Latest Post

 

স্কুলছাত্রী ধর্ষণ মামলায় এএসআইসহ পাঁচজনের বিরুদ্ধে চার্জশিট

রুবেল ইসলাম,রংপুর

 রংপুরে চাঞ্চল্যকর স্কুল ছাত্রী ধর্ষণের মামলায় পুলিশের সাবেক এএসআই রাহেনুল সহ পাঁচজনের বিরুদ্ধে চার্জশিট দাখিল করেছে পিবিআই। মঙ্গলবার ( মার্চ) দুপুরে পৃথকভাবে রংপুর নারী শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইবুনালে এবং মানব পাচার অপরাধ দমন ট্রাইবুনালে মোট ৩৬৭ পাতার প্রতিবেদন দাখিল করা হয়। চার্জশিট সূত্রে জানা যায়, রংপুরের হারাগাছ থানাধীন বাহার কাছনা মাস্টার পাড়া এলাকায় দশম শ্রেণীর এক স্কুলছাত্রীকে রংপুর মেট্টোপলিটন ডিবি পুলিশের এসআই রাহেনুল ইসলাম সহ কয়েকজনের বিরুদ্ধে গণ ধর্ষণের মামলা করেন ভুক্তভোগীর পিতা আয়নাল হক।

রংপুর পিবিআই পুলিশ সুপার এবিএম জাকির হোসেন

 

 এতে এজাহারনামীয় আসামি এসআই রাহেনুল ইসলাম, সুমাইয়া পারভীন মেঘলা, সুরভী আক্তার সমাপ্তি, বাবুল হোসেন এবং আবুল কালাম আজাদ কে গ্রেফতার করা হয়।

আসামিদের রিমান্ডে নিয়ে ব্যাপক জিজ্ঞাসাবাদ শেষে বাবুল হোসেন আবুল কালাম আজাদ আদালতে দোষ স্বীকার করে ১৬৪ ধারায় জবানবন্দি দেয়। এছাড়াও ভুক্তভোগী ওই শিক্ষার্থী নারী শিশু নির্যাতন দমন আইনের ধারায় আদালতে জবানবন্দি প্রদান করেন।

 আসামিদের জবানবন্দি জব্দকৃত আলামতসহ ডিএনএ পরীক্ষায় গণধর্ষণের বিষয়টি প্রাথমিকভাবে প্রমাণিত হয়। এএসআই রাহেনুল ইসলাম প্রেমের ফাঁদে ফেলে ভুক্তভোগীকে ২০২০ সালের ১৮ অক্টোবর বাহার কাছনার সুমাইয়া পারভীন মেঘলার ভাড়া বাসায় সন্ধ্যা সাতটার দিকে ধর্ষণ করে ছাত্রীকে তার বাড়ির কাছে পৌঁছে দেয়।

বিষয়ে তার মা রাগারাগি করলে ওই স্কুল ছাত্রী রাত দশটার দিকে মেঘলার বাড়িতে আবারও আসে। পরে মেঘলা তার বান্ধবী সুরভী আক্তার সমাপ্তিসহ বাবুল কালামের সাথে পরেরদিন সকাল এগারোটার দিকে তিন হাজার টাকার বিনিময়ে জোরপূর্বক ধর্ষণ করায়। তদন্ত কর্মকর্তা পুলিশ পরিদর্শক সাইফুল ইসলাম তদন্ত শেষে এএসআই রাহেনুল ইসলাম ওরফে রাজু, সুমাইয়া পারভীন মেঘলা এবং আসামি সুরভী আক্তার সমাপ্তির বিরুদ্ধে নারী শিশু নির্যাতন দমন এবং মানব পাচার প্রতিরোধ দমন আইনে অপরাধ করার প্রাথমিক প্রমাণ পায়। এছাড়াও অপর দুই আসামি আবুল কালাম আজাদ বাবুল হোসেনের বিরুদ্ধে নারী শিশু নির্যাতন দমন আইনে অপরাধ করেছে বলে প্রাথমিকভাবে প্রমাণিত হওয়ায় ৪৪ পাতার জুডিশিয়াল নথি ৩২৩ পাতার কেস ডকেট প্রস্তুত করে নারী শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল মানবপাচার দমন ট্র্যাইবুনালে চার্জশিট দাখিল করেন।

