Latest Post

মিঠাপুকুরে শিক্ষকের মধ্য হাতাহাতি,দুপক্ষের অভিযোগ


রুবেল ইসলাম,মিঠাপুকুর 
রংপুরের মিঠাপুকুর উপজেলায় বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী  মিঠাপুকুর উপজেলা শাখার আমীর, কাফ্রিখাল ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ও প্রতিষ্ঠাতা   এবং বরখাস্তকৃত প্রধানশিক্ষক জয়নাল আবেদীন মাস্টার কর্তৃক ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষককে মারপিট ও গলাধাক্কা দিয়ে প্রতিষ্ঠান থেকে বের করে দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে। এ ঘটনায় এলাকায় চাঞ্চল্যকর পরিবেশের সৃষ্টি হয়েছে।

গত সোমবার (১৬ই মে) সকাল সাড়ে ১১ টায়  উপজেলার কাফ্রিখাল ইউনিয়নের মিয়ারহাট নিম্ন মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে ঘটনাটি ঘটে। এ সময় প্রতিষ্ঠানের ভারপ্রাপ্ত প্রধানশিক্ষক বাদল মিয়াকে মারধর করে গলাধাক্কা দিয়ে বের করে দেওয়া হয়। বাধা দিতে গিয়ে হামলার শিকার হয় একই প্রতিষ্ঠানের মৌলভী শিক্ষক নুরুজ্জামান হামিদী ও  প্রতিষ্ঠানের পিয়ন আব্দুল্লাহ। 

চিকিৎসাধীন অবস্থায় ভারপ্রাপ্ত শিক্ষক বাদল মিয়া,পাশে বসে স্ত্রী


ভুক্তভোগী ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক বাদল মিয়া জানান- জামায়তে ইসলামীর নাশকতার মামলার কারণে প্রতিষ্ঠানের প্রধানশিক্ষক জয়নাল আবেদীন মাস্টার জেলহাজতে গেলে ম্যানেজিং কমিটি তাকে সাময়িক বহিষ্কার করেন। ইতিপূর্বে প্রতিষ্ঠানে তিন বৎসর ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষকের দায়িত্ব পালন করেন কামরুল আলম, পরে তৎকালীন ম্যানেজিং কমিটি ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষকের দায়িত্ব দেন তাকে। গত ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে বরখাস্তকৃত প্রধান শিক্ষক চেয়ারম্যান হিসেবে নির্বাচিত হওয়ার পর প্রতিষ্ঠানে এসে সাময়িক বরখাস্ত তুলে নিয়ে নিজ পদে পূর্ণবহালের জন্য বলেন। গত ১২ তারিখে প্রতিষ্ঠানের এডউক ম্যানেজিং কমিটির মিটিং ডাকলে সেখানে সভাপতি উপস্থিত না থাকায় কোন সিদ্ধান্ত গ্রহীত হয়নি। গত ১৬ তারিখে হঠাৎ করেই অফিস কক্ষে ঢুকে কাফ্রিখাল ইউনিয়নের নবনির্বাচিত চেয়ারম্যান ও মিয়ারহাট নিম্ন মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের বরখাস্তকৃত প্রধানশিক্ষক জয়নাল আবেদীন মাস্টার, রওশন আলী ও তার ছোট ভাই সুজন অতর্কিত হামলা করেন। এ হামলায় তার আরো দুজন সহযোগী প্রতিষ্ঠানের মৌলবী শিক্ষক ও কেরানী আহত হয়েছেন বলে অভিযোগ করেন। 

