Latest Post

 

রংপুরে প্রশাসনের সহযোগিতায় চরাঞ্চলের জমি দখল করেছে ভূমি দস্যুরা

 

রংপুর অফিস

রংপুরের গঙ্গাচড়া উপজেলায় তিস্তা নদীর বুকে জেগে উঠা চড়ে  দীর্ঘ দিন যাবত চাষাবাদ ও ভোগদখল করে আসছেন চর মর্ণেয়া আলফাজটারী গ্রামের মশিয়ার রহমান ।তার ভোগদখল কৃত জমিটি দখল ও জমিতে চাষাবাদকৃত ফসল নষ্ট করে এতে প্রায় দুই লাখ টাকার ক্ষতি  করেছে ভূমিদস্যু সাইফুল ইসলাম।

গত শনিবার(৮ তারিখ) উপজেলার মর্ণেয়া ইউনিয়নের চর মর্ণেয়া আলফাজটারীতে দুপুড় বারোটার দিকে ফসলি জমিতে চাষাবাদ করে দখল করেছে ভূমিদস্যুরা । এ ব্যাপারে একাধিকবার থানায় অভিযোগ দিয়েও মিলেনি সুরাহা বরং পুলিশের সদস্য রাব্বীর পাহাড়ায় জমি দখল করেছে বলে ভুক্তভোগীর অভিযোগ।



সরেজমিনে গিয়ে মশিউর এর সাথে কথা বলে জানা যায়-  গংগাচড়া উপজেলার মর্ণেয়া মৌজার জেএল নং-৭০, খতিয়ান নং-০১ সাবেক দাগ ৬০৩,হাল দাগ নং- ১৮৭ ১১২ মোট জমি-.০০ একর এই তফশীল বর্নিত সম্পত্তি তার আপন চাচা গফুর আলীর ।পূর্ব হইতে তার চাচার তফশীল বর্নিত সম্পত্তি অন্যায়ভাবে দখল পরিকল্পনা করেন সাইফুল ইসলাম গং। চলতি বৎসর জমিতে পাট, ভুট্টা,বীজ ধনচা, মরিচ, কলা বীজ বাদাম চাষ করেন। চাষকৃত ভুট্টা ঘরে তোলার আগেই নষ্ট করে দিয়েছে ভূমিদস্যুরা।   

এদিকে ভুক্তভোগী হকার মশিয়ার রহমান ভূমিদস্যু সাইফুল তার লোকজনের হুমকীতে প্রভাবিত অতি-উৎসায়ি গংগাচড়া থানার এসআই বুলবুল এসআই রাব্বির ভয়ে থানায় যেতেও পারছেনা, ফলে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করতে পারছেনা অসহায় হকার মশিয়ার। বিষয়ে মামলা করলে তার জীবননাশ এর হুমকীও দেয়া হচ্ছে বলে হকার মশিয়ার সাংবাদিকদের জানান। পাশাপাশি ন্যায় বিচার প্রত্যাশায় সাংবাদিকদের মাধ্যমে তিনি রংপুর জেলা মানবিক পুলিশ সুপার, -সার্কেল স্যারসহ আইন প্রয়োগকারী সংশ্লিষ্ট সংস্থার আশু হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন। ভূমিদস্যু সাইফুল একাধিক মামলার আসামি বলে এলাকাবাসী প্রতিবেদককে জানান।

 


মশিউরের মা মর্জিনা বেগম এর সাথে কথা হলে তিনি জানান- পুলিশ নিয়া আসি হামার জমি দখল করছে।মুই দশ হাজার ট্যাকা লাভের উপর নিয়া মোর ছইলোক নিয়া আবাদ করছে।হামার সবকিছু শ্যাষ হয়া গেল।পুলিশের রাব্বী আইলোত দাড়ে আছিল আর ওরা জমি লাঠি,ছোড়া নিয়া দখল করছে।হামাক বাড়ি থাকি বের হওয়ার দেয় নাই।

