Latest Post

 আইন প্রয়োগকারী সংস্থার হস্তক্ষেপ কামনা।

"রংপুরে ভূমিহীন পরিবারকে বাড়িঘর থেকে উচ্ছেদে
আফছার গংদের হুমকিঃ ১লাখ টাকা চাঁদা দাবী"

খন্দকার মিলন,স্টাফ রির্পোটার
রংপুরের সদ্যপুস্করিনী ইউনিয়নের কিসামত মাধবপুর (ভাটেরগাও) নদীরপাড় এলাকায় জামাল হোসেন নামে এক অসহায় ভূমিহীন পরিবারকে বাড়িঘর থেকে উচ্ছেদে আফছার গং কর্তৃক হুমকি, ১লাখ টাকা চাঁদা দাবি করার অভিযোগ পাওয়া গেছে। বর্তমানে বিষয়টি নিয়ে সেখানে বিরাজ করছে টানটান উত্তেজনা। যে কোন মুহুর্তে ঘটে যেতে পারে রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষ।



ঘটনার বিবরনে প্রকাশ, রংপুর সদর উপজেলার ৪নং সদ্যপুস্করিণী ইউনিয়নের কিসামত মাধবপুর এলাকার (ভাটেরগাও) নদীরপাড় গ্রামের মৃত্যু কছির উদ্দিনের ছেলে মোঃ জামাল হোসেনকে তার শ্বশুর দখল ভুক্ত ঘাঘট নদীর পাড় সংলগ্ন খাস খতিয়ানভুক্ত প্র্রায় ১২ শতাংশ জমি বাড়ি ঘড় করার জন্য দেয়। সেখানে মোঃ জামাল @ঠসা স্ত্রী সন্তানদের নিয়ে দীর্ঘ ১৫/২০বছর ধরে বসবাস করে চলে আসলেও বর্তমানে জ্যাঠো শ্বশুরের মেয়ে জামাই(ভায়রা ভাই) মোঃ আফছার আলীর জমির(খাস) পাশে হওয়ায় অসহায় জামাল @ঠসার ঐ বসতভিটার উপর কু-দৃষ্টি পড়ে লোভুতুর আফছার আলী মিস্ত্রীর। সে মোতাবেক ভূমিহীন জামাল হোসেনের ভোগদখলিও খাস জমির উপর থাকা তার বাড়ি ঘর সরাতে চাপ প্রোয়োগ করতে থাকেন অন্যথায় ১ লাখ টাকা চাঁদা দাবী করেন আফছার আলী এবং বিভিন্ন সময় বিভিন্ন ধরনের হুমকীরর এক পর্যায় ঘটনার দিন গত ৪ মে দুপুর আনুমানিক সাড়ে ১২টায় আফছার আলী শহর থেকে ৮/১০জন ভাড়াটিয়া সন্ত্রাসীদের সাথে করে জমালের বাড়িতে অনধিকার প্র্রবেশ করে আবারও বাড়ি অন্যত্র সরিয়ে নিতে ফৌজদারি অপরাধ সংঘঠিত করেন। জামাল ও তার স্ত্রীর কাছ থেকে ১ লাখের জায়গায় আবারও ৫০ হাজার টাকা চাঁদা দাবী করেন। আফসাররও তার ভাড়াটিয়া লোকজনের সেই দাবীতৃত টাকা দিতে অপারগতা প্র্রকাশ করলে জামাল ও তার স্ত্রীকে অশ্লিল ভাষায় গালিগালাজ ও ধাক্কাধাক্কি শুরু করেন। এসময় জামালের ছেলে হাবিব মিয়া এর প্রতিবাদ করায় তাকেও মার ডাং, কিল ঘুসিসহ পরবর্তী সময়ে অপহরন করে নিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করেন। পরে এলাকারবাসী তাদের হাত থেকে হাবিবকে উদ্ধার করেন।

বর্তমানে আফছার আলী গংদের ভয়ে ভূমিহীন জামাল ও তার অসহায় পরিবারটি চরম নিরাপত্তাহীনতায় মানবেতর দিনাতিপাত করছেন। বাড়ি ঘর ভেঙ্গে ফেলার হুমকী আতংকে দিন কাটছে এখন তাদের।

অভিযোগ উঠেছে, আফসার আলী তার দখলে থাকা সরকারী খাস জমিটি নদীরপাড় এলাকার জনৈক নাড্ডু মিয়ার কাছে অবৈধ পন্থায় বিক্রির বায়না পত্র করেছেন। যা সরকারী খাস জমি আইনের সম্পূর্ণ বিপোরিত বলে বিজ্ঞজনরা মনে করছেন।

