Latest Post

 

দূর্গাপুরে ১৪তম চেয়ারম্যান সাইদুর-ইউপির ব্যাপক উন্নয়ন

রুবেল ইসলাম,রংপুর অফিস

রংপুরের মিঠাপুকুর উপজেলার দূর্গাপুর ইউনিয়নে স্বাধীনতার পূর্ববর্তী ও পরবর্তীতে ধারাবাহিক স্থানীয় সরকারের দায়িত্ব পালনের তালিকায় ১৪ তম চেয়ারম্যান হিসাবে নির্বাচিত ও দায়িত্ব পালন করেন উদীয়মান তরুণ চেয়ারম্যান সাইদুর রহমান তালুকদার ।ইউনিয়নে জনসাধারণের ভালোবাসায় ২০১৬ সালে স্থানীয় সরকার নির্বাচনে বাংলাদেশের সর্ববৃহৎ ও ক্ষমতাসীন দল আওয়ামীলীগের নৌকা প্রতীকে নির্বাচন করে বিপুল ভোটে জয়লাভ করে ১৮ই আগস্ট ২০১৬ চেয়ারম্যান হিসাবে দায়িত্ব গ্রহণ করেন ।জনগণের পাশে থেকে এবং সফলতার সহিত গত ১৮ই আগস্ট ২০২১ তারিখে তার ক্ষমতার পাঁচ বছর পূর্ণ হয়।

জনগণের ভালোবাসায় সিক্ত ইউপি চেয়ারম্যান সাইদুর


গত সোমবার(২৩শে আগস্ট)ব্যক্তিগত সাক্ষাৎকারে সাইদুর রহমান জানান-বাঙ্গালী জাতির পিতা ও বঙ্গবন্ধু কন্যা মাননীয় প্রধানমন্ত্রী দেশরত্ন শেখ হাসিনার স্বপ্ন বাস্তবায়নে সহযোদ্ধা হিসাবে ৫ বছর  চেয়ারম্যান হিসাবে দায়িত্ব পালন করেছেন । এই পাঁচ বছরে মিঠাপুকুর-৫ আসনের জাতীয় সাংসদ ও জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত স্থায়ী কমিটির সভাপতি এবং বাংলাদেশ আওয়ামীলীগের বারবার দায়িত্বরত সফল কোষাধাক্য হাবিবুরন্নবী আশিকুর রহমানের সহযোগিতায় ইউনিয়নে প্রায় ২৩ কিলোমিটারের অধিক রাস্তা পাকাকরণ করা হয়েছে।ইউনিয়নে ত্রাণের মাধ্যমে ৫টি বড় ব্রিজ নির্মাণ করা হয়।৭৮টি মসজিদ,২৬টি মন্দির,কবরস্থান ৫টি,শশ্মান ৪টি,সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় ১৮টি,কলেজ ৪টি,উচ্চ বিদ্যালয় ৫টিতে লাইটিং ব্যবস্থাসহ কবরস্থানে মাটি ভরাট করা হয়।

শঠিবাড়িতে জমিসহ সাড়ে ৩ কোটি টাকা ব্যয়ে নতুন গরুরহাট বানানো,হাটকে সিসি ক্যামেরার অর্ন্তভুক্ত করা হয়,নির্দিষ্টস্থানে ময়লা ফেলানোর জন্য ৩টি সেড নির্মাণ ও ময়লা অপসারণের জন্য ৪টি ভ্যান দেওয়া হয়।এছাড়াও হাটের ভেতরে রাস্তা ও গলি গুলোতে ইট দিয়ে হেরিং করা হয়।

এছাড়াও ইউনিয়ন পরিষদে সুবিধা নিতে আসা জনগণের নামাজের জন্য ২৫ লাখ টাকা ব্যয়ে মসজিদ নির্মাণ,জরুরী রোগীকে পরিবহনে এলজিএসপি-৩ এর মাধ্যমে ১৬ লাখ ব্যয়ে জন্য টাকায়  এম্বুলেন্স সেবা,সাড়ে ৪ হাজার বয়স্ক পুরুষ ও মহিলাকে বয়স্ক ও বিধবা ভাতায় অর্ন্তভুক্তকরণ,ভিজিএফ এর মাধ্যমে ৮৯৯৫টি ও ৩৮০টি পরিবারে ভিজিডি সেবা প্রদান।নিজ উদ্যোগে প্রায় শতটি বাল্যবিবাহ বন্ধ।