মশিয়ার এর স্ত্রী বলেন-ফিল্মী স্টাইলে অস্ত্রে-সস্ত্রে সজ্জিত হয়ে দেড় শতাধিক ভাড়াটিয়া সন্ত্রাসীদের সাথে নিয়ে  ভোগদখলিও জমির পাট, ভুট্টা, বীজ ধনচা, মরিচ, কলাসহ বীজ বাদামের ক্ষেত মিশিয়ে দেয় ট্রাকটরের চাকায়। এতে করে প্রায় দুই লক্ষাধিক টাকার ক্ষয়ক্ষতি হয়।

ভূমিদস্যু সাইফুল ইসলামের সাথে কথা হলে তিনি বলেন-এই জমিগুলো তাদের নিজের এবং এই জমিগুলো মশিউরকে তারা আবাদ করার জন্য দিয়েছেন কিন্তু এই জমিগুলো এখন সে নিজের দাবী করছে।এ বিষয়ে গংগাচড়া থানায় একাধিক জিডি করা হয়েছে। স্থানীয়ভাবে বিচারের জন্য কিংবা শালিশী বৈঠকের চেষ্টা করা হলেও কোন পাত্তা দেয়নি বরং উপরন্ত সে আমাকে হুমকি দিয়ে আসছেন।

এ বিষয়ে পুলিশের রাব্বীর সাথে মুঠোফোনে কথা হলে তিনি জমিতে এবং জমির পাশে দাড়িয়ে থাকার কথা অস্বীকার করেন। তবে তিনি তার ব্যাক্তিগত কাজে মর্ণেয়া ইউনিয়নে যাওয়ার কথা স্বীকার করেন।

এ বিষয়ে গংগাচড়া থানায় মশিউর রহমান বাদী হয়ে অভিযোগ দিয়েছে ভুক্তভোগী ।

 

 

 মিঠাপুকুরে চা বিক্রেতা আরিফুল নিদারুন কষ্টে আছেন, খাবার নাই ঘরে

বাবুলাল মার্ডি,মিঠাপুকুর (রংপুর) প্রতিনিধি

রংপুরের মিঠাপুকুরে প্রতিবন্ধি ২ জমজ সন্তান নিয়ে চা বিক্রেতা আরিফুল নিদারুন কষ্টে আছেন। ঘরে খাবার নাই। তিনি বলেন ‘আইজ চা ব্যাচা হয় নাই। ঘরোত কোনো খাবার নাই। প্রতিবন্ধি ২ জমজ ছইল নিয়া না খায়া থাকপার নাগবে।’ তার বাড়ি উপজেলার দুর্গাপুর ইউনিয়নের দুলহাপুর গ্রামে। 