বিষয়টি নিয়ে নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক শিক্ষক জানান- প্রতিষ্ঠানের প্রতিষ্ঠাতা ও প্রধান শিক্ষক জয়নাল আবেদীন মাস্টারকে বিভিন্ন মামলার কারণে সাময়িক বরখাস্ত করেন তৎকালীন ম্যানেজিং কমিটি। দীর্ঘ দেড় বছর ধরে তিনি হাইকোর্টের রায় নিয়ে প্রতিষ্ঠানে আসলেও তাকে কোন দায়িত্ব অর্পণ করেন নি বর্তমান ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক।তিনি আরোও বলেন ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক হওয়ার পর থেকেই দুটি নিয়োগ বাবদ  ২২ লক্ষ টাকা নিয়েছেন প্রার্থীর কাছে। প্রতিষ্ঠানে বিন্দুমাত্র উন্নয়ন তো দূরের কথা কিংবা একটি প্রসাব করার বদনাও কিনেননি।নিয়োগ বাণিজ্যের টাকা দিয়ে তিনি নিজের বাড়ি পাকা করেছেন।

মিঠাপুকুর উপজেলা জামায়াতের আমির ও কাফ্রিখাল ইউনিয়ন পরিষদের নবনির্বাচিত চেয়ারম্যান জয়নাল আবেদীন মাস্টার জানান- বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী দল  করায় বিভিন্ন মামলা হওয়ার কারণে ২০১৪ সালে সাময়িক বরখাস্ত করেন তৎকালীন ম্যানেজিং কমিটি। হাইকোর্টে রিট করার পর ০৬-০৮-২০১৭ সালে প্রতিষ্ঠানে পুর্নবহালের আদেশ পান তিনি। রায়ের পরে সাময়িক বরখাস্ত ও বেতন-ভাতা পুর্নবহালের জন্য ১৬-৮-২০১৭ সালে তৎকালীন ভারপ্রাপ্ত প্রধান কামরুল আলমের নিকট আবেদন করেন। রাজনৈতিক কারণে তৎকালীন ম্যানেজিং কমিটি তাকে পূর্ণবহাল না করে ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষকের দায়িত্ব দেন বাদল মিয়াকে।১৯-০৭-২০১৮ সালে আবার ০৭-০৬-২০২১সালে পুনরায় পুর্নবহালের জন্য আবেদন করেন। তিন বছর ধরে ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষকের নানাবিধ টালবাহানার কারণে বসতে পারেন নি তিনি। গেল সপ্তাহে প্রতিষ্ঠানে গিয়ে ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষকের সাথে কথা বললে বৃহস্পতিবার ম্যানেজিং কমিটির মিটিং করার কথা বলেন। ম্যানেজিং কমিটির কোনো মিটিংয়ের সভার কোন চিঠি না করেই নতুন করে টালবাহানা করেন।সোমবার সকালে  মিটিং-এর আহ্বানের চিঠি দেখতে চাইলে এবং প্রতিষ্ঠানের আয়-ব্যয়ের হিসাব জানতে চাইলে ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক বলেন- আপনি হিসাব চাওয়ার কে? তিনি প্রতিষ্ঠান থেকে বের  হওয়ার হুমকি দেন। ঠিক তখনই তিনি তার ঘাড় ধরে প্রতিষ্ঠান থেকে বের করে দেন তিনি। ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক ও ম্যানেজিং কমিটির কারণে তার বেতনের অর্ধেক অংশ ২০১৫ সালের ৯ মাসসহ ৮ বছরে ৯,৭৭,৫০০(নয় লাখ সাতাত্তর হাজার পাঁচশত)  টাকার বেশি রিফাইন্ড হয়েছে।

প্রতিষ্ঠানের ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি ও কাফ্রিখাল ইউনিয়ন যুবলীগের সভাপতি এবং নবনির্বাচিত ইউপি সদস্য ফুয়াদ মন্ডল জানান- প্রতিষ্ঠানে মারামারি সংক্রান্ত বিষয়ে তিনি শুনেছেন তবে এ বিষয়ে বিস্তারিত তিনি অবগত নন।মিটিং সংক্রান্ত বিষয়ে তিনি মন্তব্য না করলেও রাজনৈতিক ব্যাপার বলে তিনি মন্তব্য করেন।

এ বিষয়ে মিঠাপুকুর থানায় একটি এজাহার দায়ের করেন ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক বাদল মিয়া।