২৩ কিলোমিটার রাস্তার মধ্যে ডাবরা-সুলতানপুর-মুশাপুর হয়ে মিঠাপুকুর ৫ কিমি,শঠিবাড়ি সরকারি খাদ্য গুদাম হতে নুপুর সিনেমা হল ১ কিমি,খামারহরিপুর-কবি নজরুল বিদ্যানিকেতন ১.২ কিমি,মিঠাপুকুর পুরাতন টেলিফোন অফিস-চিতলী দক্ষিণপাড়া ৩ কিমি,পোষ্ট অফিস-আল-দ্বীনবিদ্যাপীট ১.৫ কিমি,মিঠাপুকুর বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়-কৃষ্ণপুর-বকুলতলা ১.৫ কিমি,মিঠাপুকুর কেন্দ্রীয় ঈদগাহ মাঠ-জীবনপুর-তুলশীপুর দক্ষিণপাড়া ৩.৫ কিমি, মির্জাপুর ক্লিনিক-সাবেক চেয়ারম্যান এনামুল বাড়ির মোড় ১.২ কিমি,মির্জাপুর বাজার-হুল্লাই স্কুল ০.৫ কিমি,ভাবনা ফ্লিলিং স্টেশন-শান্তিপুর সাইদ মেম্বারের বাড়ি ১ কিমি,শীতলগাড়ি পারভেজ বাড়ি-লেখাপড়া বাশেরতল ১ কিমি,রামপুরা ক্লিনিক-রামপুরা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় ০.৫ কিমি,ডাবরা নেতার বাজার-জৈন্তপুর ১ কিমি ও ডাবরা নেতার –বিনোদপুর গামী ১.৫ কিমি রাস্তা পাকা করণ করা হয় ।

ভাগ্যবান ১৪ নং দূর্গাপুর ইউপির ১৪ নম্বর চেয়ারম্যানের স্বপ্ন-১৪.৩৭ বর্গমাইলের ৯১৯৯ একর জমির উপর ৩৩টি গ্রাম নিয়ে সাড়ে ৫ লাখ জনসংখ্যার এই  ইউনিয়নকে সৌরআলোয় আলোকিত ও সিসি ক্যামেরার আওতায় আনা।গ্রামকে শহরে রুপায়ন।মানুষের সকল মৌলিক চাহিদা পূরণে অব্যাহত চেষ্টা।গ্রামের সকল রাস্তাগুলোকে পাকাকর‌ণ এবং শঠিবাড়িতে পানি নিষ্কাশনের জন্য ড্রেনেজ ব্যবস্থা করা ।আধুনিক,ব্যবসায়িক ও বসবাসযোগ্য শঠিবাড়ি বন্দর গড়ে তোলা।

উল্লেখ্য সাবেক ইউপি চেয়ারম্যারে ধারাবহিক নাম- তছলিম উদ্দিন(১৯৬০-১৯৬৬),বজলার রহমান(১৯৬৬-১৯৭১),হামিদুল হক প্রধান(১৯৭১-১৯৭৩),আব্দুল মতিন প্রধান(১৯৭৩-১৯৭৭),খালেক প্রধান(১৯৭৭-১৯৮৪),আহম্মদ আলী(১৯৮৪-১৯৮৮),আহাম্মদ আলী(১৯৮৮-১৯৯২),হাফিজুর রহমান তালুকদার(২৬ই এপ্রিল ১৯৯২-১৫ই এপ্রিল ১৯৯৫),এনামুল হক প্রধান(৮ই নভেম্বর ১৯৯৫-২০শে ফেব্রয়ারী ১৯৯৮),শহিদুল ইসলাম(২০শে ফেব্রয়ারী ১৯৯৮-১১ই এপ্রিল ২০০৩),এনামুল হক প্রধান(১১ই এপ্রিল ২০০৩-১৮ই আগস্ট ২০১১),হাফিজার রহমান তালুকদার(১৮ই আগস্ট ২০১১-১৫ই জানুয়ারী ২০১২),রবিউল ইসলাম প্রমাণিক(১৬ই মে ২০১২-১৮ই আগস্ট ২০১৬),সাইদুর রহমান তালুকদার (১৮ই আগস্ট ২০১৬-১৮ই আগস্ট ২০২১)