এসময় উপস্থিত রংপুর পিবিআই পুলিশ সুপার এবিএম জাকির হোসেন বলেন, আইন সবার জন্য সমান। আমরা এক পুলিশ সদস্যের বিরুদ্ধেও নিরপেক্ষ তদন্ত করে ধর্ষণের বিষয়ে প্রাথমিক প্রমাণ পেয়েছি। চার্জশিট দাখিল করা হলো। অপরাধ করলে কেউ পার পাবেনা।

 

 মিঠাপুকুরে নারী মাদক ব্যবসায়ী আজুবা গ্রেফতার


রুবেল ইসলাম,রংপুর

রংপুরের মিঠাপুকুর উপজেলায় নারী মাদক ব্যবসায়ীকে থানা পুলিশের বিশেষ অভিযান পরিচালনায় গ্রেফতার করা হয়।গ্রেফতারকৃত ঐ নারীর নাম আজুবা বেগম।

ফেন্সিডিলসহ আটক মাদক ব্যবসায়ী আজুবা বেগম


জানা যায়- উপজেলার বড়বালা ইউনিয়নে কেশবপুর যাওয়ার উত্তরে একডালা গ্রাম থেকে সাহাবুলের স্ত্রী  আজুবা বেগম (৩২)কে ১৮ বোতল ফেন্সিডিল ও ২০০ গ্রাম গাজাসহ হাতেনাতে গ্রেফতার করে। দীর্ঘদিন ধরে প্রশাসনের আড়ালে মাদক ব্যবসা করে আসছে এই নারী দাবী এই এলাকাবাসীর। এছাড়া নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক ব্যক্তি জানান- সাহাবুল গাঁজার ব্যবসা করেন আর স্ত্রীকে দিয়ে ফেন্সিডিল ব্যবসা করেন।শহর থেকে প্রতিদিন প্রায় অর্ধশতাধিক মোটরসাইকেল আসে তার বাড়িতে আসেন ফেনসিডিল খাওয়ার জন্য।


তবে এই মাদক ব্যবসা করে গ্রামে সাহাবুল দোতলা ভিত্তি সম্পূর্ণ একটি বাড়ি নির্মান করেছেন এবং বাড়ির পিছনে লাগানো ভুট্টা ক্ষেতে ফেন্সিডিল লুকিয়ে রেখে এবং পূর্বে দিকে পুকুরের পাড়ে রেখে এই ব্যবসা পরিচালনা করেন।


সচেতন মহলের ও বিভিন্ন প্রশাসেনর তথ্যমতে - এই ইউনিয়নে প্রায় ১০৪ জন  মাদকদ্রব্য ব্যবসার সাথে জড়িত এবং ১০৪টি স্থানে মাদক বিক্রি হচ্ছে।


আজুবা বেগমের বিরুদ্ধে  নিয়মিত মামলা রুজু প্রক্রিয়াধীন।


 

 

 মিঠাপুকুরে ইউপি চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে অনিয়ম-দূর্নীতির অভিযোগে  সংবাদ সম্মেলন ইউপি সদস্যাদের

 

স্টাফ রিপোর্টার:

রংপুরের মিঠাপুকুর উপজেলার ৭নং লতিবপুর ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান ইদ্রিস আলী মন্ডলের বিরুদ্ধে নানা অনিয়ম-দূর্নীতির অভিযোগ এনে সংবাদ সম্মেলন করেছেন ৩ জন সংরক্ষিত নারী ইউপি সদস্য। তারা হলেন, লতিবপুর ইউনিয়ন পরিষদের সংরক্ষিত ইউপি সদস্য কহিনুর বেগম (১,২, ৩নং ওয়ার্ড), রশিদা বেগম (৪,৫,৬নং ওয়ার্ড) ও মিনারা বেগম (৭,৮,৯নং ওয়ার্ড)।  শনিবার (৬ মার্চ) দুপুরে স্থানীয় একটি হোটেলে সংবাদ সম্মেলনে এই লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন ইউপি সদস্য মিনারা বেগম।