 মিঠাপুকুরে বুুুুজরুক সন্তোষপুর আদর্শ উচ্চ-বিদ্যালয়ের কমিটি গঠনে অনিয়মের অভিযোগ


মিঠাপুকুর প্রতিনিধি

রংপুরের মিঠাপুকুর উপজেলায় বুজরুক সন্তোষপুর আদর্শ উচ্চ বিদ্যালয়ে ম্যানেজিং কমিটি গঠন নিয়ে অনিয়মের অভিযোগ উঠেছে। বিদ্যালয়ে ম্যানেজিং কমিটি গঠনে অত্যন্ত গোপনীয়তার আশ্রয় নেয়া হয়েছে বলে জানান অভিভাবক ও ছাত্রছাত্রীরা।



স্থানীয় অভিভাবকরা জানিয়েছেন-বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মহিদুর রহমান কোন রকম প্রচার-প্রচারণা বা নোটিশ করেননি। না করিয়ে মনোনয়ন পত্র জমাদানের শেষ তারিখ ১১ মে- বুধবার ঝড়ো আবহাওয়ার মধ্যে মাগরিব নামাজের পরে বাজারের বিভিন্ন স্থানে ৬ টি বিজ্ঞপ্তি লাগান। যা অভিভাবকদের নজরে আসেনি। 


এ বিষয়ে প্রতিষ্ঠানের অভিভাবক সদস্য সোহেল রানা প্রিজাইডিং অফিসার ও উপজেলা একাডেমিক সুপারভাইজার বরাবর লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন।


অভিযোগ সূত্রে জানা যায়- প্রধান শিক্ষক নির্বাচনী বিজ্ঞপ্তি প্রচার না করে নিজের পছন্দ মত চার জন অভিভাবকদের দিয়ে রাতের আঁধারে কৌশলে মনগড়া কমিটি গঠন করেন। সুকৌশলে ম্যানেজিং কমিটির নির্বাচনের জন্য রাতে নির্বাচনের বিজ্ঞপ্তি টাঙ্গিয়েছেন, যাতে কেউ আর নির্বাচনের জন্য মনোনয়নপত্র তুলতে না পারেন। নির্বাচনের বিষয়ে কিছু শিক্ষার্থীর কাছে জানতে চাইলে এ বিষয়ে সঠিক কিছুই বলতে পারেননি। 


এ বিষয়ে প্রধান শিক্ষক মহিদুর রহমান বলেন- নিয়ম তান্ত্রিক প্রক্রিয়ায় স্কুলের ম্যানেজিং কমিটি গঠন করা হয়েছে, যারা অভিযোগ করেছে সম্পূর্ণ মিথ্যা ও ভিত্তিহীন।


এলাকাবাসীসহ সচেতন মহল এবং অভিভাবকদের জোড় দাবি, পূনরায় ম্যানেজিং কমিটির নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা করে স্বচ্ছ ম্যানেজিং কমিটি নির্বাচন করা হউক।

  মিঠাপুকুরে বিশ্বকবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের জন্মদিন পালন


মিঠাপুকুর,রংপুর

মিঠাপুকুরে  বিশ্বকবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের ১৬১ তম জন্ম বার্ষিকী উপলক্ষ্যে বাংলাদেশ শিশু একাডেমি মিঠাপুকুর উপজেলা শাখার উদ্যোগে বিভিন্ন অনুষ্ঠানমা লার পুরস্কার বিতরণ অনুষ্ঠিত হয়েছে।  


রবিবার দুপুরে উপজেলার শিশু একাডেমির সামনে পুরষ্কার বিতরণের আয়োজন করা হয়। উপজেলা শিশু বিষয়ক কর্মকর্তা ও শিশু একাডেমীর পরিচালক আবদুল ওয়াহেদের  সভাপতিত্বে  প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন উপজেলা নির্বাহি কর্মকর্তা ফাতেমা-তুজ-জোহরা বৃতি। এ সময় বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন উপজেলা সহকারী ভূমি কমিশনার মাহমুদ হাসান মৃধা, উপজেলা মহিলা ভাইচ চেয়ারম্যান শামীমা আক্তার জেসমিন, উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার আনারুল ইসলাম সহ প্রমূখ।