 

 

 রংপুরে ভেজাল বিরোধী অভিযানে মেয়াদোত্তীর্ণ আটাসহ  গ্রেফতার-২

রংপুর অফিস
রংপুর মেট্রোপলিটন পুলিশ ও   নিরাপদ খাদ্য কর্তৃপক্ষের  যৌথ অভিযানে  মেট্রোপলিটন কোতয়ালী থানাধীন পার্বতীপুর বউ বাজার এলাকায় মেয়াদোত্তীর্ণ আটার বস্তা বোঝাইসহ একটি ট্রাক আটক করা হয় । এসময় রাশদ মিয়া ও জিয়াউর রহমান নামে দুইজনকে গ্রেফতার করে পুলিশ।

রবিবার দুপুড়ে  মেট্রো গোয়েন্দা বিভাগ  কার্যলয়ে প্রেস বিফ্রিংয়ে এ তথ্য জানানো হয় ।গোপন সংবাদের ভিত্তিতে গোয়েন্দা বিভাগ  জানতে পারে যে, রংপুর মেট্রোপলিটন পুলিশের কোতয়ালী থানাধীন পার্বতীপুর এলাকা থেকে মেয়াদোত্তীর্ণ আটা একটি ট্রাকে বোঝাই করে অন্যত্র নিয়ে যাওয়া হচ্ছে।তৎক্ষণিক রংপুর মেট্রোপলিটন পুলিশের  পুলিশ কমিশনার আবদুল আলীম মাহমুদ  নির্দেশনায় গোয়েন্দা বিভাগ (ডিবি)’র উপ-পুলিশ কমিশনার কাজী মুত্তাকী ইবনু মিনান এর অপারেশন পরিকল্পনায় অপারেশন চালানো হয়।



 জেলা প্রশাসন ও নিরাপদ খাদ্য কর্তৃপক্ষ-রংপুরের যৌথ অভিযানে কোতয়ালী থানাধীন পার্বতীপুর বউ বাজার সংলগ্ন মেহগনি গাছবাগান নামক জায়গায় আটার বস্তা বোঝাই একটি ট্রাক আটক করা হয় (ট্রাকের রেজি নং- ঢাকা মেট্রো-ট-২২-৩২৭৬)। এরপর ট্রাকটি উপস্থিত সাক্ষী ও স্থানীয় লোকজনের উপস্থিতিতে তল্লাশী করে বিপুল পরিমানে মেয়াদোত্তীর্ণ আটার বস্তাসহ ট্রাকটি আটক করা হয় এবং আটার মালিক ০২ (দুই) জনকে আটক করা হয়। ট্রাক থেকে  প্রতিটি বস্তা নামিয়ে বস্তার মুখ খুলে যাচাই-বাছাই করে দেখা যায়, আটা গুলো মেয়াদোত্তীর্ণ। জব্দকৃত 'আটা'র কাগজপত্র যাচাই-বাছাই করে আরও দেখা যায়, নির্দিষ্ট কর্তৃপক্ষ কর্তৃক 'আটা'র অনুমোদিত ট্রেড লাইসেন্স জালিয়াতি করে অন্য নাম ব্যবহার করা হয়েছে।

জব্দকৃত মালামালের মধ্যে ২৭২ বস্তা আটা, প্রতি বস্তায় ৪০ কেজি করে মোট ওজন  ১০,৮৮০ কেজি এবং৬৫ বস্তা আটা, প্রতি বস্তায় ২০ টি প্যাকেট মোট প্যাকেট ১,৩০০ প্যাকেট টি, প্রতিটি প্যাকেটের ওজন ২ কেজি করে মোট ওজন ২,৬০০ কেজি। সর্বমোট ওজন ১৩,৪৮০ কেজি, মূল্য অনুমান- ৫,৫০,০০০/- টাকা।