সাংবাদিক সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে বলা হয়, আমরা প্রত্যক্ষ ভোটে লতিবপুর ইউনিয়ন পরিষদের সংরক্ষিত মহিলা সদস্য নির্বাচিত হয়েছি। প্রথম থেকেই বিভিন্ন প্রকল্পের জন্য চেয়ারম্যান ইদ্রিস আলী মন্ডল আমাদের কাছে ফাঁকা রেজুলেশনে স্বাক্ষর গ্রহন করে ইচ্ছেমত কাজ করেন। ইউনিয়ন পরিষদকে নিজস্ব ব্যবসা প্রতিষ্ঠান বানিয়ে তিনি নামমাত্র প্রকল্প বানিয়ে মোটা অংকের টাকা আত্মসাৎ করেছেন। এছাড়াও, আমাদেরকে বাদ দিয়ে স্থানীয় কয়েকজন দালালকে সাথে নিয়ে মাতৃত্বকালীন ভাতায় তালিকা প্রনয়নের কাজ করছেন তিনি।

সংবাদ সম্মেলনে বক্তব্য রাখছেন ইউপি সদস্যা মিনারা বেগম

 

লিখিত বক্তব্যে তারা আরও বলেন, লতিবপুর ইউনিয়ন পরিষদে ২০২১-২০২২ অর্থ বছরে ২০৭ টি ভিজিডি কার্ড বরাদ্দ হয়। চেয়ারম্যান ইদ্রিস আলী মন্ডল তাদেরকে সাতটি ভিজিডি ভাতা কার্ড দেওয়ার কথা বলে ফাঁকা রেজুলেশনে স্বাক্ষর গ্রহণ করেন। পরে কয়েকজন ইউপি সদস্য ও স্থানীয় দাললদের সাথে নিয়ে চেয়ারম্যান ওই তালিকা প্রনোয়ন করেন। এর বিনিময়ে ভিজিডি কার্ডধারীদের কাছে মোটা অংকের টাকা উৎকোচ গ্রহণ করা হয়েছে।

তারা আরও বলেন, প্রতি বছর মিঠাপুকুর সাব-রেজিস্ট্রি কার্যালয় হতে ইউনিয়ন পরিষদের ভূমি কর ১% বরাদ্দের লাখ লাখ টাকা বিভিন্ন ভূয়া প্রকল্প দেখিয়ে আত্মসাৎ করেছেন। প্রতি বছর উপজেলা হাট-বাজার নিলাম ডাকের ১৫% টাকা উত্তোলন করে পরিষদের ফান্ডে জমা করেন। পরে ওই টাকাগুলো হাট-বাজার উন্নয়নে না লাগিয়ে সমস্ত টাকা পকেটস্থ করেছেন। এছাড়াও, প্রতি বছর এডিবি’র টাকা দিয়ে নানা ভূয়া প্রকল্প দেখিয়ে ওই টাকাগুলো আত্মসাৎ করেছেন।

তারা আরও বলেন, ২০২০-২১ অর্থ বছরে এলজিএসপি/৩ অর্থ বছরের প্রথম কিস্তি ৭ লাখ টাকা উত্তোলন করেন ইউপি চেয়ারম্যান ইদ্রিস আলী মন্ডল। পরে ভূয়া প্রকল্প দেখিয়ে ওই টাকাগুলো আত্মসাৎ করেছেন তিনি। ওই ৩ জন সংরক্ষিত ইউপি সদস্য বলেন, ইউনিয়ন পরিষদের কোন সদস্য ও স্থানীয় কেউ তার (চেয়ারম্যান) বিপক্ষে কথা বললে, গুন্ডা বাহিনী অথবা মামলা দিয়ে তাদের লাঞ্চিত করেন। লতিবপুর ইউনিয়ন পরিষদ চলে চেয়ারম্যান ইদ্রিস আলী মন্ডলের নেতৃত্বে।

এছাড়াও, নানা অনিয়ম-দূর্নীতির অভিযোগ এনে ওই ৩ সংরক্ষিত নারী সদস্য রংপুর জেলা প্রশাসক, উপজেলা নির্বাহী অফিসার ও উপজেলা মহিলা বিষয়ক কর্মকর্তার কাছে লিখিত অভিযোগ দিলেও এ পর্যন্ত কোন আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহন করেনি প্রশাসন।