ভুক্তভোগী ভূমিহীন জামাল, তার স্ত্রী, শ্যালক, পরিবারের লোকজন ও এলাকার সচেতনমহল বিষয়টি ক্ষতিয়ে দেখে অাইনগত প্রয়োজনীয় ব্যবস্থ্যা গ্রহনের জন্য রংপুরের জেলা প্রসাসক, মানবিক পুলিশ সুপার, এ-সার্কেল, উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা, কোতয়ালি থানার অফিসার্স ইনচার্জসহ আইন প্রয়োগকারী সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের আশু হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন।

পীরগঞ্জে জিম্মি করে গৃহবধুকে পালাক্রমে ধর্ষণ, গ্রেফাতার-৪


 রংপুর অফিস

রংপুরের পীরগঞ্জের বড় আলমপুর ইউনিয়নের পাট গ্রাম থেকে এক গৃহবধূর পরকিয়ার ভিডিও চিত্র ফাঁস করার ভয় দেখিয়ে পালাক্রমে ধর্ষণ করার অভিযোগে ৪ জন যুবককে আটক করেছে থানা পুলিশ। গ্রেফতারকৃত যুবকরা হলেন উক্ত গ্রামের মকবুল হোসেনের পুত্র আক্তারুজ্জামান (২৩),  আ: খালেকর পুত্র রনিমিয়া ( ২৫), আলম মিয়ার পুত্র আলামিন (২৫) ও আজাহার আলীর পুত্র মামুন (২৩) বলে জানা যায়।



পীরগঞ্জে জিম্মি করে গৃহবধুকে পালাক্রমে ধর্ষণ, গ্রেফাতার-৪



এলাকাবাসী ও পুলিশ সূত্রে জানা যায়-উক্ত গ্রামের হাসেন মিয়ার স্ত্রী ভিকটিমের সাথে রনি মিয়ার পরকিয়ার সম্পর্ক গড়ে ওঠে। এ সম্পর্কের কারনে তারা উভয়ই একাধিক দিন ভিকটিমের স্বামীর বাড়ী ও বাড়ীর পাশে ঝোপের আড়ালে অনৈক কাজে লিপ্ত হয়। তাদের এ অনৈতিক মেলামেশা গোপনে একই গ্রামের ৪ যুবক আক্তারুজ্জান, মামুন, আলামিন ও মেহেরুল মোবাইলে ভিডিও চিত্র করে। পরে তারা প্রেমিক রনি ও গৃহবধু কে সেই পরকিয়ার ভিডিও চিত্র জিম্মি করে গৃহবধূর সাথে অনৈতিক কাজের প্রস্তাব দেয়। লোক লজ্জার ভয়ে রনি তাদের কথায় রাজি হয়। পরে সুযোগ বুঝে আনুমানিক ১০-১২দিন পুর্বে প্রেমিক রনি পরকিয়া প্রেমিকাকে নিয়ে উক্ত ৪ যুবকের সাথে মেলা মেশার প্রস্তাবে রাজি করায়। এ সুযোগে ৪ যুবক উক্ত অসহায় গৃহবধুকে পালাক্রমে ধর্ষণ করে। গত বুধবার ধর্ষিতা গৃহবধূর স্বামী হাসেন মিয়া জানতে পেরে বৃহস্পতিবার দুপুরে পীরগঞ্জ থানায় একটি অভিযোগ করে। অভিযোগের ভিত্তিতে পুলিশ দুপুরেই অভিযুক্ত ৪ যুবকের মধ্যে প্রমিক রনি, আক্তারুজ্জামান,আলামিন ও মামুুন কে আটক করে।

 কর্তৃপক্ষের দায়িত্বে অবহেলার নজীর ?

 পীরগঞ্জে শেখ হাসিনার আমের বাগান ধ্বংসের পথে !


