উপজেলা ত্রান ও পুর্নবাসন কর্মকর্তার গাফিলাথিতে টিন জোটেনি ক্ষতিগ্রস্থদের
স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, রংপুর
রংপুরের পীরগঞ্জ উপজেলা ত্রান ও পুনর্বাসন কর্মকর্তার গাফিলাথির কারনেই ২সপ্তাহ চলে গেলেও কোন ক্ষতিপূরণ কিংবা টিন জোটেনি কাল বৈশাখীর ঝড় ও শিলাবৃষ্টিতে ক্ষতিগ্রস্থ পরিবার গুলোর। ফলে শত শত ক্ষতিগ্রস্থ্য পরিবার গুলোকে খোলা আকাশসহ বৃষ্টির পানিতেই কাটছে দুর্বিসহ জীবন যাপন।
প্রকাশ, গত ২২ এপ্রিল বৃহস্পতিবার পীরগঞ্জের ১৫ টি ইউনিয়নের মধ্যে ৫টি ইউনিয়নে কালবৈশাখী ঝড় ও শিলাবৃষ্টি আঘাত হানে। এতে উপজেলার ভেন্ডাবাড়ী, কুমেদপুর, বড়দরগাহ, শানেরহাট ও মিঠিপুর ইউনিয়নের উঠতি ফসলের ব্যাপক ক্ষতির পাশাপাশি প্রাায় ২ সহ¯্রাধিক বাড়ী ঘরের টিনের চালা শিলা বৃষ্টিতে ফুটো হওয়ায় ঘরগুলো বসবাসের অযোগ্য হয়ে পড়েছে। ক্ষতিগ্রস্থ্য পরিবার গুলোর বেশীর ভাগ অর্থাভাবে ঢেউ টিন ক্রয় পুর্বক ঘর গুলোর উপরে ঢেউ টিনের চালা দিতে পারেনি, প্রহর গুনছেন সরকারী সহায়তার। ঝড়ের পরদিন উপজেলা ত্রান ও পুনর্বাসন কর্মকর্তা মিজানুর রহমান ক্ষতিগ্রস্থ্য এলাকা গুলো পরিদর্শন করলেও ১২দিনেও কাউকে ঘর পুনরায় মেরামতের জন্য কোন টিন দিতে পারেনি। ফলে শত শত পরিবারকে এখনো বৈশাখী ঝড়ে বৃষ্টির পানিতে দুর্বিসহ জীবন যাপন করতে হচ্ছে। সমবার পুনরায় সরেজমিনে দেখতে গিয়ে কথা হয়-উপজেলার ছোট মির্জাপুরের আব্দুল মালেক, মেরাজুল, আজিজুল, মন্ডলাবাড়ীর আব্দুস সালাম, গুর্জিপাড়ার শংকরসহ বেশ কিছু সংখ্যক ব্যাক্তির সঙ্গে কথা হলে তারা অভিন্ন প্রতিক্রিয়ায় বলেন-আমাদের ফসল গেল, ঘরের টিন গেল কিন্তু সরকারি ভাবে এখন পর্যন্ত কোন সরকারি সহযোগিতা পাচ্ছি না। ঘরও মেরামত করতে পারছি না, আগামীতে বা সংসারই চলবে কি ভাবে ? বড়দরগাহ ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান বীর মুক্তিযোদ্ধা নুরল হক মন্ডল এর সঙ্গে কথা হলে তিনি বলেন-এ ইউনিয়ন থেকে প্রায় ২ সহ¯্রাধিক ক্ষতিগ্রস্থ ঘরের তালিকা জমা দেয়া হয়েছে। ঢেউটিন বরাদ্ধ না আসায় এখনও টিন বিতরন সম্ভব হয়নি। শানেরহাট ইউনিয়নের চেয়ারম্যান মিজানুর রহমান মন্টু বলেন-আমার ইউনিয়নের প্রায় ঘর ক্ষতিগ্রস্থ, এমন ১৬ শ’জনের তালিকা তৈরী করা হয়েছে, আরও আবেদন আসছে। পীরগঞ্জ উপজেলা প্র্রকল্প বাস্তায়ন কর্মকর্তা মিজানুর রহমান বলেন-আমরা এখনও তালিকা পাইনি। তবুও উর্ধতন কর্তৃপক্ষের কাছে চাহিদা পাঠিয়েছি, বরাদ্দ আসলেই ক্ষতিগ্রস্থদের দেয়া হবে। এদিকে কবে চাহিদা পাঠানো হয়েছে তা জানতে চাইলে তিনি তা জানাতে পারেননি। সচেতন মহল এ ব্যর্থতার জন্য উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তার গাফিলথিকে দায়ি করছেন। উল্লেখ্য এ কর্মকর্তা টানা চার বছর ধরে এই উপজেলায় কর্মরত রয়েছেন, দুর্যোগপূর্ন বিষয় গুরো নিয়ে এ কর্মকর্তা বরাবরই হেয়ালিপনা করে থাকেন বলে একাধিক ব্যাক্তি অভিযোগ করছেন। অপরদিকে রংপুর জেলা ত্রান ও পুনর্বাসন কর্মকর্তা এটিএম আকতারজ্জামান বলেন-আমরা উর্ধতন কর্তৃপক্ষের সঙ্গে যোগাযোগ রাখছি। আশা করি এ মাসের মধ্যেই ঢেউটিন পেয়ে যাব। ক্ষতিগ্রস্থ্য পরিবার গুলো এ ব্যাপারে দ্রæত পদক্ষেপের দাবি জানিয়েছেন উর্ধতন কর্তৃপক্ষের নিকট।
Post a Comment