এ বিষয়ে জানতে চাইলে অভিযোগ অস্বীকার করে লতিবপুর ইউপি চেয়ারম্যান ইদ্রিস আলী মন্ডল বলেন, ইউনিয়ন পরিষদ তো তাদেরকে ছেড়ে দিতে পারিনা। আমার বিরুদ্ধে তাদের অভিযোগ সম্পূর্ণ মিথ্যা ও ভিত্তিহীন।

    

 গোয়েন্দা বিভাগ (ডিবি) কর্তৃক ৫০ পিস ইয়াবা ট্যাবলেট উদ্ধারসহ ০২ জন আসামী গ্রেফতার

 

অদ্য ০৭/৩/২০২১ খ্রিঃ গোপন সংবাদের ভিত্তিতে রংপুর মেট্রোপলিটন গোয়েন্দা বিভাগ  এর অতিরিক্ত উপ-পুলিশ কমিশনার ( ডিবি) জনাব উত্তম প্রসাদ পাঠক মহোদয়ের অপারেশন পরিকল্পনায় সহকারী-পুলিশ কমিশনার (ডিবি) জনাব মোঃ ফারুক আহমেদ এর তত্বাবধানে, পুলিশ পরিদর্শক ( নিঃ)  জনাব এবিএম ফিরোজ ওয়াহিদ এর নেতৃত্বে এসআই (নিঃ) তছলিম উদ্দিন আহমেদ, এসআই (নিঃ) মোঃ আবু ছাইয়ুম তালুকদার, এসআই ( নিঃ) আই.এইচ. লাকু সরকার, এএসআই ( নিঃ) তৈবুর রহমান এবং সঙ্গীয় ফোর্সের সহায়তায় আরপিএমপি হাজিরহাট থানা এলাকায় মাদকদ্রব্য উদ্ধার বিশেষ অভিযান ডিউটি করাকালে হাজিরহাট থানাধীন ০১ নং ওয়ার্ডস্থ কোর্ট মন্থনা গ্রামে মোঃ মোজাম্মেল হোসেন @ মোজাম (৩৫), পিতা- মোঃ আতিয়ার রহমান এর বসতবাড়ী সংলগ্ন মুদী দোকান এর সামনে রংপুর টু সৈয়দপুরগামী চলাচলের পাকা রাস্তার পার্শ্বে থেকে থেকে গঅজওঝঊ সিগারেটের প্যাকেটের ভিতর বিশেষ কায়দায় লুকায়িত অবস্থায় ৫০ (পঞ্চাশ) পিস ইয়াবা ট্যাবলেট উদ্ধারসহ ০২ জন আসামীকে গ্রেফতার করা হয়।




গ্রেফতারকৃত আসামীরা হলো-(১) মোঃ পারভেজ ইসলাম (২২), পিতা- মৃত আনিসুল ইসলাম, মাতা- মোছাঃ শাহিদা বেগম, সাং- মাগুড়া দোলাপাড়া, (২) মোঃ নুরুন্নবী ইসলাম @ জনি (১৯), পিতা- মোঃ আবুল কালাম আজাদ, মাতা- মোছাঃ নার্গিস বানু, সাং- মাগুড়া সবুজপাড়া, উভয় থানা- কিশোরগঞ্জ, জেলা- নীলফামারী।

গ্রেফতারকৃত আসামীদের বিরুদ্ধে হাজিরহাট  থানায় মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইন ২০১৮ ধারায় আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ প্রক্রিয়াধীন।


 রংপুরে ৫০০ পিস ইয়াবা ট্যাবলেট উদ্ধার এবং সাতজন মাদকসেবী গ্রেফতার


রুবেল ইসলাম,রংপুর
রংপুর মেট্রোপলিটন পুলিশ কর্তৃক গোপন সংবাদের ভিত্তিতে রংপুর মেট্রোপলিটন গোয়েন্দা বিভাগ এর অতিরিক্ত উপ-পুলিশ কমিশনার (ডিবি) উত্তম প্রসাদ পাঠক এর অপারেশন কর্মপরিকল্পনায় মহানগরীর বিভিন্ন জায়গায় মাদক বিরোধী অভিযান পরিচালনা করে মোট ৫০০ পিস ইয়াবা ট্যাবলেট উদ্ধার এবং ০৭ জন মাদকসেবীসহ মোট ০৯ জন আসামী গ্রেফতার করা হয়।