সরকার বেলায়েত (রংপুর) পীরগঞ্জ : রংপুরের পীরগঞ্জ প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার আম  বাগানের আমে অতিরিক্ত কীটনাশক প্রয়োগের ফলে গাছের পাতাসহ আম পচন ধরে মাটিতে ঝরে পড়ছে। আমের বাগান তদারকীর দায়িত্বে নিয়োজিত কর্তৃপক্ষের অবহেলার কারণে এ বছরের ফসল প্রধানমন্ত্রীর শেখ হাসিনা তাঁর এই বাগানের আমের স্বাদ নিতে পারবেন কি না ? এ নিয়ে সংশয়ের সৃষ্টি হয়েছে।




  সরেজমিনে খোঁজ নিয়ে দেখা যায়, উক্ত বাগানে অতিরিক্ত কীটনাশক প্রয়োগের ফলে আমের উপর  সাদা দাগ পড়ে বোটা শুকিয়ে মাটিতে ঝরে পড়ছে। এছাড়া গাছের ডাল পালাসহ পাতা শুকিয়ে মাটিতে পড়ে যাচ্ছে। বাগান পরিদর্শনকালে বাগানটিতে অতি সম্প্রতি স্প্রে করা কয়েক প্রকারে কীটনাশকের বোতল ও পাউডারের খালি প্যাকেট চোখে পড়ে। শুকিয়ে যাওয়া গাছের ডাল পালা কেটে বাগানের এক পাশে স্তুপ করে রাখা হয়েছে। রংপুর-ঢাকা মহাসড়কের ঐতিহ্যবাহী আংরার ব্রীজ সংলগ্ন শেখ হাসিনার মোড় নামক স্থানে পৌরসভার ১নং ওয়ার্ড এ উজিরপুরে ২ একর ১৫ শতাংশ জমির উপর বারি আম- ৪ সহ হাঁড়ি ভাঙা ও লিচু মাতৃবাগান গড়ে তোলা হয়েছে। স্থানীয়রা জানান,গত সপ্তাহে বাগান তদারকীতে নিয়োজিত কর্তৃপক্ষ আম আহরনের পুর্বক্ষণে উক্ত বাগানে কীটনাশক স্প্রে করার পর থেকেই বাগানের স্বাভাবিক চিত্র পাল্টে যায়। তারা পাল্টা প্রশ্ন করে বলেন, প্রধানমন্ত্রীর আমের বাগান সরকারি লোকজন দেখাশুনা করে, তার পরেও যদি এ অবস্থা হয় ? তাহলে সাধারণ মানুষের আম বাগানের কি হবে ? বাগান পাহারাদার কাহে নিয়োজিত শাহাদত হোসেন বলেন সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে বারবার সংবাদ দিলেও তারা কোন ব্যবস্থা নিচ্ছেন না। এ বিষয়ে জিজ্ঞেস করা হলে বাংলাদেশ কৃষি গবেষণা ইনস্টিটিউট এর রংপুর বুড়িরহাটস্থ আঞ্চলিক কৃষি গবেষণা ইন্সস্টিটিউট  এর ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ড. আশিষ কুমার সাহা বলেন-আমি রংপুর আলম নগরের ইনচার্জ কে দায়িত্ব দিয়েছি সে এখন বাগানটি দেখাশুনা  করছে। তিনি আরও বলেন- এ ব্যাপারে আমার কিছু করার নেই। রংপুর আলম নগর সরেজমিন গবেষণা বিভাগের ইনচার্জ আলমগীর হোসেন তালুকদারে সাথে ফোনে যোগাযোগ চেষ্টা করা হলে তিনি ফোন রিসিভ করেনি। বিগত বছরগুলোর তুলনায় এ বছর আমের বাম্পার ফলন হলেও ওই বাগানে চলতি মওসুমে পুরোপুরি লোকসান গুনতে হবে মর্মে স্থানীয়রা আশংকা করছেন। উল্লেখ ওই জমিটি বিগত ২০০০ইং সালে রংপুর জেলা আওয়ামীলীগের সাংস্কৃতিক ও ক্রীড়া  বিষয়ক সম্পাদক শাহিদুল ইসলাম পিন্টু প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নামে ক্রয় করেন।

 মিঠাপুকুরে শয়নকক্ষ থেকে গলাকাটা শিশুর লাশ উদ্ধার


রুবেল ইসলাম,রংপুর

রংপুরের মিঠাপুকুরে দশ বছরের এক শিশুকে ধর্ষণের পর গলা কেটে হত্যার অভিযোগ উঠেছে রাজা মিয়া নামে এক যুবকের বিরুদ্ধে। ঘটনার পর থেকেই রাজা মিয়া পলাতক রয়েছে বলে জানান এলাকাবাসী। 


বৃহস্পতিবার সকালে মিঠাপুকুরের বালুয়া মাসিমপুর এলাকার অভিযুক্ত ফুপাতো ভাই রাজা মিয়ার খাটের নিচে থেকে তৃতীয় শ্রেণীর শিশু রহিমা আক্তারের মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ। 