এরপর নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট এর উপস্থিতিতে গোয়েন্দা বিভাগ (ডিবি) কর্তৃক আটককৃত মেয়াদোত্তীর্ণ আটার বস্তাগুলো জব্দ করেন রংপুরের স্যানেটারী ও নিরাপদ খাদ্য ইন্সপেক্টর এবং পরবর্তীতে তিনি বাদী হয়ে জব্দকৃত আলামত এবং আটককৃত আসামীসহ কোতয়ালী থানায় হাজির হয়ে নিরাপদ খাদ্য আইন ২০১৩ এর ২৯ ও ৩২(ক),৩২(ঘ) ধারায় আসামী দুই জনের নামে অভিযোগ করেন।আটককৃতরা হলেন রংপুর সিটির ১৭ নং ওয়ার্ডের পার্বতীপুর, মেহগনি গাছবাগান এলাকার   মৃত আনছার আলীর পুত্র রাশেদ মিয়া(৩৪) এবং একই এলাকার  পার্বতীপুর, ৩ নং চেক পোস্ট এর পার্শ্বেভগিবালাপাড়া রফিক সাহেবের বাসার ভাড়াটিয়া মৃত আঃ হামিদ এর পুত্র জিয়াউর রহমান (৪২)।


প্রাথমিক তদন্তে প্রেস ব্রিফিংয়ে আরোও জানানো হয়- জব্দকৃত আটাগুলো পুনঃ প্যাকেটজাত করে নওগাঁসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে বাজারজাতকরণ, পুনঃ ব্যবহার, বিভিন্ন হোটেল ও রেস্তোরাঁয় সরবরাহ ও খাদ্য হিসেবে ব্যবহারের নিমিত্তে ট্রাকে করে পাঠানো হচ্ছিল।মেয়াদোত্তীর্ণ আটা মজুদ, পরিবহন, ক্রয়-বিক্রয় ও অবৈধভাবে ব্যবহারের সাথে জড়িত সকলকে তদন্তের মাধ্যমে বের করে এনে আইনের আওতায় আনা হবে জানা ডিবি কমিশনার ।

 মিঠাপুকুরে বনবিভাগের গাছ চুরির ৯দিনেও ব্যবস্থা নেয়নি বিট কর্মকর্তা


রুবেল ইসলাম,রংপুর অফিস

রংপুরের মিঠাপুুকুর  উপজেলায় সামাজিক বনবিভাগ কর্তৃক ইউকোলিপ্টাস গাছ রাতের আধাঁরে চুরি করলে চোরসহ গাছ ধরা পড়লেও ৯দিনেও কোন ব্যবস্থা  নেয়নি বনবিটের কর্মকর্তা । এতে ক্ষুদ্ধ এলাকাবাসী দাবী গাছ চোরের সাথে সখ্যতার ।

গত মঙ্গলবার ( ১০ই আগস্ট)  উপজেলার চেংমারি ইউনিয়নের বিলা হরিহরপুর গ্রামে বনবিটের লাগানো ইউকোলিপ্টাস গাছ চুরি করেন হাসান আলী নামে ব্যক্তি । সে বিলা হরিহরপুর গ্রামের আব্দুল হাকিমের ছেলে ।

চোরাইকৃত গাছের গোলাই


প্রত্যক্ষদর্শী ও ফরেষ্ট গার্ড এর সাথে কথা বলে জানা যায়- চোরাই কৃত ইউকোলিপ্টাস  গাছ নিয়ে হাসান আলী নামে এক ব্যক্তি ভ্যানে করে ফকিরেরহাট নিয়ে আসলে স্থানীয়রা  আটক দেয় । পরে ফরেষ্ট গার্ড সুশীল চন্দ্র বর্মন চোরাই গাছ সত্যতা নিশ্চিত হলে বনবিট কর্মকর্তা খন্দকার রুহুল আমিনের সাথে কথা বলে চোরাইকৃত ইউকোলিপ্টাস গাছ জব্দ করে বন বিট অফিসে নিয়ে যান।নাম প্রকাশে অনিশ্চুক একজন জানান- হাসান আলীর বাড়িতে তোলা ঘরও বনবিটের চুরি করা গাছ দিয়ে তৈরী । তবে তাকে হাতে নাতে কখনও ধরা সম্ভব হয়নি ।