এসময় শিশু একাডেমীতে প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত শিক্ষার্থীদের মধ্যে ৩০ জনকে ছাতা ও অতিথিদের বই উপহার প্রদান করা হয়।



 

মুক্তিযোদ্ধার নাতির কারারক্ষী পদে নিয়োগে ১০ লাখ টাকা গ্রহণ,সাবেক আই.জি প্রিজন্স দেহরক্ষী কারাগারে

রংপুর কোর্ট প্রতিনিধি
চাকুরী দেওয়ার প্রলোভন দেখিয়ে  ১০লাখ টাকা অর্থ গ্রহণের মামলায় সাবেক আইজি প্রিজন্স ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মোস্তফা কামাল পাশার দেহরক্ষী সাজেদুল কবির রাসেল(কারারক্ষী নম্বর-১২৭৬৪)কে  রংপুর কেন্দ্রীয় কারাগারে পাঠিয়েছে মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্টেট কোতয়ালী আমলী আদালত।

গত রবিবার (৩ই এপ্রিল)  দুপুর ১২ টায় বীরমুক্তিযোদ্ধার নাতী সোহেল রানা নামে এক ভুক্তভোগীর করা মামলায় জামিন নিতে আসলে জামিন না মঞ্জুর করে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন বিজ্ঞ ম্যাজিস্টেট রাজু আহম্মেদ।(জিআর মামলা নম্বর-৬৫৪/২১)।

আইজি প্রিজন্স ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মোস্তফা কামাল পাশার দেহরক্ষী সাজেদুল কবির রাসেল


মামলার নথি  ও লিগ্যাল নোটিশ থেকে জানা যায়-গাজীপুর জেলার  কালিয়াকৈর থানার বড় গোবিন্দপুর পাইকপাড়া এলাকার আব্দুল করিম সরকারের পুত্র কারারক্ষী জসিম সরকার(১২৮১৪) ও কিশোরগঞ্জ জেলার রাজিবপুর থানার সরারচর  পুরানগাঁও এলাকার আবু বক্কর সিদ্দিকের পুত্র সাজেদুল কবির রাসেল (১২৭৬৪) দুজনকে রংপুরের কোর্টের আইনজীবি শফিকুল ইসলামের মাধ্যমে(২৩/০৫/২০২১) লিগ্যাল নোটিশ পাঠান সোহেল রানা। উভয়ই গাজিপুর জেলা কারাগারের ব্যাচমেট।সোহেল রানার মামা ওবাইদুল হক কারারক্ষী হওয়ায় তাহার পরিচয় সুত্র ধরে ঘনিষ্ট সম্পর্ক গড়ে উঠে।সাজেদুল সাবেক আই.জি প্রিজন ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মোস্তফা কামাল পাশা সাহেবের দেহরক্ষী ও জসিম সরকার ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগারে গাড়ি চালক হিসেবে চাকুরী করার সুবিধার্থে পরিচয় হয়।মোস্তফা কামাল পাশার সাথে গভীর সম্পর্ক মর্মে মুক্তিযোদ্ধা কোটায় কারারক্ষী হিসাবে চাকুরী দিতে পারবেন বলে ১০ লাখ টাকায় যুক্তি করেন। গত ২৮/০৮/২০২০ইং তারিখে রংপুরে আসিয়া মামা ওবাইদুল হকের মোকাবেলায় চার লাখ টাকা অঙ্গীকারবদ্ধ হয়ে গ্রহণ করেন তারা।এরপর ০৪/০৯/২০২০ ইং তারিখে  বাসায় ডাকিয়া ছয় লাখ টাকা গ্রহণ করেন।এরপর কারারক্ষী নিয়োগ-২০২০ এর প্রবেশপত্র পাঠাইয়া দেন।যাহার রেজিষ্ট্রেশন নম্বর-BDJM-07015 । পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করে উত্তীর্ণ হলেও চাকুরী লইয়া দিতে ব্যর্থ হয় তারা,পরে টাকা ফেতর দিতে তালবাহানা শুরু করেন।গত ১৫/০১/২০২১ ইং তারিখে স্বাক্ষীসহ টাকা চাইতে গেলে খুনজখমের হুমকি ও ভয়ভীতি প্রদর্শন করেন।