রংপুর মেট্রোপলিটন থেকে দেওয়া প্রেস বিফ্রিং এর মাধ্যমে জানা যায়-গোপন সংবাদের ভিত্তিতে এসআই (নিঃ)নাজমুল ইসলাম সঙ্গীয় এসআই নিরস্ত্র গোলাম মোর্শেদ, এসআই নিরস্ত্র তছলিক তালুকদার এবং সঙ্গীয় ফোর্সের সহায়তায় গোপন সংবাদের ভিত্তিতে আরপিএমপি পরশুরাম থানা ৪ নং ওয়ার্ডস্থ আঃ লতিফ সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সামনে ভাঙা ব্রিজের উপর থেকে নেশাজাতীয় মাদকদ্রব্য ৪০০ পিস ইয়াবা ট্যাবলেট নিজ হেফাজতে রাখার অপরাধে ০১ জন আসামীকে গ্রেফতার করা হয়। গ্রেফতারকৃত আসামী রংপুর মহানগরীর কোতয়ালী থানা মুন্সিপাড়া এলাকার মৃত মাহাবুব আলম এর পুত্র মামুন আনাম।গ্রেফতারকৃত  আসামীদের বিরুদ্ধে পরশুরাম থানায় মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রন আইন-২০১৮ ধারায় আইনগত ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন।


 আরও জানা যায় যে-গোপন সংবাদের ভিত্তিতে এসআই (নিঃ) গোলাম মোর্শেদ সঙ্গীয় এসআই নিরস্ত্র নাজমুল ইসলাম এবং সঙ্গীয় ফোর্সের সহায়তায় গোপন সংবাদের ভিত্তিতে আরপিএমপি কোতয়ালী থানাধীন ১৭ নং ওয়ার্ডস্থ সাতগাড়া কাজী নূর মোঃ আজাদ এর বাসার সামনে চলাচলের পাকা রাস্তার উপর থেকে নেশাজাতীয় মাদকদ্রব্য ১০০ পিস ইয়াবা ট্যাবলেট নিজ হেফাজতে রাখার অপরাধে এক জন আসামীকে গ্রেফতার করা হয়।গ্রেফতারকৃত আসামী রংপুর মহানগরীর কোতয়ালী থানা মুন্সিপাড়া এলাকার মৃত মাহাবুব আনাম এর পুত্র আশরাফুল ইসলাম।                                                                                                                           গ্রেফতারকৃত  আসামীদের বিরুদ্ধে কোতয়ালী থানায় মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রন আইন-২০১৮ ধারায় আইনগত ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন।



গোপন সংবাদের ভিত্তিতে পুলিশ পরিদর্শক ( নিঃ)মোতালেব সরকার  এর নেতৃত্বে এসআই ( নিঃ) আবু ছাইয়ুম তালুকদার, এসআই ( নিঃ) তছলিম উদ্দিন আহমেদ, এসআই (নিঃ) নাজমুল ইসলাম, এএসআই (নিঃ) মোঃ আলতাব হোসেন ও সঙ্গীয় ফোর্সের সহায়তায় রংপুর মহানগরীর বিভিন্ন এলাকায় অভিযান পরিচালনা করে মাদক সেবনের প্রস্তুতি কালে ০৭ জন মাদকসেবীর হেফাজত হতে গাঁজা মিশ্রিত সিগারেট ও দিয়াসলাই উদ্ধারসহ তাদের গ্রেফতার করা হয়।গ্রেফতারকৃত আসামীদের নাম- (১) মোঃনূর ইসলাম সিদ্দিক ৥ সজিব(২১), পিতা- মোঃ কদর আলী, সাং- বাহাদুর সিং, থানা-পরশুরাম, (২) মোঃ আব্দুর রাজ্জাক (৩৭), পিতা-  মৃত সবেল গারিয়াল, সাং- উত্তম মুন্সিপাড়া, থানা- হাজিরহাট(৩) মোঃ জুয়েল রানা (২৫), পিতা- মোঃ জেলেকা বেগম, সাং- উত্তম বানিয়া পাড়া, থানা- হাজিরহাট(৪) মোঃ আতিকুল ইসলাম রোমান (৩৯), পিতা- মৃত তাজুল ইসলাম,(৫) মোঃ সজিব খন্দকার, পিতা-মৃত খন্দকার আনোয়ারূল ইসলাম, উভয় সাং- কেড়ানীপাড়া, থানা-কোতয়ালী (৬) মোঃ রজব আলী (৪৯), পিতা- মৃত নসিম উদ্দিন, (৭) মোঃ রকিব (৩৫), পিতা- মৃত বাদশা মিয়া, উভয় সাং- কামাড়পাড়া, থানা কোতয়ালী, সকলেই মহানগর, রংপুর।

