসআই সুনিরাম টপ্প্য জানান,  ঘটনাস্থলে গিয়ে বিষয়টি নিয়ে কথা বলেছি, শিশুটির পরিবার চাইলে থানায় অভিযোগ দায়ের করতে পারেন। এখন পর্যন্ত এ বিষয়ে কেউ কোন লিখিত অভিযোগ করেনি। বৃদ্ধকে শাসন করার বিষয়টি সঠিক।

Amader Rangpur news

Contact Form

Name

Email *

Message *

Argon Maltimedia Bangladesh. Powered by Blogger.
Javascript DisablePlease Enable Javascript To See All Widget