গত ২৮/০৯/২০২১ তারিখে আরপিএমপি কোতয়ালী থানায় (যাহার মামলা নম্বর-৭৬) মামলা হলে নালিশকারীর নালিশী দরখাস্তটি FIR করে তদন্তপূর্বক ওসি কোতয়ালী থানাকে ২৪ ঘন্টার মধ্যে পিবিআইকে হস্তান্তের  নির্দেশ দেন চীফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট এফ,এস,আহসানুল হক।পরে তদন্ত শেষে চুড়ান্ত প্রতিবেদন দাখিল করেন পিবিআই(পুলিশ ব্যুারো ইনভেস্টিগেশন)।

মামলার বাদী সোহেল রানা জানায়-শতভাগ চাকুরী দেওয়ার কথা বলে তারা অর্ধশতাধিক চাকুরী প্রত্যাশীর কাছে কোটি কোটি টাকা নিয়েছে।বিভিন্ন খানে তারা পালিয়ে বেড়ায়। টাকা ফেরত দিতে চেয়েও হয়রানী করছে। দেড় বছর ধরে গাজিপুর কারাগারে পাওনাদারদের কারণে আসেন না জসিম সরকার। অনেক কষ্ট করে তার মতো অনেক হতভাগার চাকুরী দেওয়ার কথা বলে অর্থ হাতিয়ে নিয়েছে।

এ বিষয়ে গাজীপুর জেলা  কারাগারের জেল সুপারের সাথে একাকিধার মুঠোফোনে যোগাযোগ করার চেষ্টা করলেও সম্ভব হয়নি।

রংপুর বিভাগের ডিআইজি প্রিজন্স আলতাফ হোসেন এর সাথে যোগাযোগ করলে তিনি স্বাধীন বাংলাকে জানান- ঘটনাটি তার বিভাগের অন্তর্ভুক্ত নয়, সে গাজীপুর জেলা কারাগারে কর্মরত আছে। সে যদি অপরাধী হয় তাহলে তার বিচার আদালত করবে।


 

মিঠাপুকুরে পল্লীচিকিৎসক কর্তৃক বাকপ্রতিবন্দীকে বলাৎকার

মিঠাপুকুর,রংপুর

বাকপ্রতিবন্দী ছেলেটি ছয় বছরের ছোট ভাইয়ের সাথে বাড়ির উত্তরপ্বার্শে পতিত জমিতে খেলছিলো।এমন সময় পাশের বাড়ির পল্লীচিকিৎসক কৌশলে ডেকে নিয়ে যায় ছেলেটিকে।বাড়ির পূর্ব দুয়ারী ঘরে নিয়ে জোড়পূর্বক পরনের থ্রি-কোয়ার্টার প্যান্ট খুলে ইচ্ছার বিরুদ্ধে বলাৎকার( ধর্ষণ) করে শিশুটিকে।বড় ভাইয়ের সাথে এই অবস্থা দেখে কান্নায় চিৎকারে দৌড়ে যায় মায়ের কাছে।কান্নাজনিত কন্ঠে বাক প্রতিবন্দী ছেলেকে দেখে হতাশ মা।এ বিষয়ে ভুক্তভোগীর মা বাদী হয়ে থানায় লিখিত অভিযোগ করেন।

গত সোমবার(২৮শে মার্চ)দুপুরে মিঠাপুকুর উপজেলার ভাংনী ইউনিয়নে স্থানীয় পল্লীচিকিৎসক কর্তৃক বাকপ্রতিবন্দী শিশুকে বলাৎকার করার অভিযোগ উঠেছে।এ ঘটনার পর থেকে চিকিৎসক পলাতক আছেন।