দরিদ্র পরিবারের সন্তান আরিফুলের বয়স ৩০ বছর। বাড়িতে ২ প্রতিবন্ধি জমজ সন্তান আর স্ত্রী সারাদিন অপেক্ষায় থাকে কখন চাল-ডাল ও শিশুদের খাবার নিয়ে বাড়ি আসবে আরিফুল। কিন্তু লকডাউনে কোন বেচাবিক্রি না থাকায় অর্ধাহারে অনাহারে দিন কাটছে তার পরিবারের সদস্যদের। অভাবের তাড়নায় নিদারুন কষ্টে আছে সন্তানেরা। ঢাকা-রংপুর মহাসড়কের ধারে মিঠাপুকুর উপজেলা সদরে ব্যাচেলার কোয়ার্টারের সামনে পরিত্যাক্ত জায়গায় ঝুপড়ি ঘর তুলে চায়ের দোকান দিয়েছেন আরিফুল। কোনদিন যৎ সামান্য বেচা হয়, কোনদিন হয়না। তিনি সাংবাদিকদের কাছে দুঃখ করে বলেন- যেদিন ব্যাচাকিনা হয়, সেদিন কোন রকম একনা খরচ করি বাড়ি নিয়া যাও। আর যেদিন বেচা হয়না, সেদিন ছইল নিয়া না খায়া থাকপার নাগে।’ তিনি আরও বলেন- শুনছিনু, সরকার গরিব মানুষের ছইলের জন্য শিশু খাদ্য দেয়। চেয়ারম্যান-মেম্বারের কাছে কতো ঝর্ণা দিনু। পায়ের স্যান্ডেল ক্ষয় করনু। তাও দেলোনা।’ আরিফুল আরও বলেন, ২২ বয়সী এই জমজ সন্তানদের চিকিৎসার ভার ব্যয় করার সামর্থও নেই। কেউ কোনো সহযোগিতাও করেনা।’ তিনি প্রতিবন্ধী ২ জমজ সন্তানের ভরন-পোষণ ও পরিবার সচল রাখতে সবার সহযোগিতা কামনা করেছেন। এ ব্যাপারে দুর্গাপুর ইউপি চেয়ারম্যান সাইদুর রহমান তালুকদার বলেন, নানা প্রতিকুলতার কারণে তাকে সহায়তা দেওয়া সম্ভব হয়নি। তবে, সামনের দিনে অবশ্যই আরিফুলকে সহায়তা করা হবে।


 

মিঠাপুকুরে বেগম জিয়ার রোগমুক্তি কামনায় অঙ্গসংগঠনের দোয়া ইফতার মাহফিল

 

রুবেল ইসলাম,রংপুর

রংপুরের মিঠাপুকুর উপজেলায় বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল (বিএনপি) চেয়ারপার্সন বেগম খালেদা জিয়ার রোগমুক্তি উপজেলা ছাত্রদলের প্রয়াত নেতা ফিরোজ, আরাফাত, মিজান, জিয়ন সুজনের মৃত্যু বার্ষিকী উপলক্ষে ইফতার দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠিত হয়েছেএছাড়াও বাংলাদেশসহ সারাবিশ্বে চলমান পরিস্থিতি নিয়ে দোয়া করা হয়।

ছিন্নমূল মানুষদের মাঝে ইফতার বিতরণ করছেন বিএনপি নেতা


বৃহস্পতিবার (৬ই মে)উপজেলার “ মিঠাপুকুর বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়” মাঠে ইফতার মাহফিলের আয়োজন করে উপজেলা কৃষকদল, স্বেচ্ছাসেবকদল ছাত্রদলের নেতাকর্মীরা

দোয়া কামনায় বিএনপি অঙ্গসংগঠনের নেতারা


এসময় উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের সভাপতি একেএম রুহুল্লাহ্ জুয়েলের সভাপতিত্বে  ও সাবেক ছাত্রদলের সভাপতি সাদেকুল ইসলামের সঞ্চলনায় বক্তব্য রাখেন উপজেলা বিএনপি আহবায়ক গোলাম রব্বানী, বিএনপি নেতা খাজানুর রহমান, হাবিবুর রহমান টিটুল, আমিরুল ইসলাম নিক্সন, আনোয়ারুল ইসলাম নয়ন, কৃষক দলের আহবায়ক হযরত আলী,  শ্রমিক দলের সভাপতি আজমল বাবলু, ছাত্রদলের আহবায়ক মাহমুদুল হাসান, যুগ্ম আহবায়ক রেজওয়ান হায়াত রিয়ন, সদস্য নিশাত মিরাজ, মেহেদুল, নুর-আমিন, তুহিনসহ প্রমুখ

বিএনপির ইফতার মাহফিলে


এছাড়াও করোনা ভাইরাস থেকে রক্ষায় মাস্ক বিতরণ করা হয়। দোয়া শেষে ইফতার বিতরণ করেন বিএনপির আহব্বায়ক গোলাম রব্বানীসহ নেতাকর্মীরা।