গ্রেফতারকৃত আসামীদের বিরুদ্ধে কোতয়ালী ও পরশুরাম থানায় আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ  প্রক্রিয়াধীন।




 "আইন প্রয়োগকারী সংস্থার হস্তক্ষেপ কামনা"

"রংপুর সদরের মাধবপুরে বালুখেকো মনোয়ার গংদের হামলায় একই পরিবারের ৩জন আহতঃআশংকাজনক

            অবস্থায় হাসপাতালে ভর্তি"

খন্দকার আল-মামুন মিলন,নিজস্ব সংবাদদাতা    

রংপুরের মাধবপুর নদীরপড় এলাকায় ঘাঘট নদী থেকে উত্তোলনকৃত বালু বিক্রি ঘটনাকে কেন্দ্র করে প্রতিপক্ষের হামলায় ৩ জন গুরুত্বর আহত হয়েছেন। আহত তিনজনকেই উদ্ধার করে রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। এর মধ্যে মেরিনা খাতুনের অবস্থা আশংকাজনক। 


ঘটনার বিবরনে প্রকাশ, রংপুর সদর উপজেলার ৪নং সদ্যপুস্করিনী ইউনিয়নের কিসামত মাধবপুর নদীরপড় (ভাটেরগাও) এলাকায় স্থানীয় ঘাঘট নদী থেকে উত্তোলনকৃত বালু বিক্রির ঘটনাকে কেন্দ্র করে মোঃ শুকুর আলী ছেলে বালুখেকো মোঃ মনোয়ার হোসেন ও মোঃ আনোয়ার হোসেনের সাথে একই এলাকার মোঃ মহির উদ্দিনের ছেলে মোঃ মমদেল হোসেন(৩৫) এর গত কয়েকদিন ধরে বসচা চলে আসছিল। 



এরই জের ধরে গত সোমবার রাত পনে ৮ টায় মোঃ আনোয়ার হোসেন(৪০), মোঃ মনোয়ার হোসেন, শুকুর আলী ও আনোয়ারের স্ত্রী মুক্তা বেগমসহ অজ্ঞাতনামা ৫/৬ জন দেশীয় অস্ত্র হাতে মোঃ মমদেল(৩৫) রাস্তায় আটক করে অতর্কিত বেধড়ক মারপিট করতে থাকে। এখবর শুনে মমদেলের বাবা মহিরউদ্দি(৭০) ও মেয়ে মেরিনা খাতুন(১২) ছুটে আসলে তাদের উপরও বর্বরতা চালায় মনোয়ার গং। এসময় মমদেল ও তার বাবা শুকুর আলীসহ মমদেলের মেয়ে মেরিনা খাতুন (১২) চোখে মারাত্নকভাবে আঘাত প্রাপ্ত হয়। পরে আশপাশের লোকজন আহতদের উদ্ধার করে রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করান। বর্তমানে আহত মমদেল ও তার বাবা মহির উদ্দিন(৬৫) ৪ তলার ১৪ নং ওয়ার্ডে ও মমদেলের মেয়ে 

মেরিনা খাতুন(১২) ৩য় তলার ৮ নং ওয়ার্ডে আশংকাজনক অবস্থায় চিকিৎসাধীন রয়েছে।



এ ঘটনায় এ এলাকায় টানটান উত্তেজনা বিরাজ করছে। যে কোন মূহুর্তে আবারও সংঘর্ষের আশংকা করছেন এলাকার সচেতন মহল।

Amader Rangpur news

Contact Form

Name

Email *

Message *

Argon Maltimedia Bangladesh. Powered by Blogger.
Javascript DisablePlease Enable Javascript To See All Widget