বনবিট কর্মকর্তা খন্দকার রুহুল আমিন জানান- একটি ইউকোলিপ্টাস গাছের দুইটি গোলাই যাহার একটির  বেড় সাড়ে ৪২ ইঞ্চি ও দৈর্ঘ্য ১০ ফিট এবং উপরের অংশের বেড় ২৪ ইঞ্চি এবং দৈর্ঘ্য ১০ ফিট আকারের নিয়ে আসা হয়। স্থানীয় বাসিন্দা হাকিমের ছেলে হাসান আলী জেএলনং-১০৬ এর একটি গাছ কাটেন।তার বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়ার প্রস্তুতি চলছে ।

 সামাজিক বনবিভাগের গাছ চুরির অপরাধে হাসান আলীর বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়ার কথা থাকলেও এখন পযর্ন্ত কোন ধরণের ব্যবস্থা গ্রহণ করেনি ঐ কর্মকর্তা । 



"মাই ন্যাশনাল আইটি" কোম্পানীর এজেন্ট কর্তৃক ৬ লাখ টাকা আত্নসাৎ, গ্রাহকদের মাথায় হাত!
খন্দকার মিলন আল মামুন,রংপুর
অল্প পরিশ্রম করে যদি অল্পদিনের ব্যবধানে টাকা দ্বিগুন করা যায়, তবে কেনা আগ্রহী হয় ! সাধারন মানুষের এই আগ্রহকে পুজিঁ করে দেশ ব্যাপী প্রতারনার ফাদঁ তৈরি করে চলছে একাধিক প্রতারক চক্র ! সম্প্রতি ইন্টারনেট ভিত্তিক " মাই ন্যাশনাল আইটি " সহ ন্যাশনাল এগ্র্রো ফার্ম, ন্যাশনাল বাজার ও ডিজিট্যাল ন্যাচারাল এগ্রো ফার্ম " নামের হায় হায় কোম্পানীর এজেন্টরা রংপুর জেলার বিভিন্ন এলাকার তরুন যুবকদের কাছ থেকে প্রায় কোটি টাকা হাতিয়ে নিয়ে গা ঢাকা দেয়ার অভিযোগ উঠেছে। এই প্রতারক চক্রের খপ্পড়ে পড়ে রংপুরের অসংখ্য যুবক এখন দিশেহারা হয়ে পড়েছেন।
অভিযোগ উঠেছে, "মাই ন্যাশনাল আইটি" হায় হায় কোম্পানীর (এজেন্ট) এক্সিকিউটিভ অফিসার রংপুর সদর উপজেলার সদ্যপুস্করিনী ইউনিয়নের কেশবপুর গ্রামের (ডাক্তারখানা ফুটবল খেলার মাঠেরর পশ্চিমে বাড়ি) আবু তালেব, একই কোম্পানীর গোল্ডস্টার বদরগঞ্জ উপজেলার নাটারাম এলাকার আনোয়ারুল্ল্যা বিপ্লব ও রুবি মেম্বার পদধারী একই এলাকার আলমগীর হোসেন । বিভিন্ন এলাকার যুবকদের মগজ ধোলাই করে বায়ুফ্লোগ পদ্ধতিতে মাছ চাষ প্রকল্প তৈরি করে দেয়ার নামে হাতিয়ে নিয়েছেন প্রায় কোটি টাকা।