দুর্নীতির অবাধ সুযোগ সৃষ্টির আশংকা স্থানীয় সচেতন মহলের

রংপুর প্রতিনিধি রংপুর সদর উপজেলার মমিনপুর ইউনিয়ন পরিষদের ওয়েব সাইটে কোন উন্নয়ন প্রকল্পের তথ্য নেই। ফলে স্বচ্ছতা জবাবদেহীতা প্রশ্নবিদ্ধ হয়ে উঠেছে।তথ্যের ধারাবাহিক প্রবাহ চালু না থাকায় ইউনিয়নটির সরকারী বরাদ্দ কোথায়, কোন স্থানে বাস্তবায়ন হচ্ছে তা জানা যাচ্ছে না। বরং ওয়েব সাইটে কোন উন্নয়ন প্রকল্পের তথ্য না থাকায় সরকারী বরাদ্দে দুর্নীতির অবাধ সুযোগ সৃষ্টি হচ্ছে বলে মনে করেন স্থানীয় সচেতন মহল।
গতকাল বুধবার মমিনপুর ইউনিয়ন পরিষদের ওয়েব সাইটের নোটিশ আর্কাইভে গিয়ে দেখা গেছে সেখানে মাত্র দশটি নোটিশ দেয়া হয়েছে। কোন বছরের কাবিখা, কাবিটা, এলজিএসপি, টিআর ও এলজিইডির ইউপিজিপি, চল্লিশ দিনের কর্মসৃজন কর্মসূচীসহ বিভিন্ন উন্নয়ন প্রকল্পের তালিকা দেয়া হয়নি। ফলে এসব প্রকল্পের আওতায় বর্তমানে কোথায় কি হচ্ছে তা জানা যাচ্ছে না। ইউনিয়ন পরিষদের কার্যক্রম ক্যাটাগরীতে বাজেট লিংকে শুধুমাত্র ২০২০-২১ সালের বাজেট রাখা হয়েছে। বাকী বছর গুলোর বাজেট কপি নেই।
ডিজিটাল আইন অনুয়ায়ী, সরকার নিয়ন্ত্রিত সকল প্রোর্টালে নাগরিকদের জন্য সঠিক তথ্য হালনাগাদ করা শর্ত। কিন্তু এসব শর্ত মানেন না মমিনপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ও সচিব।
মমিনপুর ইউনিয়ন পরিষদের ওয়েব সাইটে তথ্য অধিকার আইন অনুযায়ী, ইউনিয়ন পরিষদ কর্তৃপক্ষ স্বপ্রণোদিত হয়ে সকল প্রকল্প তালিকা, ইউনিয়ন পরিষদের মাসিক মিটিং এর কার্য বিবরনীর তথ্য, বিভিন্ন নোটিশ, সুবিধা ভোগীদের তালিকা থাকা বাধ্যতামূলক।
এ বিষয়ে মমিনপুর ইউপি চেয়ারম্যান কল্পোনা বেগমেরর বক্তব্য জানতে একাধিকবার সেল ফোনে যোগাযোগের চেষ্টা করা হলেও তাকে ফোনে পাওয়া যায়নি।
নাম প্রকাশ না করার শর্তে একজন সরকারী কর্মকর্তা বলেন, দুর্নীতি মুক্ত দেশগড়ার লক্ষে ডিজিটাল পদ্ধতি চালু করা হয়েছে। এটি শতভাগ কার্যকর হলে প্রকল্পের টাকা লোপাট করার কোন সুযোগ থাকবে না।
জেলা তথ্য কর্মকর্তা আলমগীর হোসেন বলেন,রংপুর জেলার সকল দপ্তরকে নিজনিজ ওয়েবসাইট হালনাগাদ করার জন্য চিঠি দেয়া হয়েছে।

Amader Rangpur news

Contact Form

Name

Email *

Message *

Argon Maltimedia Bangladesh. Powered by Blogger.
Javascript DisablePlease Enable Javascript To See All Widget