 স্থানীয় পল্লীচিকিৎসক কর্তৃক বাকপ্রতিবন্দী শিশুকে বলাৎকার


সরেজমিনে ও থানার অভিযোগ সূত্রে জানা যায়-খেলাধুলা করার সময় ১০ বছরের বাকপ্রতিবন্দী শিশুকে কৌশলে জোড়পূর্বক ধর্ষন করেন স্থানীয় পল্লীচিকিৎসক আসাদুজ্জামান(৫০)।এ বিষয়ে গত বুধবার(৩০শে মার্চ)সকাল আটটায় স্থানীয় ইউপি সদস্যের সহযোগিতায় শালিশী বেঠক ডাকা হয়।শালিশী বৈঠকে আসাদুজ্জামান হাজির না হয়ে পলাতক থাকেন।স্থানীয় বাসিন্দা আব্দুস সালাম বলেন-বিষয়টি শোনার পর স্থানীয়ভাবে মিমাংসার ব্যবস্থা করা হয়।কিন্তু ডাক্তার উপস্থিত হয়নি।শালিশী বৈঠকে তিনি উপস্থিত না হওয়ায় তিনি এই অপরাধ করছেন বলে দাবী তার।এমন দাবী শুধু আব্দুস সালামের নয়,ফিরুজ মিয়া,শাহাদত হোসেন ও সোহেল রানাসহ প্রায় ৩০জন এলাকাবাসীর।

ভুক্তভোগীর মা জানান-তার বাক প্রতিবন্দী ছেলের চিৎকারের শব্দ শুনে ছোট্ট ছেলে বাড়িতে দৌড়ে গিয়ে খবর দেয়।তিনি এসে দেখেন তার ছেলে কান্নাকাটি করছে।ডাক্তার তাকে নানান ভাবে বুঝিয়ে বিষয়টি ধামাচাপা দেওয়ার চেষ্টা করেন।

স্থানীয় ওয়ার্ড ইউপি সদস্য ইলিয়াস মিয়ার সাথে মুঠোফোনে কথা হলে তিনি জানান-বিষয়টি তিনি জানার পর স্থানীয় এলাকাবাসীসহ শালিশী বৈঠক বসানো হয়।বৈঠকে উপস্থিত না হলে ভুক্তভোগীদের আইনের আশ্রয় নেওয়ার জন্য পরামর্শ দেন।

মিঠাপুকুর থানার অফিসার ইন-চার্জ মোস্তাফিজার রহমান জানান-এ বিষয়ে লিখিত এজাহার পেয়েছেন।তদন্তমূলক ব্যবস্থা গ্রহণ করার আশ্বাস দেন তিনি।

 


 


 

নগরীর ১৩নং ওয়ার্ডে প্রায় ৭শ’ ৪০ মিটার আরসিসি ড্রেন নির্মাণ কাজ শুরু
 
স্টাফ রিপোর্টার ॥
ডিপিপি অর্থায়নে এক কোটি টাকা ব্যয়ে নগরীর ১৩নং ওয়ার্ডে প্রায় ৭শ’ ৪০ মিটার আরসিসি ড্রেন নির্মাণ কাজ শুরু করেছেন রংপুর সিটি কর্পোরেশন। গত শুক্রবার দুপুরে প্রাইম হাসপাতাল সংলগ্ন এলাকায় উক্ত আরসিসি ড্রেন নির্মাণ কাজের শুভ উদ্বোধন করেন রংপুর সিটি কর্পোরেশনের মেয়র মোঃ মোস্তাফিজার রহমান মোস্তফা।

 
এ সময় উপস্থিত ছিলেন সংশ্লিষ্ট ওয়ার্ড কাউন্সিলর মোঃ ফজলে এলাহী ফুলু ও সংরক্ষিত মহিলা কাউন্সিলর মোছাঃ সাহেদা বেগম বেবি, রংপুর সিটি কর্পোরেশনের নির্বাহী প্রকৌশরী মোঃ আজম আলী ও মেজর (অবঃ) নাসিমসহ স্থানীয় গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ। ###

Amader Rangpur news

Contact Form

Name

Email *

Message *

Argon Maltimedia Bangladesh. Powered by Blogger.
Javascript DisablePlease Enable Javascript To See All Widget