জানাযায়, "মাই ন্যাশনাল আইটি" হায় হায় কোম্পানীর এক (এজেন্ট) সদ্যপুস্করিণীর ইউনিয়নের কেশবপুরের আবু তালেবের কাছে ধরাসায়ি একজন ভুক্তভোগী বদরগঞ্জ উপজেলার গোপালপুর ইউনিয়নের দিনমজুর হাবিবুর রহমানের কলেজ পড়ুয়া ছেলে হুসাইন আলী(২৫) ও তার দুই বন্ধু। তাদের বায়ুফ্লোগ পদ্ধতিতে মাছ চাষের জন্য ৫০টি হাউজ তৈরি করে দেয়ার কথা বলে তিন বন্ধুর কাছ থেকে প্রতারক আবু তালেব কৈশলে হাতিয়ে নিয়েছে প্রায় ৬ লক্ষাধিক টাকা ।
এদিকে ভুক্তভোগী হুসাইন আলী সম্প্রতি প্রতারক আবু তালেবের বিরুদ্ধে- রংপুর সদর কোতয়ালি থানায় একটি এজাহার দায়ের করেছেন। এজাহার সুত্রমতে জানাযায়, "মাই ন্যাশনাল আইটি" কোম্পানীতে এক্সিকিউটিভ অফিসার পদে আবু তালেব কাজ করার সুবাদে পূর্ব পরিচয়ের সুত্র ধরে হুসাইন আলীর বাড়িতে যাওয়া আসার সুবাদে তার পরিবারে জানায়, আমি "মাই ন্যাশনাল আইটি নামে একটি কোম্পানীর অফিসার। তার কোম্পানীতে ৪ লাখ টাকা দিলে হুসাইনদের ৪০ শতক জমিতে ৫০ টি হাউজ তৈরি করে দিয়ে মাছ চাষ করে এক বছরে উক্ত টাকার দ্বিগুন মুনাফা ফেরত দেয়ার প্রতিশ্রুতি দেন। সরল বিশ্বাসে হুসাইন তার বাবার মাধ্যমে ধারদেনা করে ঘটনারদিন গত ৩০/০৮/২০২০ ইং সন্ধ্যা আনুমানিক ৭টার দিকে পালিচড়াহাটস্থ আবু তালেবের ব্যবসা প্রতিষ্ঠান ও তার "মাই ন্যাশনাল আইটি অফিসে হুসাইন তার বাবাকেসহ একাধিক স্বাক্ষিকে সাথে নিয়ে আবু তালেবের হাতে একযোগে ৪ লাখ টাকা প্রদান করেন। টাকা গ্রহনের পর "মাই ন্যাশনাল আইটি" হায় হায় কোম্পানীর এজেন্ট আবু তালেব হুসাইনদের বাড়িতে মাছ চাষের জন্য লোক দেখানো হাউজ নির্মাণ শুরু করে। এসময় আরো দুই লাখ টাকা অগ্রিম লাগবে বলে জানালে হুমায়ুন বদরগঞ্জের গোপালপুর পশ্চিমপাড়ার গোলাম মোস্তফা ও হরিপুর গ্রামের মোশরেফুলের কাছ থেকে দুই লাখ টাকা নিয়ে আবু তালেবের হাতে দেন। মোট ৬ লাখ টাকা গ্রহন পরবর্তীতে আবু তালেব শর্তমোতাবেক ৫০টি হাউজ করে দেয়ার কথা থাকলেও মাত্র ৪টি হাউজ, ৪টি হাওয়া প্ম্প ও আংশিত যন্ত্রাংশ স্থাপন করে টোটাল কাজ বন্ধ করে দেয়। পরবর্তীতে বাকী হাউজগুলো তৈরি করে চাইলে আবু তালেবের বেরিয়ে পড়ে আসল রুপ। শুরু হয় টালবাহানা। দেখায় নানান অজুহাত। একসময় একেবারে আত্নগোপনে চলে যায় সে। তবে কোন ভাবে যোগাযোগ হলেও তখন দেয়াহত মারপিটসহ খুনের হুমকী।

এদিকে আবু তালেবের পেছনে হন্নে হয়ে ঘুরার পর একপর্যায়ে গত ২৬ জুলাই ২১ ইং তারিখে দুপুরের দিকে হুসাইন ও তার বন্ধু আবু তালেবের বাড়িতে গেলে উল্টো মিথ্যা মামলা দেয়ার ভয় দেখিয়ে ও বিভিন্ন হুমকী দিয়ে তাদের তাড়িয়ে দেয়া হয়।  

 