পরিবারের সদস্যরা জানান, গতকাল দুপুর থেকে বাড়িতে রহিমাকে না দেখে অনেক খোজাখুজি করেন তারা। বৃহস্পতিবার সকালে প্রতিবেশী রাজা মিয়ার খাটের নিচে মেয়ে শিশুটির মরদেহ দেখতে পান এলাকাবাসী। পরে পুলিশকে খবর দিলে রহিমার গলাকারা মরদেহ উদ্ধার করেন তারা।


 পরিবারের সদস্যদের অভিযোগ-রহিমাকে ধর্ষণের পর গলা কেটে হত্যা করে নিজের খাটের নিচে পুতে রেখে পালিয়ে যায় রাজা মিয়া। তার বিরুদ্ধে মামলা করা হবে বলেও জানায় স্বজনরা।

 

  ডি-সার্কেল সিনিয়র এএসপি কামরুজ্জামান জানান-রাজা মিয়ার খাটের নিচে থেকে রহিমার গলাকাটা মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। প্রাথমিক তদন্তে রহিমাকে গলা কেটে হত্যা করা হয়েছে।  তবে কেন হত্যা করা হয়েছে তা তদন্তের পর জানা যাবে বলেও তিনি। 



বাংলাদেশ  মানবাধিকার কমিশন মিঠাপুকুর উপজেলা শাখার সাধারন সম্পাদক ও সদর দপ্ততের বিশেষ দায়িত্বপ্রাপ্ত রংপুর অঞ্চলের প্রতিনিধি আশিকুর রহমান বলেন- সামাজিক মূল্যবোধের অবক্ষয়ের কারণে সমাজে নানাবিধ অপকর্ম সংগঠিত হচ্ছে। এই অঞ্চলের বেশিরভাগ যুবকই মাদকসক্ত যার কারণে এই শিশু বাচ্চাটিকে বলি হতে হলো।যদি দ্রুত মুল্যবোধ সৃষ্টি করা না হয় তাহলে এহেন ঘটনা অহরহ ঘটবে। বিট-পুলিশের সদস্যদের উদেশ্যে তিনি আরও বলেন- তাদের সতর্ক ভূমিকা রাখতে হবে, গ্রামের মানুষদের সচেতন করতে তাদের উঠান বৈঠকের তাগিদ দেন এই মানবাধিকারকর্মী।

 মিঠাপুকুরে অগ্নিকান্ডের ঘটনায় ৩টি গরুসহ দু’টি ঘর পুড়ে গেছে


নিজস্ব সংবাদদাতা
রংপুরের মিঠাপুকুর উপজেলার রাণীপুকুর নুরপুরে অগ্নিকান্ডের ঘটনায় এক কৃষক পরিবার নিঃস্ব হয়ে পড়েছে। এ ঘটনায় ৩টি গরুসহ দু’টি ঘর পুড়ে গেছে।
স্থানীয়রা জানায় বুধবার (২৬ মে) দিবাগত রাত সাড়ে ১০টার দিকে রাণীপুকুর ইউনিয়নের দৌলত নুরপুর গ্রামের কৃষক নুর ইসলামের বাড়িতে এ অগ্নিকান্ডের ঘটনা ঘটে।
সরেজমিনে গিয়ে জানা যায়, রাত আনুমানিক সাড়ে ১০টার দিকে বাড়ির একটি গোয়াল ঘরে হঠাৎ আগুনের সূত্রপাত ঘটে। মূহুর্তেই আগুনের লেলিহান শিখা ছড়িয়ে পড়ে পাশের ঘরে। খবর পেয়ে শঠিবাড়ি ফায়ার সার্ভিসের একটি ইউনিট ঘটনাস্থলে এসে আগুন নিয়ন্ত্রনে আনলে আগুনের লেলিহান শিখা থেকে রক্ষা পায় আশ-পাশের বেশ কয়েকটি ঘর।
এদিকে, ফায়ার সার্ভিস কর্মীরা ঘটনাস্থলে আসার আগেই গোয়াল ঘরে থাকা ৩টি গরু অগ্নিদগ্ধ হয়ে মারা যায়। একটি বাইসাইকেল ও একটি স্যালো মেশিনসহ ভস্মিভূত হয় দুটি ঘর। এ ঘটনায় দুই লক্ষাধিক টাকা ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে বলে জানান ক্ষতিগ্রস্ত কৃষক নুর ইসলাম।
মিঠাপুকুর থানার এসআই রফিকুল ইসলাম ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন বৈদ্যুতিক শটসার্কিট থেকে আগুনের সূত্রপাত হয়েছে।
শঠিবাড়ি ফায়ার সার্ভিস স্টেশন লিডার মো: সাইদুর রহমান ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, আগুন কিভাবে লাগলো তা জানা যায়নি। তবে, ধারনা করা হচ্ছে বৈদ্যুতিক শটসার্কিট থেকে আগুনের সূত্রপাত হয়েছে।