পীরগঞ্জে জাতীয় শোক দিবস উপলক্ষে কোরআন খতম ও দোয়া মাহফিল

রুবেল ইসলাম,রংপুর ।।

রংপুরে বাঙ্গালী জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ৪৬তম শাহাদাৎ বার্ষিকী জাতীয় শোক দিবস উপলক্ষে ১০টি  এতিম খানায় কোরআন খতম ও দোয়া্ মাহফিল অনুষ্ঠিত হয়েছে ।

রবিবার(১৫ই আগস্ট) দিনব্যাপী পীরগঞ্জ উপজেলার বিভিন্ন ইউনিয়ন ও পৌরসভার এতিম খানায় কোরআন খতম ও দোয়া্ মাহফিল আয়োজন করেন পীরগঞ্জ উপজেলা আওয়ামীলীগের সদস্য ও বিশিষ্ট শিল্পপতি ইঞ্জিনিয়ার সাঈদ রেজা শান্তু ।

খতমে কোরআন তেলওযাত করছেন হাফিজিয়া মাদ্রাসার শিক্ষার্থীরা


উপজেলার ৩ নং বড়দরগাহ্ ইউনিয়নের বেলবাড়ি নূরানী হাফিজিয়া মাদ্রাসা, ৬ নং টুকুরিয়া ইউনিয়নের মামরোজপাড়া মিফতাহুর নূর হাফিজিয়া মাদ্রাসা, ৮নং রায়পুর ইউনিয়নের ছোট ওমরপুর হাফিজিয়া মাদ্রাসা,  ৯ নং লালদিঘী ইউনিয়নের লালদিঘি হাফিজিয়া সিদ্দিকিয় কাদেরিয়া দারুল উলুম কওমী মাদ্রাসা, ১০নং শানেরহাট ইউনিয়নের শানেরহাট ফয়জুল উলুম হাফিজিয়া,১২নং মিঠিপুর ইউনিয়নের রহমানিয়া খানকা শরীফ হাফিজিয়া মাদ্রাসা, ১৩ নং রামনাথপুর ইউনিয়নের বোর্ডের ঘর রইচ উদ্দিন হাফিজিয়া মাদ্রাসা, ১৪নং চতরা ইউনিয়নের ইমাম বুখারী হাফিজিয়া মাদ্রাসা,পীরগঞ্জ পৌরসভার থানা পাড়ায় আরিফুল উলুম তাবলীগুল ইসলাম আল-মাদানীয়া মাদ্রাসা ও লিল্লাহ্ বোর্ডিং, পৌরসভার প্রজাপাড়ায় করিমননেছা নূরানী হিফজুল কোরআন বালিকা মাদ্রাসাসহ ১০টি স্থানে কোরআন খতম ও দোয়ার আয়োজন করা হয়।

দোয়া ও মোনাজাত


এছাড়াও প্রজাপাড়া পালপাড়া সার্বজনীন কমিউনিটি সেন্টারে বাংলাদেশ পূজা উদযাপন পরিষদ পীরগঞ্জ উপজেলা ও পৌর শাখার সদস্যদের নিয়ে শোকাবহ আগস্টের গুরুত্ব এবং জাতির জনক বঙ্গবন্ধুর এদেশে ভূমিকা নিয়ে আলোচনা  শেষে প্রার্থনার আয়োজন করা হয়।

 

 

 মিঠাপুকুরে ঝাড়ুদার দিয়ে চলছে চিকিৎসা সেবা  উপ-স্বাস্থ্যকেন্দ্রের বেহাল দশা


রুবেল ইসলাম,রংপুর ।।

রংপুরে নিভৃত পল্লীতে চিকিৎসা সেবা নিশ্চিত করণে গড়ে উঠা উপ-স্বাস্থ্য কেন্দ্রে অভিজ্ঞতা সম্পূর্ণ বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক নিয়োগ থাকলেও ঝাড়–দার দিয়েই চলছে সেবার কার্যক্রম । নিয়োগপ্রাপ্ত চিকিসৎককে দেখেনি জনসাধারণ পায়নি চিকিৎসাসেবা বলে অভিযোগ এলাকাবাসীর । অপরদিকে উপ-স্বাস্থ্যকেন্দ্রটি মাদকসেবীদের আড্ডাখানায় পরিণত হলে তৎকালীন চেয়ারম্যানের সহযোগিতায় হয়েছে সীমানা প্রাচীর। কিন্তু বর্তমান চেয়ারম্যান শ্রীহীন ভাবে পড়ে থাকা এই উপস্বাস্থ্যকেন্দ্রের উন্নয়নে যথসামন্য কাজ করেই বাকী টাকা আত্মসাৎ করেছেন বলে দাবী স্থানীয়রা ।