 


রংপুর পীরগঞ্জে মধ্যযুগীয় বর্বরতায় বসতবাড়িসহ দিশেহারা ১টি পরিবার

থানায় অভিযোগ দিলেও -এখন মামলা হয়নি


স্টাফ করেসপন্ডেন্ট রংপুর রংপুরের পীরগঞ্জে পুর্ব শত্রুতার জের ধরে দুদিনব্যাপি দফায় দফায় সন্ত্রাসী হামলা চালিয়ে বাড়ীঘরের ব্যাপক ভাংচুরসহ স্বামী স্ত্রীকে গুরুতর আহত করেছে প্রতিপক্ষের লোকজন। সাম্প্রতিক ২৩ মে/২১ইং বেলা আনুমানিক ১২টায় উপজেলার মদনখালী ইউনিয়নের দক্ষিন মাগুড়া গ্রামে এ হামলার ঘটনাটি ঘটেছে। এলাকাবাসী ও প্রত্যক্ষ দর্শিদের বিবরনে সরেজমিনে গিয়ে জানা যায়,উক্ত গ্রামের মৃত মহির উদ্দিনের পুত্র আমছার আলীর সাথে দীঘনি ধরে তারই আপন বড় ভাইদের সাথে জমি সংক্রান্ত বিষয় নিয়ে বিরোধ চলে আসছিল। এরই জের ধরে ভাতিজা রেজোয়ান মিয়ার নের্তৃত্বে অন্যান্য লোকজনদের নিয়ে গত ২২ মে রাতে আমছার আলীর বাড়ী ভাংচুর সহ তার স্ত্রীর উপর হামলা চালায়। উক্ত হামলায় তারা কোন রকমে পালিয়ে প্রানে রক্ষা পায়। পরদিন ২৩ মে বেলা ১২টায় পুনরায় গ্রামবাসীর সহায়াতায় বাড়ীতে আসে। এ খবর পেয়ে প্রতিপক্ষের লোকজন রেজোয়ানের নের্তৃত্বে আবারও দেশীও অস্ত্রে সজ্জিত হয়ে বসতবাড়ীতে সন্ত্রাসী কায়দায় হামলা চালিয়ে একটি টিনের ঘর ভেঙ্গেচুরে মাটিতে মিশিয়ে দিয়ে মালামাল লুট করে। এতে বাধা দিতে গেলে দুবৃর্তরা আমছার আলী ও তার স্ত্রীকে বেধম প্রহার করে গুরুতর আহত করে। পরে এলাকাবাসী আহত স্বামী স্ত্রীকে উদ্ধার পুর্বক উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসার জন্য ভর্তি করান।
দুদিনব্যাপি দফায় দফায় সন্ত্রাসী হামলা

উল্লেখ্য ইতিপুর্বেও প্রতিপক্ষগন তার বাড়ী ভাংচুর করেছিল বলে গ্রামবাসীরা জানায়। এ ব্যাপরে পীরগঞ্জ থানায় গত ২৪ মে একটি লিখিত অভিযোগ দিয়েছে ভুক্তভোগী পরিবার তবে এখন পর্যন্ত থানায় কোন মামলা হয়নি। তবে নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক স্থানীয় কয়েকজন বাসিন্দা জানান,ক্ষমতাসীন দলের কয়েকজন নেতাকর্মী রহস্যজনক ভাবে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর কতিপয় ২/৩ জন সদস্যদের সঙ্গে সখ্যতা গড়ে তোলায়,থানায় লিখিত অভিযোগ দিয়েও কোন সুরাহা মিলছে না।

আর স্থানীয় বাসিন্দারা এই বর্বোরোচিত, ন্যাক্কারজনক ঘটনার সুষ্ট তদন্ত সাপেক্ষে দোষী ব্যাক্তিদের কঠোর শাস্তির দাবি জানিয়েছেন।

Amader Rangpur news

Contact Form

Name

Email *

Message *

Argon Maltimedia Bangladesh. Powered by Blogger.
Javascript DisablePlease Enable Javascript To See All Widget