খোড়াগাছ উপ-স্বাস্থ্যকেন্দ্র


রংপুরের মিঠাপুকুর উপজেলার খোড়াগাছ ইউনিয়নে স্থানীয় বাসিন্দাদের চিকিৎসা সেবা নিশ্চিত করণে  খোড়াগাছ উপ-স্বাস্থ্য কেন্দ্র প্রতিষ্ঠিত হয় । প্রতিষ্ঠার পরেই নিভৃত পল্লীর মানুষদের স্বাস্থ্যসেবায় স্বাস্থ্যকেন্দ্রে ১ জন মেডিকেল অফিসার,১ জন মেডিকেল এসিসট্যান্ট,১ জন ফার্মাসিষ্ট ও ১ জন এমএলএসএসসহ মোট ৪ টি পদে নিয়োগ প্রদান করা হয়। ৪টি পদে নিয়োগ  থাকলেও ১ জনকে দেখতে পান রোগী ও এলাকাবাসী।

এলাকাবাসীরা জানায়-এখানে ঝাড়–দারের পোষ্ঠে যিনি আছেন তিনিই শুধু জ্বর ও আমাশয় এর ঔষধ প্রদান করেন। এছাড়া আরও দাবী ঝাড়–দাড়ই রেজিস্টারে লিখেন এবং আর কোন কর্মকর্তাকে দেখতে পাওয়া যায় না- বলে অভিযোগ । 

উপজেলার সমগ্র মানুষদের চিকিৎসা সেবা প্রদান করার লক্ষ্যে প্রতিষ্ঠা করা হয়েছে এইসব উপস্বাস্থ্য কেন্দ্র এবং সেবা প্রদানে নিয়োগ দেওয়া হয়েছে অভিজ্ঞ চিকিৎসক কিন্তু তারা কোনদিন এই হাসপাতালে আসেননি অথচ তাদের বেতন প্রদান করা হচ্ছে ।


হাসপাতালের অনিয়ম-দূর্ণীতি এবং ঔষধ চোরকে ধরতে গিয়ে ১৯৮৮ সালে অস্ত্র মামলার আসামী হতে হয় এলাকাবাসীকে । এছাড়া বর্তমানে উপস্বাস্থ্য কেন্দ্রটি মাদকসেবীদের আড্ডাখানায় পরিণত হয়েছে । 



২০১৯-২০ অর্থ বছরে এলজিএসপি-৩ এর মাধ্যমে হাসাপতালে অবকাঠামো উন্নয়নে সংস্কার করণ প্রকল্পের মাধ্যমে জন্য ১ লাখ ৯০ হাজার টাকা বরাদ্দ করা হয় । বর্তমান ইউপি চেয়ারম্যান আসাদুজ্জামান নিজস্ব ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান “ মের্সাস আখিরা ট্রেডার্স” এর  মাধ্যমে ইউপি সদস্য আলমগীর হোসেনকে সভাপতি করে যথসামান্য কাজ করে  ইউপি সদস্যসহ বাকী টাকা  আত্মসাৎ করেছেন বলে দাবী এলাকাবাসী । এছাড়াও চেয়ারম্যান নিজেই উদ্বোধন করেন । 

এই সব বিষয় নিয়ে ইউপি চেয়ারম্যান আসাদুজ্জামানের সাথে পরিষদে একাধিকবার যোগাযোগ করার চেষ্টা করলেও যোগাযোগ করা সম্ভব হয়নি। 







     


Amader Rangpur news

Contact Form

Name

Email *

Message *

Argon Maltimedia Bangladesh. Powered by Blogger.
Javascript DisablePlease Enable Javascript To See All Widget